'ভূতের' আছর থেকে খালেদাকে মুক্ত করবো: হুদা | ||||
|
বুধবার দুপুরে তোপখানা রোডে নিজের চেম্বারে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, "দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রভাবিত করছে বিএনপির অভ্যন্তরের কিছু ভূত। এই ভূতদের ম্যাডামের আশ-পাশ থেকে তাড়িয়ে তাকে সর্বাগ্রে মুক্ত করতে চাই। এই কাজটি করতে হলে দলের ভেতরে থেকে করা যাবে না, বহি®কৃত হতে হবে।
"তাই আমার কাজ হবে দলের বাইরে থেকে দলে শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে নতুন রাজনীতি শুরু করা", যোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের আমন্ত্রণ না জানানোয় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন ব্যরিস্টার নাজমুল হুদা।
এর আগে গত ২৩ মে সংবাদ সম্মেলন করে ৫ জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে অনুরোধ জানান হুদা।
দুর্নীতির অভিযোগে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া হুদাকে ২০১০ সালে 'সংগঠনবিরোধী' বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করেছিলেন খালেদা জিয়া। চেয়ারপার্সনের কাছে 'দুঃখ প্রকাশ' করে দলের ফেরার এক বছরের মাথায় নাজমুল হুদা এবার নিজেই দল ছাড়ার ঘোষণা দিলেন।
দলের ভেতরে 'ভূত' কারা জানতে চাইলে সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, "ওইসব ভূতদের নাম আমি বলতে চাই না। অবশ্যই শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে ওইসব ভূতদের বিতাড়িত করা হবে, দলকে পরিস্কার ও জঞ্জালমুক্ত করবো।"
বিএনপি 'ভূত' মুক্ত হলে আবার দলে ফেরার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
নতুন কোনো দল করার কথা ভাবছেন না জানিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, তবে বিএনপির ভেতরে যারা অবহেলিত, মূল্যায়ন হয়নি, যারা অবহেলার কারণে দল ছেড়ে চলে গেছেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। যা কিছুই করি তাদের নিয়ে করবো।
তিনি বলেন, "আমি বিএনপিকে জিয়ার লাইনে নিয়ে ফিরে আসতে চাই। আমি বিএনপিতে কোনো বিভাজন করছি না।"
দলের প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির সদস্য হুদা বলেন, জিয়া আলোকিত ছাত্রদের সন্ধানে হিজবুল বাহার করেছিলেন, ছাত্রদের শিক্ষাঙ্গন থেকে সরিয়ে তার আশপাশের সশস্ত্র ক্যাডার করার জন্য নয়। দেশের আলোকিত মানুষদের দেশের নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য জিয়া ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষিত করতে শিক্ষাঙ্গন সন্ত্রাস মুক্ত করেছিলেন। আজ কোথায় সেই আদর্শ? শুধু টেন্ডারবাজির জন্য ছাত্র রাজনীতির নামে ইচ্ছা করে ফেল করা ছাত্রত্ব বজায় রাখা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত একে একে জিয়ার কাছের লোকদের দল থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
"আমি এদের সবাইকে খালেদা জিয়ার পাশে আবার জড়ো করতে চাই। তৈরি করতে চাই একটি শক্তিশালী বিএনপি", প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নাজমুল হুদা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "ক্ষমতা হস্তান্তরের এই আন্দোলন অসাংবিধানিক। মেয়াদের আগেই এরকম আন্দোলনের মাধ্যমে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছর পর নির্বাচন হবে। এক বছরের মাথায় নির্বাচিত একটি সরকারকে ব্যর্থ বলছি। এটা সঠিক পথ নয়।"
হুদা আরো দাবি করেন, ১৯৮২ সালে খালেদা জিয়াকে রাজনীতিতে আনার পেছনে তৎকালীন বিএনপি মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে তিনিই কাজ করেছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এসএম/আরএ/এইচএ/১৮৫৫ ঘ.
__._,_.___