Banner Advertiser

Wednesday, December 12, 2012

[mukto-mona] আইসিটি-নতুন চেয়ারম্যান এখন দেবেন ॥ সাঈদীর রায় !!!!



EIBAR KHUNIDER JHULAIA DE !!!!!

আইসিটি-নতুন চেয়ারম্যান এখন দেবেন ॥ সাঈদীর রায়
০ আইন অনুযায়ী বিচার কাজ যে অবস্থায় আছে সেখান থেকেই চলবে
০ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান হচ্ছেন ফজলে কবীর এবং ২-এর ওবায়দুল হাসান শাহীন
বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীন দায়িত্ব পাচ্ছেন। সদস্য পদে দায়িত্ব পাচ্ছেন বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া। বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা চলমান মামলা কার্যক্রম নতুনভাবে শুরু করার দাবি জানিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রীমকোর্টের আইনবিশেষজ্ঞ, আইন মন্ত্রণালয়, আইন কমিশন ও গবেষক সূত্রে জানা গেছে, এটা একটা অবাস্তব দাবি। যাঁরা এ কথা বলছেন তাঁরা হয়ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন বোঝেন না । অথবা জেনেশুনেই মামলাকে বিলম্বিত করার জন্যই এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলছেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্টের ৬ ধারা অনুযায়ী মামলা যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থা থেকেই শুরু হবে। অর্থাৎ নতুন চেয়ারম্যান এখন সাঈদীর মামলার রায় দেবেন।
নতুন চেয়ারম্যান ॥ আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগের পর নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীর ও ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শাহীনকে দেয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনাল-২ সদস্য হিসেবে বিচারপতি মুজিবুর রহমান মিয়াকে দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
আইনপ্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামও একই কথা বলেছেন। আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগ করায় দুটি ট্রাইব্যুনালই পুনর্গঠন করা হলো।'
২০১০ সালে বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের নেতৃত্বে গঠিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের সদস্য ছিলেন এটিএম ফজলে কবীর। পরে দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর তাকে ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়া হয়। এখন তিনি প্রথম ট্রাইব্যুনালে ফিরে যাচ্ছেন।
বিচারপতি ফজলে কবীরের স্থলে ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন ওই ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। আর ফজলে কবীর চলে আসায় দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালে খালি হওয়া পদে নিয়োগ পাচ্ছেন হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া।
এটা উদ্দেশ্যমূলক ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম ১১ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। এর পর বিএনপি-জামায়াতসহ কিছু আইনজীবী মামলাগুলো নতুনভাবে শুরু করার দাবি জানান। এ প্রসঙ্গে দেশের আইন বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে আইন মন্ত্রণালয়, গবেষকগণ বলেছেন, এটা তাদের অন্যায় দাবি। হয়ত তাঁরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন বোঝেন না। অথবা না বুঝে এমন কথা বলছেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৬ ধারায় পরিষ্কার করে বলা আছে ৬ (৬) উপধারায় বলা হচ্ছে 'যে সব সাক্ষীর সাক্ষ্য ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে- সে সব সাক্ষী রিকল করার বা তাঁদের পুনঃ শুনানি করায় ট্রাইব্যুনাল বাধ্য নয়।
অর্থাৎ "A Tribunal shall not, merely by reason of any change in its membership or the absence of any member there of form any sitting, be bound to recall and re-hear any witness who has already given any evidence and may act on the evidence already given or produced befor it."
আইনে আরও সুষ্ঠুভাবে উল্লেখ আছে- ৬ (৫) ধারায় কোন বিচার কাজ চলাকালীন সময়ে ট্রাইব্যুনালের কোন সদস্যের অনুপস্থিতিতে অপর সদস্য যারা থাকবেন তারাই বিচার কাজটিকে অব্যাহত রাখতে পারবেন। "If, in the course of a trial, any one of the member of a tribunal is, for any reason, unable to attend any sitting there of, the trial may continue before the other members."
এ প্রসঙ্গে দেশের প্রধান আইন কর্মকর্তা (এ্যাটর্নি জেনারেল) মাহবুবে আলম জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আইনজীবীর দাবি অন্তঃসারশূন্য। তারা আইনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট অনুযায়ী নতুনভাবে কোন মামলা শুরু করার সুযোগ নেই। যেখান থেকে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু করতে হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিধিমালায় ২৬ (২) (১)-এ বলা আছে ট্রাইব্যুনালের আদেশ প্রদানের ক্ষেত্রে একজন সদস্য থাকলেও চলবে। All other orders may be passed even by one member in sitting and shall be deemed to have passed by the tribunal.
সুপ্রীমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াতের আইনজীবী কি বলতে পারে অন্যায় হচ্ছে না? অভিযুক্তের পক্ষে ওকালতি করলে আমি কি বলব আমার মক্কেল দোষী? জামায়াতের আইনজীবীরা কি বলবে। আসলে একজনের বিচারিক পদ শূন্য হলে বিচার প্রক্রিয়া অন্য দুই বিচারক স্বাভাবিকভাবেই সে কাজ চালিয়ে যাবেন। আইনের মতোই চলবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ধারায় সেটা উল্লেখ করা আছে। এটা সব বিচারেই হয়। ওরা সত্য কথা বলতে পারবে না। এক এক বিচারপতির কাছে তিন হাজার মামলা আছে । তিনি বদলি হলেন বা তাঁর মৃত্যু হলো, তার জায়গায় কুমিল্লা থেকে একজন আসলেন, তখন বিচার কি প্রথম থেকে শুরু করতে হবে? উকিল জানে না, সেটা নয়। সব আইনেই এটা আছে। ২ হাজার বিচারক আছে তা হলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বিচারকগণ বদলি হবে না?
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগের পর ব্যারিস্টার রফিকুল হকসহ বিএনপি জামায়াতের আইনজীবীরা বলছে পুনরায় নতুন করে যুদ্ধাপরাধীর মামলা শুরু করতে হবে। এ প্রসঙ্গে ড. শাহদীন মালিক বলেন, এগুলো আইনজীবীরা বলে থাকে। যারা এ কথা বলে তাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সম্পর্কে ধারণা নেই। অথবা জেনেশুনে বলছে।
আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহ আলম জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম স্বচ্ছতা, নির্ভরযোগ্য ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করেছেন। তিনি পদত্যাগ না করলেও পারতেন। তবুও বিচারকে বিতর্কিত না করার জন্যই পদত্যাগ করেছেন। মামলা যে পর্যায়ে আছে সেই পর্যায় থেকেই শুরু হবে। নতুন করে করার কোন আইন নেই।
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত যা বলছে তা বেআইনী। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ৬ ধারা অনুযায়ী মামলা যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থাতেই চলবে। আইনে বলা আছে কেউ বদলি, পদত্যাগ অথবা মৃত্যুবরণ করলে মামলা চলামান থাকবে। যারা দাবি করছে নতুন করে মামলা করতে হবে তাদের দাবি আইনের বরখেলাপ। এটা উদ্দেশ্যমূলক।
সিনিয়র আইনজীবী যাঁরা নতুন করে ট্রায়াল শুরু করার দাবি করছেন আমি তাঁদের সঙ্গে একমত নই। প্রথম কথা হচ্ছে, উনাদের খেয়াল-খুশি মতো হবে? আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট ১৯৭৩ অনুয়ায়ী ৬নং ধারায় পরিষ্কার করে লেখা আছে, ট্রাইব্যুনালের একজন চেয়ারম্যান বা সদস্যের অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ বন্ধ হবে না। সেই ৬ ধারা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নতুন সদস্য সংযুক্ত হলে যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকেই শুরু করবেন।
এ প্রসঙ্গে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিচারপতি নিজামুল হকের পদত্যাগের বিষয়ে বলেন, নেদারল্যান্ডসে বসবাসকারী একজন আইন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বিচারপতি নিজামুল হক আইনী পরামর্শের জন্য যে আলাপ করেছেন তা অপরাধ নয়। অপরাধ হতো যদি তিনি সরকার কিংবা আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে আলাপ করতেন। বরং যাঁরা স্কাইপি হ্যাক করে তাদের কথোপকথন প্রকাশ করেছে তারা সাইবার ক্রাইম করেছে। এজন্য তাদের বিচার হওয়া উচিত। বিচারপতি পদত্যাগ করে তিনি বদান্যতার পরিচয় দিয়েছেন। বিচার ব্যবস্থাকে তিনি প্রশ্নের মুখোমুখি করতে চাননি। এ জন্য তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন জামায়াত-শিবিরচক্র ও বিএনপি হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য। এ ঘটনা তারই বহির্প্রকাশ।
সিনিয়র আইনজীবী ড: এম জহির বলেন, ওরা বলতে চায় নতুন করে মারবে আর নতুন করে শুরু করবে। এটা হয় না। আইনে তা নেই। তারা না বুঝে এ কথা বলছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই মামলা যেখানে আছে, সেখান থেকেই শুরু হবে। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না।
সুপ্রীমকোর্ট বার সমিতির সাবেক সম্পাদক শ. ম রেজাউল করিম বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল সংক্রান্ত বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মামলাটি যে অবস্থায় থাকবে, সেই অবস্থাতে থাকবে। যে কোন পরিবর্তিত বিচারপতি আসা যাওয়া হলেও মামলার পূর্ববর্তী আইন থেকেই পরবর্তী কার্যক্রম অগ্রসর হবে। ফলে নতুন করে সাক্ষ্য গ্রহণ বা যুক্তিতর্ক শুনানি অথবা অন্য কোন উপায়ে মামলার কার্যক্রমকে পেছনে আনার আইনগত কোন সুযোগ নেই। যেহেতু আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ্যাক্ট একটি বিশেষ আইন, সেহেতু এই আইনের বাধ্যবাধকতা কঠোরভাবে অনুসরণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
এদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও ২-এ ১৩টি মামলা রয়েছে। আরও দুটি মামলা তদন্ত সংস্থা প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে। এক মাসের মধ্যে এ দুটি মামলাও ট্রাইব্যুনালে আসবে । সেদিক থেকে ট্রাইব্যুনালে মামলার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৬তে। সারাদেশ থেকে তদন্ত সংস্থায় ৬৪০টি অভিযোগ এসেছে।
৪২৮ দিন পর ৬ ডিসেম্বর জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। এখন রায় ঘোষণা বাকি। ট্রাইব্যুনালের আদেশে বলা হয়েছে, যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে। এরই মধ্যে স্কাইপের মাধ্যমে কথোপকথন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ড. আহম্মেদ জিয়াউদ্দিন ও ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের কথোপকথন হ্যাকিং করা হয়। এর পর দৈনিক আমার দেশ ঐ কথোপকথন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে আসছে। এ বিষয়ে দ্য ইকোনমিস্টের উপর একটি রুলও জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। আজ এ বিষয়ে আদেশ প্রদান করা হবে। এরই পর দুটি ট্রাইব্যুনালেই নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত আইনজীবীরা নতুন করে মামলাগুলো শুনানির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহসভাপতি ঢাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ড. মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি নিরাপত্তার বিষয়টি। কিন্ত আমাদের দাবিটি কোনভাবেই কর্ণপাত করা হয়নি। নিরাপত্তার নামে শারীরিক নয়, আমরা বলতে চাই স্কাইপের ঘটনার পর বিচারপতিদের বাসভবনগুলোতে আড়িপেতে রেখেছে কি না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার। আমি বলছি ওখানেও আরও সতর্ক হওয়া উচিত। যে কাজটি করেছে তাতে অনেকে অনেক কথা বলতে পারে। প্রাইভেসি ল বলে একটা কথা আছে। হ্যাকিং করার অপরাধের বিরুদ্ধে ল আছে। সেগুলো দৈনিক আমার দেশের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হচ্ছে না। কথোপকথন সম্পর্কে নানাপক্ষ মন্তব্য করছে। তার পরেও নিজের দায় স্বাীকার করে পদত্যাগ করেছেন। যারা বলছে বিচার পুনরায় শুরু থেকে করার। তারা বিচার কাজটিকে বিলম্বিত করতে চায়। বিচারপতিদের কাছে আমরা আশা করব এই প্রক্রিয়াটি যেন সম্পন্ন হয়। আমরা বার বার বলছি মন্ত্রীরা কোন কমেন্ট করবেন না। এটা বিচার কাজে ব্যাঘাত করে। মন্ত্রীদের কারণেই বিচারপতি বলেছেন, সরকার রায়ের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমান ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ রয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম, বর্তমান আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আরেক নায়েবে আমির মাওলানা আবদুস সুবহান, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী, হাজী মোবারক ও পটুয়াখালীর রুস্তম আলী ।
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ বিচার চলছে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপি নেতা এমএ আলীমের। এছাড়া তদন্তকারী সংস্থা ১১ অক্টোবর পলাতক দুই জামায়াত নেতা মোঃ আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মাঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশন শাখায় জমা দিয়েছে। প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, এ মাসের মধ্যেই এই তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করে ফরমাল চার্জ হিসেবে জমা দেয়া হবে।
সাঈদীর মামলার প্রধান আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী জনকণ্ঠকে বলেছেন, মামলাগুলো যে অবস্থানে আছে সেই অবস্থান থেকে শুরু হবে। আইনে এ ধরনের কিছু নেই যে নতুন করে শুরু করতে হবে। নতুন চেয়ারম্যান আসার পর সাঈদীর মামলার জাজমেন্ট প্রদান করবেন। তাঁরা যা বলছেন তা আইনের সাথে সম্পৃক্ত নয়। আইনের বিধান হলো মামলা যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থাতেই চলবে।
প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, চেয়ারম্যান নিজামুল হক নাসিম পদত্যাগের পর ইতোমধ্যেই বিশেষ মহল প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে এ মামলাগুলো নতুন করে শুরু করতে হবে। এটা তাদের অযৌক্তিক দাবি। মূলত এই প্রচারটি একটি অপপ্রচার মাত্র। যা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্যই চালিয়ে আসছে বলে মনে হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৬ ধারা অনুযাযী এ সুযোগ নেই। এরা বড় জোর সাঈদীর মামলার আর্গুমেন্ট শোনার জন্য আবেদন করতে পারে।
ট্রাইব্যুনাল গঠন ॥ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে গঠিত হয় তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পরে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে প্রথম ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন বিচারপতি মোঃ নিজামুল হক নাসিম। এ ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই বিচারক হলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। আর এটিএম ফজলে কবীর নেতৃত্বাধীন দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের সদস্য হন বিচারপতি ওবায়দুল আহসান ও জজ মোঃ শাহীনূর ইসলাম।
বিচারপতি ফজলে কবীর ২০০৩ সালে হাইকোর্টে বিচারক হিসেবে যোগ দেন। তার আগে জেলা জজের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তিনি মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দেন। বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া ২০১১ সালে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি ১৯৯১ সালে আইনজীবী হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলন ॥ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারাধীন মামলাগুলোর কার্যক্রম পুনরায় শুরুর দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। বুুধবার সুপ্রীমকোর্টে বিএনপি জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের এক সংবাদ সম্মেলনে মওদুদ আহমদ বলেন, নিজামুল হক নাসিমের পদত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, তার বিরুদ্ধে অনৈতিকতা ও বেআইনী কাজের অভিযোগগুলোও সত্যি। এটা প্রমাণিত হয়েছে, প্রথম দিন থেকে অনৈতিক যোগসাজশে সাজানো মামলার বিচার করেছেন।
"অভিযোগে আমরা দেখেছি, যারা ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বা সদস্য নয়, ট্রাইব্যুনালের সঙ্গে যাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই, তারা রায়ের কাঠামো তৈরি করে দিচ্ছে। আমরা যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাই। তবে এটা যেন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয় সেই দাবি আমরা করছি।" "স্কাইপ কেলেঙ্কারিতে যা বেরিয়েছে তাতে এই মামলার যাবতীয় কার্যক্রম তামাদি হয়ে গেছে। সরকার এখন বিচার করলে শুরু থেকে করতে হবে। এখন এটা অব্যাহত রাখলে তা হবে বেআইনী, অবৈধ ও অসাংবিধানিক।" "পদত্যাগই যথেষ্ট নয়। সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে অসদাচরণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন অডিটরিয়ামে বুধবার এ সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহববু হোসেন, ট্রাইব্যুনালে আসামি পক্ষের প্রধান আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন খোকন এমপি, এ্যাডভোকেট খসরুজ্জামান, এ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, এ্যাডভোকেট তাজুল ইসলামসহ বিপুলসংখ্যক তরুণ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___