কুরবানীর পশুর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত জনবল ও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার পাকড়াও বড় কঠিন।"
সরকার ঘোষণা দিয়েছে-
'সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থান ছাড়া অন্যত্র পবিত্র কুরবানীর পশু যবেহ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।' নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!! নাউযুবিল্লাহ!!!
সরকারকে স্মরণ রাখতে হবে যে- সরকারের জন্য সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার কোনো আদেশ ও নিষেধের উপর হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।
অতএব, সরকারকে অবশ্য অবশ্যই অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
আরো স্মরণ রাখতে হবে যে- মনগড়া সিদ্ধান্তের কারণে বহু ধরনের ফিতনা-ফাসাদ সংঘটিত হবে।
যেমন- সরকারি ক্যাডারদের দৌরাত্ম্য, মারামারি, পরস্পর দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যার যার পশুর গোশত নিয়ে, গোশত বানানো নিয়ে, চামড়া নিয়ে কোন্দল, কসাই নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি, পশু নিয়ম মাফিক যবেহ হবে না।
নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার ফলে নানা প্রকার ফিতনা সৃষ্টি হবে, যেহেতু একেকটি স্পটে হাজার হাজার পশু কুরবানী করতে বাধ্য করা হচ্ছে, সেহেতু সেখানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
সুতরাং পরিবেশ রক্ষার নামে ভারতীয় ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়ন করা চলবে না।
এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- পবিত্র কুরবানী উনার বিরোধী উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা।
সরকারকে মনে রাখতে হবে- পবিত্র কুরবানী উনার বিরুদ্ধে অতীতে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও তারা দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাক্ষমতাধর ছিলো। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে সিলেটের গৌরগবিন্দ।
অতএব, সরকারকে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যেই পবিত্র কুরবানী উনার বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
প্রতি বছরই পবিত্র কুরবানীর সময় নানা অজুহাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা করে কিছু ইসলামবিদ্বেষী মহল। তাই প্রতি বছরের মতো এবারেও পবিত্র কুরবানীতে বাধা সৃষ্টি করতে তাদের কিছু ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নে মরিয়া হয়ে পড়েছে প্রশাসন। তার মধ্যে একটি হচ্ছে পরিবেশ দূষণের মিথ্যা অজুহাতে পবিত্র কুরবানীর পশু যবেহ করার জন্য স্থান নির্ধারণ করা।
সরকারিভাবে এবার নির্ধারিত স্থানে কুরবানী করতে বাধ্য করা হচ্ছে অর্থাৎ কুরবানীদাতা তার নিজ বাড়িতে কুরবানী দিতে পারবে না, দিতে হবে সরকারের নির্ধারিত জায়গায়। সরকার নির্ধারিত স্থানে যারা পবিত্র কুরবানী করবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!! নাউযুবিল্লাহ!!! এটা সবাই জানে যে, উগ্র সাম্প্রদায়িক ভারতের হিন্দুরা সেখানে মুসলমানদের কুরবানী করতে বাধা দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ তো ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশ। বাংলাদেশে কেন মুসলমানদের পশু কুরবানীতে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে?
অনেক অথর্ব মুসলমান কোনো ফিকির না করেই হয়তো সরকারের এই সিদ্ধান্তাকে সমর্থন জানাবে এবং জানাচ্ছে। অথচ এই ব্যবস্থায় কুরবানী দিলে প্রতিটি স্পটে একটি-দুটি নয়, বরং বহু ধরনের ফিতনা-ফাসাদ সংঘটিত হবে। যেমন- সরকারি ক্যাডারদের দৌরাত্ম্য, মারামারি, পরস্পর দ্বন্দ্ব-সংঘাত, যার যার পশুর গোশত নিয়ে, গোশত বানানো নিয়ে, চামড়া নিয়ে কোন্দল, কসাই নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি, পশু নিয়ম মাফিক যবেহ হবে না। নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার ফলে নানা প্রকার ফিতনা সৃষ্টি হবে, যেহেতু একেকটি স্পটে হাজার হাজার পশু কুরবানী করতে বাধ্য করা হচ্ছে, সেহেতু সেখানে বড় ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং পরিবেশ রক্ষার নামে ভারতীয় ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়ন করা চলবে না। সিটি কর্পোরেশনের এসব ষড়যন্ত্রমূলক ঘোষণা অবশ্যই তুলে নিতে হবে। প্রত্যেক মুসলমান যার যার বাড়ির আঙ্গিনায় পবিত্র কুরবানী করবে। সরকারকে পবিত্র কুরবানীর পশুর রক্ত ও বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য পর্যাপ্ত জনবল ও বাজেট বরাদ্দ করতে হবে। সরকার যদি হারাম খেলা-ধুলা ও গান-বাজনার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে পারে, পবিত্র কুরবানীর জন্য কেন পারবে না? অবশ্যই তাকে পারতে হবে।
কোনো কোনো জাহিল ব্যক্তি এক্ষেত্রে সউদী আরবের উদাহরণ দেয়। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য হচ্ছে- সউদী আরবে যদি নির্দিষ্ট স্থানে পবিত্র কুরবানী করা সম্ভব হয়, তবে আমাদের দেশে কেন সম্ভব হবে না? মূলত, তারা যেরূপ ভৌগোলিক জ্ঞান সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ; তদ্রƒপ অর্থনীতি সম্পর্কেও নেহায়েতই মূর্খ হওয়ার কারণেই এরূপ বলে থাকে। অর্থাৎ তাদের এটাও জানা নেই যে, সউদী আরবের আয়তন কত আর লোকসংখ্যা কত? আর তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা কতটুকু? বাংলাদেশের আয়তন কত? আর লোকসংখ্যা কত? আর বাংলাদেশের লোকদের আর্থিক স্বচ্ছলতা কতটুকু? মূলত সউদী আরবের আয়তন হচ্ছে প্রায় ৯ লক্ষ বর্গমাইল। আর লোকসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৩ কোটি। আর বাংলাদেশের আয়তন হচ্ছে প্রায় ৫৭ হাজার বর্গমাইল আর লোকসংখ্যা হচ্ছে ২০ কোটিরও অধিক। সউদী আরবের বাড়ি-ঘরগুলো ফাঁকা ফাঁকা। প্রত্যেকের বাড়ির সামনেই বিশাল ময়দান আছে। আর লোকসংখ্যাও কম। কিন্তু বাংলাদেশে তথা রাজধানীতে লোক সংখ্যা বেশি, জায়গা কম। মাত্র ৫০০টি স্পটে লক্ষ লক্ষ পশু কুরবানী করা কখনোই সম্ভব নয়। অতএব, সউদী আরবের উদাহরণ দেয়াটা জিহালতী বৈ কিছুই নয়।
এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমান উনাদের জন্য ফরয হচ্ছে- পবিত্র কুরবানী উনার বিরোধী উক্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করা। মুসলমানগণ চুপ করে থাকার কারণে সরকার একের পর এক সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী আইন জারি করার সাহস পাচ্ছে। সকল মুসলমান এক জোট হয়ে প্রতিবাদ করলে তারা কখনোই এরূপ সাহস পেতো না। আর সরকার ক্ষমতায় আসার আগে ওয়াদা করেছিলো- 'পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না' অথচ ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী আইন জারি করে যাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
সরকারকে মনে রাখতে হবে- পবিত্র কুরবানী উনার বিরুদ্ধে অতীতে যারাই ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই নিশ্চিহ্ন ও ধ্বংস হয়ে গেছে। যদিও তারা দুনিয়াবী দৃষ্টিতে মহাক্ষমতাধর ছিলো। তার বাস্তব উদাহরণ হচ্ছে সিলেটের গৌরগবিন্দ। অতএব, সরকারকে নিজের অস্তিত্ব রক্ষার জন্যেই পবিত্র কুরবানী উনার বিরোধী সমস্ত ষড়যন্ত্র অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। কেননা, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, "নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার পাকড়াও বড় কঠিন।"
__._,_.___