বঙ্গবন্ধু সেতুর সিংহভাগ কাজ হয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ॥ মঞ্জু
স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু বৃহৎ অর্থায়নসহ সিংহভাগ কাজই সম্পন্ন হয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে। রবিবার তিনি এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু তাঁদের সময়ে সম্পন্ন করেছেন বলে যাঁরা অহরহ বলেন, তাঁদের সবিনয়ে স্মরণ করে দিতে চাই যে, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন এই সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম এই সেতু নির্মাণের কথা জাপানে তাঁর সরকারী সফরের সময় উত্থাপন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় জাইকা একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে পাঠায়। সেই দলটি তাদের রিপোর্টে এই সেতু নির্মাণ ব্যয়বহুল বলে অভিমত দেয়। '৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকার সেতুটি নির্মাণে প্রকল্পের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে '৯৪ সালে। তাদের মেয়াদে পাইলিংয়ের কাজ ২৫ থেকে ৩০ ভাগ সম্পন্ন হয়। পূর্ব এবং পশ্চিম পারে নদী শাসনের কাজ শুরু হলেও ৮৪ একর জমি অধিগ্রহণের জটিলতার জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ কথা সত্য, সেতু নির্মাণের আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিমূলক চুক্তি তাদের সময়ে সম্পন্ন হয়। অতএব, বিস্তারিত বর্ণনায় না গিয়ে বলতে চাই যে, পাইলিংয়ের ৭০ শতাংশ এবং ব্রিজ ডেকিংয়ের সম্পূর্ণ কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে শেষ হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধনের সময় আমার এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই সেতু নির্মাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নেয়া হয়। এখন যাঁরা যমুনা সেতু নির্মাণের একক দাবিদার বলে উল্লেখ করছেন, তখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহলে এ সেতু উদ্বোধন করলেন কিভাবে। উপরন্তু তাঁদের পরিকল্পনায় রেল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস নেয়ার বিষয়টি ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু সেতুর সম্পূর্ণ অর্থায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে, তাঁরই দৃঢ়তার জন্য এই সেতুতে রেলপথ ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা সংযোজিত হয়। শেখ হাসিনা যেখানে সবার অংশীদারিত্বের কথা স্বীকার করেছেন, সেখানে এই ধরনের সেতু নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এই ঐকমত্য যে কত প্রয়োজন তা বর্তমানে পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়। কাজেই একক কৃতিত্বের দাবি করা দুঃখজনক। অবস্থার দৃষ্টিতে মনে হয়, আমরা দেশের মানুষকে সত্য ও বাস্তব কথা জানাতে অভ্যস্ত নই।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু তাঁদের সময়ে সম্পন্ন করেছেন বলে যাঁরা অহরহ বলেন, তাঁদের সবিনয়ে স্মরণ করে দিতে চাই যে, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন এই সেতুটি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সর্বপ্রথম এই সেতু নির্মাণের কথা জাপানে তাঁর সরকারী সফরের সময় উত্থাপন করেছেন বলে উল্লেখ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সময় জাইকা একটি কারিগরি দল বাংলাদেশে পাঠায়। সেই দলটি তাদের রিপোর্টে এই সেতু নির্মাণ ব্যয়বহুল বলে অভিমত দেয়। '৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকার সেতুটি নির্মাণে প্রকল্পের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে '৯৪ সালে। তাদের মেয়াদে পাইলিংয়ের কাজ ২৫ থেকে ৩০ ভাগ সম্পন্ন হয়। পূর্ব এবং পশ্চিম পারে নদী শাসনের কাজ শুরু হলেও ৮৪ একর জমি অধিগ্রহণের জটিলতার জন্য কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এ কথা সত্য, সেতু নির্মাণের আনুষঙ্গিক প্রস্তুতিমূলক চুক্তি তাদের সময়ে সম্পন্ন হয়। অতএব, বিস্তারিত বর্ণনায় না গিয়ে বলতে চাই যে, পাইলিংয়ের ৭০ শতাংশ এবং ব্রিজ ডেকিংয়ের সম্পূর্ণ কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে শেষ হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু উদ্বোধনের সময় আমার এবং প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে এই সেতু নির্মাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার কথা অকপটে স্বীকার করে নেয়া হয়। এখন যাঁরা যমুনা সেতু নির্মাণের একক দাবিদার বলে উল্লেখ করছেন, তখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাহলে এ সেতু উদ্বোধন করলেন কিভাবে। উপরন্তু তাঁদের পরিকল্পনায় রেল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস নেয়ার বিষয়টি ছিল না। এমনকি বঙ্গবন্ধু সেতুর সম্পূর্ণ অর্থায়নের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময়ে, তাঁরই দৃঢ়তার জন্য এই সেতুতে রেলপথ ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থা সংযোজিত হয়। শেখ হাসিনা যেখানে সবার অংশীদারিত্বের কথা স্বীকার করেছেন, সেখানে এই ধরনের সেতু নির্মাণে জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এই ঐকমত্য যে কত প্রয়োজন তা বর্তমানে পদ্মা সেতুর অভিজ্ঞতা থেকে স্পষ্ট হয়। কাজেই একক কৃতিত্বের দাবি করা দুঃখজনক। অবস্থার দৃষ্টিতে মনে হয়, আমরা দেশের মানুষকে সত্য ও বাস্তব কথা জানাতে অভ্যস্ত নই।
__._,_.___