Banner Advertiser

Wednesday, March 25, 2015

[mukto-mona] মুক্তমনার জন্য লেখা।

প্যারালাল ইউনিভার্সে দেখা হতে পারে প্রিয় অভিজিৎ দার সাথে

লেখক : প্রীতম চৌধুরী


মাল্টিভার্স তত্ত্বের জনক হলেন এ্যলেন গুথ নামক এক ভদ্রলোক । তবে সর্বপ্রথম এই ধরণের একটা ধারণা করেন বিজ্ঞানী জিওনার্দো ব্রুনো । তাকে কোর্পানিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্ব তত্ত্ব সাপোর্ট করার জন্য পুড়িয়ে মারা হয় ।

মাল্টিভার্স হল এমন একটি ধারণা যেখানে মনে করা হয় যে , আমাদের এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে মহাবিশ্ব একটি নয় । মহাবিশ্ব অনেক অনেক এবং অনেক । আমরা সবাই মনে হয় বিগ ব্যাং সম্পর্কে কম বেশী জানি । বিগ ব্যাং তত্ত্ব মতে স্থান কাল সবকিছুর সূচনা হয় একটি মহা বিষ্ফোরণের মাধ্যমে । সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্বের সবকিছু একসাথে জমাট বেধে ছিল । এই মহা বিষ্ফোরণের ফলে সবকিছু আলাদা হয় পরস্পর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে এবং এই দূরে সরে যাওয়া আজও থামেনি । মহাবিশ্ব এখনও সম্প্রসারণশীল । এই তত্ত্বকে সম্প্রসারণ তত্ত্ব ও বলা হয় । এখন এই মহাবিশ্বের সবকিছু সৃষ্টির আদিতে এমন ভাবে বিষ্ফোরণ ঘটে , ঠিক একটা সাবানের বুব্দুদ ফাটলে যেমন হয় , তেমন ভাবে । একটি সাবানের বুবুব্দ আস্তে আস্তে প্রসারেত হয়ে হঠাৎ করে ফেটে যা সৃষ্টি করল , তাই আজকের মহাবিশ্ব ।

এখন আমরা আসি মাল্টিভার্সে । বিগব্যাং তত্ত্বই বহু দিন ধরে এই পৃথিবীতে রাজত্ব করে আসছিল । আর এখনও করছে । তবে এই তত্ত্ব থেকে আরেক ডিগ্রি উপরে আরেক তত্ত্ব আবিষ্কার হয়েছে , আর সেটা হল " মাল্টিভার্স তত্ত্ব " । এটা বিগ ব্যাং কে নাকচ করে দেয়নি মোটেও , বরং এর ভিত আরও মজবুত করেছে ।

' মাল্টিভার্স তত্ত্ব এর ব্যাখ্যা '

বিগব্যাং আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানী অ্যালেন গুথ চিন্তা করে দেখলেন , আমাদের এই মহাবিশ্ব যেমন ভাবে মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে স্থান কাল শূন্যতার ভিতর দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে , তাহলে এই প্রক্রিয়া তো একাধিক বার ঘটতে পারে । মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় মহাবিষ্ফোরণের পর সাবানের বুদবুদের মত অসংখ্য মহাবিশ্ব আজও তৈরী হয়ে চলেছে । ফলে প্রতি নিয়ত সৃষ্টি হয়ে চলেছে অসংখ্য মহাবিশ্ব । আর এ প্রত্যেকটা মহাবিশ্ব নিজেদের থেকে পর পর দূরে সরে যাচ্ছে । আর এ ধরণের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতে আমরা অবস্থান করছি অন্যটা সম্পর্কে জ্ঞাত না হয়ে ।

প্যারালাল ইউনিভার্স

এই মাল্টিভার্সের আরেকটি উপজাত হল এই প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব । এই আপনাদের একটু সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি । দেখুন , প্রত্যেক কণারই একটা প্রতিকণা বা বিপরীত ধর্মী কণা আছে । যেমন, ইলেকট্রনের প্রতি কণা হল পজিট্রন । এইভাবে , পরমাণুর ভিতর এই পযন্ত যতগুলো কণা পাওয়া গেছে , তার প্রতি কণাও পাওয়া গেছে । এখন এই মাল্টিভার্স থিওরী অনুযায়ী , এই বিশাল বিশ্ব ব্রহ্মান্ডে আমরা যদি পজেটিভ হই , তবে আমাদের নিশ্চই নেগেটিভ কোন কিছু আছে । বা আমরা যদি নেগেটিভ হই , তাহলে নিশ্চই আমাদের কোন পজেটিভ কিছু আছে । আর এই তত্ত্ব তখনই কার্যকর হবে যখন এই মাল্টিভার্স সত্য হবে । একইভাবে , আমাদের এই মহাবিশ্বেরও একটা পজেটিভ বা নেগেটিভ মহাবিশ্ব আছে । আর এই ধারণাটাই হল প্যারালাল মহাবিশ্বের ধারণা । হয়ত সেই মহাবিশ্বে আপনি যখন আমার এই লেখা পড়ছেন , আপনার একটা প্রতি মানুষ ঠিক এমন ভাবে বসে আমার এই লেখা পড়ছে । অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের প্রতিটি কাজই সেখানে ঘটে চলেছে ঠিক টাইমিং করে । কী , আজব না ?

এখন, যদি প্রশ্ন করা হয় আমাদের মহাবিশ্বে যখন একটা বস্তুর জন্ম হচ্ছে তখন প্যারালাল মহাবিশ্বে সেই বস্তুটির কী ঘটছে। ধরে নিলাম তার সেখানে তার প্রতি-বস্তুর জন্ম হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে কী ঘটছে? এখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলছে, যদি আমাদের চারমাত্রিক জগতের জন্ম বা মৃত্যুর কথা হিসাব করি তবে তবে অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে একই হিসাব খাটবে না । ধরা যাক, আমাদের মহাবিশ্ব (একই সাথে প্যারালাল মহবিশ্বে) কেউ মৃত্যুবরণ করছে তাহলে আমাদের মহাজগতের জন্য এই মৃত্যু নির্দিষ্ট ঘটনা। তাহলে অন্য আরেকটি মহাবিশ্বগুলোর জন্য এই মৃত্যু কোয়ান্টামের ভাষায় নির্দিষ্ট নয়। তখন এরটা হিসেব করতে গেলে অসীম কোনো মানে চলে যাবে। তেমনি অন্য আরেকটি মহাবিশ্বে যদি ওই বস্তুটার মৃত্যুঘটে তবে আমাদের মহাবিশ্বের এই মৃত্যুর হিসাব আসবে অসীম । অর্থাৎ জীবিতও আসতে পারে । এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন তত্ত্ব। এর নাম 'বায়োসেন্ট্রিজম' (biocentrism) তত্ত্ব। সহজ হিসাব যেহেতু মহাবিশ্বের সংখ্যা অসীম সুতরাং জীবন-মৃত্যুর সংখ্যাও অসীম। কোথাও হয়ত সে মৃত। অন্য অসংখ্য মহাবিশ্বে তার জীবিত অবস্থা বিদ্যমান । মানুষের দেহে জীবিত অবস্থায় যে শক্তি থাকে তা মৃত্যুর পরে কোথায় যায় ?এই শক্তি কি মৃত্যুর সময় বিলুপ্ত হয়ে যায়? মোটেই নয়! নতুন এই তত্ত্ব বলছে, এই শক্তি এক মহবিশ্ব থেকে আরেক মহাবিশ্বে সঞ্চালন হয়। আর এই তত্ত্বের সবচেয়ে বড় ভিত্তি শক্তির নিত্যতা সূত্র । এই সুত্র মতে সূত্রের অবিনশ্বর । তাহলে মস্তিষ্কের ওই শক্তি ঝর্না মৃত্যুর পরে কোথায় যায়?

অসীম কালে ও স্থানে মৃত্যুই শেষ কথা হতে পারে না। আইনস্টানের উদ্ধৃতি থেকে বলা বলা যায়, সময় অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য শুধু একগুঁয়ে বিভ্রমের। সময়ের বাইরে হিসাব করলে বা অসীম সময়ে হিসাব করলে মানুষের জীবন-মৃত্যুর ফলাফল দাঁড়ায় সে জীবিত অথবা মৃত। অসীম মহবিশ্বের হিসাবে তুচ্ছাতিতুচ্ছ এক মানুষের জীবন-মৃত্যুর হিসাব অতি গৌণ। তবু মৃত্যুই শেষ কথা নয়। এই মৃতের যে শক্তিটুকু ছিল তা হয়তো আরেকটা কোনো মহাবিশ্বে জীবন হিসেবে বিকশিত হচ্ছে ।

এই লেখার মূল ভিত্তি হল অভিজিৎ দা র ""আলো হাতে চলিয়াছে আধারের যাত্রী "" বইটি ।
প্রিয় অভিজিৎ দা, অন্য কোন ইউনিভার্স থেকে ইন্টার ইউনিভার্স কমিউনিকেশন বের করা ফেলান না, আপনার নতুন নতুন লেখা গুলো পড়বো।

------------------------------------
Posted by: Pritam Chowdhury <pc5794@gmail.com>
------------------------------------

****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration:
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
-Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190
------------------------------------

Yahoo Groups Links

<*> To visit your group on the web, go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/

<*> Your email settings:
Individual Email | Traditional

<*> To change settings online go to:
http://groups.yahoo.com/group/mukto-mona/join
(Yahoo! ID required)

<*> To change settings via email:
mukto-mona-digest@yahoogroups.com
mukto-mona-fullfeatured@yahoogroups.com

<*> To unsubscribe from this group, send an email to:
mukto-mona-unsubscribe@yahoogroups.com

<*> Your use of Yahoo Groups is subject to:
https://info.yahoo.com/legal/us/yahoo/utos/terms/