Banner Advertiser

Wednesday, January 14, 2015

[mukto-mona] হায় বিএনপি, হায় ‘কুইন’ খালেদা



হায় বিএনপি, হায় 'কুইন' খালেদা

ফেরদৌস আরেফীন

১.যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে গণমাধ্যমে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো দুই নেতা বিএনপির বৈদেশিক দূত ও বিশেষ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত জাহিদ এফ সর্দার সাদী ও ডা. মুজিবর রহমান মজুমদারকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিএনপি। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা গতকাল ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ মঙ্গলবার রাতে, নিউ ইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব  রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠির অনুলিপিও এ সময় সাংবাদিকদের বিতরণ করা হয়। চিকিৎসার জন্য নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত খোকা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয় অবরুদ্ধ থাকায় এ বিষয়ে ঢাকায় প্রেস কনফারেন্স করা সম্ভব হয়নি বলে আমি কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি।"

সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত না যাওয়াই ভালো, তাতে বিএনপির ঝুড়িতে লজ্জার বোঝা ভারিই করা হবে শুধু। তাছাড়া, এমনিতেই ওই বিষয় নিয়ে বিএনপি মরমে মৃতপ্রায়। কিন্তু, সাংগঠনিক অবস্থা কতটুকু করুণ আর অসহায় হলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করতে হয় সুদূর নিউ ইয়র্কে –তা নিয়ে কথা না বলে পারা যাচ্ছে না! বলি, ঢাকায় না হয় বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং চেয়ারপারসনের কার্যালয় অবরুদ্ধ, দেশে কি আর কোথাও বিএনপি'র আর কোনও কেন্দ্রীয় নেতা নেই যিনি একটা সাদামাটা প্রেস কনফারেন্স করে খবরটা সাংবাদিকদের জানাতে পারতেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দেবার মত বিএনপির কোনও সিনিয়র-কেন্দ্রীয় নেতাও যে নেই –সেটাও আমরা ইতিমধ্যে বুঝে গিয়েছি। অতএব, প্রশ্রেই সীমাবদ্ধ থাকা ভালো।

 

২.

 ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কের ওই সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিএনপি'র আরেকটি আন্তর্জাতিক বিষয়ক কেলেঙ্কারি 'খালেদাকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-এর টেলিফোন' নিয়েও কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। খোকা দাবি করেন, "বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ খালেদা জিয়াকে অবশ্যই ফোন করেছিলেন; বাংলাদেশের যে দু'টো গণমাধ্যমে (৭১ টিভি ও চ্যানেল ২৪) অমিত শাহ-এর যে বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে সেটা মোটেও আসল অমিত শাহ নয়; বরং গণমাধ্যম দু'টি নকল অমিত শাহ-এর বক্তব্য প্রচার করেছে।" খোকা আরও বলেন, "এই ঘটনা যদি মিথ্যা হতো তাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্যই বিবৃতি প্রদান করা হত।"

এর আগের ঘটনাক্রম- গত ৮ জানুয়ারি ২০১৫ বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন যে, আগেরদিন বুধবার রাতে বেগম খালেদা জিয়াকে টেলিফোন করে তার খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন ভারতের ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি –বিজেপি'র সভাপতি অমিত শাহ। ব্রিফিংটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পরই এই টেলিফোনের সত্যতা নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারা প্রশ্ন তোলেন এবং তার দু'দিন পর গত ১০ জানুয়ারি ২০১৫ শনিবার বাংলাদেশের দু'টি প্রথম সারির টেলিভিশন চ্যানেল অমিত শাহ-কে টেলিফোন করলে তিনি খালেদাকে টেলিফোন করার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "দিজ ইস টোটালি রিউমার, দিস ইজ এ ফেক নিউজ।" অন্য আরেকটি প্রথম সারির গণমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ স্পষ্ট বলেন, "ম্যায়নে দুসরে বাংলাদেশ মিডিয়াকো ভি ইয়ে বোলা হ্যায়, বাত করেঙ্গা তো কিউ ডিনাই করেঙ্গে, পার আগার নেহি কিয়া তো খবর নেহি আনা চাহিয়ে। (আমি বাংলাদেশের অন্য সংবাদ মাধ্যমকেও এটাই বলেছি, কথা বললে অস্বীকার করব কেন, কিন্তু যখন কথাই বলিনি, তখন তো খবর হওয়া ঠিক নয়।)।"

এতকিছুর পরও মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা খালেদা জিয়াকেকে অমিত শাহ-এর টেলিফোন করার বিষয়টি পূনরায় নিশ্চিত করার পাশাপশি, ওই ফোনালাপের সত্যতার পক্ষে যুক্তি হিসেবে বিষয়টি নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোনো বিবৃতি না আসাকে এই যে পুঁজি করলেন –তা যে খুব বেশি সময় টিকবে না, সেটা খোকাবাবুও জানেন। এই জন্য যে, খোকাবাবু'র এই যুক্তি শোনার পর বিজেপির কাছ থেকে সেরকম একটা বিবৃতি আদায় করা হাসিনা সরকারের জন্য যে আহামরি কষ্টকর কিছুই না এবং ওই বিবৃতিটি আসা এখন যে কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র –তা খোকাবাবুও বেশ বোঝেন। বরং এরকমটা বলা আরও বেশি যুক্তিযুক্ত হবে যে, খালেদা জিয়াকেকে অমিত শাহ-এর টেলিফোন করার বিষয়টি নিয়ে পাঁচ/সাতদিন ধরে চলমান বিভ্রান্তি নিরসনে বিজেপি যে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি এবং বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে বিজেপি সভাপতির বক্তব্য প্রচারের পরও বিষয়টিকে শতভাগ মিথ্যা প্রমাণের জন্য এরকম একটা বিবৃতি যে দরকার -সেটা খোকাবাবু চোখে আঙ্গুল দিয়ে হাসিনার সরকারকে এবং একই সঙ্গে বিজেপিকেও দেখিয়ে দিলেন। সাবাস খোকাবাবু, আগারও খাও – তলারও কুড়াও!

 

৩.

নিউ ইয়র্কে সাদেক হোসেন খোকার আলোচিত ওই সংবাদ সম্মেলনের আগের দিন ১২ জানুয়ারি ২০১৫ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ঘটেছে আরেক চমকপ্রদ কাহিনী। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে লজ্জাজনক জেরার মুখে পড়তে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের! এদিন ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর ও কংগ্রেসে ৪৮ পৃষ্ঠার স্মারকলিপি দিতে যান বিএনপি নেতা শরাফত হোসেন বাবু এবং জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক গোলাম ফারুক শাহীনের নেতৃত্বাধীন বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। ক'দিন আগেই খালেদা জিয়াকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেস সদস্যের একটি ভুয়া বিবৃতি এসেছিল, যা তারেক রহমানের এক সহকারী সংবাদ মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন বলে প্রকাশ পেয়েছে। ওই বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গোলাম ফারুক; বাংলাদেশী একটি প্রথম সারির গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জালিয়াতির ব্যাপারে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং ক্যাপিটল হিলের কর্মকর্তারা তাদেরকে রীতিমতো জেরা করেছেন। এর জবাবে তারা কী বলেছেন- জানতে চাইলে ওই গণমাধ্যমকে গোলাম ফারুক বলেছেন, "আমরা ওই জালিয়াতির নিন্দা করে তাদেরকে জানিয়েছি যে, বিএনপির ভাবমূর্তি বিনষ্টের অভিপ্রায়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের লোকজনরা ওই অপকর্ম করেছে। বিএনপি হচ্ছে সাচ্চা একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, এই দলের কেউ এমন জঘন্য অপকর্ম করতে পারে না।"

এই ঘটনার পরদিনই নিউ ইয়র্কে কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যানারে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা যুক্তরাষ্ট্রের ছয় কংগ্রেসম্যানের নামে গণমাধ্যমে ভুয়া বিবৃতি পাঠানো দুই বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি জানান এবং সঙ্গে-সঙ্গেই ওয়াশিংটনে আগের দিন বিএনপি নেতা গোলাম ফারুকের "বিএনপি হচ্ছে সাচ্চা একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল, এই দলের কেউ এমন জঘন্য অপকর্ম করতে পারে না" –এই কথাটি শতভাগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়; আর আমরা বুঝতে পারি যে, বিএনপি মোটেও সাচ্চা একটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল নয় এবং এই দলে এমন জঘন্য অপকর্ম করার মতো লোকও বেশ সহজলভ্য।

 

৪.

অবরোধের অষ্টম দিন গত ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ মঙ্গলবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ঠা রিয়াজ রহমানকে গুলি ও তার গাড়িতে আগুন দেয়া এবং এর মাত্র তিন দিন আগে অবরোধের পঞ্চম দিন গত ১০ জানুয়ারি ২০১৫ শনিবার রাতে বেগম জিয়ার আরেক উপদেষ্টা সাবিহউদ্দিন আহমেদ খালেদার গুলশান কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করা অবস্থায় বাইরে রাখা তার গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া –এই দুই ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, বেগম জিয়ার এই দুই উপদেষ্টার দু'জনই বাংলাদেশ সরকারের সাবেক পেশাদার কূটনীতিক এবং গুলি-আগুনের শিকার এই দুই উপদেষ্টাসহ কারাগারে থাকা বেগম জিয়ার আরেক উপদেষ্টা শমশের মুবিন চৌধুরী – মূলত এই তিন সাবেক কূটনীতিবিদই বেগম জিয়ার আন্তর্জাতিক বিষয়ক লবিং-পরামর্শ-যোগাযোগ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে থাকেন।

বেগম জিয়ার কার্যালয়ের বাইরে গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনাটি ঘটার পর থেকে সাবিহউদ্দিন আহমেদ পুরোপুরি হাওয়া এবং বিশ্বস্ত সূত্রে শুনতে পেলাম তিনি নাকি এরই মধ্যে দেশও ছেড়েছেন; আর শমশের মুবিন চৌধুরী কারাগারে এবং রিয়াজ রহমান হাসপাতালে থাকায় এই দু'জনও আপাতত আর বেগম জিয়ার পাশে নেই –এ কথা বলাই যায়।

এই তিন সাবেক পেশাদার কূটনীতিবিদ বেগম জিয়াকে গত ছয়-সাত বছরের চরম ক্রান্তিকালীন সময়টিতে শুধু পাশে থেকে সহযোগীতাই করেননি- বরং দুর্নীতি-জঙ্গিবাদে জর্জরিত হতে হতে প্রায় ছিন্নবিন্ন হয়ে যাওয়া, ভারতের বিছ্ন্নিতাবাদী দল উলফাকে সহায়তা এবং সেই ধারাবাহিকতারই অংশ চট্টগ্রামে দশ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী-আমলাদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওইসব মন্ত্রী-আমলাদের আদালতের রায়ে দণ্ডিত (এমনকি মৃতৃদণ্ড পর্যন্ত) হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিকভাবে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত এবং একই সঙ্গে বিজেপিসহ ভারতের যাবতীয় রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ সমর্থন হারানো, শেখ হাসিনার বুদ্ধিদীপ্ত প্রাজ্ঞতার ফলস্বরূপ বিএনপির দিক থেকে তাদের পুরোনো বন্ধু এশিয়ার শক্তিশালীতম রাষ্ট্র গণচীনের মুখ ফিরিয়ে নেয়া এবং সেই মুখ আওয়ামী লীগের দিকে দিয়ে দিন-দিন বন্ধুত্ব ও সহযোগীতার পরিমান বাড়িয়ে যাওয়া এবং সর্বোপরি আমেরিকা-ব্রিটেন-ইইউ'র মত তথাকথিত শক্তিমানদের হম্বি-তম্বি একেবারেই পাত্তা না দিয়ে এবং আমেরিকার যেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদেরকে মূলত তৈলমর্দন করাই বিএনপিসহ এদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর একরকম রীতিতে পরিনত হয়ে গিয়েছিল -সেসব মন্ত্রীদেরকে সরাসরি 'দুই আনার মন্ত্রী' হিসেবে জাতির সামনে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত ওজন জনগণের সামনে পরিষ্কার করে দেয়ার মাধ্যমে ব্রিটেন-মার্কিন আধিপত্য থেকে বেরিয়ে এসে বরং ভারত-রাশিয়া-চীন-ল্যাটিন আমেরিকাসহ বিশ্বের যাবতীয় অ্যান্টি-ইউএস ব্লগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বন্ধুত্ব-সহযোগীতার শক্তিশালী সেতুবন্ধন তৈরির মতো শেখ হাসিনার চরম বিজ্ঞ ও কৌশলী ভূমিকায় আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় বন্ধুশূণ্য হয়ে যাওয়া বিএনপির পাশে গুটিকয় বিদেশী বন্ধুকে হাতে-পায়ে ধরে টিকিয়ে রাখার কাজটি অক্লান্তচিত্তে করে যাচ্ছিলেন ওই তিন উপদেষ্টা। এবার তারাও অকেজো হয়ে গেলেন, সে যেভাবেই হোক এবং যারাই করুক, তাতে চরম ধরা খেয়ে গেলেন বেগম জিয়া তথা বিএনপি –এটা বলার অপেক্ষাই রাখে না।

 

৫.

জিয়া পরিবার এবং বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের অসংখ্য ক্ষমার অযোগ্য লোভ আর ভুলের খেসারত হিসেবে তাদের চিরকালের ভরসা কিছু বিদেশী প্রভূরা সব (বিএনপি যদিও তাদেরকে 'বিদেশী বন্ধু' নামে ডাকে, কিন্তু তারা যে বিএনপির কাছে প্রভূতুল্য –তা জাতি এতদিনে পরিষ্কার বুঝে গেছে) একে-একে বিএনপির পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে নেয়ার পর, এতক্ষণ ধরে বর্ণিত গত কয়েকদিনের সবশেষ ঘটনাবলী বিশ্লেষণ করলে এটা বলাই যেতে পারে যে, বিএনপি এখন আর তার বিদেশী প্রভূদের সাহায্য-সহাযোগীতার ওপর নির্ভর করে উঠে দাঁড়ানোর প্রাণপন চেষ্টা করলেও তাতে কোনোই লাভ হবে না; বরং হিতে-বিপরীত হবে; প্রভূরা সব বিরক্ত-শত্রুতে পরিণত হয়ে যাবে। আর তেমনটাই ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে- তাদের ছয় কংগ্রেসম্যানের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে এবং ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির ক্ষেত্রে- দলটির সভাপতিকে নিয়ে মিথ্যা টেলিফোনের ঘটনা প্রচারের মাধ্যমে।

বিএনপি এবং বেগম জিয়াকে উপদেশ-পরামর্শ দেয়ার ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না, সেই সাহস জনগণের নেই, জনগণের অংশ হিসেবে আমারও তাই নেই । তবে, এদেশের জনগণের একটি বিশাল অংশ জিয়া পরিবারের জন্যই হোক আর আওয়ামী বিরোধীতার কারণেই হোক –তারা বিএনপিকে বেশ পছন্দ করেন বলেই দেখেছি। বিএনপি ও জিয়া পরিবারের যদি সেই পছন্দটুকু ধরে রাখার ইচ্ছাও থাকে, তাহলে বিদেশী প্রভূদের পদলেহন বাদ দিয়ে বরং দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার মর্যাদা দিয়ে, সেই আলোকে যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচারের পক্ষে দাঁড়ানো, জামায়াত-সঙ্গ পুরোপুরি পরিত্যাগ করা, দুর্নীতি-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জাতির সামনে স্পষ্ট করার পাশাপাশি, বাংলাদেশের গণমানুষের প্রকৃত সমস্যাগুলো নিয়ে আন্দোলন-কর্মসূচী দেয়ার মাধ্যমে বিএনপির মতো একটি বিশাল রাজনৈতিক দলের প্রকৃত রাজনীতির পথটিতে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমেই এখন বিএনপি ও জিয়া পরিবার তাদের সেই হারানো অবস্থান ও ভাবমূর্তি ফিরিয়ে এনে আবারও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূলধারায় নিজেদের অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে পারে। এর বাইরে অন্য কোনো পথই আর বিএনপি ও জিয়া পরিবারের জন্য মোটেও শুভকর হবে না, বরং আরও খারাপই হবে –এটুকু সামান্য পরামর্শ একজন ক্ষুদ্র 'পাবলিক' হিসেবে বেগম জিয়াকে দিতে চাওয়ার স্পর্ধা দেখাচ্ছি বলে ম্যাডামের কাছে আমি আগেভাগেই ক্ষমাপ্রার্থী।

আর ক্ষমা না চেয়েই বা উপায় কি, তিনি যে এদেশের রাণী (অনন্ত তিনি ও তার পরিবার সেরকমটাই মনে করে)! সত্যদ্রষ্টা পরম শ্রদ্ধেয় হুমায়ুন আজাদ স্যার তো তাঁর এক গ্রন্থে লিখেই ফেলেছিলেন যে, জিয়াউর রহমান আর কিছু না পারলেও এই গরীব দেশে একটা রাজপরিবার জন্ম দিয়ে রেখে গেছেন। ম্যাডাম জিয়া সেই রাজপরিবারের তার রানীসম সেই অতীত ভাবমূর্তিটি থেকে কখনো বেরিয়ে আসতে পারবেন কিনা কিংবা তিনি আদৌ তা চান কিনা- সেটা নিয়ে আমি অবশ্য কিছু বলার ধৃষ্টতা দেখাতে চাই না। শুধু তার আজকের এই অসহায়ত্বের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির অগনিত নেতা-কর্মী-সমর্থকের বুক থেকে বেরিয়ে আসা "হায় বিএনপি, হায় 'কুইন' খালেদা" –এই করুণ হাহাকার যে অনবরত এদেশের আকাশে-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, উড়ে-ঘুড়ে বেড়াচ্ছে মুহূর্মুহু –তা যেন ম্যাডামের কানে খানিকটা হলেও শিষ দিয়ে যায়, হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে শুধু সেই কামনাটুকুই করলাম।

ফেরদৌস আরেফীন : লেখক, সাংবাদিক  

ইমেইল : arefin78@gmail.com

 

http://www.notundesh.com/details.php?link=3029&&%20category=%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0


ভুয়া বিবৃতিদাতা খালেদার দুই উপদেষ্টা বাদ |


ভুয়া বিবৃতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জেরার মুখে বিএনপি

ভুয়া বিবৃতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে জেরার মুখে বিএনপিবাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটনের হস্তক্ষেপ চেয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে স্মারকলিপি দিতে গিয়ে কংগ্রেস সদস্যদের ভুয়া বিবৃতি নিয়ে জেরার...

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/423982/
ভুয়া-বিবৃতি-নিয়ে-যুক্তরাষ্ট্রে-জেরার-মুখে-বিএনপি

  • প্রামাণ্য দলিলসহ
  • কংগ্রেসম্যানদের নিয়ে জাহিদের জালিয়াতিতে ডুবলো বিএনপি

    - See more at: http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/356791.html#sthash.jmtmHbWo.dpuf

    খালেদা ও অমিত শাহ্'র দশ মিনিট টেলি-আলাপের পূর্ণ বিবরণী
    • স্বদেশ রায়
    [খালেদা জিয়া ও ভারতীয় জনতা পার্টিপ্রধান অমিত শাহ'র দশ মিনিট টেলিফোনে যে বাতচিত হয় তার ভাষা ছিল কিছু হিন্দী, কিছু উর্দু ও কিছু ইংরেজী। গুগল ট্রান্সলেটর আবিষ্কার হওয়ার পাঁচ হাজার সাত শ' তেরো বছর আগে সুরাটের আরব সাগর তীরের এক মুদি দোকানদারের উদ্ভাবিত সব ভাষার ট্রান্সলেটরের মাধ্যমে ওই ফোনালাপটি বাংলায় ... বিস্তারিত
    খালেদা জিয়ার স্বপ্নের পোলাও ও ভারতপ্রেম
    তারিখ: ১২/০১/২০১৫




    __._,_.___

    Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


    ****************************************************
    Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
    Call For Articles:

    http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

    http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

    ****************************************************

    VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

    ****************************************************

    "I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
                   -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





    __,_._,___