শুক্রবার, ১৭ জুন ২০১১, ৩ আষাঢ় ১৪১৮
ছাত্র শফিক, অধ্যক্ষ গোপাল মুহুরীকে প্রাণ দিতে হয় সন্ত্রাসীর বুলেটে
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ (৬)
তপন বিশ্বাস ॥ ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশজুড়ে শুরম্ন হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়ার অপরাধের দায় মেটাতে হয়েছে অসংখ্য সংখালঘু নারীকে ইজ্জত দিয়ে। ছাত্রলীগ করার অপরাধে পালিয়েও প্রাণ বাঁচাতে পারেনি অনেকে। পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে নাজিরহাট কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে খুন করা হয়েছে দিনে দুপুরে। জাতির পিতার নামে নামকরণ করায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মহাবিদ্যালয় লুট করে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয় এবং তাতে আগুন লাগিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। এ আঘাত সইতে না পেরে কেউবা অপ্রকৃতিস্থ হয়েছে সারা জীবনের জন্য। কেউবা অত্মহনন করেছে। কেউ কেউ মুখ বুঁজে সহ্য করলেও তাদের দীর্ঘ নিঃশ্বাস আজও স্মরণ করে ২০০১-এর সেই নির্বাচনকে। এই নারকীয় ঘটনায় অনেকে হাত-পা হারিয়ে চিরতরে পঙ্গু হয়েছে।
২০০১ সাল, নির্বাচন পরবর্তী ঘটনা বাংলাদেশে নতুন কলঙ্কের জন্ম দিয়েছে। সারা দেশে একযোগে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ল-ভ-, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী শক্তির নারকীয় তা-ব, হত্যা, ধর্ষণ, উচ্ছেদ, লুণ্ঠন, জোরপূর্বক চাঁদা আদায়, নির্যাতন ও অগি্নসংযোগসহ এমন কোন হীন কাজ নেই যা ঘটেনি। পাশবিক, জানত্মব আক্রোশ, হিংস্রতা। ঘটনার ৯ বছর পর হলেও সরকার তদনত্ম কমিশন করেছে। ইতোমধ্যে কমিশন তাদের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে। কিন্তু তার পরও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব রয়েছে। সরকারের এই ভূমিকায় জনমনে প্রশ্ন জেগেছে, তা হলে কিী লোকদেখানোর জন্য এই তদনত্ম কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পালিয়ে বাঁচতে পারেনি ছাত্রলীগ নেতা বুলেট ॥ ২০০১ সালের ১ অক্টোবর ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া উপজেলায় সংখ্যালঘু নারী-পুরম্নষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই তখন পালিয়ে বেড়ায়। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি গৌরনদী কলেজের ছাত্রলীগ নেতা শফিকুর রহামন বুলেট বেশ কিছুদিন পালিয়ে থেকে বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে ফিরে দেখে তার মা ভীষণ অসুস্থ। অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ কিনতে সে বাড়ি থেকে বের হয়। এ সময় গৌরনদী গোপাল শীলের সেলুন থেকে বিএনপি ক্যাডার কালু, সেলিম, মাসুদ, সুমন, রম্নবেল, স্বপন, বাবুসহ ১০/১২ জন তাকে ধরে শহরের খাদ্য গুদামের পাশে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালাতে শুরম্ন করে। প্রাণে বাঁচার লৰ্যে এক পর্যায়ে বুলেট পার্শ্ববর্তী খালে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিএনপি ক্যাডাররা তাকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। শফিকুর রহমান বুলেট বাড়িতে দু'দিন চিকিৎসা নেবার পর তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃতু্য হয়। এ ব্যাপারে গৌরনদী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-০৬, তারিখ ২৬-১১-২০০১। ধারা ৩০২/৩৪ দ. বি.। তদনত্ম শেষে আসামি ১. মাসুদ ওরফে হকার মাসুদ, পিতা- মধু মিয়া হাওলাদার, সাং-চরগাধাতলী, ২. রম্নবেল, পিতা- আব্দুর রহিম, ৩. স্বপন ওরফে ছোট স্বপন, পিতা-সেকান্ডার কুলি ওরফে কুদ্দা ওরফে সেকান্দার আরী বয়াতী, সাং-চরগাধাতলী, ৪. সজল, পিতা-মধু মিয়া হাওলাদার, সাং-চরগাধাতলী, ৫. সুমন কর্মকার, পিতা-অজ্ঞাত, সাং চরগাধাতলী, ৬. বাবু ওরফে শামীম মোলস্না, পিতা- মৃত হাতেম মোলস্না,, সাং-টিকাসার, ৭. জুয়েল, পিতা-মৃত বদিকুল ইসলাম খলিফা, সাং-কাশেমাবাদ, ৮. শাহ আলম খান, পিতা-জসিম উদ্দিন খান, সাং-টিকাসার, সর্ব থানা-গৌরনদী, বরিশাল। এদের বিরম্নদ্ধে গৌরনদী থানার অভিযোগপত্র নং-১৫, তারিখ-২৬-০১-২০০২ আদালতে দাখিল করা হয়।
অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকাণ্ড ॥ ২০০১ সালের ১৬ নবেম্বর, শুক্রবার। সকাল সোয়া ৭টার দিকে চার অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী যুবক ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর ব্যসত্মতম জামাল খান রোডের বাসায় হাটহাজারী কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) মাথায় স্বয়ক্রিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা সকলেই জামায়াত শিবিরের ক্যাডার। জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকা- ঘটায়। এই হত্যাকা-ের প্রতিবাদে ১৬ নবেম্বর চট্টগ্রাম মহানগরীর জামাল খান, মোমিন রোড এলাকায় অঘোষিত হরতাল পালিত হয়। রাসত্মাজুড়ে ছিল প্রতিবাদ মিছিল।
জামায়াত শিবিরের অবৈধ অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত নাজিরহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর নৃশংস হত্যাকা-ের ব্যাপারে তাঁর স্ত্রী রেলওয়ে অডিক কর্মকর্তা উমা মুহুরী বাদী হয়ে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোতোয়ালি থানার মামলা নং-৪২ তাং ১৬-১২-২০০১ ধারা ৩০২/১২০(খ)। মোট ১১ আসামির বিরম্নদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। বিচার শেষে গিট্টু নাসির, তসলিম উদ্দীন ওরফে মন্টু, আজম ও আলমগীর কবির ওরফে বাইজা আলমগীরের ফাঁসির আদেশ হয়। পরবর্তীতে গিট্টু নাসির ক্রস ফায়ারে মৃতু্য বরণ করে। আসামি মহিউদ্দিন ওরফে মাইন উদ্দীন, হাবিব খান, শাজাহান এবং সাইফুল ওরফে ছোট সাইফুলসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেয় আদালত।
নাজিরহাট কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী ছিলেন একজন আওয়মী লীগ ভক্ত। এছাড়া তিনি সকল ধরনের অন্যায়, অনিয়ম ও অবৈধ চাপের বিরম্নদ্ধে সোচ্চার থেকে কলেজ পরিচালন করতেন। এ কারণে জামায়াত-শিবিরের স্বার্থান্বেষী ক্যাডাররা তাঁকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়। হত্যাকা-টি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার বন্ধের দিনকে সন্ত্রাসীরা বেছে নিয়েছে।
অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীর মৃতু্যর পর পরই চট্টগ্রামবাসী এ হতাকা-ের বিরম্নদ্ধে বিৰোভে ফেটে পড়ে। কালো পতাকা উঁচিয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়কে মিছিল বের হয়। বিৰুব্ধ জনতার সকল মিছিল এসে জামাল খান রোডে জড়ো হয়। হত্যাকা-ের পর থেকে জামাল খান সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রতিবাদ আর মিছিলের জনপদে পরিণত হয়।
শিৰা প্রতিষ্ঠানে অগি্নসংযোগ ॥ ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় জোট ৰমতায় আসার পর বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসীরা ২, ৩, ৪, ৫, ৬ অকক্টোবর/২০০১ পর্যনত্ম বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও স্কুল-কলেজের ফার্নিচার, রিঙ্া, ভ্যান, নছিমন করিমন লুটপাট করে নিয়ে যায়। তারা বুড়ি-ভৈরব নদীর ওপর কাঠের ব্রিজটি ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় যাতে কেউ প্রতিরোধ করতে না পারে। সন্ত্রাসীরা ওয়াজেদ আলীকে দোকান থেকে বের করে টাকাসহ মালামাল লুট করে। ওয়াজেদ আলীর ওই বাজারে একটি মুদি দোকান, ১টি সার ও কীটনাশকের দোকান এবং ডেকোরেটরের দোকান ছিল। এ ছাড়া শাহজাহানের ১টি সাইকেল পার্টসের দোকানও লুটপাট করে। সন্ত্রাসীরা তাদের সঙ্গে আনা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, সাবল, হাতুিড়, লাঠ, লোহার রড দিয়ে দোকান পাট ভাংচুর করে। সন্ত্রাসীরা মোঃ শাহাদাত খাঁ, পিতা-ওসমান খাঁ, সাং-মাতগাছিয়া, থানা-কালীগঞ্জের বাড়িঘর ভাংচুর ও তাকে মারধর করে। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে বাজারটি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা বঙ্গবন্ধু নামের কলেজ থাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মহাবিদ্যালয় ভেঙ্গ গুঁড়িয়ে দেয় এবং তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
লেখক: রফিকুলইসলাম সেলিম, রামু (কক্সবাজার) থেকে | সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
রামু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/153363/2012-10-08/2
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
Related:
গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকাণ্ড
[মালাউন অধ্যাপকের মাথার ঘিলু ]
২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর, শুক্রবার। সকাল সোয়া ৭টার দিকে চার অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী যুবক জামাল খান রোডের বাসায় হাটহাজারী কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) মাথায় স্বয়ক্রিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা সকলেই জামায়াত শিবিরের ক্যাডার। জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকা- ঘটায়।
Read more at:
ছাত্র শফিক, অধ্যক্ষ গোপাল মুহুরীকে প্রাণ দিতে হয় সন্ত্রাসীর বুলেটে
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2011-06-17&ni=62081
Related:
বিএনপির সাংসদের উসকানিতেই রামুতে হামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | তারিখ: ০৮-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-08/news/296204
বৌদ্ধপল্লিতে হামলা: ট্রাকচালকের স্বীকারোক্তি সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
রামুতে তাণ্ডব ॥ নেতৃত্বে জামায়াত
০ মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতিশোধস্পৃহা উস্কে দেয় ঘটনা
০ সুযোগ নেয় মৌলবাদীরা
০ প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন আজ
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
বিএনপি-জামায়াত কেন বার বার সংখ্যালঘুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?
মুনতাসীর মামুন
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
সরেজমিন উখিয়া
হামলাকারীদের চিনলেও ভয়ে নাম বলছে না কেউ
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৪-১০-২০১২
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের নেপথ্য কারিগর কারা?http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=02-10-2012&type=gold&data=College&pub_no=1020&cat_id=3&menu_id=151&news_type_id=1&index=5#.UG0LsZjA_LY
রামুর ঘটনায় বিপুল টাকার লেনদেন!
evsjv‡`k wK mwZ¨B mv¤úª`vwqK m¤úªxwZi †`k?
†fv‡ii KvMR : 03/10/2012
বৌদ্ধ জনপদে হামলাবৌদ্ধদের কাছে গিয়ে এখন
হামলাকারীদের মায়াকান্না!http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Income&pub_no=1021&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=2
Also Read:
ফাঁস হচ্ছে নেপথ্য তথ্য
০ সর্বমোট ২৭ বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির ভস্মীভূত
০ যুবদল ও এমপির জড়িত থাকার সেলফোন কললিস্ট মিলছে
০ ৪৮ ঘণ্টায় প্রণীত নীলনক্সা
কার ইন্ধনে পরিকল্পিত হামলা
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৩-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-03/news/294675
তাৎক্ষণিক
বৌদ্ধবিহারে হামলা ও প্রশাসনের ভূমিকা
সুলতানা কামাল | তারিখ: ০৩-১০-২০১২
........ প্রত্যক্ষদর্শীর ভাষ্যে, যারা এই কাজ করেছে, তারা ঘটনার শুরুতেই ফেসবুক থেকে সেই ছবি ছাপিয়ে পোস্টার বানিয়ে তা প্রদর্শন করে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে থাকে। নিমেষের মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে ট্রাকভর্তি বিক্ষোভকারীরা এসে আক্রমণের কাজে লেগে পড়ে। তাদের হাতে স্পষ্টত পেট্রল ও পাউডার-জাতীয় পদার্থ ছিল, যা দিয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। এটাও জানা গেছে যে একটি জাহাজ তৈরির কারখানার ৫০০ কর্মীও মন্দির আক্রমণে অংশগ্রহণ করে। পটিয়ায়ও দুটি বৌদ্ধমন্দিরে আগুন লাগানো হয়েছে একই কায়দায়। .......
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-03/news/294643
Several Facebook users, meanwhile, said Uttam Barua, the Ramu youth being accused of Quran defamation, did not post the photo deemed to be offensive to Islam. They said Uttam was tagged in the photo from a Facebook ID called 'Insult Allah' and so he was in no way responsible.
bangladesh muslims attack buddhists..burn temples:
Related:
The Religion-Traders routinely frame stories to establish their narrow objective: Here is one example ...... (just a tip of the iceberg): -
Opposing Views - 2 days ago
Muslim cleric Khalid Jadoon was arrested for trying to frame 11-year-old Rimsha Masih, who is accused of burning pages of a Koran near ...
Muslim Cleric Accused of Planting Evidence in Pakistan Blasphemy Case
Police escort blindfolded Muslim cleric Khalid Jadoon as he is brought before a judge at a court in Islamabad, September 2, 2012. ISLAMABAD — Police in Pakistan have arrested aMuslim cleric for allegedly planting evidence against a Christian girl accused of blasphemy. The development has raised hopes the girl may be released in a case that has revived calls for reform in the country's controversial anti-blasphemy laws. ..........
Details At: