মুনতাসীর মামুন
----------------
এ বিষয়ে কারও কোন অনুশোচনা ছিল না। তবে যাদের গর্ভপাত করানো সম্ভব ছিল না তারা সন্তান জন্ম দিয়ে, সন্তানকে ত্যাগ করেছেন কারণ; সমাজ, এসব শিশু গ্রহণে ইচ্ছুক ছিল না। ফলে যুদ্ধ-শিশুদের দত্তকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় বিদেশে। এ জন্য ১৯৭২ সালে হয় ঞযব ইধহমষধফবংয অনধহফড়হবফ পযরষফৎবহ (ংঢ়বপরধষ ঢ়ৎড়ারংরড়হ) ড়ৎফবৎ ড়ভ ১৯৭২.
যুদ্ধশিশুদের পুনর্বাসনের জন্যও বঙ্গবন্ধু সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। জেনেভার ইন্টারন্যাশনাল সোসাল সার্ভিসকে তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ জানান কিছু একটা করার জন্য। আইএসএস, বাংলাদেশের পরিবার পরিকল্পনা সমিতি ও বাংলাদেশ সেন্ট্রাল অর্গানাইজেশন ফর রিহ্যাবিলিটশনের সাহায্যে একটি কার্যক্রম গ্রহণ করে যার ফলে বহু যুদ্ধশিশু বিদেশী মা-বাবার কাছে আশ্রয় পায়।
বঙ্গবন্ধু সর্বান্তকরণে বীরাঙ্গনাদের জন্য যা সম্ভব তাই করতে চেয়েছেন পরবর্তীতে যা সবার অজান্তে একটি সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়েছে। যারা পথ চিনে ক্লিনিকে আসতে পারছিলেন না তারা চিঠি লিখে আবেদন জানাচ্ছিলেন। এ রকম একটি চিঠি এক পিতা লিখেছিলেন নোয়াখালী থেকে বন্ধবন্ধুকেÑ
'মাননীয় বঙ্গবন্ধু,
আপনার প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা। আমার সংসারে আমার বলিতে একমাত্র মেয়ে। সে কলেজের ছাত্রী ছিল। তাকে দিয়ে আশা ভরসা ছিল। স্বাধীনতার প্রাক্কালে বর্বর পাক সৈনিকরা এবং এই দেশের দালাল রাজকাররা আমার সকল আশা-আকাক্সক্ষা শেষ করে দেয়। বিগত '৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর দেশীয় রাজাকারদের সঙ্গে লইয়া পাক বাহিনী আমাদের এলাকা ঘেরাও দেয়। যথেচ্ছ লুটতরাজ ও বাড়ি বাড়িতে যুবকদের নির্বিচারে হত্যা করে। সেই সময় আমার একমাত্র মেয়েকে তারা ধরে লইয়াÑ আমরা ফেরত পাই নাই। ১৬ তারিখে স্বাধীনতার পর ১৭ তারিখে সে বাসায় ফিরিয়ে আসে। কিন্তু মান-ইজ্জত সমস্তই বিসর্জন দিয়ে। এখন সে বীরাঙ্গনা। আমি এই বীড়াঙ্গনা [বীরাঙ্গনা] মেয়েকে নিয়া খুব অসুবিধায় আছি। শুনিতে পাইলাম এই দেশের ২০,০০০ নির্যাতিত ও অগণিত বীড়াঙ্গনা মহিলার পুনর্বাসনের জন্য আপনি আলাদা দপ্তর খুলিয়াছেন। আমার এই বীড়াঙ্গনা মেয়েকে একটা বিহিত করিবেন এই আশা লইয়া লেখনী শেষ করিলাম।"
বোর্ড মহিলাদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করে। মহিলাদের ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট খোলে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশের প্রথম। বেইলি রোডে তাহেরুন্নেসা আবদুল্লাহর পরিচালনায় কাজ শুরু হয়। তাহেরুন্নেসা এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, "আমি ডাইরেক্টর ট্রেনিং হিসেবে সেখানে যোগ দিই। আমাদের মেইন অফিস ছিল মোহাম্মদপুরে। ওখানে একটি ট্রেনিং সেন্টারও ছিল। আর বেইলি রোডে ফেডারেশন অব ইউনিভার্সিটি ওমেন-এর বিল্ডিংয়ে উইমেন্স ক্যারিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট চালু করা হয়। ওদের বাড়িটা হচ্ছে হোস্টেল। ওখানে আমরা এক তলাটা ভাড়া নিয়েছিলাম।
এখানে বোর্ড সেক্রেটারিয়েল কোর্স শুরু করেছিল। আরেকটি ক্ষেত্র ছিল হাতের কাজ শেখান সাভারে তারা একটি পোল্ট্রি খামারও খুলেছিলেন। মোহাম্মদপুরেও সেলাই ও কারুশিল্প তৈরির প্রশিক্ষণ হতো।"
তাহেরুন্নেসা জানিয়েছেন, 'ওখানে যারা সেক্রেটারিয়েল কোর্সে এসেছিলেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ছিল ওয়ার এফেকটেড উইমেন। যাদের স্বামী মারা গেছেন অথবা স্বামী নিখোঁজ তারাই বেশি। এ ছাড়া পাকিস্তান আর্মির শিবিরে অত্যাচারিত মহিলাও বেশকিছু ছিলেন। একটা গাছে বাজ পড়লে গাছটা যেমন হয়ে যায়, এ ধরনের। এদের অনেকেই তেমন বোবা চোখে তাকিয়ে থাকতেন। সেলাইয়ের ওপর একজনকে ট্রেনিং দিয়েছিলাম, তার চারটে বাচ্চা। সে তাদের রেখে স্বামীর খোঁজ করতে বেরিয়েছিল। স্বামী বোধহয় বগুড়া ক্যান্টনমেন্টে ছিল। তার স্বামীর খোঁজ তো পায়নি, পথে তাকে আর্মিরা টেনে নিয়ে যায়। তারপর এক হাত থেকে অপরের হাত, এ রকম করে তারপর সে ছাড়া পায়। সে এসেছিল ট্রেনিং নিতে। তার দু'টি বাচ্চাকে এতিমখানায় দিয়ে দিয়েছিল আর দুটি বাচ্চাকে নিজের কাছে রেখেছিল। আরেকজন হিন্দু মেয়ে ছিল দেখতে খুব সুন্দর। সে যখন আমাদের ওখানে আসে, তখন তার বয়স ছিল বড়জোর ২০-২২ বছর। সেও ছিল আর্মি ক্যাম্পে। যখন যুদ্ধ শেষ
হলো তখন ছাড়া পেল। তারপরেও সেই [সেক্রেটারিয়েল] ট্রেনিংটা নেয়। অনেকদিন পর ওর সাথে দেখা হয় উদয়ন স্কুলে। তখন ওর বিয়ে হয়েছে এবং ও ওর বাচ্চাকে নিতে এসেছে। এত ভাল লেগেছিল। আরেকজন ছিলেন এক উচ্চপদস্থ সরকারী অফিসারের স্ত্রী। স্বামীকে পাক আর্মিরা মেরে ফেলে। তিনি ট্রেনিং কমপ্লিট করে বিমানের লন্ডন ব্রাঞ্চে চাকরি নিলেন ... আরেকজন ছিলেন এক নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারের স্ত্রী। সে আইসিডিআরসিতে চাকরি নেয়।
অন্য সংস্থাগুলোও কাজ করছিল। কেন্দ্রীয় বোর্ডে [সুফিয়া কামালের] মালেকা খান ১৯৭৩ সালে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। কারিতাস এই বোর্ড, হস্তশিল্পের সমবায় ফেডারেশন কারিকা সবাই পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে কোন না কাজ শুরু করেন।
মফস্বলের কার্যক্রমের উদাহরণও দেয়া যেতে পারে। সাফিনা লোহানী এক সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু যখন বোর্ড স্থাপন করেন তখন তিনি সিরাজগঞ্জের কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। 'আমি এবং আরও দু'তিনজন সিরাজগঞ্জ শহরে ঘুরে বেড়িয়েছি পরিত্যক্তা ও বীরাঙ্গনাদের খোঁজে। অনেকে তখন শহরের উপান্তে আশ্রয় নিয়েছিল। অনেকে ভয়ানকভাবে আহত ছিল। একটি মেয়েকে ৩০ জন সৈন্য ধর্ষণ করেছিল।
১৯৭২ সালে তারা ৫০/৬০ জনের মতো বীরাঙ্গনাকে খুঁজে পেয়েছিলেন যারা নিশ্চুপে চিকিৎসা নিয় ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন। আশ্রয় গৃহে ছিলেন ৩৬ জন যারা হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এ কেন্দ্রে ২০০ জন স্থান পেয়েছিলেন।
যারা বিধবা হয়েছিলেন তাদের জন্যও বঙ্গবন্ধু কর্মসংস্থানের চেষ্টা করেছিলেন। ১৯৭১ চট্টগ্রামের শহীদ শামসুল হকের স্ত্রী মাহমুদা হক চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে চাকরি চেয়েছিলেন। বিদেশ মন্ত্রণালয়ে তো মহিলাদের স্থান নেই। পরে অনুভব করেছিলেন, পাকিস্তানে যা ছিল তাতো বাংলাদেশে থাকবে না এমন তো কথা নেই। তিনি মাহমুদাকে বিদেশ মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে বলেছিলেন, 'তুমি হবে রাষ্ট্রদূত।' ১৯৯৬ সালে মাহমুদা ভুটানে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন।
১৯৭২ সালেই বঙ্গবন্ধু 'সকল সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসন ও আধা স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে শতকরা ১০টি শূন্য পদে নির্যাতিত মহিলা অথবা মুক্তিযুদ্ধে যাহাদের আত্মীয়স্বজন মারা গেছে এমন সব মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রাখার আদেশ দেন।
নিরাশ্রয় মহিলা পুনর্বাসন সমিতির প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি 'তাদেরকে এ আশ্বাস দেন যে, সরকার হতভাগ্য মহিলাদের জন্য সম্ভাব্য সব কিছু করবে। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য আলাদা বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি করেছিলেনও। ১৯৭২-৭৩ সালে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গিয়েছিল। কিন্তু সীমিত সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে বিরাট সংখ্যকের কর্মসংস্থান করা সম্ভবও হয়নি। তিনি যুবকদের আহ্বান জানিয়েছিলেন অসহায় নারীদের বিয়ের জন্য। বিচারপতি সোবহান বীরাঙ্গনাদের বিয়ের জন্য একটি বিবাহ কেন্দ্র খোলারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তারা জনাদশেক মহিলার বিয়েও দিয়েছিলেন। এমনকি বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবও ক্লান্তিহীনভাবে বীরাঙ্গনাদের জন্য কাজ করেছিলেন এবং বলেছিলেন তারা যেন তাকে তাদের মা মনে করে। অনেককে সংসারের জিনিসপত্র দিয়েও তিনি সাহায্য করেছিলেন।
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু এ কাজকে সংহত করার জন্য বোর্ডকে নারী পুনর্বাসন ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনে উন্নীত করেন। এতসব চেষ্টা সত্ত্বেও অনেকেই সাহায্যের আওতার বাইরে ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বা সরকারের প্রচেষ্টা একটি নীরব সমাজবিপ্লব সাধান করেছিল। নারীরা মুক্ত হয়েছিলেন প্রবল সামাজিক বাধাসহ। ১০% কোটা তাদের প্রভূত সাহায্য করেছিল এখনও যা বলবত। মহিলারা ঘরের বাইরে এসে নিজেদের পায়ে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের পা রাখার ক্রলিনটুকু বঙ্গবন্ধু করে দিয়েছিলেন।
১৯৮৪ সালে ফাউন্ডেশন, মহিলা বিষয়ক কোর্স এবং জাতীয় মহিলা উন্নয়ন একাডেমীকে একত্র করে মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তর গঠন করা হয়। ১৯৯০ সালে মহিলা বিষয়ক পরিদপ্তরকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উন্নীত করা হয়।
এখন তো মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ও করা হয়েছে, যারা নারী উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যে প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছিলেন আজ তা মহীরুহে পরিণত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু যে সব কার্যক্রম গ্রহণ করেছিলেন, ১৯৭৫ সালে তাঁকে হত্যার পর হঠাৎ সে সব কার্যক্রম থমকে যায়। জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কার্যক্রম বীরাঙ্গনাদের সমাজে পতিত করে ফেলে। আশ্রয় কেন্দ্র, প্রশিক্ষণ কর্মসূচী বন্ধ হয়ে যায়। অনেকে একেবারে সহায় সম্বলহীন অবস্থায় রাস্তায় এসে দাঁড়ান। এর একটি উদাহরণ সিরাজগঞ্জের সেই কেন্দ্র।
১৯৭৫ সালে সাফিনা লোহানী, সাফিনা হোসেন ও আমিনা বেগম মিনার নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জে যে পুনর্বাসন কেন্দ্রটি চলছিল, জিয়াউর রহমান এক ফরমান বলে তা বন্ধ করে দেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ''১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সিরাজগঞ্জে আসেন। বঙ্গবন্ধু তার ভাষাতে ওই ৩৫ জন বীরাঙ্গনাকে 'মা' বলে সম্বোধন করে একসঙ্গে মঞ্চে ওঠেন। সেই সম্মান ছাড়া বীরাঙ্গনাদের ভাগ্যে আর কোন সম্মান জোটেনি।"
সেই ৩৫ জনের মধ্যে ১৪ জন মারা গেছেন। বাকি ২১ জন লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করে এখনও বেঁচে আছেন।
বীরাঙ্গনাদের পুনর্বাসন যতটুকু হয়েছিল তা বঙ্গবন্ধুর আমলেই হয়েছিল। ইতোমধ্যে বীরাঙ্গনাদের কথা সবাই ভুলতে থাকে। এবং এক সময় বিষয়টি লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায়। সারাদেশের বীরাঙ্গনা মহিলাদের বঙ্গবন্ধুর সরকার পুনর্বাসিত করতে পারেনি স্বাভাবিকভাবেই। যারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছিলেন তাদেরই সাহায্য করতে পেরেছিল সরকার। আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল না, তবে সম্পদ ছিল না। তাই যতটুকু করা দরকার ততটুকু করা যায়নি।
আজ পর্যন্ত জানা যায়নি, কতজন বীরাঙ্গনাকে হত্যা করা হয়েছে আর কতজন আত্মহত্যা করেছেন। হারিয়ে গেছন কতজন। যারা পুনর্বাসিত হয়েছেন তাদেরও মানসিক ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়েছে। বিয়ের পরও তারা পরিবার ও সমাজ দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন।
অসহায় ছয় লাখের এ এক করুণ কাহিনীÑ যার পুরোটা কখনও জানা যাবে না। (সমাপ্ত)
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ - এক মুনতাসীর মামুন
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারী ২০১৩, ১৮ মাঘ ১৪১৯
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-01-31&ni=124028
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ হাজার হাজার নারী গর্ভবতী হয়ে পড়ে
শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১৯ মাঘ ১৪১৯
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-02-01&ni=124151
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ সামরিক অফিসাররা মেয়েদের সম্মিলিতভাবে ধর্ষণ করত
রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২১ মাঘ ১৪১৯
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-02-02&ni=124290
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ হানাদাররা ডাবের খোসায় প্রস্রাব করে ধর্ষিতাদের খেতে দিত
সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২২ মাঘ ১৪১৯
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-02-04&ni=124589
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ ধর্ষিত হওয়ার আত্মগ্লানি থেকে কেউই মুক্তি পায়নি
বুধবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ২৪ মাঘ ১৪১৯
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-02-06&ni=124778
বীরাঙ্গনা ৭১ ॥ নির্যাতিত নারীরা চেয়েছিল নিজ আশ্রয়টুকু
__._,_.___