Banner Advertiser

Monday, April 1, 2013

[mukto-mona] Fw: [KHABOR] জামায়াত-শিবিরের হরতালের ‘আগুনে’ নিভে গেল চোখের আলো


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>; chottala@yahoogroups.com
Sent: Sunday, March 31, 2013 3:32 AM
Subject: [KHABOR] জামায়াত-শিবিরের হরতালের 'আগুনে' নিভে গেল চোখের আলো

 

হরতালের 'আগুনে' নিভে গেল চোখের আলো

1 / 1
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হয়ে মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার স্বপ্ন বুনেছিলেন চট্টগ্রামের সুজন চন্দ্র নাথ। আর কিছুটা পথ পেরোলেই তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়ে যেত। তবে হরতালের 'আগুনে' চোখ হারিয়ে ফিকে হয়ে গেছে তার স্বপ্ন।
জামায়াত-শিবিরের ছোড়া হাতবোমায় গত ১২ মার্চ চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র সুজনের এক চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অক্ষিগোলক প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ে তার চোখের আলো ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। 
মিরসরাই উপজেলার উত্তর হাজীসরাই গ্রামের বাসিন্দা রবীন্দ্র কুমার নাথের বড় ছেলে সুজন থাকেন নগরীর রুমঘাটায় একটি ভাড়া বাসায়। সেখানেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে তার কথা হয়।
২৩ বছরের এই তরুণ যখন কথা বলছিলেন তখন তার সুস্থ বাম চোখে ঝরছিল অশ্রু। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সুজন বলেন, "এক চোখ দিয়ে হয়তো আমি চলতে পারব। কিন্তু এটিও যে ভবিষ্যতে সুস্থ থাকবে এর গ্যারান্টি কে দেবে?"
তার জীবনে এই নির্মমতা নেমে আসায় চলমান রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
"আমি খুবই সাধারণ একজন মানুষ, কোনো দিন কোনো দলের সঙ্গে জড়িত হইনি। তারপরও আমি কেন এই পরিস্থিতির শিকার হলাম?" প্রশ্ন রাখেন সুজন। 
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট গত ১২ মার্চ সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। পরদিন ১৩ মার্চ চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়ে বন্দরনগরীতে হরতালের ডাক দেয় হেফাজতে ইসলামী, যাতে সমর্থন ছিল জামায়াত ও বিএনপিরও। 
১২ মার্চ হরতাল শেষ হওয়ার পর রাত ৮টার দিকে একটি সিএনজি অটোরিকশা করে দুই বন্ধু রনি ও জয়ের সঙ্গে পলোগ্রাউন্ড মাঠে বাণিজ্যমেলায় যাচ্ছিলেন সুজন। চেরাগী পাহাড় মোড়ে পৌঁছানোর পর হঠাৎ হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দে হুড়োহুড়ি শুরু হয়।
"এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে দৌড়ে যাওয়ার সময় একটি ককটেল আমার ডান হাতের ওপর এসে পড়ে, ধাক্কা লেগে সেটি ডান চোখে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়।"
তখন তার চোখ ও হাত থেকে অবিরাম রক্ত ঝরছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তার সহায়তায় কেউ এগিয়ে আসেনি।
"নিজেকে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী পরিচয় দেয়ার পরেও কেউ সাহায্য করেনি," বলেন সুজন চন্দ্র। এ সময়  তার  বন্ধু রনিও আহত হন। 
প্রায় ১০ মিনিট পর এক মোটরসাইকেল আরোহী সুজনকে সেন্টার পয়েন্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে পাহাড়তলী চক্ষু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরদিন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
সুজন ও তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ককটেলের আঘাতে ডান চোখ প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে, যেটি দিয়ে সে আর কিছুই দেখতে পারছে না। ১২ দিন চিকিৎসার পর চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন 'অক্ষিগোলক প্রতিস্থাপন' ছাড়া চোখের দৃষ্টি ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।
এজন্য তাকে ভারতের শংকর নেত্রালয়ে যেতে হবে, যেখানে অক্ষিগোলক পাওয়া সাপেক্ষে চিকিৎসা খরচ পড়বে বিশ লাখ ভারতীয় রুপির মতো।
২৪ মার্চ থেকেই সুজন হাসপাতাল ছেড়ে নিজের বাসায় ফিরেছেন। চোখ হারানোয় শুধু চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নয়, অনিশ্চয়তায় পড়েছে তার  পরিবারের  ভবিষ্যতও। তার বাবা রবীন্দ্র কুমার নাথ অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। তার এক মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে সুজন দ্বিতীয়।
নিজের সঞ্চয়ের সব অর্থ দিয়ে ছেলেকে ডাক্তারি পড়াচ্ছিলেন, আশা ছিল ভবিষ্যতে পরিবারের হাল ধরবে।
সুজনের মা ছায়া দেবী বলেন, "আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। ওপর উপর অনেক আশা ছিল। এখন চিকিৎসা করাতেই নিজেরা সর্বসান্ত্ব হচ্ছি।"
এদিকে, ভারতে চিকিৎসা করানোর জন্য টাকা জোগাড় করতে পাগলপ্রায় সুজনের বাবা রবীন্দ্র কুমার নাথ।
সুজনের মতোই সহিংস রাজনীতির শিকার হয়েছেন চট্টগ্রামের একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী অন্তু বড়ুয়া (১৪)।
গত ২৮ মার্চ ১৮ দলীয় জোটের ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে নগরীর হেমসেন লেইন মুখে ছাত্রশিবিরের কর্মীদের ছোড়া হাতবোমায় আহত হন অন্তু। তারও ডান চোখের পাশে আঘাত লাগে।
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article607976.bdnews


হরতালে সহিংসতা

চোখ হারালেন মেডিকেল ছাত্র

প্রণব বল, চট্টগ্রাম | তারিখ: ৩১-০৩-২০১৩
সুজন চন্দ্র নাথ
সুজন চন্দ্র নাথ