ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ১৮ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষকে ভাল না বেসে যুদ্ধাপরাধীদের জন্য চোখের পানি ফেলছেন। শনিবার তিনি বলেন, "বিরোধীদলীয় নেতা দেশ ও জনগণের জন্য কাজ না করে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।" "যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার এ দেশের মাটিতে অবশ্যই হবে।" বিকালে সন্দ্বীপ সরকারি হাজী এবি কলেজ সংলগ্ন মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন। জনগণের শান্তির জন্য আওয়ামী লীগ দেশে সুশাসন বজায় রাখতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, "অন্যদিকে বিএনপি চায় সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতি।" কারা ক্ষমতায় যাবে, কারা যাবে না তা জনগণই নির্ধারণ করবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কাদের ভোট দেবেন সেটা আপনাদের অধিকার। যদি আপনারা মনে করেন, আমরা ভোট দেওয়ার উপযুক্ত নই, তাহলে আমাদেরকে ভোট দেবেন না।" "কিন্তু যদি মনে করেন, উন্নয়ন অব্যাহত রাখা প্রয়োজন, তাহলে আমাদেরকে ভোট দিতে পারেন।" যারা দুর্নীতি করেছে এবং দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে মদদ যুগিয়েছে তাদের সম্পর্কে জনগণকে সজাগ থাকার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অপকর্মের জন্য বিএনপিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "সরকারি অর্থ লুটকারীদের জনগণ পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চায় না।" আওয়ামী লীগকে জনগণের দল অভিহিত করে শেখ হাসিনা বলেন, "২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সন্দ্বীপের লোকেরা আওয়ামী লীগকে ভোট না দিলেও বর্তমান সরকার এই উপজেলায় বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করেছে।" ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত 'ক্যাডারদের' রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী লীগ সহস্রাধিক নেতা-কর্মী সন্দ্বীপ ছেড়ে চট্টগ্রামে আশ্রয় নেন বলে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, তার সরকারের তিন বছরের শাসনামলে সন্দ্বীপে প্রতিহিংসার একটি ঘটনাও ঘটেনি। শেখ হাসিনা বলেন, "চারদলীয় জোট সরকার সন্দ্বীপ উপজেলার মানুষকে দুর্ভোগে ঠেলে দিয়ে ১১টি সাইক্লোন সেন্টার ও ফেরিঘাট বিক্রি করে দেয়।" গত তিন বছরে সন্দ্বীপের উন্নয়নে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বর্তমানে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী জাহাজের পরিবর্তে শিগগিরই দু'টি নতুন জাহাজ চলাচল করবে। দ্বীপ উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত সব বেড়ি বাধ পুনঃনির্মাণ করা হবে।" সন্দ্বীপ থেকে উড়ির চর পর্যন্ত সংযোগ বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে সমীক্ষা চালাচ্ছে। যদি বাঁধ নির্মাণপোযোগী হয় তাহলে এক্ষেত্রে সরকার উদ্যোগ নেবে।" বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসইউএম/পিডি/২২৫৫ ঘ. |