লে গেলেন জো ফ্রেজিয়ার
সপ্তাহ দুয়েক আগে যকৃতের ক্যানসার ধরা পড়েছিল। বক্সিং রিংয়ে এত লড়াই জিতেছেন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ে আর জিততে পারলেন না। সংক্ষিপ্ত কিন্তু সাহসী এক লড়াইয়ের পর গত সোমবার হার মানলেন জো ফ্রেজিয়ার। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭।
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের স্বর্ণযুগের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ বক্সিংয়ের সীমানা ছাড়িয়ে যেকোনো খেলারই সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায় হয়ে আছে। দুজনের নাম এমনই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল যে ফ্রেজিয়ারের মৃত্যুর পরও সবার চোখে ভেসে উঠছে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন আর 'থ্রিলা ইন ম্যানিলা'র টুকরো টুকরো ছবি।
১৯৭১ সালে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে দুজনের প্রথম দেখা। ১৫ রাউন্ডের লড়াইয়ে বিচারকদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বিজয়ী হয়ে হেভিওয়েট বক্সিং শিরোপা জেতেন ফ্রেজিয়ার। 'ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরি' নামে বিজ্ঞাপিত ওই লড়াই সেই দিনেই দেখেছিলেন প্রায় ৩০ কোটি টিভি দর্শক।
রি-ম্যাচ হতে হতে তিন বছর। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বক্সিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বক্সিং জগতে আবির্ভাব ঘটেছে জর্জ ফোরম্যান নামে আরেক তারকার। চারবার শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে জেতার পর ১৯৭৩ সালে ফোরম্যানের কাছে হেরে যান ফ্রেজিয়ার। টানা ২৯টি লড়াইয়ে জয়ের পর কিংস্টনে ফোরম্যানের কাছে ওই পরাজয়। আলীর সঙ্গে তাঁর তিনটি লড়াইয়ের মতো বিখ্যাত নয়, তবে ফোরম্যানের সঙ্গে দুটি লড়াইও হিংস্রতায় কম ছিল না। প্রথমবার দুই রাউন্ডের মধ্যে ছয়বার ফ্রেজিয়ারকে ভূপাতিত করেন ফোরম্যান। দ্বিতীয় লড়াইটি ১৯৭৬ সালে, ফ্রেজিয়ার পঞ্চম রাউন্ডে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যানভাসে পড়ে যাওয়ার পর যেটি থামিয়ে দেওয়া হয়।
তুলনায় আলীর সঙ্গে ফ্রেজিয়ারের তিনটি লড়াই-ই বক্সিং ইতিহাসে ক্লাসিক হয়ে আছে। ১৯৭৪ সালে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই রি-ম্যাচে ১২ রাউন্ডের লড়াইয়ে সর্বসম্মতভাবে পয়েন্টে বিজয়ী হন আলী। ১-১ সমতায় থাকা দ্বৈরথের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য পরের বছর ম্যানিলায় ওই লড়াই, বক্সিং ইতিহাসে যেটি বিখ্যাত হয়ে আছে 'থ্রিলা ইন ম্যানিলা' নামে। হিংস্র সেই লড়াইয়ের ১৪ রাউন্ড শেষে ফ্রেজিয়ারের অবস্থা ভালো নয় দেখে তাঁর ট্রেনার এডি ফুচ রিংয়ে নেমে লড়াই থামিয়ে দেন। আলীর অবস্থাও সুবিধার ছিল না। ওই লড়াই সম্পর্কে পরে তিনি বলেছিলেন, 'মৃত্যুর সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া।'
৩২টি লড়াইয়ের মাত্র চারটিই হেরেছেন ফ্রেজিয়ার। শুধু আলী আর ফোরম্যানের কাছেই। আলীর সঙ্গে শত্রুতা ছড়িয়ে পড়েছিল রিংয়ের বাইরেও। দায়টা আলীরই বেশি। ফ্রেজিয়ারকে 'আঙ্কল টম' 'গরিলা' বলে প্রতিনিয়তই ব্যঙ্গ করতেন। সেই আলীই ফ্রেজিয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়ে বলেছেন, 'আমি সব সময়ই জোকে সম্মান ও প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করব। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা।' ফোরম্যান টুইটার বার্তায় বলেছেন, 'গুডনাইট জো ফ্রেজিয়ার। আই লাভ ইউ ডিয়ার ফ্রেন্ড।' এএফপি অবলম্বনে।
গত শতাব্দীর সত্তরের দশকে হেভিওয়েট বক্সিংয়ের স্বর্ণযুগের অন্যতম নায়ক ছিলেন তিনি। মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ বক্সিংয়ের সীমানা ছাড়িয়ে যেকোনো খেলারই সবচেয়ে রোমাঞ্চকর অধ্যায় হয়ে আছে। দুজনের নাম এমনই অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল যে ফ্রেজিয়ারের মৃত্যুর পরও সবার চোখে ভেসে উঠছে নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন আর 'থ্রিলা ইন ম্যানিলা'র টুকরো টুকরো ছবি।
১৯৭১ সালে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে দুজনের প্রথম দেখা। ১৫ রাউন্ডের লড়াইয়ে বিচারকদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বিজয়ী হয়ে হেভিওয়েট বক্সিং শিরোপা জেতেন ফ্রেজিয়ার। 'ফাইট অব দ্য সেঞ্চুরি' নামে বিজ্ঞাপিত ওই লড়াই সেই দিনেই দেখেছিলেন প্রায় ৩০ কোটি টিভি দর্শক।
রি-ম্যাচ হতে হতে তিন বছর। এর মধ্যে মোহাম্মদ আলী ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বক্সিং থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন। বক্সিং জগতে আবির্ভাব ঘটেছে জর্জ ফোরম্যান নামে আরেক তারকার। চারবার শিরোপা রক্ষার লড়াইয়ে জেতার পর ১৯৭৩ সালে ফোরম্যানের কাছে হেরে যান ফ্রেজিয়ার। টানা ২৯টি লড়াইয়ে জয়ের পর কিংস্টনে ফোরম্যানের কাছে ওই পরাজয়। আলীর সঙ্গে তাঁর তিনটি লড়াইয়ের মতো বিখ্যাত নয়, তবে ফোরম্যানের সঙ্গে দুটি লড়াইও হিংস্রতায় কম ছিল না। প্রথমবার দুই রাউন্ডের মধ্যে ছয়বার ফ্রেজিয়ারকে ভূপাতিত করেন ফোরম্যান। দ্বিতীয় লড়াইটি ১৯৭৬ সালে, ফ্রেজিয়ার পঞ্চম রাউন্ডে দ্বিতীয়বারের মতো ক্যানভাসে পড়ে যাওয়ার পর যেটি থামিয়ে দেওয়া হয়।
তুলনায় আলীর সঙ্গে ফ্রেজিয়ারের তিনটি লড়াই-ই বক্সিং ইতিহাসে ক্লাসিক হয়ে আছে। ১৯৭৪ সালে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই রি-ম্যাচে ১২ রাউন্ডের লড়াইয়ে সর্বসম্মতভাবে পয়েন্টে বিজয়ী হন আলী। ১-১ সমতায় থাকা দ্বৈরথের চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য পরের বছর ম্যানিলায় ওই লড়াই, বক্সিং ইতিহাসে যেটি বিখ্যাত হয়ে আছে 'থ্রিলা ইন ম্যানিলা' নামে। হিংস্র সেই লড়াইয়ের ১৪ রাউন্ড শেষে ফ্রেজিয়ারের অবস্থা ভালো নয় দেখে তাঁর ট্রেনার এডি ফুচ রিংয়ে নেমে লড়াই থামিয়ে দেন। আলীর অবস্থাও সুবিধার ছিল না। ওই লড়াই সম্পর্কে পরে তিনি বলেছিলেন, 'মৃত্যুর সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া।'
৩২টি লড়াইয়ের মাত্র চারটিই হেরেছেন ফ্রেজিয়ার। শুধু আলী আর ফোরম্যানের কাছেই। আলীর সঙ্গে শত্রুতা ছড়িয়ে পড়েছিল রিংয়ের বাইরেও। দায়টা আলীরই বেশি। ফ্রেজিয়ারকে 'আঙ্কল টম' 'গরিলা' বলে প্রতিনিয়তই ব্যঙ্গ করতেন। সেই আলীই ফ্রেজিয়ারের মৃত্যুর খবর পেয়ে বলেছেন, 'আমি সব সময়ই জোকে সম্মান ও প্রশংসার সঙ্গে স্মরণ করব। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা।' ফোরম্যান টুইটার বার্তায় বলেছেন, 'গুডনাইট জো ফ্রেজিয়ার। আই লাভ ইউ ডিয়ার ফ্রেন্ড।' এএফপি অবলম্বনে।
পাঠকের মন্তব্য
__._,_.___
সাইনইন