Banner Advertiser

Wednesday, July 22, 2015

[mukto-mona] ফাজিল-কামিল প্রকল্প - ১৪ কোটি টাকা গায়েব



ফাজিল-কামিল প্রকল্প

১৪ কোটি টাকা গায়েব

নূর মোহাম্মদ | ২৩ জুলাই ২০১৫, বৃহস্পতিবার | মতামত: ১ টি

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল ও কামিল প্রকল্পের ১৪ কোটি টাকার হদিস মিলছে না। ভুয়া অ্যাকাউন্টে এ টাকা গায়েব করেছে মাদরাসা বোর্ডের একটি চক্র। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এ টাকা লুটপাট হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দফা উদ্যোগ নিলেও রহস্যজনক কারণে তা উদ্ধার হয়নি। সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে এই টাকা কোথায় তা জানানোর জন্য মাদরাসা বোর্ডকে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বোর্ড। মাদরাসা বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি  সূত্র জানায়, ফাজিল (স্নাতক) ও কামিল (স্নাতকোত্তর) পর্যায়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পে এ টাকা হরিলুট হয়েছে। সর্বশেষ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সেখানে মাদরাসা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছায়েফ উল্লাকে ভর্ৎসনা করা হয়। 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ফাজিলকে স্নাতক ও কামিলকে স্নাতকোত্তর মান দেয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। তাদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে জোট সরকারের সময় শেষ সংসদ অধিবেশনে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিলকে স্নাতক ও কামিলকে স্নাতকোত্তর মর্যাদা দেয়া হয়।

এরপর মাদরাসা বোর্ড থেকে ফাজিল ও কামিল স্তরের শিক্ষা কার্যক্রম কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত করা হয়। ফাজিল ও কামিলের পরীক্ষা নেয়ার জন্য ২০০৮ সালের ৩রা মার্চ একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা বোর্ডের মধ্যে। চুক্তিতে বলা হয়, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষার ফলাফল প্র্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করবে মাদরাসা বোর্ড। এরপর মাদরাসা বোর্ড ফাজিল ও কামিল পরীক্ষার বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষার্থীদের প্রতি ফি নির্ধারণ করেন। সেখানে ফাজিল (স্নাতক) ১ম বর্ষের পরীক্ষার্থী প্রতি ১২৩ টাকা, ২য় বর্ষের ১১৩ টাকা, ৩য় বর্ষে ১৩৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কামিল স্তরে পরীক্ষার্থীপ্রতি ২ বর্ষে বিভিন্ন হারে ফি নির্ধারণ করা হয়। 
সূত্র জানায়, এই টাকা লুটপাট করার জন্য ওই বছর থেকে মাদরাসা বোর্ডের একটি সিন্ডিকেট তৎপর হয়ে উঠে। যখন যে বোর্ড চেয়ারম্যান হয়ে এসেছেন তাকে ম্যানেজ করে ওই টাকা লুটপাট করা হয়। ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাদরাসা বোর্ডের অডিট রিপোর্টে এই টাকার হিসাব দেয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ফাজিল ও কামিল শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা প্রায় ১৪ কোটি টাকার কোন হদিস মিলেনি এ পর্যন্ত। 
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, মাদরাসা বোর্ডের সকল হিসাব বোর্ডের সোনালী ব্যাংক মাদরাসা বোর্ড শাখার মাধ্যমে পরিচালনা হয়। কিন্তু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্পের কোন লেনদেন ওই শাখা থেকে হয়নি বলে জানান ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। মাদরাসা বোর্ড শাখার সোনালী ব্যাংকের হিসাব শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মন্ত্রণালয়ের অডিট শাখা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হিসাব তথ্য নিতে এসেছিলেন। আমার কাছে তথ্য জানতে চেয়েছিল। আমি বলে দিয়েছি, বোর্ডে ২০০৭ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন লেনদেন আমাদের শাখায় হয়নি। এর বেশি আমি কিছু জানি না। 
সূত্র বলছে, ফাজিল ও কামিলের পরীক্ষা প্রক্রিয়াকরণে কোন টাকা এই ব্যাংকে জমা হয়নি। বোর্ডের নামে এ টাকার ক্রস চেক ইস্যু হলেও গোপনে অন্য আরেকটি ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে তা তুলে নেয়া হয়েছে। যার ফলে বোর্ডের ৪ বছরের বার্ষিক অডিটেও এ টাকা ধরা পড়েনি। চক্রটি অন্য একটি অ্যাকাউন্টে শিক্ষার্থীদের দেয়া ফি আত্মসাৎ করেছে। 
তবে বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান এই বিষয়টিতে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি কয়েক মাস আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছি। এর আগে যারা বোর্ড চেয়ারম্যান ছিলেন ওই বিষয়টি তারা ভাল জানেন। তবে এই টাকা নিয়ে যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে। 
মাদরাসা বোর্ড জানায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশে ফাজিল ও কামিল স্তরে ১২৭০টি মাদরাসা রয়েছে। এতে ফাজিলে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ও কামিলে ২৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। এ হিসাবে প্রতি বছর পরীক্ষার ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ খাতে ফাজিল স্তরে ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার, কামিল স্তরে প্রায় ৭০ লাখ টাকা আয় হয়ে থাকে। গত ৭ বছরে আয়ের অঙ্ক ১৪ কোটি টাকারও বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু এ অর্থের কোন হিসাব নেই মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে। আয়কৃত অর্থের এক টাকাও জমা হয়নি মাদরাসা বোর্ডের নিজস্ব ব্যাংক তহবিলে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ২০০৭ থেকে ২০১৪ অর্থবছরের বাজেটেও ওই খাতে আয়ের কোন উল্লেখ নেই। তাহলে এটা কোথায় গেল? এমন প্রশ্নে বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছায়েফ উল্লা বলেন, ১৪ কোটি টাকা নয় আমি যতদূর জানি এটি ৫ কোটি টাকার মতো। তবে এ টাকা আমার যোগদান করার আগে অর্থবছরের। আমি যোগদান করার পর এটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রয়েছে। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আফছারুল আমিন বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে মাদরাসা বোর্ড যা ইচ্ছে তাই করছে। কোন জবাবদিহিতা নেই। মাদরাসা বোর্ডের ফাজিল ও কামিল প্রকল্পের টাকা কোথায় তা অবশ্যই জানাতে হবে। তিনি বলেন, এভাবে ১৪ কোটি টাকা উধাও হয়ে যাবে! কোন জবাবদিহিতা থাকবে না। এটি হয় না। 
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (অডিট ও আইন) রফিকুজ্জামান বলেন, প্রায় ৮ বছরের ফাজিল ও কামিলের পরীক্ষা প্রক্রিয়াকরণে এই টাকার কোন অডিটে দেখানো হয়নি। কোন খাতে ব্যয় হয়েছে কিনা তাও উল্লেখ করা হয়নি। তাহলে এ টাকা গেল কোথায়? তিনি বলেন, আমরা পুনরায় চিঠি দিয়েছি। দেখি বোর্ড কী জবাব দেয়। তবে মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় কোন চিঠি পাওয়া যায়নি বলে জানান বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ২০০৭ সালের পর থেকে এ টাকার ব্যাপারে অভিযোগ উঠেছে। এর আগে অনেকেই চেয়ারম্যান ছিলেন আমি কিভাবে তাদের জবাব দিবো। তিনি জানান, আমি যতদূর জানি, এই টাকা ৫ কোটির মতো।   
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস জানায়, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে মাদরাসা বোর্ড থেকে আমাদের কাছে একটি চিঠি আসে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়, ফাজিল ও কামিল পরীক্ষা প্রকল্পে বকেয়া টাকা পরিশোধ করার কথা। পরে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, ২০১২ সালের ফাজিল (্‌স্নাতক) ১ম বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ছিল ৩৭ হাজার ৭৪১ জন, ২য় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ৩৫ হাজার ৩২৩ জন এবং ৩য় বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩০০ জন। ৩ বর্ষের ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ বাবদ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ২৬৯.৬৫ টাকার বিলের মধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১ম চেকের মাধ্যমে ৬০ লাখ টাকা ও ২য় চেকের মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা পরিশোধ করে। চিঠিতে অবশিষ্ট ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ২৭০ টাকা পাওনা পরিশোধের তাগিদ দেয়া হয়।


পাঠকের মতামত:

রাজু
বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই ২০১৫ ১২:১৬
**** বাচ্চারা মাদরাসার নাম নিয়ে শুধু খেয়েই যাচ্ছে। সামান্য টুকটাক কাজের জন্য গেলে টাকা ছাড়া কোন কাজ হয় না। টাকা না দিলে আপনাকে রুমে ঢুকতেই দিবে না। সব ঘুষ খোরের বাচ্চাদের মিলন মেলা যেন এ বোর্ড। 

http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=ODQ2MjQ=&s=Mg==





__._,_.___

Posted by: "Jamal G. Khan" <M.JamalGhaus@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___