Banner Advertiser

Monday, April 1, 2013

[mukto-mona] কী দেখার কথা কী দেখছি [1 Attachment]

[Attachment(s) from S M Mukul included below]

        

মঙ্গলবার, এপ্রিল ০২, ২০১৩ : চৈত্র ১৯, ১৪১৯ বঙ্গাব্দ

 

সহিংস রাজনীতি : কী দেখার কথা কী দেখছি

সাধারণ মানুষের প্রশ্ন_ হরতালের নামে কেন এই নৈরাজ্য? যাত্রীসহ বাসে যারা আগুন লাগিয়ে দেন তারা কি মানুষ? দেশের সম্পদ যারা নষ্ট করেন তারা কি দেশপ্রেমিক? রাজনীতি যদি দেশের জন্য, দেশপ্রেমের জন্য অথবা জনগণের জন্য হয়, তাহলে দেশ ও জনগণের বিপক্ষে যায় এমন কর্মকা- বন্ধ করুন। দেশকে ভালোবাসুন, মায়ের মতো।    এস এম মুকুল

 

দেশে রাজনীতির যেন ভরাডুবি চলছে। রাজনীতিতে বিবেক, বুদ্ধি আর মানবতাবোধের লেশমাত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। জনগণকে বলির পাঁঠা বানিয়ে, জনগণের নামে, দেশপ্রেমের নামে রাজনীতির যে নমুনা দেখা যাচ্ছে_ এর পরিণতি কাউকে ছাড় দেবে বলে মনে হয় না। দেশে গণতান্ত্রিক অধিকারের নাম করে হরতাল অতীতেও হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তোবা হবে। কিন্তু বর্তমানে হরতালের যে ভয়ঙ্কর, বীভৎস চিত্ররূপ জনগণ প্রত্যক্ষ করছে তার পরিণতিও জাতির কাঁধে ভর করবে। হরতালে এমন ভয়ঙ্কর, নির্মম বিধ্বংসী উল্লাস অতীতে দেখা যায়নি। চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা নিক্ষেপ, ভাংচুর, অগি্নসংযোগ_ এসব যেন মানবতাবিরোধী অপরাধের নতুন আদল।
জনগণের নামে রাজনীতি করে, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা, জনগণকে পুড়িয়ে মারা, জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়ানো কোনো রাজনৈতিক সভ্যতা হতে পারে না। অবাধে গাছ কাটা, রেলের বগিতে আগুন দেয়া, পেট্রল বোম মেরে বাস, গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া ধর্মরক্ষার নাম রাজনীতির সভ্যতা হতে পারে না। দেশের জনগণ এত বোকা নয়। তরুণ সমাজ এখন সদাজাগ্রত। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে প্রতিরোধ অবশ্যম্ভাবী।
হরতালকে বলা হয় গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের ভাষা। আসুন এবার হরতাল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নিই। হরতাল একটি গুজরাটি শব্দ। গুজরাটিতে বলা হয় হাড়তাল যা সর্বাত্মক ধর্মঘটের প্রকাশক। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে মহাত্মা গান্ধী প্রথম এ শব্দটি ব্যবহার করেন। হরতাল হচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সম্মিলিত আন্দোলনের নামবিশেষণ।
হরতালের লাভ-ক্ষতি কী? হরতালের কোনো লাভ কি আছে? হরতাল করে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজালে সরকার বা বিরোধী দল কারোরই দৃশ্যমান লাভ নেই। যা আছে তা হলো দেশকে পিছিয়ে নেয়ার পথ তৈরি করা। হরতালকে সরকারের ক্ষতি বলে ধরে নিলে বোকামি হবে। কারণ বিরোধী দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তাদেরও নিজেদের ডাকা হরতালের জের অবশ্যই টানতে হবে। আসুন জেনে নিই হরতালে দেশের কতটা ক্ষতি হচ্ছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির এক তথ্য প্রতিবেদনে দেখা গেছে, হরতালে এক দিনে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। বলা হয়েছে, এক দিনের হরতালে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হয় তার পরিমাণ ২০ কোটি মার্কিন ডলার। ১৫ দিনের হরতালে যে পরিমাণ ক্ষতি হয় তা দিয়ে একটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। আসুন আমরা হরতাল না করার অঙ্গীকার করি। আর হরতালে যে ক্ষতি হয় দেশের সব ব্যবসায়ী মিলে সেই টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালন করি।
এবার জানব কেন হরতাল করা হয়। নির্দিষ্ট কোনো দাবি আদায় করা বা এর গুরুত্ব বোঝাতে হরতাল আহ্বান করা হয়। শান্তিপূর্ণ হরতালের মূল কার্যক্রম হতে পারে প্রতিবাদ মিছিল, মানববন্ধন এবং সমাবেশ। আমাদের দেশে হরতাল আইনসিদ্ধ অধিকার হলেও হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা আইনসিদ্ধ কাজ নয়।
হরতাল আহ্বান করা একটি রাজনৈতিক অধিকার। আবার হরতাল পালন করা বা না করাটাও নাগরিক অধিকার। অপর পক্ষে, হরতালে জানমালের নিরাপত্তা পাওয়া সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না। দেখার বিষয় হলো হরতাল কি জনস্বার্থে ডাকা হচ্ছে? হরতালে কি জনসমর্থন আছে? বিরোধী দলগুলো হরতাল শেষে বলে_ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে হরতাল সফল হয়েছে। আবার সরকার বলে_ জনগণ হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণকে নিয়ে প্রকাশ্যে এই নোংরা রাজনীতি করতে তাদের নূ্যনতম লজ্জাবোধটুকুও লক্ষ্য করা যায় না!
হরতালে বোমাবাজি, গাড়ি-বাড়ি-দোকানপাট পোড়ানো, পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া_ রাজনীতিতে এসব আর নতুন কিছু নয়। কিন্তু বিগত হরতালে কয়েকটি ঘটনা বর্বরতা ও নির্মমতার রেকর্ড ছাড়িয়েছে। লালমনিরহাটে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিকেটাররা হামলা চালিয়ে ভবন ও আসবাব ভাংচুর করেছেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লাঞ্ছিত করেছেন, এমনকি কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করেছেন। চট্টগ্রামে পিকেটারদের নিক্ষিপ্ত হাতবোমার আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাতে বসেছে এক স্কুলছাত্রী। যশোরে পিকেটারদের ধাওয়ায় পণ্যবোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারালে জীবন গেছে তিন শ্রমিকের। ধাওয়া খেয়ে সিএনজি উল্টে অন্তঃসত্ত্বা মহিলা আহত হয়েছেন। যাত্রী সেজে চলন্ত বাসে পেট্রল দিয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। চলন্ত বাসে ঢিল ছোড়া হচ্ছে। আগুন ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে! যাত্রীদের নামার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। গরিব সিএনজি বা রিকশাচালককে মারধর করে তার উপার্জনের চালিকাশক্তি বাহনটি পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এ নৃশংসতার নাম কি হরতাল পালন? রাজনীতির এ কেমন বীভৎস চেহারা আমরা দেখছি? স্বাধীনতার ৪২ বছরে_ কী দেখার কথা কী দেখছি?
লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, হরতাল বা রাজনৈতিক সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে পরিবহন খাত। সব আক্রোশ যেন এসব নির্জীব যানবাহনের ওপর। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হিসাবে দেখা গেছে, গত পাঁচ মাসে আগুনে পোড়ানো হয়েছে প্রায় ৪০০ যানবাহন। নির্বিচারে ভাংচুর করা হয়েছে আরো প্রায় ৩ হাজার যানবাহন। তাদের হিসাব অনুযায়ী শুধু যানবাহন পোড়ানোর ক্ষতির পরিমাণ ১৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বেশি। কমলাপুরে রেলের বগিতে আগুন দেয়াসহ রেলে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৯৫টি। এর মধ্যে ৭৬টি ঘটনায় সম্পদ ও রাজস্ব ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। হরতালে রক্ষা পায়নি অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্রের গাড়ি, পুলিশ, দমকল বাহিনীর যানবাহন। এসব কী ধরনের বর্বর, সহিংস রাজনীতি!
দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করে, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘি্নত করে এ কোন ধরনের দেশপ্রেমের রাজনীতি করছে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো! এটা কেমন ধরনের জনগণের কল্যাণের রাজনীতির নমুনা! হরতালে মিছিল-সমাবেশ, মানববন্ধন, পিকেটিং হতেই পারে। তবে বীভৎসতা কেন? যাত্রী পরিবহনে পেট্রল বোমা ছুড়ে মেরে জনগণকে পুঁজি করে রাজনীতির পরিণাম ভালো হবে না। কথায় কথায় জনগণ আর দেশের কল্যাণের নামে রাজনীতির কথা বলে অকাতরে ভাংচুর, অগি্নসংযোগ আর নাশকতাকে জনগণ সমর্থন করে না। বিরোধী দল হরতাল ডেকে জানমালের ক্ষতি করে সরকারের ওপর দায় চাপানোর ধোঁকাবাজির রাজনীতি করবে এসব জনগণ সমর্থন দেয় না। আবার সরকারের পেটোয়া বাহিনী পুলিশ ও ছাত্রলীগ যত্রতত্র হামলা, ধরপাকড় করবে এসবও জনগণ সমর্থন করে না। পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা করা জনগণের সমর্থনযোগ্য নয়। আবার জামায়াত-শিবির ধর্মীয় দুর্বলতাকে পুঁজি করে যে ন্যক্কারজনক হামলা, লুটপাট এবং সম্পদের ক্ষতি করছে এসবকে কখনোই জনগণ সমর্থন করে না। জামায়াত-শিবিরের উগ্র রাজনৈতিক অপতৎপরতা বরং জনগণের মনে ধিক্কার ও ঘৃণাকেই জাগ্রত করছে।
জামায়াত-শিবির এবার রাজধানীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা অাঁটছে বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের দাবিতে গত নভেম্বর থেকেই পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে আসছেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। রাজধানীসহ সারাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্রে জামায়াত-শিবিরের হামলা ও নাশকতার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জামায়াত-শিবিরের এ রাজনীতির প্রতি জনগণের ঘৃণা এখন ক্ষোভের ফণা তুলছে। কারণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে গোটা জাতি একমত। এ বিচার নিয়ে আর দ্বিধাবিভক্তির অবকাশ নেই। এ বিচার বাধাগ্রস্ত করার জন্য জামায়াত-শিবির যা করছে তা কার্যত তাদের রাজনৈতিক আদর্শহীনতাকে আরো স্পষ্ট করে তুলেছে। ধর্ম রক্ষার কথা বলে তারা নিজেরাই ধর্মবিরোধী, মানবতাবিরোধী কার্যকলাপ করছে। দেশে আইনের শাসনকে অবজ্ঞা করছে। এ দেশে বাস করে, এই মায়ের কোলে থেকে, এ দেশের আলো-ছায়া উপভোগ করে তারা দেশের সঙ্গে বেইমানি করছে। তারা যেন মায়ের সঙ্গে বেইমানি করছে। তা না হলে কয়েকজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীকে বাঁচানোর জন্য তারা নির্মম নাশকতা চালাতে পারত না।
সাধারণ মানুষের প্রশ্ন_ হরতালের নামে কেন এই নৈরাজ্য? যাত্রীসহ বাসে যারা আগুন লাগিয়ে দেন তারা কি মানুষ? দেশের সম্পদ যারা নষ্ট করেন তারা কি দেশপ্রেমিক? রাজনীতি যদি দেশের জন্য, দেশপ্রেমের জন্য অথবা জনগণের জন্য হয় তাহলে দেশ ও জনগণের বিপক্ষে যায় এমন কর্মকা- বন্ধ করুন। দেশকে ভালোবাসুন, মায়ের মতো।

এস এম মুকুল: প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক
ষবশযড়শসঁশঁষ@মসধরষ.পড়স

 


Attachment(s) from S M Mukul

1 of 1 File(s)


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___