Banner Advertiser

Sunday, December 21, 2014

[mukto-mona] দেশের একমাত্র মহিলা রাজাকার: দেশের জন্য বহুমাত্রিক অভিশাপও



দেশের একমাত্র মহিলা রাজাকার: দেশের জন্য বহুমাত্রিক অভিশাপও

ক্যাটেগরিঃ রাজনীতি

সোমবার ২২ডিসেম্বর২০১৪, পূর্বাহ্ণ ০১:১৪

গতবছর একদিন আমার ফেসবুক পেজে লিখেছিলাম যে, খালেদা জিয়া একমাত্র মহিলা যে স্বেচ্ছায় পাকিস্তানি আর্মিদের কাছে গিয়ে তাদের আনন্দ দিয়েছিল ১৯৭১ এ। এক পরিচিত বিএনপি সমর্থক এতে খুব কষ্ট পায় এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে, "আপনি কি ১৯৭১ এ দুনিয়াতে ছিলেন যে জানবেন খালেদা নিজের ইচ্ছায় পাকিস্তানিদের কাছে গিয়েছিল কি না?" আমার সঠিক জবাব জেনে সে নীরব হয়ে যায়। এটা আবার লিখা প্রয়োজন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসে একমাত্র মহিলা রাজাকার হল খালেদা জিয়া।

যারা সত্যকে জানতে চান তাদের জন্য এটা যাচাই করা সহজ। বিভিন্ন প্রমাণাদির ম্যাধ্যমে অনেকদিন পূর্বে আমি খালেদার এই লজ্জাজনক কুকর্ম সম্পর্কে জেনেছি। সেই প্রমাণগুলি জানার আগে বিএনপি সমর্থকরা নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দিক। তারা কি মনে করে, অতীতে সশরীরে উপস্থিত থাকলেই কেবল অতীতের কোনো ঘটনা সত্য না মিথ্যা তা জানা যায়?

তাহলে কি তারা ১৪০০ বছর আগে মক্কায় উপস্থিত ছিল মহানবী (সাঃ) কষ্ট করে কীভাবে ইসলাম প্রচার করেছেন তা দেখতে? না। কিন্তু তারা এটা বিশ্বাস করে। কারণ এগুলির প্রমাণ আছে।
তারা কি ১৭৫৭ সালে পলাশীতে উপস্থিত ছিল মীরজাফর কীভাবে সিরাজুদ্দৌলার সাথে বেইমানী করে তা দেখতে? না। তাহলে কেন তারা বলে, মীরজাফরের বেইমানীর জন্য বাংলার স্বাধীনতা হারিয়ে গিয়েছিল? কারণ এরও প্রমাণ আছে। প্রমাণ আছে খালেদার স্বেচ্ছায় পাকিস্তানিদের কাছে যাওয়ারও।

ইতিহাসের কোনো সত্যকে জানার জন্য প্রত্যক্ষদর্শী হওয়া কখনো পূর্বশর্ত নয়, এটা সম্ভবও নয়। ঘটনাক্ষেত্রে উপস্থিত বিশ্বস্থ সৎ ব্যাক্তিদের বক্তব্য বা নির্ভুল গ্রহনযোগ্য যৌক্তিক প্রমাণ ইতিহাসের যেকোনো ঘটনাকে আমাদের নিরপেক্ষ বিশ্লেষণী ক্ষমতার কাছে সত্য হিসেবে তুলে ধরে। আর আমরা সেই সত্যকে ধারণ করি।

খালেদার ঐ অভিসার সম্পর্কে আমি প্রথমে জেনেছি দুজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধার লিখা দুটি বই থেকে। এর একটি হল 'লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে'। এর লেখক মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরোত্তম যিনি ১৯৭১ এর মার্চ মাস থেকে চট্রগ্রামে ছিলেন, ১ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধের প্রথম কয়েক মাস সেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২১শে মার্চ থেকেই তাঁর সৈন্যদের নিয়ে চট্রগ্রামে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। অফিসার হিসেবে তাঁর সাথে জিয়া ও জিয়ার পরিবারের যোগাযোগ ছিল।

এই বইটিতে পরিষ্কার করে উল্লেখ আছে যে, ১৯৭১ এর মার্চ মাসে খালেদা তার স্বামী জিয়ার সাথে চট্রগ্রামে ছিল যেহেতু ঐ সময়ে জিয়া চট্রগ্রামে কর্মরত ছিল। যুদ্ধ শুরুর পর ১৯৭১ এর ৩০শে মার্চ খালেদা তার স্বামীকে চট্রগ্রামে ফেলে রেখে নিজে ঢাকায় চলে যায় এবং ঢাকায় গিয়ে একেবারে ক্যান্টনমেন্টে পাকিস্তানি আর্মিদের কাছে উঠে। মেজর রফিক এটা ১৯৯৮ এর ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক আলোচনা সভায় মুখেও বলেছেন। আমি নিজে সেখানে উপস্থিত থেকে তা শুনেছি। আর যুদ্ধের পুরো ৯ মাস যে খালেদা পাকিস্তানি কর্ণেল জানজুয়ার হেরেমখানায় অবস্থান করে তাকে ও তার সঙ্গীদেরকে আনন্দ দিয়েছে তা তো সবারই জানা।

এটা বিএনপিও স্বীকার করে যে, ১৯৭১ এর মার্চের শেষভাগ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত জিয়া চট্রগ্রামে ছিল। জিয়া এমনকি ২৪শে মার্চ চট্রগ্রাম বন্দরে গিয়েছিল পাকিস্তানি যুদ্ধজাহাজ সোয়াত থেকে বাঙ্গালিদের মারার জন্য নিয়ে আসা অস্ত্র খালাস করতে। কিন্তু পাবলিকের দৌড়ানি খেয়ে পালিয়ে আসে জিয়া, পরে বাধ্য হয়ে যুদ্ধে যোগ দেয়। যেহেতু জিয়া ঐ সময়ে চট্রগ্রামে ছিল সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই তার বউ খালেদাও তখন চট্রগ্রামে ছিল। তাহলে ৩০শে মার্চ জিয়াকে চট্রগ্রামে রেখে খালেদা কেন মরিয়া হয়ে ঢাকা গেল যখন পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছিল, মানুষ প্রাণ নিয়ে ঢাকা ছেড়ে পালাচ্ছিল?

পাকিস্তানিদের কাছে যাওয়া খালেদার ব্যাক্তিগত ইচ্ছা ও স্বপ্ন ছিল বলেই বিবাহিতা অল্পবয়স্ক এক মহিলা হয়েও নিজের স্বামীর নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করে সে ঐ বিপজ্জনক সময়ে ভয়ঙ্কর ঢাকায় গিয়ে ধর্ষকামী শত্রুর খাঁচায় একাকী হাজির হয়েছে। চট্রগ্রামে জিয়ার বাড়িতে কোনো আক্রমণ হয় নি ৩০শে মার্চ, পাকিস্তানি আর্মি চট্রগ্রামে এসে খালেদাকে দখল করে তুলে নিয়েও যায় নি, কেউ তাকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য জোরও করে নি আর সে পাগলও ছিল না। তাহলে?

যখন সারা দেশের মানুষ শহরগুলি, বিশেষ করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছিল বেচেঁ থাকার আশায়, তখন কোন্ ইচ্ছাপূরণে ও কাদের ভরসায় খালেদা বাইরে থেকে এসে উল্টো ঢাকায় ঢুকল? আবার পাকিস্তানি আর্মিদের কাছে আশ্রয় নিল?

জিয়া নিজেই কি তার বউকে পাকিস্তানিদের কাছে পাঠিয়েছিল? তা যদি হয়ে থাকে তবে বলতেই হয়, জিয়া মুক্তিযোদ্ধার মুখোশ পরা এক পাকিস্তানি চর ছিল। কোনো যোদ্ধার বউ কি যুদ্ধের সময় এভাবে শত্রুর কাছে আশ্রয় নিতে পারে? তাও নিশ্চিত নিরাপত্তাকে স্বেচ্ছায় পিছনে ফেলে এসে? যদি না সেই শত্রু আসলে তার বন্ধু হয়?
আবার জিয়া যদি খালেদাকে পাকিস্তানিদের কাছে না পাঠিয়ে থাকে তাহলে মাত্র একটি কারণ থাকে খালেদার পাকিস্তানিদের কাছে যাওয়ার। সেটা হল, খালেদা নিজে তার পাকিস্তানি সঙ্গীদের আনন্দ দেবার জন্য স্বেচ্ছায় পাকিস্তানিদের কাছে গিয়েছিল। আর এটাই হল আমার এই লিখার মূল কথা।

এর পক্ষে সবচেয়ে চমকপ্রদ প্রমাণ খালেদা নিজেই দিয়েছে।

খালেদা যখন ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিল তখন পাকিস্তানি কর্নেল জানজুয়া মারা যায়, স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল ওটা। সেই জানজুয়া যে খালেদাকে ১৯৭১ সালে ৯ মাস ভোগ করেছে। জানজুয়ার মৃত্যুর খবর শুনেই খালেদা শোক প্রকাশ করে, জানজুয়ার পরিবারের কাছে শোকবার্তা পাঠায়। যারা এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চান তারা ঐ সময়ের জাতীয় পত্রিকাগুলি পড়ে নিতে পারেন।

পৃথিবীর কোনো মহিলাই তার ধর্ষকের মৃত্যুতে দুঃখ পেতে পারে না। কিন্তু খালেদা জানজুয়ার মৃত্যুতে দুঃখ পেয়েছে, শোক প্রকাশও করেছে। তার মানে, জানজুয়া তার দেহের উপর যে লীলা-খেলা চালিয়েছে তাকে খালেদা ধর্ষণ বলে মনে করে না। অর্থাৎ জানজুয়াদের আনন্দ দিতেই ১৯৭১ এ তাদের কাছে স্বেচ্ছায় গিয়েছিল খালেদা।
জানজুয়া পাকিস্তান আর্মি থেকে বহিষ্কৃত এক মধ্য পর্যায়ের অফিসার ছিল। তার মৃত্যুতে অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ করার কোনো প্রচলিত রেওয়াজ নেই। তাই এটা ছিল খালেদার ব্যক্তিগত অনুভূতির প্রকাশ।

যখন এদেশের হাজার হাজার নিষ্পাপ মেয়েকে ধরে নিয়ে গিয়ে রাজাকাররা পাকিস্তানি জংলিদের হাতে তুলে দিচ্ছিল, লাখো মুক্তিযোদ্ধা জান বাজি রেখে দেশের জন্য লড়ছিল, কোটি কোটি মানুষ আশ্রয়হারা হয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছিল তখন কাপুরুষ খুনী জিয়ার বউ খালেদা নিজের ইচ্ছায় দেশের শত্রু পাকিস্তানিদের কাছে গিয়ে তাদের আনন্দ দিচ্ছিল, শরীরের সুখ নিচ্ছিল। খালেদা তাই বড়ো এক রাজাকার। মহিলা রাজাকার।

সূত্রটা নিম্নরূপঃ
*মুক্তিযোদ্ধা = সেইসব মানুষ যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য সরাসরি যুদ্ধ করেছেন; প্রায় ১ লাখ।
*রাজাকার = সেইসব কুলাঙ্গার যারা পাকিস্তানিদের দালালী করেছে; প্রায় ৩৭ হাজার।
*মহিলা মুক্তিযোদ্ধা = সেইসব অসহায় মহিলা যুদ্ধকালে ধরে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক যাদের সম্ভ্রমহানি ঘটানো হয়েছে; প্রায় আড়াই লাখ।
*মহিলা রাজাকার = যে মহিলা স্বেচ্ছায় পাকিস্তানি হানাদারদের কাছে গিয়ে তাদের আনন্দ দিয়েছে, বাঙ্গালিদের খুন করার জন্য প্রতিদিন পাকিস্তানি পশুদের চাঙ্গা করে তুলেছে; ১ জনই, বেগম খালেদা জিয়া, ওরফে গোলাপী।

দেশের একমাত্র মহিলা রাজাকার নষ্টা মহিলা খালেদাকে জেনে-শুনে সমর্থন করার অর্থ মানবতা, ধর্ম, দেশ, সভ্যতা ও মননশীলতাকে আঘাত করা।

http://blog.bdnews24.com/kaosar73/161951

কাওসার জামান

কাওসার জামান

wRqv‡K †jLv K‡b©j †e‡Mi wPwV


Major Zia Ur Rahman, Pak Army, Dacca

We all happy with your job. We must say good job! You will get new job soon.
Don't worrie about your family. Your wife and kids are fine.
You have to be more carefull about major Jalil.
Col. Baig Pak Army
May 29. 1971


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___