What is going on in Bangladesh one after another?
|
Wed 7 Mar 2012 10:30 PM BdST
|
নীলফামারী, ৭ মার্চ (আরটিএনএন ডটনেট)-- সৈয়দপুরে লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে বোরকা ও স্কার্ফ পরিধান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ড্রেসকোড পালনের অজুহাতে এ মৌখিক নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছে পর্দা পালনে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকার প্রতিবাদে সোচ্চার হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় দিন দিন ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
জানা গেছে, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে অ্যাসেম্বিলি চলাকালে কর্তৃপক্ষ উপস্থিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেয় যে, আজ থেকে স্কুলে আসতে হলে বোরকা বা স্কার্ফ পরা চলবে না। এরপরও কেউ তা পরে তাকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট (টিসি) নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
পরদিন কিছু শিক্ষার্থী বোরকা ও স্কার্ফ পরে স্কুলে গেলে তাদের বোরকা ও স্কার্ফ ক্লাসে গিয়ে খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অনেকে না খোলার কারণে তাদেরকে ক্লাসে অপমান করা হয় এবং সিন্ধান্ত অনুসরণে কঠোরভাবে পুনরায় নির্দেশ দেয়া হয়।
এরপরও গত শনিবার কোনো কোনো ছাত্রী বোরকা ও স্কার্ফ পরে গেলে তাদের অ্যাসেম্বিলির সময় সবার সামনে তা খুলতে বাধ্য করা হয়। এর পর বিষয়টি ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকসহ সৈয়দপুরের সচেতন মহলে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় গত রবিবার ২০-২৫ জন অভিভাবক স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে যান। এসময় বিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ রেয়াজুল ইসলাম রাজুসহ পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান লায়ন নজরুল ইসলাম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম কিশোর উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবকরা হঠাৎ করে বোরকা ও স্কার্ফ পড়া নিষিদ্ধ করার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, 'হঠাৎ করে বন্ধ করা হয়নি। আমরা কখনো এটা অনুমোদন করিনি। আমাদের ড্রেস কোড অনুযায়ী বোরকা বা স্কার্ফ পরা কখনো অনুমোদিত ছিল না।'
এসময় অভিভাবকরা জানতে চান, তাহলে আগে থেকে ছাত্রীরা বোরকা বা স্কার্ফ পরে আসছে কিভাবে?
এসময় শিক্ষক কিশোর বলেন, 'এতোদিন তেমনভাবে বাধা দেয়া প্রয়োজন মনে করিনি। এতে যেভাবে এর ব্যবহার বেড়ে গেছে, তা স্কুল না মাদরাসা সে পার্থক্য থাকছে না। এতে পরিবেশে বিঘ্ন ঘটছে, ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।'
চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে বলেন, 'হঠাৎ করে নিষেধ করা হয়নি, আগে থেকেই বলা আছে।'
এসময় অভিভাবকরা জানতে চান, 'বিষয়টি ভর্তির সময় বলা হয়নি কেন? তাছাড়া নতুন ক্লাশ শুরু হওয়ার প্রায় দুই মাস পর কেন এভাবে বলা হচ্ছে?'
জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, 'এতোই যদি পর্দা করার ইচ্ছা থাকে তাহলে মাদরাসায় যান। এখানে পড়ানোর দরকার নেই। প্রয়োজনে টিসি দেয়া হবে। ভর্তির সময় প্রসপেক্টাস দেখেননি? ভর্তি ফরমে স্বাক্ষর করার সময় ড্রেসকোড মেনেইতো ভর্তি করিয়েছেন।'
এসময় তিনি প্রসপেক্টাস ও ভর্তি ফরম দেখিয়ে ড্রেসকোড বর্ণনা করেন। এতে বলা আছে, মেয়েরা সেলোয়ার কামিজ, ওড়না, এ্যাপ্রোন পড়বে।
প্রতিক্রিয়ায় অভিভাবকরা তখন বলেন, 'এখানেতো বোরকা বা স্কার্ফ পরা যাবে না এমন কোনো নির্দেশনাও নেই। তাহলে এ ব্যাপারে বাধা দেয়া হচ্ছে কেন?'
এসময় শিক্ষক কিশোর বলেন, 'এভাবে পর্দার কথা বললে তো আপনারা প্রথমেই ভুল করেছেন সহশিক্ষার প্রতিষ্ঠানে মেয়ে ভর্তি করিয়ে। আপনাদের সন্তানরা কি বাসায় বোরকা বা স্কার্ফ পড়ে?'
তিনি বলেন, 'স্কুলে বোরকা বা স্কার্ফ ছাড়া থাকলে সমস্যা কোথায়? এখানে আমরা শিক্ষকরা পিতা বা বড় ভাইয়ের মত। এখানে কোনো সমস্যা হলে তখন আমাদের বলবেন।'
কিশোর বলেন, 'আমরাও মুসলমান, আমাদের সেন্টিমেন্টও আপনাদের মতো। আমরাও ইসলাম বুঝি। মনের পর্দাই আসল। অতএব এ নিয়ে আর কোন কথা শুনতে চাই না। এতোদিন ছাড় দেয়ায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে টিকে থাকতে সমস্যা হচ্ছে। তাই ড্রেস কোড বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।'
এসময় উপস্থিত অভিভাবকরা কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পুর্নবিবেচনার অনুরোধ করলে জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, 'এটা সম্ভব নয়। আমরা চাপের মধ্যে আছি।'
তিনি বলেন, 'প্রয়োজনে বাসা থেকে বোরকা বা স্কার্ফ পরে এসে স্কুলের গেটে খুলে ফেলবে এবং ক্লাস করে যাওয়ার সময় আবার পরে যেতে পারবে। এতে আমাদের কোন বাধা থাকবে না। শুধু মাত্র ক্লাসে কোনোভাবেই বোরকা ও স্কার্ফ অনুমোদন করা হবে না।'
পরে চেয়ারম্যান ও অধ্যক্ষ উপস্থিত দুজন সাংবাদিককে প্রশাসনিক চাপের বিষয়ে জানান এবং ধৈর্য্য ধরার জন্য অনুরোধ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত মহল অযথা গুজব ছড়িয়েছে।
এদিকে, এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারদলীয় কয়েকজন নেতা জানান, স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। যেমনটি হয়েছে ঢাকার রাজউক কলেজে।
আরটিএনএন ডটনেট/প্রতিনিধি/এসআই_ ২২২৭ ঘ.
|
Regards,
NK
' ' ,
'Awami League' is not a name of a political party, it's a name of disease of Bangladesh.
__._,_.___