সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না
লেখক: রফিকুলইসলাম সেলিম, রামু (কক্সবাজার) থেকে | সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
রামু সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রামুর হামলাকে বর্বরোচিত ও অমানবিক বলে উল্লেখ করে দ্বার্থহীন কণ্ঠে বলেছেন, 'এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের কোন চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না।' তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রামুতে সর্বধর্মীয় কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজার জেলার রামুর খিজারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমপ্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। রামুতে সম্প্রতি বৌদ্ধবসতি, বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ মন্দিরে হামলা এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রী গতকাল রামুতে আসেন। তিনি ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে সংঘবদ্ধ দৃষ্কৃতিকারীদের হামলা ও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত রামুর শ্রীকুল গ্রামের মৈত্রী বিহারের ৩০০ বছরের পুরোনো লালচিং, সাদাচিং ও চেরেঙ্গা বিহার এবং মেরংলোয়ায় রামুর কেন্দ্রীয় সিমা বিহার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
'রামুর ঘটনায় সরকার জড়িত' বিরোধী দলীয় নেত্রীর এমন অভিযোগ খণ্ডন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার (বিএনপি নেত্রী) দলের স্থানীয় সংসদ সদস্যের উস্কানিতেই এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, কারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের সম্পর্কে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্ত হচ্ছে, ভিডিও ফুটেজ দেখে অনেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ ঘটনার মদদদাতারাও রেহাই পাবে না।
রামুর শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহার ও পল্লীতে ভয়াবহ এ হামলাকে শুধু বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের উপর নয়, এ হামলা বাংলাদেশের সংস্কৃতির উপর হামলা বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। তিনি সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত বিহার ও বসতবাড়ি পুনর্নির্মাণে আশ্বাস দেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে ক্ষতিগ্রস্ত রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরো ও কক্সবাজার জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সালাহ উদ্দিন মো. তারেককে বক্তব্য দিতে আহবান জানান। তাদের দুজনের বক্তব্য শেষে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশে সব সমপ্রদায়ের নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতিকে আরও সুসংহত করা হয়েছে। আমি শুনেছি অনেককে এই বলে হুমকি দেয়া হচ্ছে, 'আর্মি, পুলিশ কতদিন থাকবে, ওরা চলে গেলে তারপর দেখানো হবে।' এরা কারা তাদের খুঁজে বের করতে তিনি নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি রক্ষায় সর্বধর্মীয় কমিটি গঠনের আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কেউ যাতে নতুন করে কোন চক্রান্ত করতে না পারে এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম কখনও অন্যের ধর্মে হস্তক্ষেপ করা এবং অন্যের উপাসনালয়ে আঘাত করা সমর্থন করে না। আমাদের নবী (স:) পরধর্মের সহিষ্ণুতার শিক্ষা দিয়েছেন। পবিত্র কোরআন শরীফেও যার যার ধর্ম পালনের অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। যারা এ হামলা করেছে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, আমরা যখন বাংলাদেশকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিচ্ছি তখন তারা দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা সারাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। চট্টগ্রামে অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জামাত-বিএনপি জোটের সন্ত্রাসীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী রামুর ঘটনার দায় আমাদের উপর চাপাচ্ছেন। অথচ তার দলের স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভূমিকা কী ছিল তা সবাই জানে। ঘটনার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় প্রশাসন উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন। রাত ১২টার সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য এলাকায় আধঘণ্টা অবস্থান করে জনতাকে এমন কী বলে গেছেন যার ফলে ১২টার পর থেকে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ তাণ্ডব শুরু হলো। তার জবাব তাকে এলাকার জনগণের কাছে দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী ঘটনাস্থল ঘুরে নিজের চোখে দেখা ঘটনার বিভীষিকা বর্ণনা করে বলেন, ঘর-বাড়ি, বৌদ্ধ বিহার যেভাবে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে তা অমানবিক। টেকনোলজি ব্যবহার করে উম্মাদনা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। এ ধরনের করুণ দৃশ্য দেখা গিয়েছিল একাত্তর সালে। পাক হানাদার বাহিনী এভাবে ধ্বংস যজ্ঞ চালিয়েছিল। এ ঘটনার ভূক্তভোগী আমি নিজেও। আমাদের গ্রামের শত বছরের পুরনো বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল।
তিনি রামুবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনাদের মনে রাখতে হবে এখানে সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হলে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে আমাদের মুসলমান ভাইয়েরা আছেন তারাও আক্রান্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, রামুতে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূূরণ হবার নয় এর পরও আমরা ঘর-বাড়ি নির্মাণ ও বিহার সংষ্কারে যথাসাধ্য সাহায্য করব। এটা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
তিনি বিরাধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে বলেন, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তিনি এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, কথায় বলে চোরের মায়ের বড় গলা। যারা মানুষের সম্পদ লুট করেছে, কালো টাকার মালিক হয়েছে, কালো টাকা সাদা করেছে, যাদের মানি লন্ডারিংয়ের সাক্ষী দিতে আমেরিকা থেকে সাক্ষী এসেছে তাদের মুখে দুর্নীতি বিরোধী কথা মানায় না।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার পর দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি। কিন্তু তারা দেশের ভাল চায় না। মানুষের শান্তি তাদের পছন্দ না। আর এই কারণেই একের পর এক চক্রান্ত করে দেশকে অস্থির করে তোলা হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করা হচ্ছে।
রামু কেন্দ্রীয় সিমা বিহারের অধ্যক্ষ সত্যপ্রিয় মহাথেরো প্রধানমন্ত্রীকে ওই রাতের ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, হামলাকারিরা বিহারে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় আমরা হতবাক। ওই রাতে আমার নিজের জীবনও বিপন্ন হয়েছিল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এই বিহারে তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ মুসলিম সবাইকে আশ্রয় দিয়েছিলেন জানিয়ে বলেন, ওইদিন পাকবাহিনী এই বিহারে হামলা করার সাহস করেনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৪০ বছর পর স্বজাতির আক্রমণে জীবন সায়াহ্নে এসে আমাকে এমন নারকীয় হামলা দেখতে হলো। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার প্রজম্মের জন্য নিরাপত্তার আবেদন জানান। তিনি বলেন, এসব বিহারে বুদ্ধের মূর্তিসহ যেসব নিদর্শন ধ্বংস করা হয়েছে তা কখনো ফিরে যাওয়া যাবে না। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর আহবানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা সালাহউদ্দিন মো. তারেক বলেন, ইসলাম ধর্ম অপর ধর্মের লোক ও তাদের উপাসনালয়ে হামলাকে সমর্থন করে না। তিনি উত্তম বড়ুয়া নামে ওই যুবকের ফেসবুকে কোরআন অবমাননার ছবিটি তদন্ত করে দেখতে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ওই ছবিটি কি সে নিজে ইচ্ছে করে দিয়েছে না কেউ তা তার ফেসবুকে দিয়ে দিয়েছে তা খুঁজে বের করা জরুরি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য তোফায়েল আহমেদ এমপি, আমির হোসেন আমু এমপি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী এনামুল হক মোস্তফা শহীদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বীর বাহাদুর এমপি, কমলাপুর ধর্মরাজ বিহারের অধ্যক্ষ শুদ্ধানন্দ মহাথেরো, রাজনীতিবিদ পঙ্কজ ভট্টাচার্য, আবদুস সামাদ, নুরুর রহমান সেলিম, আনিসুর রহমান, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, শরীফ নুরুল আম্বিয়া, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ।
সমাবেশের শেষ পর্বে প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির ও বাড়ি-ঘরের জন্য ৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার টাকার নগদ অনুদান চেক এবং ২৬৮ বান ঢেউটিনসহ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের চীবর, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের মাঝে কাপড় চোপড়, পাঠ্যবই বিতরণ করেন।
সমাবেশে রামু ছাড়াও কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী মিছিল সহকারে যোগ দেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে শান্তি মিছিল নিয়ে অনেকে সমাবেশে যোগ দেন। প্রখর রোদ উপেক্ষা করে সমাবেশ এবং আশপাশের এলাকার লোকজন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনেন।
সমাবেশে বক্তৃতার পর প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত ১০৭টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এর পর প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার সার্কিট হাউসে জোহরের নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজ শেষে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে এবং সবশেষে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন। প্রধানমন্ত্রী জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি রক্ষায় এবং রামুর ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করতে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে রাজনৈতিক নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি বিরোধী দলের চক্রান্তের বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই রামুর সহিসংতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে অভিযোগ করে কক্সবাজারের রাজনৈতিক নেতারা বলেছেন, প্রশাসন সতর্ক হলে ভয়াবহতা এড়ানো যেত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিকালে কক্সবাজার সার্কিট হাউসে এক মতবিনিময় সভায় এমন অভিযোগ করেন স্থানীয় মহাজোটের নেতারা। রুদ্ধদ্বার ওই সভায় আওয়ামী লীগ ছাড়াও মহাজোটের শরিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন। তারা প্রায় সবাই অনুরূপ অভিযোগ করেন বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
প্রধানমন্ত্রী তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে যেসব এলাকায় সমস্যা হয়েছে সেখানে সর্বদলীয় এবং সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি করার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী নেতাদের আশ্বস্ত করেন উস্কানি দাতারা যতই শক্তিশালী হোক পার পাবে না। প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।
সভা থেকে বের হয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মো. আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, আমরা অসম্প্রদায়িক রাজনীতি করি। এই চেতনা ধরে রাখার জন্য যা যা করা দরকার তা করতে হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ওই রাতের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সব নেতার বক্তব্য শুনেন।
সভায় রামু উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল সরওয়ার কাজল প্রধানমন্ত্রীকে জানান, স্থানীয় বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য লুত্ফর রহমান কাজলের উস্কানিতে ঘটনা ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তিনি বলেন, রাত সাড়ে ১১ টার মধ্যে আমিসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এরপর রাত ১২ টায় স্থানীয় এমপি লোকজন নিয়ে জনতাকে উস্কে দেয় এবং এরপর জ্বালাও পোড়াও ভাঙচুর শুরু হয়। সভায় উপস্থিত মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ তারেক জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ঘটনার উস্কানি দাতা মদদদাতা কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ হোসেন, সংসদ সদস্য আবদুর রহমান, সালাহ উদ্দিন আহমদ, জাসদের সভাপতি ইনামুল হক চৌধুরী টুটুল প্রমুখ ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে অপর এক মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি অটুট রাখতে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। সভায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় সংঘটিত সহিংস ঘটনার বর্ণনা দেন এবং গৃহীত পরবর্তী পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রী হামলার ঘটনায় রুজুকৃত সকল মামলা যথাযথ তদন্তের নির্দেশও দেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সিরাজুল হক খান, ডিআইজি নওশের আলী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
http://new.ittefaq.com.bd/news/view/153363/2012-10-08/2
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
Related:
গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যাকাণ্ড
[মালাউন অধ্যাপকের মাথার ঘিলু ]
২০০১ সালের ১৬ নভেম্বর, শুক্রবার। সকাল সোয়া ৭টার দিকে চার অজ্ঞাত পরিচয় অস্ত্রধারী যুবক জামাল খান রোডের বাসায় হাটহাজারী কলেজের অধ্যৰ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে (৬০) মাথায় স্বয়ক্রিয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা সকলেই জামায়াত শিবিরের ক্যাডার। জামায়াত শিবিরের সশস্ত্র ক্যাডাররা সুপরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকা- ঘটায়।
Read more at:
ছাত্র শফিক, অধ্যক্ষ গোপাল মুহুরীকে প্রাণ দিতে হয় সন্ত্রাসীর বুলেটে
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2011-06-17&ni=62081
Related:
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার | তারিখ: ০৮-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-08/news/296204
হামলার জন্য লোক আনা হয় কক্সবাজার থেকে
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৮-১০-২০১২
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-10-08/news/296078
তারিখ: ০৮-১০-২০১২
সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯
রামুতে তাণ্ডব ॥ নেতৃত্বে জামায়াত০ মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতিশোধস্পৃহা উস্কে দেয় ঘটনা
০ সুযোগ নেয় মৌলবাদীরা
০ প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন আজবিএনপি-জামায়াত কেন বার বার সংখ্যালঘুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে?মুনতাসীর মামুনসোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১২, ২৩ আশ্বিন ১৪১৯সরেজমিন উখিয়া
হামলাকারীদের চিনলেও ভয়ে নাম বলছে না কেউ
কামরুল হাসান ও আব্দুল কুদ্দুস, কক্সবাজার থেকে | তারিখ: ০৪-১০-২০১২
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের নেপথ্য কারিগর কারা?http://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=02-10-2012&type=gold&data=College&pub_no=1020&cat_id=3&menu_id=151&news_type_id=1&index=5#.UG0LsZjA_LY
রামুর ঘটনায় বিপুল টাকার লেনদেন!
বৌদ্ধ জনপদে হামলাবৌদ্ধদের কাছে গিয়ে এখন
হামলাকারীদের মায়াকান্না!http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Income&pub_no=1021&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=2
Also Read:
ফাঁস হচ্ছে নেপথ্য তথ্য
০ সর্বমোট ২৭ বৌদ্ধ বিহার ও মন্দির ভস্মীভূত
০ যুবদল ও এমপির জড়িত থাকার সেলফোন কললিস্ট মিলছে
০ ৪৮ ঘণ্টায় প্রণীত নীলনক্সা
__._,_.___