স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের তদন্ত দ্রুত শেষ করার জন্য সেনাবাহিনীতে মোট ৬টি তদন্ত আদালত কাজ করে যাচ্ছে। একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের তদন্ত আদালত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সমন্বয়ের কাজ করছেন। লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তার নেতৃত্বে ৩ সদস্য করে ঢাকার বাইরে আরও পাঁচটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। এ পর্যন্ত লগ এরিয়ায় সংযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন একজন মেজর জেনারেল, একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, দুজন লে. কর্নেল এবং বাকিরা মেজর ও ক্যাপ্টেন পর্যায়ের কর্মকর্তা। সেনা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের লগ এরিয়াতে উল্লিখিত কর্মকর্তাসহ অভিযুক্ত দুই ডজনের বেশি সেনা কর্মকর্তাকে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ব্যর্থ অভ্যুত্থানের মূল হোতা মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারের জন্য কয়েকটি গোয়েন্দাসহ র্যাব পুলিশ বিভিন্ন জায়াগায় অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট প্রথমে জমা দেয়া হবে লগ এরিয়া কমান্ডারের কাছে। এরপর অভিযুক্তদের বিচারের জন্য কোর্ট মার্শাল গঠনের জন্য তদন্ত রিপোর্টটি সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের অফিস হয়ে সেনাপ্রধানের কাছে পাঠানো হবে। তদনত্ম রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিচার করা হবে। এই বিচার দু'ভাবে হতে পারে। একটি কোর্ট মার্শালে অন্যটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল কোর্টে। সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের অপরাধের সীমা অনুযায়ী শাস্তি হবে। কতিপয় উগ্র-ধর্মান্ধ চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটানোর ঘৃণ্য চেষ্টাকে প্রতিহত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লার ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, সাভারে-নবম পদাতিক ডিভিশন, ঘাটাইলের ১৯ পদাতিক ডিভিশন, রংপুরের ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশনের একজন করে লে. কর্নেলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। এই ৫ তদন্ত আদালত মেজর র্যাঙ্কের পদমর্যাদা কর্মকর্তা বা তার নিচের র্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের বিচার করবেন। আগামী রবিবার থেকে তদন্ত আদালতগুলোর কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
সেনাবাহিনীতে অভুত্থান ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ব্যর্থ চেষ্টা ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করতেই ঢাকার বাইরে পাঁচটি আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
ঘটনার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী পলাতক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গে যেসব কর্মকর্তার টেলিফোন আলাপ হয়েছে_ওই ফোন আলাপের রেকর্ড বা তথ্য ঢাকায় সেনাসদরে গঠিত তদন্ত আদালতের হাতে রয়েছে। সেনাসদরে গঠিত ৬ সদস্যের তদন্ত আদালতের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। এই আদালত অন্য আদালতগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কেও খোঁজ-খবর রাখবে।
উল্লেখ্য গত ১৯ জানুয়ারি সেনাসদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই চক্রান্ত সেনাবাহিনী জানতে পারে। এরপর ঘটনা তদন্তে ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তদন্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। সেনাসদরের তদন্ত আদালতের অগ্রগতি নিয়ে পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। তাঁদের বৈঠকে বলা হয়, একটি আদালত দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবার তদন্ত একসঙ্গে করা সময়সাপেক্ষ হবে। তদনত্ম স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে হলে সংশিস্নষ্ট সেনানিবাসেই আদালত গঠন করতে হবে। সেনা অভ্যুত্থানের চক্রানত্মের সঙ্গে যেহেতু পাঁচটি ক্যান্টনমেন্টের কয়েক কর্মকর্তার নাম এসেছে,-সেহেতু পাঁচটি সেনানিবাসেই পৃথক আদালত গঠন করা হোক। এমন সিদ্ধান্তের আলোকেই ঢাকার বাইরে পাঁচটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বাইরে রংপুর, বগুড়া, কুমিলস্না, ঘাটাইল ও সাভারে একজন করে কর্মকর্তার সংশিস্নষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। এঁরা সবাই মেজর পর্যায়ের কর্মকর্তা। যদিও এসব কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের লগ এরিয়ায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, লগ এরিয়ায় সংযুক্ত থাকা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভ্যুত্থান সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কর্মকর্তার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি কর্মকর্তাকে লগ এরিয়াতে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদিও ১৯ জানুযারি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, এ ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের ১৪ থেকে ১৬ কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন।
এদিকে অভ্যুত্থান-চেষ্টায় বিদেশ থেকে ইন্ধন যোগানো প্রবাসী বাংলাদেশী ইশরাক আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র মতে, সেনাবাহিনীর নিয়মানুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অভিযোগের প্রমাণ পেলে সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ তদন্ত রিপোর্ট প্রথমে জমা দেয়া হবে লগ এরিয়া কমান্ডারের কাছে। এরপর অভিযুক্তদের বিচারের জন্য কোর্ট মার্শাল গঠনের জন্য তদন্ত রিপোর্টটি সেনাবাহিনীর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেলের অফিস হয়ে সেনাপ্রধানের কাছে পাঠানো হবে। তদনত্ম রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিচার করা হবে। এই বিচার দু'ভাবে হতে পারে। একটি কোর্ট মার্শালে অন্যটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল কোর্টে। সেনাবাহিনীতে সম্প্রতি ব্যর্থ অভ্যুত্থানের খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর অভিযুক্তদের অপরাধের সীমা অনুযায়ী শাস্তি হবে। কতিপয় উগ্র-ধর্মান্ধ চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থান ঘটানোর ঘৃণ্য চেষ্টাকে প্রতিহত করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত কাজ দ্রুত শেষ করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, কুমিল্লার ৩৩ পদাতিক ডিভিশন, সাভারে-নবম পদাতিক ডিভিশন, ঘাটাইলের ১৯ পদাতিক ডিভিশন, রংপুরের ৬৬ পদাতিক ডিভিশন ও বগুড়ার ১১ পদাতিক ডিভিশনের একজন করে লে. কর্নেলের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। এই ৫ তদন্ত আদালত মেজর র্যাঙ্কের পদমর্যাদা কর্মকর্তা বা তার নিচের র্যাঙ্কের কর্মকর্তাদের বিচার করবেন। আগামী রবিবার থেকে তদন্ত আদালতগুলোর কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।
সেনাবাহিনীতে অভুত্থান ও নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের ব্যর্থ চেষ্টা ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ করতেই ঢাকার বাইরে পাঁচটি আদালত গঠন করা হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার পরই অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
ঘটনার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী পলাতক মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গে যেসব কর্মকর্তার টেলিফোন আলাপ হয়েছে_ওই ফোন আলাপের রেকর্ড বা তথ্য ঢাকায় সেনাসদরে গঠিত তদন্ত আদালতের হাতে রয়েছে। সেনাসদরে গঠিত ৬ সদস্যের তদন্ত আদালতের নেতৃত্বে রয়েছেন একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। এই আদালত অন্য আদালতগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কেও খোঁজ-খবর রাখবে।
উল্লেখ্য গত ১৯ জানুয়ারি সেনাসদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সাবেক ও বর্তমান কিছু সদস্য দেশের গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছিল। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর এই চক্রান্ত সেনাবাহিনী জানতে পারে। এরপর ঘটনা তদন্তে ২৮ ডিসেম্বর একটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তদন্ত কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। সেনাসদরের তদন্ত আদালতের অগ্রগতি নিয়ে পদস্থ কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। তাঁদের বৈঠকে বলা হয়, একটি আদালত দিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবার তদন্ত একসঙ্গে করা সময়সাপেক্ষ হবে। তদনত্ম স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে হলে সংশিস্নষ্ট সেনানিবাসেই আদালত গঠন করতে হবে। সেনা অভ্যুত্থানের চক্রানত্মের সঙ্গে যেহেতু পাঁচটি ক্যান্টনমেন্টের কয়েক কর্মকর্তার নাম এসেছে,-সেহেতু পাঁচটি সেনানিবাসেই পৃথক আদালত গঠন করা হোক। এমন সিদ্ধান্তের আলোকেই ঢাকার বাইরে পাঁচটি তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকার বাইরে রংপুর, বগুড়া, কুমিলস্না, ঘাটাইল ও সাভারে একজন করে কর্মকর্তার সংশিস্নষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। এঁরা সবাই মেজর পর্যায়ের কর্মকর্তা। যদিও এসব কর্মকর্তাদের ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের লগ এরিয়ায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
সেনা সূত্র জানিয়েছে, লগ এরিয়ায় সংযুক্ত থাকা কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে অভ্যুত্থান সম্পর্কে নানা তথ্য পাওয়া গেছে। এতে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কর্মকর্তার সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এখন পর্যন্ত দুই ডজনের বেশি কর্মকর্তাকে লগ এরিয়াতে সংযুক্ত করা হয়েছে। যদিও ১৯ জানুযারি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, এ ঘটনার সঙ্গে সেনাবাহিনীর মধ্যম পর্যায়ের ১৪ থেকে ১৬ কর্মকর্তা জড়িত থাকতে পারেন।
এদিকে অভ্যুত্থান-চেষ্টায় বিদেশ থেকে ইন্ধন যোগানো প্রবাসী বাংলাদেশী ইশরাক আহমেদকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
__._,_.___