From: lutful bari [mailto:smlbari@gmail.com]
Sent: Friday, March 16, 2012 12:27 PM
To: sahannan sahannan; lutfulb2000@yahoo.com; dahuk@yahoogroups.com
Subject: In sea line case - both parties have been benefited
http://www.dailynayadiganta.com/details/35383
'সমুদ্রসীমা বিরোধে হারজিত সমানে সমান'
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তিকারী সমুদ্র আইনবিষয়ক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের (ইটলস) জার্মান বিচারপতি রুডিজার উলফরাম বলেছেন, 'এ রায়ের ফলে উভয় পক্ষই কিছু জিতেছে, কিছু হারিয়েছে।'
বার্লিন থেকে গতকাল বার্তা সংস'া এএফপি বিচারকের এ উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, জাতিসঙ্ঘের অধীন আদালত বুধবার বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সমুদ্রসীমার বিরোধ অবসান করেছে। বঙ্গোপসাগরের সম্পদসমৃদ্ধ সমুদ্রসীমার অধিকার নিয়ে জটিল এ বিরোধ উভয় জাতিকে ঘন ঘন মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছিল। জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হামবুর্গে ইটলস প্রেসিডেন্ট বিচারপতি জস লুইস জিসাস দুই ঘণ্টার রায়ে উভয় দেশের জন্য নতুন সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, যা একটি সমঝোতা বলে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। মিয়ানমারের পরিমাপপদ্ধতির পক্ষাবলম্বন করেও রায়ে বাংলাদেশকে অধিক সমুদ্রসীমা দেয়া হয়েছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স'ান থেকে আসা ইটলসের ২৩ জন বিচারপতির সিদ্ধান্তে এ রায় দেয়া হলেও এর কিছু অংশ সম্পর্কে তাদের কেউ কেউ ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণিও স্বীকার করেছেন যে, এটা উভয় পক্ষের জন্যই বিজয় ছিল। তিনি বলেছেন, ঢাকা এখন বঙ্গোপসাগরে বিতর্কের বাইরে থাকা সমুদ্রসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান শুরু করতে পারবে।
সমুদ্রসীমা নিয়ে দীর্ঘদিনের এ বিরোধের একপর্যায়ে ২০০৮ সালে দুই দেশের সামরিক বাহিনী মুখোমুখি অবস'ান নেয়। সে সময় বাংলাদেশ অভিযোগ করে যে, মিয়ানমার বঙ্গোপসাগরের বিতর্কিত অঞ্চলে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করছে। তেল-গ্যাস অনুসন্ধানকারী দক্ষিণ কোরীয় কোম্পানি দাইয়ুর সমর্থনে মিয়ানমার নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ পাঠালে বাংলাদেশও পাল্টা জবাব দেয়। পরিসি'তি শান্ত হওয়ার আগে উভয় দেশের স'লসীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করা হয়।
মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ইটলসের রায় মেনে চলতে সম্মত হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের সুযোগ নেই। মিয়ানমারের মতো ভারতের সাথেও ২০১৪ সালে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিষ্পত্তির আশা করছে বাংলাদেশ।
এ দিকে ইটলসের রায় সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণি এক বিবৃতিতে বলেছেন, এটি শুধু বাংলাদেশের জন্যই নয়, মিয়ানমারের জন্যও একটি বিজয়। কেননা এই রায়ের মাধ্যমে উভয় দেশ আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটিয়েছে। এখন দুই দেশ নিজ নিজ এলাকায় সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
এই আইনি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
__._,_.___