চট্টগ্রাম, ফেব্র"য়ারি ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- এ বছরের মধ্যেই দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার দুপুরে সন্দ্বীপে 'সোলার হোম সিস্টেম' বিতরণ এবং বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন কর্মসূচি উদ্বোধন করে তিনি বলেন, "দায়িত্ব নিয়েই আমরা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের রেখে যাওয়া বিদ্যুৎ ঘাটতি মোকাবিলায় দ্রুত, স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করি। ইতোমধ্যে আমরা প্রায় ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করেছি। চলতি বছরের মধ্যেই বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করছি।"
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ২০১৩ সালের মধ্যে ৭ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০১৫ সালের মধ্যে ৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছে। আর ২০২১ সাল নাগাদ ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকার গ্যাসের ব্যবহার ছাড়াও কয়লা এবং পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানির ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।"
সৌর বিদ্যুৎ এবং বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ইনফ্রাস্টকাচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ইডকলের) অর্থায়নে নতুন করে ১০ লাখ সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ এবং ২০ হাজার বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপন কর্মসূচির উদ্বোধন করতে সকালে সন্দ্বীপ পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে সরকার সৌর বিদ্যুতের জন্য আমদানি করা যন্ত্রাংশের ওপর কর সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে এবং ইডকলের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিচ্ছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মানুষের দোরগোড়ায় পরিবেশবান্ধব জ্বালানি পৌঁছে দিতে ইডকলের মাধ্যমে বায়োগ্যাস প্ল্যান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিকেলে সরকারি হাজী আব্দুল বাতেন কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রামের এই দ্বীপ উপজেলায় এটাই তার প্রথম সফর। এর আগে ১৯৯৯ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর সন্দ্বীপ সফর করেছিলেন শেখ হাসিনা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমসি/এসইউএম/এসইউ/জেকে/১৬৫৪ ঘ.