Banner Advertiser

Tuesday, May 29, 2012

[mukto-mona] Re: [KHABOR] সাকা চৌধুরীকে ১৫-১৬ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন করিম : জবানবন্দিতে সিরাজুল ইসলাম

Hotel Dalim, near Cinema palace was severe torture camp.
13th april, i was in Raozan/Gohira too.
The news of killing to Nutun Singh was huge blow to local Hindus who has decided to leave Bangladesh for India 
Planning to escape India thru Kathirhat /Bibir hat/Ramgharh/Sabroom (India border) to Agartala.
We don't want to be Refugee anymore.
People must be punished this time at any cost

 

From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Monday, May 28, 2012 6:10:38 PM
Subject: [KHABOR] সাকা চৌধুরীকে ১৫-১৬ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন করিম : জবানবন্দিতে সিরাজুল ইসলাম

 

জবানবন্দিতে সিরাজুল ইসলাম

সাকা চৌধুরীকে ১৫-১৬ জনকে হত্যা করতে দেখেছেন করিম

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ২৮-০৫-২০১২

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরু বাঙালি জবানবন্দিতে বলেছেন, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল ঊনসত্তরপাড়ায় পাকিস্তানি সেনারা গণহত্যা চালানোর সময় সাকা চৌধুরী নিজ হাতে ১৫-১৬ জন নর-নারীকে হত্যা করেন। 'ক্যাপ্টেন' করিম এটা দেখেছেন।
বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল রোববার সিরাজুল ইসলাম দ্বিতীয় দিনের মতো জবানবন্দি দেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি জবানবন্দি শুরু করেন।
আসামির কাঠগড়ায় সাকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে জবানবন্দিতে সিরাজুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের ১৩ এপ্রিল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গহিরা, সুলতানপুর, জগৎমল্লপাড়া, ঊনসত্তরপাড়াসহ আশপাশের অনেক এলাকায় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। পাকিস্তানি সেনারা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয়, নির্বিচারে হিন্দুসম্প্রদায়ের লোকদের গুলি করে হত্যা করে। তবে 'ক্যাপ্টেন' করিমের মতে, সেদিন সবচেয়ে নৃশংস কাণ্ড ঘটেছিল ঊনসত্তরপাড়ায়। হিন্দুসম্প্রদায়ের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের নির্বিচার গণহত্যার সময় সাকা চৌধুরী নিজ হাতে ১৫-১৬ জন অসহায় নর-নারীকে হত্যা করেন। এটা করিমের চাক্ষুষ ঘটনা। এ সময় তিনি (করিম) কাপ্তাই হ্রদের রাস্তার পাশের একটি ঝোপে আত্মগোপন করেছিলেন।
সিরাজুল বলেন, করিমের কাছে এসব ঘটনা শুনে তিনি জানতে চান, হিন্দুসম্প্রদায়ের ওপর ফজলুল কাদের চৌধুরীর পরিবারের এত আক্রোশ কেন? জবাবে করিম জানান, এর কারণ ফজলুল কাদের চৌধুরী সত্তরে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক তরুণ কর্মীর কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। তাঁরা মনে করতেন, হিন্দুদের কারণে নির্বাচনে এই ভরাডুবি হয়েছে, এ জন্য হিন্দুদের ওপর তাঁরা নাখোশ ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের তৃতীয় সাক্ষী আরও বলেন, একাত্তরের ২১ মে চট্টগ্রামের রাউজান থানার কোয়েপাড়া গ্রামে করিম নামে বিমানবাহিনীর একজন করপোরাল প্রতিরোধ যোদ্ধাদের একটি দল গঠন করেন। তিনি সেই দলে যুক্ত হয়ে ১৬ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন অভিযানে অংশ নেন। এই দলে থাকাকালে করিম তাঁকে বলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে হাটহাজারীর তিন রাস্তার মোড় থেকে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মোজাফফর আহমেদ ও তাঁর ছেলে শেখ আলমগীরকে সাকা চৌধুরী ও তাঁর সঙ্গীরা অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। পরে তাঁদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়।
সিরাজুল বলেন, করিমের দলে থাকাকালে তিনি সাকা চৌধুরী ও তাঁর সহচর হাটহাজারীর সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমকে অ্যামবুশ করে খতম করার নির্দেশ পান। ১৪ জুন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি চট্টগ্রাম শহরের উত্তরে জালালাবাদ ঝরঝরিয়া বটতলী নামে একটি নির্জন জায়গায় শত্রু নিধনের ফাঁদ পাতেন। কিন্তু গহিরা থেকে সৈয়দ ওয়াহিদুল আলম ও সাকা চৌধুরী তাঁদের জিপে করে নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে রহমতগঞ্জের গুডস হিলে ফেরায় তাঁদের অভিযান ব্যর্থ হয়।
সাক্ষী বলেন, ২০ অক্টোবর ভারত থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে একটি গেরিলা দল নিয়ে তিনি দেশে ফেরেন। খাগড়াছড়ির বনে তিনি দলের সদস্য গহিরার বিভূতিভূষণের কাছে আরেকটি ঘটনা শোনেন। ওই ঘটনা অনুসারে, ১৩ এপ্রিল সকালে বিভূতি হাটহাজারী থেকে একটি সেনা কনভয়কে কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের দিকে যেতে দেখেন। বিভূতি একটি গাছে উঠে দেখেন, কুণ্ডেশ্বরীর প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহকে একজন পাকিস্তানি সেনা মন্দির থেকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। কিছুক্ষণ উর্দুতে কথোপকথনের পর পাকিস্তানি সেনারা চলে গেলেও সাকা চৌধুরী আবার দু-তিনজন সেনা নিয়ে ফিরে আসেন এবং গুলি চালানোর হুকুম দেন। পরে নিজের অস্ত্র দিয়েও কয়েকটি গুলি করে নূতন চন্দ্রের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
সিরাজুল বলেন, চট্টগ্রাম শহরে সাকা চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণাধীন আলশামস বাহিনী ছাড়াও ইসলামী ছাত্রসংঘের ক্যাডার গোষ্ঠী ছিল, যার নাম আলবদর। হোটেল ডালিমে ছিল তাদের নির্যাতনকেন্দ্র। ছাত্রসংঘের নেতা মীর কাসেম আলী এটি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন এমন দুজন হলেন—হাটহাজারীর ন্যাপ নেতা ও চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির একাধিকবার নির্বাচিত সভাপতি শফিউল আলম ও সাইফুদ্দিন আহমেদ খান।
বেলা একটার দিকে জবানবন্দি শেষে আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী আহসানুল হক একটি প্রশ্ন করে সিরাজুলকে জেরা শুরু করেন। পরে জেরা আজ সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবী: আদালত অবমাননার অভিযোগে ট্রাইব্যুনালের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিয়েছেন সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলাম। গতকাল ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রমের শুরুতে তিনি নোটিশের লিখিত জবাব ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৩১ মে দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
জবাবে উল্লেখ করা হয়, ১৪ মে এই মামলার প্রথম সাক্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে জেরায় তিনি (ফখরুল) জন্মস্থান জানতে চান। জেরায় আনিসুজ্জামান জন্মস্থান কলকাতা বললেও ১৯৫৫ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি খুলনাকে জন্মস্থান বলেছেন। আনিসুজ্জামানের এই অসত্য বক্তব্যকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি তাঁকে মিথ্যুক বলেছেন, কিন্তু তাঁর আরও মার্জিত (সফটার) শব্দ ব্যবহার করা উচিত ছিল। এ জন্য তিনি ট্রাইব্যুনালের কাছে নিঃশর্ত ও আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছেন।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে সাকা চৌধুরী: মধ্যাহ্ন বিরতি শুরু হলে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো সাকা চৌধুরী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কিসের সংলাপ, সংলাপ হবে সরকার কীভাবে দ্রুত প্রস্থান করবে সে বিষয়ে। সরকারের ইতিমধ্যে প্রসববেদনা শুরু হয়েছে। তাদের প্রস্থান নিয়ে সংলাপ হওয়া জরুরি। তিনি বলেন, নাজমুল হুদার মতো আরও দু-একজন যাঁরা আছেন, তাঁরা চলে গেলে আর জেলে যাঁরা আছেন তাঁরা বের হলে দল আরও শক্তিশালী হবে। এ সময় এজলাসে তাঁর আইনজীবীরা এবং পরিবারের একাধিক সদস্য, রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ও সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন।
সাঈদীর মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা: জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিনকে গতকাল একই ট্রাইব্যুনালে দ্বাদশ দিনের মতো জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। আজ আবার তাঁকে জেরা করা হবে।