জামায়াতী তাণ্ডব রুখতে পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ!
শংকর কুমার দে ॥ দেশব্যাপী জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। পুলিশ কি অসহায় নাকি নিষ্ক্রিয়? পুলিশের সামনেই শুক্রবার অনেক রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনা স্বাধীনতার প্রতীক জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। মহান ভাষার মাসে শহীদের রক্তে অর্জিত শহীদ মিনার ভাংচুর করেছে। গণজাগরণ মঞ্চ ভেঙ্গে আগুন দিয়ে উল্লাস নৃত্য করেছে। পুলিশের সামনেই আগ্নেয়াস্ত্র, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপ, কুড়াল, খুন্তি, দা, হকিস্টিক, লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে জামায়াত-শিবির। জামায়াতের নেতৃত্বে তাদের সমমনা দলগুলো আগাম বিক্ষোভ কর্মসূচী দিয়ে রণক্ষেত্র তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল। জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বাধীন তাদের সমমনা দলগুলো যে নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকা-, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালাতে পারে তার পূর্বাভাস দিয়েছিল গোয়েন্দা সংস্থা। গোয়েন্দা সংস্থার পূর্বাভাসের প্রেক্ষিতে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশ, র্যাব, আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। ব্যতিক্রম কোন কোন স্থান ছাড়া রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতী সন্ত্রাসের সামনেই পুলিশকে দেখা গেছে অসহায়, নয়তো নিষ্ক্রিয়। এতে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়া, আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে বেপরোয়া হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়ে আসছে জামায়াত-শিবির। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সহিংস ঘটনার কাছে পুলিশকে অসহায়ের মতো বার বার মার খেতে দেখা গেছে। এমনকি সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে কর্তব্যরত সাংবাদিকরাও তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি। গত এক বছর ধরে জামায়াত-শিবির ক্রমাগত সশস্ত্র সহিংস সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়ে আসার পর শুক্রবার জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা, শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা, গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর, আগুন দেয়ার ঘটনা এবং সাংবাদিকদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে। এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারামসহ মসজিদগুলোকে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পুলিশকেও আক্রমণ করেছে তারা। তারপরও পুলিশকে অসহায় ও নিষ্ক্রিয় থাকার মতো ভূমিকায় দেখা গেছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রথমত সরকারের শেষ সময়ে এসে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা নিরপেক্ষ সাজার চেষ্টার কারণে হয়তবা নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত: পুলিশের মধ্যে দলাদলির কারণে মাঠ পর্যায়ের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঠিক ও কার্যকর কমা- দেয়া যাচ্ছে না। আবার অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যরা কাজের পরিবর্তে অ-কাজ করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টাও করতে পারে। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে অসহায়ত্ব বা নিষ্ক্রিয়তা তা প্রতিটি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সময়ে টেলিভিশনের পর্দায় ও সংবাদ মাধ্যমের পাতায় দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি শনিবার দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, আমি দৃঢ় আস্থার সঙ্গে বলছি, পুলিশ অসহায় বা নিষ্ক্রিয়তার ধারণা যাদের মধ্যে আছে তারা জনস্বার্থের পরিপন্থী ধারণা পোষণ করছেন। জামায়াত-শিবির যেসব সন্ত্রাসী, অপরাধী ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়েছে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী অভিহিত করেছেন তিনি। পুলিশ কোনভাবেই অসহায় নয়। পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা সবই আছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেখানে যে মাত্রায় ক্ষমতা প্রয়োগ করা প্রয়োজন, সেখানে সেই মাত্রায় ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নমনীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করাটা যাঁরা দুর্বলতা মনে করবেন তাঁরা ভুল করবেন। সুতরাং কোনভাবেই পুলিশ অসহায় নয়। পুলিশের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই প্রজন্মের পুলিশ স্বাধীনতার প্রশ্নে খুবই উজ্জীবিত, উদ্দীপ্ত ও মনোবল চাঙ্গা। জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা বা আগুন দেয়া, শহীদ মিনার ভাংচুর ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের আইজি বলেন, পুলিশের সামনে ঘটেছে এটা আমি মানব না। পুলিশ প্রত্যেক স্থানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ অফিসারদের নৈতিক মনোবল হারানো, চেন অব কমান্ডের অভাব, ফোর্সদের সঙ্গে অফিসারদের দূরত্ব, ফোর্স মাঠে নামানোর আগে ঠিকভাবে মোটিভেশন করার অভাব, মাঠে সুপারভাইজিং করার জন্য অফিসারদের তৎপরতা বৃদ্ধি না করার কারণে পুলিশদের নিষ্ক্রিয় ও অসহায়ের মতো দেখা যাচ্ছে। যারা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে তারা কোন্ দেশের নাগরিক প্রশ্ন করে এই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। মনে রাখতে হবে, '৭১ সালে জামায়াত-শিবির স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, স্বাধীনতাকে তারা মেনে নেয়নি। তারা এখন মরণকামড় দিয়েছে। এখনও সময় আছে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম শনিবার দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াত-শিবির স্বাধীনতার পর বিগত ৪২ বছর ধরে সব সরকারের সময়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে, কেউ তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করেনি। এমনকি গত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে জামায়াত-শিবির ছাড়া সবাই গ্রেফতার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর হৃষ্টপুষ্ট হয়ে তারা সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। জামায়াত-শিবিরের ব্যানারে তাদের সমমনা দলগুলোকেও নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মাঠে নামিয়েছে। যেখানে তারা অপরাধী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে, পুলিশ সেখানেই তৎপরতা চালাচ্ছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বা অসহায়ত্বের প্রশ্নই ওঠে না। পুলিশ সক্রিয় না হলে আরও ভয়াবহরূপে আবির্ভুত হতো তারা। খুব বেশি স্থানে এখন তারা তৎপরতা চালাতে পারছে না। তারা ছোট হয়ে যাচ্ছে। জামায়াত-শিবির ক্রমশই দুর্বল হয়ে আসছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙ্গে দেয়া, আটক যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তির দাবিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে বেপরোয়া হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ, পুলিশের গাড়িসহ যানবাহনে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়ে আসছে জামায়াত-শিবির। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে জামায়াত-শিবিরের সশস্ত্র সহিংস ঘটনার কাছে পুলিশকে অসহায়ের মতো বার বার মার খেতে দেখা গেছে। এমনকি সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে কর্তব্যরত সাংবাদিকরাও তাদের আক্রমণ থেকে রেহাই পাননি। গত এক বছর ধরে জামায়াত-শিবির ক্রমাগত সশস্ত্র সহিংস সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়ে আসার পর শুক্রবার জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা, শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা, গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর, আগুন দেয়ার ঘটনা এবং সাংবাদিকদের টার্গেট করে আক্রমণ করা হয়েছে। এমনকি জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকারামসহ মসজিদগুলোকে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর ঘাঁটি হিসেবে ব্যাবহার করতে দেখা গেছে। এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে পুলিশকেও আক্রমণ করেছে তারা। তারপরও পুলিশকে অসহায় ও নিষ্ক্রিয় থাকার মতো ভূমিকায় দেখা গেছে।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রথমত সরকারের শেষ সময়ে এসে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা নিরপেক্ষ সাজার চেষ্টার কারণে হয়তবা নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যেতে পারে। দ্বিতীয়ত: পুলিশের মধ্যে দলাদলির কারণে মাঠ পর্যায়ের কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঠিক ও কার্যকর কমা- দেয়া যাচ্ছে না। আবার অতি উৎসাহী পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্যরা কাজের পরিবর্তে অ-কাজ করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টাও করতে পারে। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে যে অসহায়ত্ব বা নিষ্ক্রিয়তা তা প্রতিটি জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সময়ে টেলিভিশনের পর্দায় ও সংবাদ মাধ্যমের পাতায় দেখা যাচ্ছে।
পুলিশের আইজি হাসান মাহমুদ খন্দকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি শনিবার দৈনিক জনকণ্ঠকে জানান, আমি দৃঢ় আস্থার সঙ্গে বলছি, পুলিশ অসহায় বা নিষ্ক্রিয়তার ধারণা যাদের মধ্যে আছে তারা জনস্বার্থের পরিপন্থী ধারণা পোষণ করছেন। জামায়াত-শিবির যেসব সন্ত্রাসী, অপরাধী ও নাশকতামূলক কর্মকা- চালিয়েছে তাকে রাষ্ট্রবিরোধী অভিহিত করেছেন তিনি। পুলিশ কোনভাবেই অসহায় নয়। পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম, প্রশিক্ষণ, সক্ষমতা সবই আছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশে পেশাদারিত্বের সঙ্গে যেখানে যে মাত্রায় ক্ষমতা প্রয়োগ করা প্রয়োজন, সেখানে সেই মাত্রায় ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নমনীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করাটা যাঁরা দুর্বলতা মনে করবেন তাঁরা ভুল করবেন। সুতরাং কোনভাবেই পুলিশ অসহায় নয়। পুলিশের মধ্যে নিষ্ক্রিয়তা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এই প্রজন্মের পুলিশ স্বাধীনতার প্রশ্নে খুবই উজ্জীবিত, উদ্দীপ্ত ও মনোবল চাঙ্গা। জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলা বা আগুন দেয়া, শহীদ মিনার ভাংচুর ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর ও আগুন দেয়ার ঘটনা পুলিশের সামনে ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশের আইজি বলেন, পুলিশের সামনে ঘটেছে এটা আমি মানব না। পুলিশ প্রত্যেক স্থানে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক ডিসি সৈয়দ বজলুল করিম দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, পুলিশ অফিসারদের নৈতিক মনোবল হারানো, চেন অব কমান্ডের অভাব, ফোর্সদের সঙ্গে অফিসারদের দূরত্ব, ফোর্স মাঠে নামানোর আগে ঠিকভাবে মোটিভেশন করার অভাব, মাঠে সুপারভাইজিং করার জন্য অফিসারদের তৎপরতা বৃদ্ধি না করার কারণে পুলিশদের নিষ্ক্রিয় ও অসহায়ের মতো দেখা যাচ্ছে। যারা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে তারা কোন্ দেশের নাগরিক প্রশ্ন করে এই সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আবার বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। মনে রাখতে হবে, '৭১ সালে জামায়াত-শিবির স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে, স্বাধীনতাকে তারা মেনে নেয়নি। তারা এখন মরণকামড় দিয়েছে। এখনও সময় আছে, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সময়োপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মোঃ মনিরুল ইসলাম শনিবার দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেছেন, জামায়াত-শিবির স্বাধীনতার পর বিগত ৪২ বছর ধরে সব সরকারের সময়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়েছে, কেউ তাদের কেশাগ্রও স্পর্শ করেনি। এমনকি গত তত্ত্ববধায়ক সরকারের সময়ে জামায়াত-শিবির ছাড়া সবাই গ্রেফতার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর হৃষ্টপুষ্ট হয়ে তারা সর্বশক্তি দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকাতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে। জামায়াত-শিবিরের ব্যানারে তাদের সমমনা দলগুলোকেও নাশকতা, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে মাঠে নামিয়েছে। যেখানে তারা অপরাধী কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে, পুলিশ সেখানেই তৎপরতা চালাচ্ছে। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বা অসহায়ত্বের প্রশ্নই ওঠে না। পুলিশ সক্রিয় না হলে আরও ভয়াবহরূপে আবির্ভুত হতো তারা। খুব বেশি স্থানে এখন তারা তৎপরতা চালাতে পারছে না। তারা ছোট হয়ে যাচ্ছে। জামায়াত-শিবির ক্রমশই দুর্বল হয়ে আসছে।
__._,_.___