Banner Advertiser

Saturday, February 18, 2012

Re: [mukto-mona] Daily Amardesh --Khaleda Zia's speech in Lakkhipur--no election without non-party government--otherwise exit of government through people's movement

This is a preposterous statement by the opposition party leader. Let me understand this - Khaleda Zia is saying that if her demand for the Care-Taker government is not fulfilled she will create so much trouble for the democratically elected government that they will have to resign. This is a total disrespect for the people's verdict. Her demand is a pure political one, nothing to do with the concern for the wellbeing of the people of Bangladesh.

Would this be tolerated in the Western democracy? I do not think so. Based on a single political demand of the opposition party, a sitting democratically elected government can be dethroned in the midterm only in a third-world backward country, like Bangladesh. If her threat really begin to come into fruition, she should be held responsible for destabilizing the law and order situation in the country, which could damage country's economy and put ordinary people in an untold misery and despair. She has no right to create misery for the people just to regain her power, when she has been already rejected by the people in the earlier election. What a marvelous democratic system in Bangladesh!  

Jiten Roy

--- On Sat, 2/18/12, S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com> wrote:


From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
Subject: [mukto-mona] Daily Amardesh --Khaleda Zia's speech in Lakkhipur--no election without non-party government--otherwise exit of government through people's movement
To: dahuk@yahoogroups.com, mukto-mona@yahoogroups.com, khaledsalam2525@gmail.com, "'sahannan'" <sahannan@yahoogroups.com>, lutfulb2000@yahoo.com, "'abdul aziz'" <azizbiit@gmail.com>
Date: Saturday, February 18, 2012, 8:14 PM

 
 

তত্ত্বাবধায়ক না মানলে আন্দোলনে বিদায় : লক্ষ্মীপুরের জনসভায় খালেদা জিয়া

মো. কাউছার আজাদ ভুঁইয়া লক্ষ্মীপুর থেকে

বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, রাজনীতির বল এখন সরকারের কোর্টে। গণতন্ত্র সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় হয় নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করুন, নইলে বিদায় নিন। তিনি বলেন, জনগণের দাবি না মানলে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ থেকে এমন কর্মসূচি দেব, যাতে হয় সরকার তত্ত্বাবধায়ক পদ্ধতি পুনর্বহাল করবে নতুবা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে বাধ্য হবে।
গতকাল লক্ষ্মীপুর জেলার আদর্শ সামাদ স্কুল মাঠে এক বিশাল প্রতিবাদ-সমাবেশে খালেদা জিয়া বলেন, ঢাকায় আমরা গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব। সে কর্মসূচিতে বাধা দিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় সরকারকেই নিতে হবে। কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য না করতে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা জেলায় জেলায় সন্ত্রাস সৃষ্টি করে মাঠ দখলের চেষ্টা করছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, গডফাদাররা স্বৈরাচারী সরকারকে টিকিয়ে রাখতে পারবে না। গত ২৯ জানুয়ারি বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী রাজনৈতিক জোটের গণমিছিলে পুলিশের গুলিতে দুই বিএনপিকর্মী কাশেম রবিউল ইসলাম রুবেল নিহত হওয়ার প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপি সমাবেশের আয়োজন করে। চলতি মাসে দেশের তিন জেলা সফরের মধ্যে এটি খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় কর্মসূচি। সফরের মাধ্যমে তিনি প্রায় তিন বছর পর আবার লক্ষ্মীপুরে এলেন। সেখানে তিনি শহীদ বিএনপি নেতাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করে সমবেদনা জানান।
রাজপথে পুলিশের গুলিতে নিহতের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরকারের তিন বছরের শাসনে ব্যর্থতা এবং দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রায় এক ঘণ্টা বক্তৃতা করেন। বক্তব্যের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল ১২ মার্চ ঢাকা চলো কর্মসূচি তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল ইস্যু। সমাবেশ শুরুর আগে নিহত দুই নেতার পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতা করেন বেগম খালেদা জিয়া। গণমিছিলে আহত নেতাকর্মীদের চিকিত্সার জন্য এক লাখ টাকা সহযোগিতা করেন তিনি। একই সঙ্গে ওই ঘটনায় করা মামলা প্রত্যাহার আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি থাকে না। প্রবীণ সাংবাদিক নির্মল সেন কয়েক দিন আগে নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন—'স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই' তিনি ১৯৭২-৭৫ সালেও ধরনের একটি লেখা লিখেছিলেন। তিনি বলেন, আজ দেশে প্রতিদিন গুম-খুন হচ্ছে। এখানে-সেখানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। সরকারের আমলে ১২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে সাংবাদিক হত্যা করা হয়েছে ১৪ জন। সাংবাদিকদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। তিনি সম্প্রতি সাংবাদিক দম্পতি হত্যার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করার ক্ষমতা তাদের নেই। এর মধ্যে তাদের কোনো মতলব ছিল। কেন আজ খুনিদের ধরা হয় না, ধরতে পারে না? আসলে আওয়ামী লীগ খুনের রাজনীতি করে। তারা শুধু রক্ত চায়। তাদের হাতে শুধু রক্ত আর রক্ত। সরকার খুনি লুটেরা সরকার।
খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র নয়, সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে। তারা প্রতি জেলায় গডফাদার পালন করে। লক্ষ্মীপুরেও তাদের একজন গডফাদার আছে। যে আমাদের নেতা নুরুল ইসলামকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল। তার এক ছেলেকে শাস্তি দেয়া হলেও সরকার তাকে ক্ষমা করেছে। তবে ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সরকার এবার প্রতিটি জেলায় একাধিক গডফাদার পালন করছে।
তিনি দেশের মা-বোনদের উদ্দেশে বলেন, চোখের পানি ফেলার সময় শেষ হয়েছে। এখন রুখে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমি মা-বোনদের রাজপথে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমিও একদিন মা ছিলাম। দেশের প্রয়োজনে রাজপথে, রাজনীতিতে এসেছি। আপনাদের রাজনীতিতে আসতে বলছি না, তবে অন্যায়ের প্রতিবাদে অংশ নিতে বলছি। আপনাদের রাজপথের আন্দোলনে নামতে হবে।
বিএনপি কখনও জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না দাবি করে খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়। পার্শ্ববর্তী দেশ তাদের অস্ত্র দেয়। তারা দেশের ভেতরে এসে গণ্ডগোল করে। অতীতে জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছিলাম। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কঠোরভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হবে।
গণমিছিলে পুলিশি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে তিনি বলেন, হত্যাকারী পুলিশ হোক আর আওয়ামী লীগের হোক, তাদের গ্রেফতার কেন করা হচ্ছে না। তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। এলাকাবাসী তাদের বিচার চায়। সরকার না করলে ভবিষ্যতে আমরা তা করব।
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেন, দেশের মানুষ বড় দুঃখ-কষ্টে আছে। তাদের কোনো কাজ নেই, কিন্তু দ্রব্যমূল্য দিন দিন বাড়ছে। দেশে কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে না। সরকারের লোকজন টেন্ডার বিনা টেন্ডারে লুটপাট করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময়ে কৃষি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তারা বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে ব্যস্ত। কারণ এতে কমিশন পাওয়া যায়। তিনি লক্ষ্মীপুরবাসীর উদ্দেশে বলেন, আপনারা কি সরকারের লোকজনকে প্রশ্ন করতে পারেন না, কেন তারা তাদের নির্বাচনী অঙ্গীকার পূরণ করে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশে দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে, গরিবি সৃষ্টি করেছে। দেশকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার কখনও জনগণের জন্য কাজ করতে পারে না।
তিনি বলেন, যে সরকার মানুষকে ভাত দিতে পারে না, কাপড় দিতে পারে না, সীমান্ত রক্ষা করতে পারে না, তাদের ক্ষমতায় থাকার কোনো অধিকার নেই। মানুষ এখন সরকারের হাত থেকে মুক্তি চায়। অপদার্থ খুনি সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। তারা সহযোগিতা নেয় না, উল্টো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। তারা ক্ষমতায় আসার এক মাসের মাথায় পিলখানায় সেনা কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ড করেছে। বিচার করতে পারেনি, নামমাত্র বিচার করছে। আসল খুনিদের পার করে দিয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, জোট সরকারের আমলে বিদ্যুতের সমস্যা প্রকট ছিল না। কিন্তু সরকার বিদ্যুত্ নিয়ে আমাদের সব পরিকল্পনা বাতিল করেছে। তারা সরকারি কেন্দ্রগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে বিকল করেছে। যাতে মানুষ বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করে আর সে সুযোগে তারা বিনা টেন্ডারে আত্মীয়স্বজনকে দিয়ে সিন্ডিকেট করে কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্ উত্পাদনের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে। এটা ছিল সরকারের কৌশল। এভাবেই তারা একে একে শিল্পকারখানা বন্ধ করে দিচ্ছে আর ভারতীয় কোম্পানি তা কিনে নিচ্ছে। এখন ওষুধ শিল্পের দিকেও তাদের নজর পড়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার ভারতকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে ট্রানজিট দিয়েছে। ট্রানজিট দেয়া হলে স্বাধীনতা থাকবে না। আমরা বলতে চাই, আওয়ামী লীগের হাতে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়। তাই জনগণের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিন। দেশ নিরাপদে থাকবে।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে খালেদা জিয়া বলেন, আমরাও বন্ধুত্ব চাই। তবে একতরফা নয়, সমান মর্যাদায়। সমান দেয়া-নেয়ায়। মাথা উঁচু করে। তবে সরকার যেসব গোপন চুক্তি করেছে তাতে দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দেয়া হয়েছে। সংসদে বা দেশবাসীকেও কিছু জানানো হয়নি। এসব কথা বললে অভিযোগ করা হয়, আমরা নাকি ভারতবিরোধী। এটা ঠিক নয়। আমরা কারও পক্ষেও নই, বিরোধীও নই। আমরা জনগণের পক্ষে। তাই জনগণের দাবি আদায়ে আমরা প্রতিবাদ করে যাব।
তিনি বলেন, ভারত আমাদের গঙ্গার পানি দেয়নি। এখন বলছে তিস্তার পানি দেবে না। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, এটা আমাদের দাবি নয়, অধিকার। আন্তর্জাতিক নদীর পানিতে আমাদের সমান অধিকার আছে। কিছুদিন আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। তিনি সবকিছু নিয়ে গেছেন, কিছু দিয়ে যাননি। আমাদের সরকার এটা আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে।
খালেদা জিয়া বলেন, ভারত নাকি আওয়ামী লীগের বন্ধু। কিন্তু প্রতিদিনই সীমান্তে তারা গুলি করে বা পিটিয়ে বাংলাদেশী হত্যা করছে। নোম্যান্স ল্যান্ডে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে। সরকারের কিছু বলার ক্ষমতা নেই। এমনকি সরকারের নির্দেশ না পাওয়ায় সীমান্তরক্ষীরা পালন করছে নীরব দর্শকের ভূমিকা।
খালেদা জিয়া বলেন, গ্যাস-বিদ্যুতের কারণে টেক্সটাইল স্পিনিং মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভারত আমাদের শিল্পকারখানাগুলো কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এখন তাদের নজর ওষুধ শিল্পের ওপর। সেটা তারা দখলে নিতে চাচ্ছে।
মহাজোট সরকারের খায়েশ হয়েছে চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকারঅভিযোগ এনে তিনি বলেন, জন্য তারা ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলছে। কিন্তু ডিজিটাল হচ্ছে জনগণকে অভুক্ত রাখা, অন্ধকারে রাখা, শিল্পকারখানা বন্ধ করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মারামারি সব ক্ষেত্রে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা। দেশের মানুষ রকম ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতে চায় না। তিনি বলেন, জন্য তারা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে। কিন্তু এখনও আদালত পূর্ণাঙ্গ রায় দেয়নি, যা দিয়েছে তাতেও আগামী দুই মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করার কথা বলেছে। অথচ সরকারের জন্য তারা অতীতে সব ধরনের নৈরাজ্য করেছে। খালেদা জিয়া বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দুই দলই ক্ষমতায় এসেছে। পদ্ধতিতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে। শুধু তাই নয়, তারা তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করেও আস্থা রাখতে পারছে না। তাই নিয়ে এসেছে ইভিএম যন্ত্র। এটা কারচুপির বড় হাতিয়ার।
খালেদা জিয়া বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নিজেদের অধীনে নির্বাচন। যেখানে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এমপিরা স্বপদে থাকবেন। প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। নির্বাচন কমিশনে প্রভাব খাটাবেন। কিন্তু এটা হবে না। হতে দেয়া হবে না। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে কখনও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। এখন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। গণতন্ত্র নির্বাচন ব্যাহত হলে সরকারকেই দায় নিতে হবে।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতি করে। আরেকবার সুযোগ দিয়ে দেখেন আমরা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করব। কৃষি উন্নয়ন করব, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখব শিক্ষায় ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাব।
খালেদা জিয়া বিচার বিভাগের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, আপনারা জনগণের কথা ভেবে, দেশের কথা ভেবে নিরপেক্ষভাবে বিচার করুন। কারণ মানুষ আল্লাহর পর আপনাদের ওপর ভরসা করে, আশ্রয় খোঁজে। তাই প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি দিন, নিরপরাধের প্রতি সদয় হোন। একইভাবে তিনি পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করবেন না। যদি করেন আগামীতে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করলে পুরস্কারেরও ব্যবস্থা করা হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের ভুঁইয়া এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, . আবদুল মঈন খান, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহাজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান সরোয়ার, গোলাম আকবর খন্দকার, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক, স্থানীয় সংসদ সদস্য শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আশরাফউদ্দিন নিজাম, নাজিমউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এহছানুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, কর্নেল (অব.) আবদুল মজিদ, রেহেনা আক্তার রানু এমপি, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাইফুল আলম নীরব, সরাফত আলী সফু, শফিউল বারী বাবু, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দীপু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মাওলানা মফিজুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন টিপু, ইয়াছিন আলী, হারুন অর রশিদ, রেজাউল করিম, আনু মো. শামীম, শাহ মো. এমরান, মাজহারুল ইসলাম ভুঁইয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন সাবু সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুর রহমান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত ২৯ জানুয়ারির গণমিছিলে আওয়ামী লীগের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী বেপরোয়া গুলি চালিয়ে দুই কর্মীকে হত্যা করেছে। সরকার সে হত্যাকাণ্ডের বিচার তো করেইনি, উল্টো বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, খুনিরা দলীয় লোক বলে তাদের বিচার করেনি। কিন্তু এলাকার জনগণ কথা ভুলে যাবে না। তারা হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়। সরকারের আমলে এর বিচার না হলেও আমরা ক্ষমতায় গেলে হত্যাকাণ্ডের বিচার করব।
পথে পথে রোডমার্চের আবহ : ঢাকা থেকে বেলা পৌনে ১১টায় রওনা করেন খালেদা জিয়া। পথে পথে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছার পথ বেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় তিনি লক্ষ্মীপুর সার্কিট হাউসে পৌঁছেন। লক্ষ্মীপুর যাওয়ার পথে কুমিল্লার সদর দক্ষিণের বিজয়পুর নামক স্থানে গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন পঙ্গু গরিব মহিলার খোঁজখবর নেন। তাদের সান্ত্বনা দিয়ে কিছু টাকা সাহায্য করেন তিনি।
ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করে সায়েদাবাদ থেকেই কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত অনেকটা রোডমার্চের আবহ তৈরি হয়। সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, সাবেক কমিশনার নবীউল্লাহ নবী, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সমর্থকরা ব্যাপক শোডাউন করেন। তাদের অনুসারী হাজার হাজার নেতাকর্মী রাস্তার দু'পাশে ব্যানার, ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে প্রিয় নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানান।
কুমিল্লার লাকসাম থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে বরণ করতে নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়। লাকসাম মোহনগঞ্জে সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম ব্যাপক শোডাউন করেন। এছাড়া গফুর ভুঁইয়ার সমর্থকরাও শোডাউন করেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে ব্যারিস্টার মাহবুুবউদ্দিন খোকন বেগমগঞ্জে বরকত উল্লাহ বুলুর সমর্থকরা রাস্তার দু'পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানান। বেগমগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত কয়েকশ' তোরণ নির্মাণ করা হয়। রাস্তার দু'পাশে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ স্থানীয় নেতাদের ছবিসংবলিত পোস্টার ছিল চোখে পড়ার মতো। কুমিল্লার বাগমারা ইউনিয়ন নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের একটি তোরণ ভেঙে ফেলেছে। এদিকে জনসভাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুর জেলায় উত্সবের শহরে পরিণত হয়। জেলার বিভিন্ন থানা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে থাকে। দুপুরের পর স্কুল মাঠে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত লোকজন আশপাশের রাস্তায় অবস্থান নেন। প্রতিবাদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্মীপুরজুড়ে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নজরদারি। সমাবেশ শেষে খালেদা জিয়া সার্কিট হাউসে কিছুক্ষণ বিশ্রামের পর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন