শামীম ওসমানের হুঙ্কার
রাতের অাঁধারে বাড়ি বাড়ি হুমকি দিয়ে আসব, পাঞ্জাবি খুলে গেঞ্জি জিন্স পরতে হবে মিডিয়া ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি বিষোদ্গার
প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থিদল, মিডিয়া, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ইচ্ছে করলে এখন সবকিছুর জবাব দিতে পারি। তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের যদি কেউ হুমকি দেয় তবে আমাকে দয়া করে জানাবেন। আমি রাতের অাঁধারে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসব। আমি আবার এ কাজটা ভালো পারি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করব কি-রে কেন হুমকি দিচ্ছস? তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে তিনদিন হয়ে গেছে। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের গরম তিন দিনের বেশি থাকার কথা নয়। তারপরও যদি হুমকি-ধমকি বন্ধ না হয় তবে আমার পাঞ্জাবি খুলে গেঞ্জি আর জিন্সপ্যান্ট পরতে হবে। তারপরও যদি গরম না থামে তবে কেউ নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারবে না। গতকাল শহরের উত্তর চাষাঢ়া শামীম ওসমানের পৈতৃকবাড়ি হীরা মহলে নির্বাচন-পরবর্তী এক কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, এ নির্বাচনে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রগতিশিল ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করা হয়েছে। শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থি, মেনন, ইনু ছিনুসহ সবাই একত্রীত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নেমেছিল। তিনি বলেন, দেশের প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বলেন, দুই ঠ্যাং কবরে চলে গেছে সেই মূছা, কিছু মিডিয়া আমাদের নিয়ে নানা অপপ্রচার করেছে। আমাকে ঘায়েল করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা ভেবেছিল নির্বাচনে জয়ী হয়ে আইভী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে না। কিন্তু আইভী নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় তাদের খেলা শেষ হয়ে গেছে। তারা অন্যকিছু চিন্তা করেছিল। কিন্তু ধরা খেয়েছে। শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও এক হাত নিয়েছেন। তাদের সমালোচনা করে বলেন, লুইচ্চা, মদখোর দিনভর ঘুমায় এমন নেতাদের মানি না। মানি একমাত্র শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার রক্তে কেউ হলে মানি অন্যকেউ হলে মানি না। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার হাত-পা বেঁধে নদীতে গোসল করতে নামাইছে। তাই কিছু বলেতে পারিনি।
শামীম ওসমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচন কমিশনার একটা ফাইল হাতে নিয়ে বলেন, একজন প্রার্থীর নামে এতগুলো মামলা এতে বোঝা যায় কে ভালো। ইচ্ছে করলে এখন সবকিছুর জবাব দিতে পারি। তিনি নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একাধিক দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় সমালোচনা করে বলেন, একেকটি ওয়ার্ডে সাত, আট, বারো জন করে প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। ফলে এমন অবস্থা হয়েছে যে কাজ করার লোক নেই। প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে। তিনি বলেছেন, নিজেদের মধ্যে বুঝ পরামর্শ করে নির্বাচন করলে ২৭টি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হতো। বিএনপি ভোট ওই পক্ষে গেলেও আমরা ফাইট দিতে পারতাম।
কর্মী সভা শেষে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের হীরা মহল থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে দুই নং রেলগেটে ঘুরে কালী বাজার হয়ে চাষাঢ়া প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। পদযাত্রা থেকে বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনার ছবি এক পাশে অন্যপাশে শামীম ওসমানের ছবি সম্মিলিত একটি লিফলেট বিতরণ করা হয় ।
অন্য একটি সূত্র জানায়, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এলাকায় নিজের অধিপত্য বাজায় রাখতে গতকাল নারায়ণগঞ্জ শহরের শোডাউন করেছেন। সিটি করপোরেশনের বাইরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক এনে সভা করে শহরে শোডাউন করেছেন। যাতে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়। শামীম ওনসানর শোডাউনের পর নারায়ণগঞ্জ শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের উকিলপাড়া এলাকায় রিকশাযাত্রী আবদুর রহিম জানান, যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীসাধারণের। চাষাঢ়া থেকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরাজিত মেয়র প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থিদল, মিডিয়া, নির্বাচন কমিশন, সুশীল সমাজসহ সবাই মিলে আমার বিরুদ্ধে কাজ করেছে। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ইচ্ছে করলে এখন সবকিছুর জবাব দিতে পারি। তিনি বলেন, আমার নেতাকর্মীদের যদি কেউ হুমকি দেয় তবে আমাকে দয়া করে জানাবেন। আমি রাতের অাঁধারে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসব। আমি আবার এ কাজটা ভালো পারি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জিজ্ঞাসা করব কি-রে কেন হুমকি দিচ্ছস? তিনি বলেন, নির্বাচন হয়েছে তিনদিন হয়ে গেছে। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের গরম তিন দিনের বেশি থাকার কথা নয়। তারপরও যদি হুমকি-ধমকি বন্ধ না হয় তবে আমার পাঞ্জাবি খুলে গেঞ্জি আর জিন্সপ্যান্ট পরতে হবে। তারপরও যদি গরম না থামে তবে কেউ নারায়ণগঞ্জে থাকতে পারবে না। গতকাল শহরের উত্তর চাষাঢ়া শামীম ওসমানের পৈতৃকবাড়ি হীরা মহলে নির্বাচন-পরবর্তী এক কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, এ নির্বাচনে নানামুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। প্রগতিশিল ও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করা হয়েছে। শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি, জামায়াত, বামপন্থি, মেনন, ইনু ছিনুসহ সবাই একত্রীত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নেমেছিল। তিনি বলেন, দেশের প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিস্ট এবিএম মূসার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বলেন, দুই ঠ্যাং কবরে চলে গেছে সেই মূছা, কিছু মিডিয়া আমাদের নিয়ে নানা অপপ্রচার করেছে। আমাকে ঘায়েল করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জকে সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা ভেবেছিল নির্বাচনে জয়ী হয়ে আইভী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাবে না। কিন্তু আইভী নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় তাদের খেলা শেষ হয়ে গেছে। তারা অন্যকিছু চিন্তা করেছিল। কিন্তু ধরা খেয়েছে। শামীম ওসমান কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতাকেও এক হাত নিয়েছেন। তাদের সমালোচনা করে বলেন, লুইচ্চা, মদখোর দিনভর ঘুমায় এমন নেতাদের মানি না। মানি একমাত্র শেখ হাসিনাকে। শেখ হাসিনার রক্তে কেউ হলে মানি অন্যকেউ হলে মানি না। তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার হাত-পা বেঁধে নদীতে গোসল করতে নামাইছে। তাই কিছু বলেতে পারিনি।
শামীম ওসমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচন কমিশনার একটা ফাইল হাতে নিয়ে বলেন, একজন প্রার্থীর নামে এতগুলো মামলা এতে বোঝা যায় কে ভালো। ইচ্ছে করলে এখন সবকিছুর জবাব দিতে পারি। তিনি নির্বাচনে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে একাধিক দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ায় সমালোচনা করে বলেন, একেকটি ওয়ার্ডে সাত, আট, বারো জন করে প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেছে। ফলে এমন অবস্থা হয়েছে যে কাজ করার লোক নেই। প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে। তিনি বলেছেন, নিজেদের মধ্যে বুঝ পরামর্শ করে নির্বাচন করলে ২৭টি ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হতো। বিএনপি ভোট ওই পক্ষে গেলেও আমরা ফাইট দিতে পারতাম।
কর্মী সভা শেষে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে একটি পদযাত্রা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের হীরা মহল থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক প্রদক্ষিণ করে দুই নং রেলগেটে ঘুরে কালী বাজার হয়ে চাষাঢ়া প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। পদযাত্রা থেকে বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনার ছবি এক পাশে অন্যপাশে শামীম ওসমানের ছবি সম্মিলিত একটি লিফলেট বিতরণ করা হয় ।
অন্য একটি সূত্র জানায়, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর এলাকায় নিজের অধিপত্য বাজায় রাখতে গতকাল নারায়ণগঞ্জ শহরের শোডাউন করেছেন। সিটি করপোরেশনের বাইরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোক এনে সভা করে শহরে শোডাউন করেছেন। যাতে মানুষ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়। শামীম ওনসানর শোডাউনের পর নারায়ণগঞ্জ শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। শহরের উকিলপাড়া এলাকায় রিকশাযাত্রী আবদুর রহিম জানান, যানজটের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রীসাধারণের। চাষাঢ়া থেকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট যেতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগছে।
Desh-Bondhu,
'Desher Kotha Bolay'
'Desher Kotha Bolay'
__._,_.___