এই নিজামীই সেই নিজামী
এই নিজামীই সেই নিজামী। জামায়াতের নেতাকর্মী ও এর সমর্থকরা মতিউর রহমান নিজামীকে 'ইসলামিক স্কলার' হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে যতই সচেষ্ট থাকুন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে, তিনিই ১৯৭১ সালের শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধী ও আলবদর কমান্ডার।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর এপ্রিলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করতে মূলত ছাত্রসংঘের কর্মীদের নিয়ে গড়ে তোলা হয় আলবদর বাহিনী। আর ছাত্রসংঘের নেতা হিসেবে আলবদরের নেতৃত্বের দায়ও নিজামীর কাঁধে বর্তায়।
জামায়াতের আজকের আমির নিজামী চার দশক আগে ছিলেন জামায়াতেরই ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের নাজিমে আলা বা সভাপতি। সেই সূত্রেই পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত আলবদর বাহিনীর প্রধান।
সাধারণ স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দমন-পীড়ন চালাতে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য গঠিত রাজাকার বাহিনী ও শান্তি কমিটিতেও নিজামীর ভূমিকার কথা উল্লেখ আছে ট্রাইবুন্যনালের রায়ে। সেখানে বলা হয়েছে, একাত্তরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ও আল-বদর বাহিনীর প্রধান নিজামী নিজে বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় অংশ নেন। বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় নিজামীর ভূমিকা 'ডি-জুর ও ডি-ফ্যাক্টো' (প্রচ্ছন্ন ও সরাসরি) ছিল।
গত ৩ মে রায় ঘোষণার পর থেকে জামায়াত সমর্থকরা অনলাইন প্রচারণায় এই নিজামী মানবতাবিরোধী অপরাধ করছেন, এমন প্রমাণ প্রসিকিউশন দেখাতে পারেনি বলে দাবি করলেও মওদুদী প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তানভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রসংঘের ওয়েবসাইটে সাবেক 'নাজিমে আলা' অর্থাৎ সভাপতিদের তালিকায় এখনও রয়েছে নিজামীর নাম।
বাংলাদেশে ছাত্রসংঘ নামে পরিচিত একাত্তরে আলবদর বাহিনী গঠনকারী এই সংগঠনের মূল নাম জমিয়তে তালাবা। পাকিস্তানে এখনও ওই নামে চলে তাদের কার্যক্রম। জমিয়তে তালাবার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ১৯৬৯ সালের নভেম্বরে বার্ষিক সম্মেলনে প্রথমবারের মতো নিজামীকে নাজিমে আলা নির্বাচিত করা হয়। লাহোরে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে ২ হাজার ৩৪০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
এমনকি এই নিজামী পরবর্তী সময়ে বদরনেতা থেকে এদেশের মন্ত্রী পর্যন্ত হয়েছিলেন। তিনি আসলে একাত্তরে কী ছিলেন, তার অনেক দালিলিক প্রমাণ মেলে। আর প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে আজও নিজামীর সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে অপেক্ষা করছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্ত্রী সালমা হক ও শ্যামলী নাসরিন।
নিজামী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেননি বলে যতই প্রচারণা চালানো হোক, বাস্তবে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, মতিউর রহমান নিজামী একাত্তরে বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে তরুণদের উসকে দিতে সচেতনভাবে ইসলাম ধর্মের অপব্যবহার করেছেন।
আরও পড়তে পারেন: নিজামীর আপিলের রিভিউ আদেশ কার্যতালিকায় এক নম্বরে
আদালত বলেন, আমরা ধরে নিতে বাধ্য হচ্ছি যে, মতিউর রহমান নিজামী ইসলামিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও সচেতনভাবে এবং স্বেচ্ছায় আল্লাহ ও পবিত্র ধর্ম ইসলামের নামের অপব্যবহার করে বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন।
শীর্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধী গোলাম আযমের উত্তরসূরি হিসেবে ২০০০ সালে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে আসা মতিউর রহমান নিজামীর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩১ মার্চ, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মন্মথপুর গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে গা ঢাকা দিলেও দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নিজামী ফের প্রকাশ্যে আসেন জিয়াউর রহমানের আমলে। ২০০০ সালে গোলাম আযম অবসরে গেলে নিজামী দলের আমির নিযুক্ত হন। সেই থেকে তিনি ওই পদেই রয়েছেন।
নিজামী প্রকাশ্যে আসার পর ১৯৯১ সালের ২৭ মে প্রথমবারের মতো প্রতিরোধের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য কার্যালয়ে ঢুকে তাকেসহ তার কর্মীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বের করে দেন।
ঢাবি ক্যাম্পাসে তোপের মুখে মতিউর রহমান নিজামী
ট্রাইব্যুনালের পূর্ণাঙ্গ রায়ের ১৬১ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, একাত্তরের ৫ আগস্ট দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকায় নিজামীর একটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়। তাতে নিজামী বলেন, 'পাকিস্তান আল্লাহর ঘর। আল্লাহ একে বারবার রক্ষা করেছেন। ভবিষ্যতেও রক্ষা করবেন। দুনিয়ার কোনও শক্তি পাকিস্তানকে নিশ্চিহ্ন করতে পারবে না।' ট্রাইব্যুনাল বলেন, নিজামীর এ বক্তব্য স্পষ্টতই সূরা হজের ২৬ নম্বর আয়াতের বিকৃতি। কারণ, এই সূরায় একমাত্র কাবাঘরকে আল্লাহর ঘর বলা হয়েছে। কিন্তু নিজামী পাকিস্তানকে আল্লাহর ঘরের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
/এমএনএইচ/
http://www.banglatribune.com/others/news/102087/এই-নিজামীই-সেই-নিজামী
বদর বাহিনী প্রধান নিজামীর চূড়ান্ত রায় আজ
See more at: https://www.dailyjanakantha.com/details/article/189194/বদর-বাহিনী-প্রধান-নিজামীর-চূড়ান্ত-রায়-আজ
জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী
'মৃত্যুদণ্ডই তার ন্যূনতম শাস্তি' ॥ নিজামীর আপীলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
- See more at: https://www.dailyjanakantha.com/#sthash.9474TVDf.dpufনিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে আপিল বিভাগের দেয়া পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ
ওই সময়ে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র সংঘের সভাপতি ছিলেন মুজাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মীর কাসেম আলী। ছাত্র সংঘের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যদের নিয়েই পাক সহযোগী বাহিনী হিসেবে আল-বদর বাহিনী গঠিত হয়েছিল। .................... নিজামী, মুজাহিদ ও মীর কাসেম তিনজনই ছিলেন আল-বদর কমান্ডার। নবচেয়ে বড় কমান্ডার ছিলেন নিজামী। .......
http://khabor.com/archives/78503
আলোচিত মীর কাসেমের চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 2016-03-07 22:19:15.0 BdST Updated: 2016-03-08 00:49:34.0 BdST
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1116117.bdnewsআলবদর নেতার ফাঁসি কার্যকর
ট্রাইব্যুনালে ফাঁসির রায়: আপিল বিভাগে বিচারাধীন
মতিউর রহমান নিজামী জামায়াতের আমির মুজাহিদ জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
মুহাম্মদ আবদুস সুবহান জামায়াতের নায়েবে আমির আজহারুল জামায়াতের সহ. সেক্রেটারি জেনারেল
মীর কাসেম জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাকা চৌধুরী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য
সৈয়দ মো. কায়সার জাতীয় পার্টির নেতা মোবারক হোসেন সাবেক আ.লীগ নেতাhttp://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/501568/
আলবদর-নেতার-ফাঁসি-কার্যকর
বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০১৪, ২৮ কার্তিক ১৪২১
জনরোষের মুখে কোণঠাসা ॥ জামায়াত পালাচ্ছে ...,,শিবিরের সঙ্গে মতবিরোধে কর্মসূচী সফল হচ্ছে না ॥ পাশে নেই জোটবন্ধু বিএনপিপ্রকাশ : বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০১৪, ২৮ কার্তিক ১৪২১Read more at:যুক্তরাষ্ট্রে সাড়ে ২৩ মিলিয়ন ডলার খরচ করেছেন মীর কাসেমসাবেদ সাথী, নিউ ইয়র্ক থেকে- Jamaate Islami is জামাত-ই-মুনাফেক!!!
- একের পর এক রায় মনোবল ভেঙ্গে পড়েছে জামায়াতের
- Pig msK‡U RvgvqvZ : †Kv_vI †bB †KD!
Avgv‡`i mgq.Kg : 03/11/2014
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/03/136903.htm#.VFfOmjTF8-0
Source: উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
__._,_.___