Banner Advertiser

Saturday, February 23, 2013

[mukto-mona] ঢাকাসহ সারা দেশে তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ১২টি ইসলামী দল



ঢাকাসহ সারা দেশে তাণ্ডব
নিহত ৪, ব্যাপক সংঘর্ষ গুলি বোমা টিয়ার শেল


রাজধানীসহ সারা দেশে একযোগে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা ১২টি ইসলামী দল। জাতীয় পতাকা, শহীদ মিনার, গণজাগরণ মঞ্চ, সাংবাদিক, গণমাধ্যমকর্মী ও পুলিশকে টার্গেট করেই গতকাল শুরু হয় তাদের এই সহিংসতা। চট্টগ্রাম, বগুড়া ও চাঁদপুরে তারা জাতীয় পতাকার অবমাননা করে। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংকের বুথ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলা চালানো হয়। জুমার নামাজের আগে ও পরে ইসলামী দলগুলো জঙ্গিরূপে একযোগে সহিংস হামলা চালালে পুলিশের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ঢাকায় বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ শেষ হওয়ার আগেই জামায়াত কর্মীরা রাস্তায় নেমে সহিংসতা শুরু করলে তা ছড়িয়ে পড়ে জেলায় জেলায়। মুড়ি-মুড়কির মতো রাবার বুলেট, কাঁদুনে গ্যাস, গুলি ও বোমার বিস্ফোরণে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় এসব এলাকা। সংঘর্ষে চারজন নিহত ও চার শতাধিক আহত হন। নিহতদের মধ্যে গাইবান্ধায় দুজন, সিলেটে একজন ও ঝিনাইদহে একজন রয়েছেন। ঝিনাইদহে নিহত হন মাদ্রাসার একজন শিক্ষক। পুলিশের দাবি, গাইবান্ধার দুজন শিবির কর্মী এবং সিলেটের মোস্তফা মোরশেদ এমসি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। তার রাজনৈতিক পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর প্রতিবাদে আগামীকাল রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি দিয়েছে ইসলামী ও সমমনা ১২ দল।

এ ছাড়া সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী, গাইবান্ধা, চাঁদপুর ও নাটোরে গণজাগরণ মঞ্চে হামলা চালানো হয়েছে। সিলেটে ভাঙচুর করা হয় শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারের শ্রদ্ধাঞ্জলির ফুল পদদলিত করে তাতে আগুন দেওয়া হয়। হামলা চলে ঢাকায় ওয়ার্কার্স পার্টির অফিসে, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ও রাজশাহীর মেয়রের গাড়িতে। আগুন দেওয়া হয় সিলেটের ট্রাস্ট ব্যাংকে। চাঁদপুর ও বগুড়ায় জাতীয় পতাকায় আগুন ধরিয়ে দেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ ছাড়া অগি্নসংযোগ করা হয় বায়তুল মোকাররমে নামাজের গালিচায়। আশুলিয়া, গাজীপুর, জয়পুরহাটে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।

ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ও চট্টগ্রামে জামায়াত কর্মীদের হামলায় অন্তত ১২ জন সাংবাদিক আহত হন। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলার পর ক্ষুব্ধ জনতা সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, আমার দেশ ও দিগন্ত টিভির চট্টগ্রাম কার্যালয় ভাঙচুর করে। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশসহ চার শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন সাত সাংবাদিকসহ ৩৫ জন।

জামায়াত-শিবিরের এই সহিংসতার ব্যাপকতা সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় বলে পুলিশের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। দুপুরের পর প্রথমে ঢাকা, এরপর ঝিনাইদহসহ সারা দেশে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পুলিশে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়।

ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে দাবি করে ইসলামী সমমনা ১২ দল জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দেয়। তবে পুলিশ বলছে, সমমনা ইসলামী ১২ দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। তাদের টার্গেট ছিল গণজাগরণ মঞ্চ দখল নেওয়া। এ পরিকল্পনা নিয়েই তারা ব্যাপক তাণ্ডব চালায় সারা দেশে।

দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড় থেকে শুরু করে পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে হাইকোর্ট এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। একই ধরনের ঘটনা ঘটে কাকরাইল, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, মিরপুর ও পান্থপথ এলাকায়। প্রতিটি স্থানেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। বায়তুল মোকাররম এলাকাতেই দুই ঘণ্টার সংঘর্ষে সহস াধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে পুলিশ। জামায়াত কর্মীরা এ সময় কয়েক শ বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। শুধু রাজধানী থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১৭২ জনকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)-এর মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার নাজমুল আলম জানান, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের প্রতিশ্রুতিতে ইসলামী সমমনা ১২ দলকে মিছিল-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পল্টন মোড় থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত তাদের সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে ছিল, ততক্ষণ পুলিশ কোনো বাধা দেয়নি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকে টার্গেট করে মিছিল নিয়ে এগোনোর চেষ্টা করলে তাদের থামাতে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।

বায়তুল মোকাররম-পল্টন-প্রেসক্লাব : বেলা পৌনে ১টা। বায়তুল মোকাররমে জুমার খুতবা চলছিল। এ সময় মসজিদের সীমানাপ্রাচীরের ভেতরে উত্তর গেটের সামনে কয়েক ব্যক্তি 'নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবার' স্লোগান শুরু করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তারা জামায়াত-শিবিরসহ ইসলামী সমমনা ১২ দলের নেতা-কর্মী ছিলেন। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে রাস্তায় আসার চেষ্টা করেন। এ সময় মাছরাঙা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার আবদুল্লাহ তুহিন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিন, একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান আরিফুজ্জামান পিয়াস, গাজী টিভির মাসুদুর রহমান ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গেলে মসজিদের ভেতরের দিকে ইসলামী দলগুলোর কয়েকজন কর্মী তাদের আটকে ফেলে বেদম মারধর করেন। এ ঘটনার পর সোয়া ১টার দিকে জুমার নামাজ শেষ না করেই জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বাধীন বড় একটি মিছিল রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল লাঠিসোঁটা। তারা শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দিকে হামলার উদ্দেশ্যে এগোতে থাকে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে মিছিলকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলেই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তৈরি তোরণ ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ এগিয়ে এলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওই স্থানে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটালে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ এ সময় মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা ককটেল ছুড়ে পাল্টা জবাব দেন।

এ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা, জিপিও, বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কিসহ আশপাশ এলাকায়। এ সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটের সামনে রাখা দুটি মোটরসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেন মিছিলকারীরা। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এ এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে। সাধারণ মানুষ দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে বসে থাকেন। প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন হীরা নামে এক যুবক। এ ছাড়াও রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও লাঠিচার্জে সাংবাদিকসহ নয়জন আহত হন। পুলিশের ধাওয়ায় সেগুনবাগিচা আবাসিক এলাকায় গিয়ে বিচ্ছিন্নভাবে জড়ো হন মিছিলকারীরা। এ সময় এপিসি নাইন সাঁজোয়া যানটি সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ের সামনে এলোপাতাড়ি ছররা গুলি চালায়। এখানে সাংবাদিক আমিনুল হক ভূইয়া গুলিতে আহত হন। জামায়াত-শিবিরের প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডবকে কেন্দ্র করে এ এলাকা যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। পৌনে ২টার দিকে দ্বিতীয় দফায় জামায়াত-শিবির ও সমমনা ১২ ইসলামী দলের প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মী বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি ও আজাদ প্রডাক্টসের গলি থেকে মিছিল বের করেন। এ সময় তাদের হাতে লাঠিসোঁটা থাকলেও কোনো সংগঠনের ব্যানার ছিল না। এ মিছিলটি পল্টন মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটের সামনে দিয়ে এগোনোর সময় একই ভাবে পুলিশ ও সাংবাদিক লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে হামলা চালানো হয়। পুলিশ গুলিবর্ষণ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় এলোপাতাড়ি বোমাবাজি শুরু হয়। আধঘণ্টায় এ এলাকায় শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে মিছিলকারী ও সাধারণ মুসলি্লরা আটকা পড়েন। আসরের নামাজের পর পরই তারা বের হতে সক্ষম হন। মসজিদ থেকে বের হওয়া মাত্র বেশ কয়েকজনকে আটক করাও হয়। দুপুর থেকে কয়েক ঘণ্টা এসব এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকার পর সন্ধ্যায় তা স্বাভাবিক হয়। নাশকতা এড়াতে এ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাবকে সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এ এলাকা থেকে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।

নামাজের গালিচায় আগুন : বায়তুল মোকাররমে নামাজের জন্য পাতা গালিচায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন জামায়াত-ঘেঁষা ইসলামী দলগুলোর নেতা-কর্মীরা। জুমার নামাজের পর তাদের শাহবাগ অভিমুখী জঙ্গিমিছিলে পুলিশ বাধা দিলে তারা বায়তুল মোকাররমের উত্তর দিকের সিঁড়িসংলগ্ন এলাকায় পাতা নামাজের গালিচায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

কাঁটাবন : জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত কাঁটাবন মসজিদ এলাকায়ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ও রমনা জোনের ?এসি শিবলী নোমানসহ কয়েকজন আহত হন। জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠনের প্রায় ১৫ জন সমর্থক একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে এই মসজিদে এসে নামাজ আদায় করেন। তারা নামাজের আগে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেন, নামাজের পর মিছিল বের হবে। মুসলি্লরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় পুলিশকে গালাগাল ও শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন। এতে সংঘর্ষ শুরু হলে ওসি সিরাজুল ইসলাম ও ?এসি শিবলী নোমান আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও টিয়ার শেল নিক্ষেপ এবং দুজনকে আটক করে। পুলিশ ওই অ্যাম্বুলেন্সও আটক করেছে। এদিকে কাঁটাবন এলাকায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।

মিরপুর ও কারওয়ান বাজার : জুমার নামাজের পর পরই মিরপুর-১০ গোলচক্কর ও ১১ নম্বরে গণজাগরণ মঞ্চবিরোধীদের মিছিল বের হয়। পরে পুলিশের বাধার মুখে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। তবে মিরপুরের শাহআলী ও রূপনগরে মিছিল করার সময় চারজনকে আটক করা হয়। এ ছাড়া তেজগাঁওয়ের তেজতুরি বাজার জামে মসজিদ থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ফার্মগেট ঘুরে পান্থপথের দিকে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি বসুন্ধরা সিটির দিকে যেতে চাইলে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশ জানায়, 'ফাঁসি চাই, দিতে হবে'_ তৌহিদী জনতার ব্যানারে এ দাবি নিয়ে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের দখল নিতে তারা মিছিল নিয়ে যাচ্ছিল। এ ছাড়া পলাশী, মৎস্য ভবন, মোহাম্মদপুর ও চানখাঁরপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

ঢাকা মেডিকেলের সামনে তাণ্ডব : বেলা আড়াইটার দিকে ইসলামী সমমনা দলগুলোর শতাধিক কর্মী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন। পুলিশ চড়াও হলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ এখানেও টিয়ার শেল ও কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে। এ সংঘর্ষ এক পর্যায়ে চানখাঁরপুল এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব গিয়ে ফাঁকা গুলি চালালে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ সংঘর্ষে তিনজন আহত হন।

বিএনপির নিন্দা : রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশের সঙ্গে ইসলামী দলগুলোর সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রাতে দলের যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মহান আল্লাহ ও তার প্রেরিত শেষ নবী রাসূল (সা.), কোরআন ও হাদিস অসম্মানকারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠা ধর্মপ্রাণ মানুষের আন্দোলনকে প্রতিহত করতে সরকার নিষ্ঠুর খুনোখুনিতে মেতে উঠেছে। মির্জা ফখরুল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের ফাঁদে পা দিয়ে ব্লগাররা দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের যে হুমকি দিয়েছে তা চরম অগণতান্ত্রিক ও ধৃষ্টতাপূর্ণ। এটি সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ। 

বিভিন্নস্থান থেকে আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর_ সিলেট : 'জাগ্রত তৌহিদী জনতার ব্যানারে মিছিল করে শহীদ মিনারে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এমসি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র মোস্তফা মেরাশেদ নিহত হন। তবে তার রাজনৈতিক পরিচয় জানা যায়নি। এ ছাড়া মিছিলকারীরা ট্রাস্ট ব্যাংক, মুজিব জাহান রেড ক্রিসেন্ট ভাঙচুর ও পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান পুড়িয়ে দেয়। পুলিশ ৯০ জনকে আটক করেছে। বিক্ষোভ মিছিল শহীদ মিনারের সামনে আসার পর যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে দেয়ালে লাগানো গোলাম আযম, সাঈদী, নিজামীর ছবি সংবলিত ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে পোস্টার ছিঁড়তে থাকে কয়েকজন শিবির কর্মী। ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হন বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক নাজমুল কবীর পাভেল ও সিলেট সংলাপের ফটো সাংবাদিক শেখ আবদুল মজিদ। তাদের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশের টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলিতে অন্তত ৩৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। বিশ্বনাথে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুসলিম জনতা। চট্টগ্রাম : বিভিন্ন এলাকায় 'গণজাগরণ মঞ্চ বিরোধী' স্লোগান দিয়ে চট্টগ্রাম গণজাগরণ মঞ্চ, প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং সাংবাদিক ও পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে সাত সাংবাদিক ও পুলিশসহ ২৫ জন আহত হয়েছেন। হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতিবাদী সাংবাদিক সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে। আহত সাংবাদিকরা হলেন, ইনকিলাবের ফটো সাংবাদিক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, যুগান্তরের রাজেশ চক্রবর্তী, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ফরিদ উদ্দিন, এটিএন নিউজের অমিত দাশ, মাছরাঙা টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সঞ্জিব বাবু, রবিউল হোসেন টিপু, পূর্বকোনের ফটো সাংবাদিক মিয়া আলতাব। এদিকে মহানগর জামায়াতের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে উত্তেজিত জনতা। খুলনা : ইসলামী দলের নেতা-কর্মী ও মুসলি্লদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ও ইটের আঘাতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। রাজশাহী : পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ইমান ও আকিদা হেফাজত কমিটি ব্যানারে দুপুরে মিছিল নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে পেঁৗছলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। বিক্ষোভকারীরা আলুপট্টি এলাকার বঙ্গবন্ধু চত্বরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতেও হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। বরিশাল : মিছিল শেষে লিফলেট বিতরণকালে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৭ জন মুসলি্লকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। গাইবান্ধা : উপজেলা শহরে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২ শিবির কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় ৪ পুলিশসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ ১৪ জন জামায়াত-শিবির কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ওলামা মাসায়েখ ব্যানারে চৌরাস্তায় গণজাগরণ মঞ্চে ভাঙচুর চালায়। ঝিনাইদহ : পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটার দিকে শহরে জামায়াত-শিবিরসহ ১২টি সমমনা ইসলামী দলগুলো মিছিল বের করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫-৬ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। একপর্যায়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ঝিনাইদহ আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আবদুস সালাম নিহত হন। ছবি তুলতে গেলে দৈনিক জনতার প্রতিনিধি আজিজুর রহমান সালামকে মারধর করা হয়। এ ছাড়া পাগলাকানাই এলাকার আবদুর রাজ্জাক, পুরানো ডিসি কোর্ট এলাকার চায়ের দোকানদার মোনায়ার হোসেনসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। রংপুর : নগরীতে বাধার মুখে মুসলি্লরা মাঠে নামতে পারেনি। ময়মনসিংহ : আলেম-ওলামা ও সাধারণ মুসলি্লরা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। নারায়ণগঞ্জ : মিছিল থেকে মুখোশধারী ২০-২৫ জন মুসলি্ল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন শোভন চত্বর ব্যানার, চেতনা মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয়। বগুড়া : প্রজন্ম মঞ্চ ভেঙে অগি্নসংযোগ করেছে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। তৌহিদী জনতা, ওলামায়ে মাশায়েক পরিষদের ব্যানারে জামায়াত-শিবির কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। ৩ পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। মিছিলটি শহরের জিরো পয়েন্টে এসে সাতমাথায় প্রজন্ম মঞ্চ ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের পতাকাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানার পুড়িয়ে দেয়। চাঁদপুর : জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়। এ সময় পুলিশসহ মুসলি্ল জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৩০ নেতা-কর্মী আহত হন। টাঙ্গাইল : কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভকারীরা পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পেঁৗছলে শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশের লাঠির আঘাতে ২৫ মুসলি্ল আহত হয়। রূপগঞ্জ : মুসলি্ল পরিষদ ও তৌহিদী জনতা ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের মিছিল থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার বরাব ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের কোশাব এলাকায় দুই সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সাভার : সাভার ও আশুলিয়ায় জামায়েতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা ভাঙচুর করে ১০টি যানবাহন। এতে ৫০ জন আহত হয়েছে। কুমিল্লা : মহানগরীতে হেফাযতে ইসলামীর ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী দলগুলো। এ সময় তারা পূবালী চত্বরের জাগরণ মঞ্চ ভাঙচুর করে এবং গণজাগরণের পক্ষে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের টানানো পোস্টার-ব্যানার নামিয়ে অগি্নসংযোগ করে। মানিকগঞ্জ : শহরের কাঁচাবাজার এলাকা থেকে মুসলি্লদের একটি বিক্ষোভ মিছিলে খালপাড় এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। বিভিন্ন স্থানে মুসলি্লরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : বিক্ষোভ করেছে মুসলি্লরা।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___