Banner Advertiser

Wednesday, March 25, 2015

[mukto-mona] (unknown)

(প্রথম অংশটুকুর পর)
বিংশ শতাব্দীর অারেকজন
অালোচিত বিজ্ঞানী ছিলেন জর্জ
লেমাইট্রি। তিনি প্রস্তাব করেন,
যেহেতু মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে
এবং ছায়াপথগুলো পরস্পর থেকে দূরে
সরে যাচ্ছে, তাই অতীতে কোন এক সময়
এরা একত্রিত ছিল। তার মতে
ছায়াপথগুলোর এই অাদি একত্রিত
অবস্থা ছিল মূলত একটি অাদি পরমানু। এই
অাদি পরমানু থেকেই মহাবিশ্ব সৃষ্টি
হয়েছিল। জর্জ লেমাইট্রির এই ধারণায়
অাধুনিক মহাবিস্ফোরণ তত্ত্বের মূল
ভিত্তি। এই তত্ত্ব অনুসারে অানুমানিক
১৩৭৭ কোটি বছর পূর্বে মহাবিশ্বটি
অতি উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল, তখন এর
অায়তন ছিল প্রায় শূন্য এবং ঘনত্ব ছিল
প্রায় অসীম। অাদি এই অবস্থাটিকে
বলা হয় অনন্যতা। অনন্যতায়
পদার্থবিজ্ঞানের সকল সূত্র ভেঙে
পড়ে। তাই অাজও এটিকে সঠিকভাবে
ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি।
মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে শুধু শক্তিই
মুক্ত হয়নি, বরং এখান থেকেই স্থান ও
কালেরও সৃষ্টি হয়েছিল।
মহাবিস্ফোরণের পর মূহূর্ত্ব থেকেই
মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হতে শুরু করে
যা অাজও অব্যাহত অাছে। মহাবিশ্ব
সম্প্রসারিত হতে শুরু করলে এর
তাপমাত্রাও হ্রাস পেতে থাকে, ফলে
শক্তি কণিকা ও কোয়ার্ক এ রূপান্তরিত
হতে শুরু করে। কোয়ার্ক হলো পরমানুর
সবচেয়ে ক্ষুদ্র গাঠনিক উপাদান। প্রোটন
ও নিউট্রনের মত মৌলিক কণিকাগুলো
তিনটি কোয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত। এর
মধ্যে প্রোটন দুটি অাপ- কোয়ার্ক ও
একটি ডাউন-কোয়ার্ক এবং নিউট্রন
একটি অাপ-কোয়ার্ক ও দুটি ডাউন-
কোয়ার্ক নিয়ে গঠিত। তবে ইলেকট্রন
নিজেই পরমানুর ক্ষুদ্রতম গাঠনিক
উপাদান, এটি কোন কোয়ার্কের
সমন্বয়ে গঠিত নয়। পরবর্তীতে মৌলিক
কণিকাগুলো একত্রিত হয়ে
হাইড্রোজেন ও হিলিয়াম পরমানু গঠন
করে। এরপর এই হাইড্রোজেন ও
হিলিয়াম পরমানুগুলো একত্রিত হয়ে
ধূলিমেঘ গঠন করে। ধূলিমেঘের ভর যত
বাড়তে থাকে, এর মহাকর্ষ বলও ততই
বৃদ্ধি পেতে থাকে। একসময়
ধূলিমেঘগুলো তাদের নিজের মহাকর্ষ
বলের প্রভাবেই সংকুচিত হতে শুরু করে।
সংকোচনের ফলে ধূলিমেঘের
পরমাণুগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের হার
বেড়ে যায়, ফলশ্রুতিতে তাপমাত্রাও
বাড়তে থাকে। একসময় তাপমাত্রা
এতটা বেড়ে যায় যে হাইড্রোজেন
পরমানুগুলোর মধ্যে নিউক্লিয় ফিউশন
বিক্রিয়া শুরু হয়। অার এভাবেই জন্ম হয়
নক্ষত্রের। অগণিত নক্ষত্র তাদের মহাকর্ষ
বল দ্বারা একত্রিত হয়ে গঠন করে
ছায়াপথ। অামাদের মহাবিশ্বে
ছায়াপথের সংখ্যা প্রায় দশ হাজার
কোটি থেকে বিশ হাজার কোটি।
তাদের মধ্যে একটি ছায়াপথ হলো
অামাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথ যা
অাকাশগঙ্গা নামেও পরিচিত। এটি
অানুমানিক ১৩০০ কোটি বছর পূর্বে
গঠিত হয়েছিল। শুধু মিল্কিওয়ে
ছায়াপথেই প্রায় বিশ হাজার কোটি
নক্ষত্র রয়েছে। যদি একটি ছায়াপথেই
এতগুলো নক্ষত্র থেকে থাকে, তাহলে
সমগ্র মহাবিশ্বে মোট কতগুলো নক্ষত্র
অাছে তা অামাদের কল্পনারও
বাইরে। এই নক্ষত্রগুলোর অায়ুষ্কাল
কয়েক লক্ষ থেকে কয়েক হাজার কোটি
বছর পর্যন্ত হতে পারে। অপেক্ষাকৃত বড় ও
উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলোর অায়ুষ্কাল
তুলনামূলকভাবে কম। ভরের পার্থক্যের
ভিত্তিতে নক্ষত্রের পরিণতিও
বিভিন্ন। অায়ুষ্কাল শেষে যেসব
নক্ষত্রের ভর ১.৪ সৌরভরের চেয়ে কম
থাকে তারা সাধারনত শ্বেত বামনে
পরিণত হয়। অার যেসব নক্ষত্রের ভর ১.৪
সৌরভরের চেয়ে বেশি থাকে তারা
সুপারনোভার মাধ্যমে নিউট্রন তারকায়
পরিণত হয়। ১.৪ সৌর ভরকে বলা হয়
চন্দ্রশেখর সীমা। ১৯৩১ সালে
বিজ্ঞানী চন্দ্রশেখর দেখান যে,
একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রের সম্ভাব্য
সর্বোচ্চ ভর ১.৪ সৌর ভরের সমান। অর্থাৎ
কোন নক্ষত্রের ভর ১.৪ সৌরভরের চেয়ে
বেশি হলে তা কখনোই শ্বেত বামনে
পরিণত হবে না। অাবার যেসব নক্ষত্রের
ভর ৩ সৌরভরের চেয়ে বেশি,
অায়ুষ্কাল শেষে এসব নক্ষত্রের মহাকর্ষ
বল এতটাই শক্তিশালী হবে যে তারা
নিজেদের মহাকর্ষ বলের প্রভাবেই
সংকুচিত হয়ে এমন একটি অঞ্চলে পরিণত
হবে, যেখান থেকে অালোক রশ্মিও
বেরিয়ে অাসতে পারে না। নক্ষত্রের
এরূপ পরিণতিকে বলা হয় কৃষ্ণবিবর।
অাইনস্টাইনের ব্যাপক অপেক্ষবাদ
থেকেই কৃষ্ণবিবর সম্পর্কে ধারণা
পাওয়া যায়। কৃষ্ণবিবরের চারপাশে
একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে যেই
সীমার ভেতরে মহাকর্ষীয় বল এতটাই
শক্তিশালী যে এই সীমার ভেতরে
অবস্থিত কোন কিছুই সীমাটিকে
অতিক্রম করে বাইরে বেরিয়ে
অাসতে পারে না, এমনকি
তড়িৎচৌম্বকীয় বিকিরণও নয়। এই
সীমাটিকে বলা হয় "ঘটনা দিগন্ত"।
কিন্তু ১৯৭৪ সালে বিজ্ঞানী
স্টিফেন হকিং গাণিতিকভাবে
দেখান যে, কৃষ্ণবিবর থেকেও বিকিরণ
সম্ভব এবং তা নিয়মিত হচ্ছে। এর অাগে
বিজ্ঞানী বেকেনস্টাইন দীর্ঘদিন
কৃষ্ণবিবর নিয়ে গবেষণা করে এই
সিদ্ধান্তে অাসেন যে কৃষ্ণবিবরেরও
একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা ও এনট্রপি
অাছে। অধিকাংশ ছায়াপথের
কেন্দ্রেই একটি বিশালাকৃতির
কৃষ্ণবিবর রয়েছে।

------------------------------------
Posted by: Rakib Hasan <rakibhasancosmology@gmail.com>
------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/