আব্দুর রহিম হারমাছিপ্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ২৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারো ১০ বিলিয়ন (এক হাজার কোটি) ডলার ছাড়িয়েছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহ এবং রপ্তানি আয় বাড়ার কারণে রিজার্ভ এই সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছেছে বলে মনে করেন গভর্নর আতিউর রহমান।
সোমবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, "আমাদের অর্থনীতির জন্য এটি একটি ভালো খবর। মূলত রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ার কারণেই রিজার্ভ এই অবস্থানে পৌঁছেছে। আগামীতে এই রিজার্ভ আরো বাড়বে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
আমদানি ব্যয় হ্রাস রিজার্ভ বাড়ার অন্যতম একটি কারণ বলে জানান গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ১০ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার। মাস দেড়েক আগে এটি ৮ দশমিক ৮০ বিলিয়ন বা ৮৮০ কোটি ডলারে নেমে এসেছিলো। তবে মাস ছয়েক আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিলো ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি।
আতিউর রহমান বলেন, "কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্যের আমদানি কমেছে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে। এ ছাড়া সঙ্কোচনমূলক মুদ্রানীতির কারণে আমদানি ব্যয় কমে আসায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। আশা করছি রিজার্ভ আর কমবে না, বরং বাড়তেই থাকবে।"
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। জানুয়ারি মাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এক দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছিলো।
চলতি ফেব্র"য়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত রেমিটেন্স এসেছে দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, এ সময়ে রপ্তানি আয় আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ১৪ শতাংশের মতো।
একই সময়ে শুধু জ্বালানি তেল ছাড়া খাদ্য (চাল-গম), মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামালসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির এলসি খোলার পরিমাণ বেশ কমেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এআরএইচ/এএল/২১৫৮ ঘ.