Banner Advertiser

Saturday, February 14, 2015

[mukto-mona] ঢাকা ও বরিশালের নেতাদের ব্যর্থতায় ক্ষুব্ধ তারেক রহমান



বিভাগ : বিশেষ প্রতিবেদনতারিখ : ১৫-০২-২০১৫



  নিউজপয়েন্ট টোয়েন্টিফোর ডটকম :

সরকারবিরোধী বিরতিহীন আন্দোলনে ঢাকা মহানগর, ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলা ও বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার প্রভাবশালী অনেক নেতার ভূমিকাকে 'প্রশ্নবিদ্ধ' তালিকায় স্থান দিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আন্দোলন শুরুর আগে এসব এলাকার প্রভাবশালী নেতারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা ন্যূনতম রক্ষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। আন্দোলনের মাঠে কোনও ভূমিকা না রেখে বর্তমানে ঢাকা ও বরিশালের সামর্থ্যবান প্রভাবশালী নেতারা কে কোথায় কী করছেন, তার নিয়মিত খোঁজও নিচ্ছেন বিএনপির দ্বিতীয় প্রধান নেতা। ঘনিষ্ট অনুসারীসহ নানা মাধ্যমে 'ব্যর্থ নেতাদের' একটি তালিকাও তৈরি করেছেন তারেক রহমান। প্রতিদিনই ওই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন জ্যেষ্ঠ-প্রভাবশালী নেতাদের নাম। চলমান আন্দোলনে নেতাদের প্রকৃত ভূমিকা মূল্যায়ন করেই ভবিষ্যতে দলের পদ-পদবী ও দলীয় সুবিধা বন্টন করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও পরামর্শ করেছেন তিনি। লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের ঘনিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য। 
সূত্রমতে, বিরতিহীন অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকা মহানগর নেতাদের চরম ব্যর্থতায় তারেক রহমান চরমভাবে ক্ষুব্ধ। আন্দোলন শুরুর আগে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, সদস্যসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু, মহানগর কমিটির সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ব্যারিস্টার অসীম, মহানগর বিএনপির প্রভাবশালী নেতা এম এ কাইয়ুম, আনোয়ারুজ্জামান, আবদুল বাসিত আনজুসহ মহানগর কমিটির প্রভাবশালী নেতারা ঢাকার রাজপথ 'দখলে রাখার' প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৬ জানুয়ারির পরপরই এসব নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। তাদেরকে কোনও মাধ্যমেই খুঁজে পাচ্ছেন না তারেক রহমান। আন্দোলনের মাঠে না থেকে এসব নেতারা কে কোথায় আশ্রয় নিয়েছেন, সে বিষয়েও তথ্যানুসন্ধান করেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তথ্যানুসন্ধানে মহানগর বিএনপির কয়েকজন প্রভাবশালী নেতা ক্ষমতাসীন দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আশ্রয়ে রয়েছেন বলে তথ্য পান তারেক রহমান। প্রাপ্ত তথ্য যাচাইবাছাই করে কয়েকজন নেতার ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষারও প্রমাণ পেয়েছেন তিনি। 
সূত্রগুলো দাবি করেছে, ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ৬ জানুয়ারির পর থেকে কোথায় আছেন তা নিয়ে তথ্যানুসন্ধান করে চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন তারেক রহমান। ঢাকার আন্দোলন পরিচালনার মূল দায়িত্বপ্রাপ্ত মির্জা আব্বাস তার এলাকারই আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক সংসদ সদস্যের আশ্রয়ে রয়েছেন বলে তথ্য পান তিনি। এছাড়া আমান উল্লাহ আমান আন্দোলনের মাঠে না নেমে সংসদ ভবনের এলডি হলে ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ করে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন বলে তথ্য পান তারেক। ঢাকার আরেক প্রভাবশালী নেতা এম এ কাইয়ুম রাজপথে না নেমে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রহমত উল্লাহর ব্যবসায়ীক অংশীদার হিসেবে নিরাপদে রয়েছেন, এমন তথ্যও আছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে। এছাড়া মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আউয়াল মিন্টু গ্রেফতার এড়াতে তার আত্মীয়ের (প্রধানমন্ত্রীর প্রভাবশালী উপদেষ্টা) আশ্রয়ে সময় পার করছেন। বিএনপির সমর্থনে ঢাকার এক অংশের মেয়র হতে আগ্রহী মিন্টু চলমান আন্দোলনে ঢাকার আন্দোলনের অর্থ যোগান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ এখন তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। প্রভাবশালী নেতা বরকত উল্লাহ বুলু ও আবুল খায়ের ভূঁইয়া শুধু ঢাকার আন্দোলনেই নিষ্ক্রিয় নয়, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে তাদের নির্বাচনি এলাকায়ও আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ হওয়ায় তারেক রহমান ক্ষুব্ধ ও হতাশ। 
ঢাকার পাশের জেলা গাজীপুরে সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙা করার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়েছিলেন সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। কিন্তু ৬ জানুয়ারি আন্দোলন শুরুর আগ থেকেই এ নেতা গা ঢাকা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে তিনি নিরাপদেই আছেন বলে তথ্য আছে তারেক রহমানের কাছে। গাজীপুরের পাশের জেলা টাঙাইলেও আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ হয়েছে ২০-দলীয় জোট। গুরুত্বপূর্ণ এ জেলায় আন্দোলন জমানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু ও অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। চলমান আন্দোলনে এই দুই নেতার ভূমিকাও তারেক রহমানের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। 
তারেক রহমানের ঘনিষ্ট সূত্রগুলো আরও জানায়, ঢাকা মহানগর ও আশপাশের কয়েকটি জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ব্যর্থতায় তারেক রহমান যতোটা ক্ষুব্ধ রয়েছেন, ঠিক একই পরিমাণ ক্ষোভ রয়েছে তার বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার নেতাদের ওপরও। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বরিশাল বিভাগের নেতারা প্রায় সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে অতীতে দ্বীপ জেলা ভোলার আন্দোলনে সন্তুষ্ট ছিলেন তারেক রহমান। কিন্তু এবার এই জেলার নেতারা তারেক রহমানকে হতাশ করেছেন চরমভাবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, গিয়াসউদ্দীন মামুনের বড় ভাই হাফিজ ইব্রাহিম, সাবেক ছাত্রনেতা নাজিম উদ্দিন আলম এ জেলার নেতা হলেও আন্দোলন মাঠে কেউই মাঠে নেই। ঢাকায়ও তাদের উপস্থিতি নেই, ভোলায়ও নেই। তারেক রহমান তথ্য পেয়েছেন, আন্দোলন শুরুর পর থেকেই ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর (সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত মোশাররফ হোসেন শাজাহানের ভাই) ঢাকার কাওরান বাজারে তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে সময় দিচ্ছেন। ভোলা-১ আসনে আগামী নির্বাচনে বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, এমন সম্ভাবনা থেকে তিনি তার অনুসারীদের আন্দোলনের মাঠে উপস্থিত থাকতে নিষেধ করেছেন। তার ঘনিষ্ট জেলা ছাত্রদল সভাপতি আল আমিন, যুবদল সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দীন ভোলা পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান মনিরের ( আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের আপন ভাগ্নে) সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোলা জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের এসব নেতারা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনের ঘনিষ্ট অনুসারী হিসেবে স্বীকৃত। হাফিজের কথার বাইরে তারা এক পাও নড়েন না। সূত্রমতে. অবরোধ কর্মসূচি শুরুর পর ভোলা-ঢাকা রুটে নিয়মিত চলছে গোলাম নবী আলমগীরের মালিকানাধীন একাধিক লঞ্চ। একইভাবে নিজের মালিকানাধীন লঞ্চ বন্ধ না রেখে অবরোধের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুুলি দেখাচ্ছেন ২০-দলীয় জোটের প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থও। আন্দোলনকালে দেশের বাইরে আছেন এ নেতা। এসব তথ্য জানার পর তারেক রহমান ক্ষুব্ধ হয়েছেন। 
বরিশাল বিভাগে আন্দোলন চাঙা করতে তারেক রহমান এবার সবচেয়ে বেশি ভরসা রেখেছিলেন বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ারের ওপর। বরিশাল বিভাগজুড়েই তার নিয়ন্ত্রণ আছে বলে মনে করেন তারেক রহমান। কিন্তু এবার সরোয়ারও চরমভাবে হতাশ করেছেন তারেক রহমানকে। বরিশাল সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল ও জেলা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম রাজনও হতাশ করেছেন তারেক রহমানকে। তবে বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির কর্মকা-ে কিছুটা সন্তুষ্ট আছেন তারেক রহমান। বরিশালের আন্দোলন চাঙা করতে বরিশাল জেলা (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে তারেক রহমানের কাছে তথ্য রয়েছে। 
পটুয়াখালী জেলার আন্দোলন চাঙা করার জন্য এবার দায়িত্ব নিয়েছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী। কিন্তু কোথাও নেই তিনি। না ঢাকায়, না পটুয়াখালীতে। সরকারপক্ষের সঙ্গে তার বিশেষ যোগাযোগ রয়েছে বলে তারেক রহমানের কাছে তথ্য রয়েছে। ###
    ঢাকা, বাংলাদেশ
রবিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০১৫


__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___