Banner Advertiser

Thursday, April 11, 2013

[mukto-mona] হরতাল প্রত্যাখ্যান, জনজীবন ছিল স্বাভাবিক !!!!!!!!



হরতাল প্রত্যাখ্যান, জনজীবন ছিল স্বাভাবিক
খুলনায় একজন নিহত
স্টাফ রিপোর্টার ॥ গাড়ি ভাংচুর, আগুন দেয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মিছিল ও পুুলিশের ওপর হামলার মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতাল করল ছাত্র শিবির। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে অপচেষ্টা করেও শিবির দেশের কোথাও বড় ধরনের নাশকতা করতে পারেনি। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে জনজীবনে হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। রাজপথে পরিবহন এমনকি প্রচুর প্রাইভেটকার চলাচল করেছে। খোলা ছিল অধিকাংশ মার্কেটও। এদিকে হরতালে খুলনার ডুমুরিয়ায় জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও চার পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে গাজীপুরে শিবিরের ২০ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রামবাসীর সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষ হয়েছে পঞ্চগড়ে। শিবিরের সভাপতি দেলাওয়ার হোসেনের মুক্তির দাবিতে গত মঙ্গলবার এই হরতালের ডাক দেয় শিবির। চলতি সপ্তাহের পঞ্চম এই হরতালে রাজপথে গণপরিবহন চলাচল ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। এসব এলাকায় হরতালের বিরুদ্ধে মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। অন্যান্য হরতালের তুলনায় দোকানপাট বেশি খুলেছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও পথচারীদের সংখ্যাও বেড়ে যায়। দুপুরের পরই ঢাকার আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলো থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়া শুরু হয়ে যায়। প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা মোতায়েন ছিল। বিভিন্ন সড়কে তাদের ভ্রাম্যমাণ দলগুলো নিয়মিত টহল দিয়েছে। হরতাল ঘোষণার পর এ নিয়ে জনমনে কিছুটা আতঙ্ক থাকালেও শেষপর্যন্ত কোন প্রভাব পড়েনি মানুষের দৈনন্দিন কর্মকা-ে। বন্ধ রাখা হয়নি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, থামেনি গাড়ির চাকা। রাস্তায় প্রাইভেট কারের চলাচলও চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর শাহবাগ, ফার্মগেট, বিজয়সরণী, নাবিস্কো, মহাখালী, বনানী, গুলশান, বারিধারা ও বাড্ডা ঘুরে দেখা গেছে, পাবলিক পরিবহনের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিআরটিসি বাসের পাশাপাশি বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ব্যক্তিমালিকানাধীন বাসের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। ধানম-ির বাসিন্দা রোকেয়া আক্তার এসেছিলেন কাঁচাবাজারে। বলছিলেন, এভাবে আর কত চলে ভাই? একজনকে গ্রেফতার করলেই হরতাল দেবে আর পাবলিক মানতেই থাকবে তা হয় না। অধিকাংশ মানুষই শিবির সভাপতির নাম শুনে বললেন, দেলাওয়ারের নামও তো আগে শুনিনি। সে কি জাতীয় পর্যায়ের কোন নেতা? তার জন্য হরতাল দিয়ে পাবলিকের ক্ষয়ক্ষতি করার কর্মসূচী কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।
এদিকে সকালে পুরান ঢাকার জিন্দাবাহার এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে দুটি ককটেল ছোড়ে তারা। এর মধ্যে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হলেও এতে কেউ হতাহত হয়নি। পরে পুলিশ ধাওয়া করলে শিবিরের কর্মীরা বিভিন্ন গলিতে পালিয়ে যায়। এর আগে ভোর ছয়টার দিকে সদরঘাট এলাকায় শিবিরকর্মীরা একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেয় ও দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তখন পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায় পুলিশ গুলি ছুড়তে বাধ্য হয়। এ সময় নিজেদের ছোড়া ককটেলে দুই শিবিরকর্মী আহত হয়। আহত দুজনকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিন শিবির কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। খিলক্ষেত থানার জোয়ার সাহারায় পুলিশ বক্সের কাছ থেকে সকালে ১০০টি গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় খিলক্ষেত থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।
মহাখালী দক্ষিণপাড়া লাল মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ বস্তা জিহাদী বই, বেশ কিছু ককটেল ও চাঁদা আদায়ের রশিদ জব্দ করেছে বনানী থানা পুলিশ। আটক করেছে ১১ শিবিরকর্মীকে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাদের আটক করা হয়। মহাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট বিপ্লব ভৌমিক জানান, বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল বাশারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা হয়। লাল মসজিদের পাশের এক মেস থেকে তাদের আটক করা হয়। হরতাল চলাকালে গাজীপুরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নির্দেশ দিয়ে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগে শিবিরের ২০ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টায় গাজীপুরের জয়দেবপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। জয়দেবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হরতালে হামলার নির্দেশ দেয়ার সময় চান্দনা চৌরাস্তা এলাকা থেকে প্রথমে ইউসুফ নবী ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল দুটি উদ্ধার করে খোলা রাখা হয়। এর পর আটকদের দিয়ে বিভিন্ন ফোন রিসিভ করার মাধ্যমে আরও ১৮ জনকে বিভিন্ন স্থাপনার সামনে থেকে আটক করা হয়। ব্যাংক, বিপণিবিতান ও জনবহুল স্থানগুলোতে হামলার প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা।
অন্যদিকে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চেঁচুড়িতে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত ও চার পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ছাত্রশিবিরের ডাকা হরতালের হরতালের সর্মথনে বৃহস্পতিবার সকালে মিছিল ও পিকেটিংয়ের সময়ে এ সংঘর্ষ হয়। নিহতের নাম মুনসুর আলী গাজী (৪০)। তিনি জামায়াতের কর্মী বলে জানা গেছে।
স্টাফ রিপোর্টার খুলনা থেকে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৯টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার চেঁচুড়ি এলাকায় স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে এবং রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির চেষ্টা চালায়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে হরতালের সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। একপর্যায়ে তারা নিকটবর্তী পুলিশ ক্যাম্পেও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। শুরু হয় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ। এ সময় পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন জামায়াতকর্মী মুনসুর আলী গাজী (৪০)। তাঁকে পার্শ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ও ইটপাটকেল লাঠিসোটার আঘাতে চেঁচুড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিনসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সামান্য আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম রউফ খান বলেন, চেঁচুড়ি এলাকায় জামায়াত-শিবির সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে স্থানীয় ক্যাম্পের পুলিশ বাধা দেয়। তখন দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় হরতালের সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এ সময় আনসার আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তবে কার গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। পুলিশ সুপার আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের কয়েক সদস্য আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রুহুল ও কনস্টেবল ইমান আলীর অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর ও চান্দিনার কাঠেরপুল, তীরচর নিকট শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি, ককটেল বিস্ফোরণ, যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ১৬ রাউন্ড শটগানের গুলি, কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে এবং ৬ শিবিরকর্মীকে আটক করে।
নিজস্ব সংবাদদাতা গাজীপুর থেকে জানিয়েছেন, হরতালের সমর্থনে শিবিরকর্মীরা পোশাক শ্রমিকবাহী স্টাফবাসসহ কিছু গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় শিবিরকর্মীদের হামলায় ১৫ শ্রমিক আহত হয়েছে। পুলিশ শিবিরকর্মীকে আটক করেছে। নিজস্ব সংবাদদাতা ঝিনাইদহ থেকে জানিয়েছেন, হরতালে ঝিনাইদহে ব্যাপক তা-ব চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। তারা ভোরে ঝিনাইদহ-যশোর সড়কের বিষয়খালী বাজার এলাকায় রাস্তার গাছ কেটে সড়ক অবরোধ করে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়। আগুনে বাসের ৫ যাত্রী আহত হয়। বাসটি ময়মনসিংহ থেকে যাত্রী নিয়ে যশোরের বেনাপোল যাচ্ছিল। এ সময় সড়কে ১০টি ট্রাক ভাংচুর করা হয়। একই সময়ে শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজারে একটি ট্রাকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। জামায়াত-শিবির কর্মীরা মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর জিয়া কলেজের সামনে সড়কের ওপর গাছ ফেলে অবরোধ করে রাখে। এসব ঘটনায় শৈলকুপা থেকে ২ শিবির কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
পঞ্চগড় থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, বোদা উপজেলায় বোদেশ্বরীতে শিবিরের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছেন চারজন। তেঁতলির মোড় এলাকায় হরতালের সমর্থনে শিবিরকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করলে ইদ্রিস আলী নামে এক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে স্থানীয় লোকজন বাধা দেয়। এ ঘটনার জের ধরে শিবির কর্মীরা ইদ্রিস আলীর ছেলে সোহেল রানাকে বোদেশ্বরী বাজার থেকে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী ভারতীয় ছিটমহলে নিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ লোকজন ছিটমহলে গিয়ে শিবিরকর্মীদের প্রতিরোধ করলে গ্রামবাসীর সঙ্গে শিবিরকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৪ গ্রামবাসী আহত হন। এঁরা হলেন- ইদ্রিস আলী, আব্দুল আজিজ, মীর কাশেম ও সোহেল রানা। বিক্ষুব্ধ লোকজন অপহৃত সোহেল রানাকে উদ্ধার ও মানিক নামের (২৫) এক শিবিরকর্মীকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। নিজস্ব সংবাদদাতা বাগেরহাট থেকে জানান, রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বাস ভাংচুর করার সময় মোরেলগঞ্জ-বাগেরহাট সড়কের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় স্থানীয় জনতা শিবিরের চার কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। স্টাফ রিপোর্টার দিনাজপুর থেকে জানিয়েছেন, শিবিরের ডাকা হরতাল পুলিশের সঙ্গে শিবিরের সংঘর্ষে পুলিশসহ ২৬ জন আহত হয়েছেন। শিবির ও বিএনপি নেতাসহ ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে নিজস্ব সংবাদদাতা জয়পুরহাট থেকে জানিয়েছেন, শিবিরের ডাকা হরতালে জয়পুরহাটে বেশ কয়েকটি স্থানে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ট্রেনের যাত্রীসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়। জয়পুরহাটের পুরানাপৈল ইউনিয়নে শিবিরের সমর্থনে কয়েকটি গ্রাম থেকে আসা প্রায় দুই হাজার জামায়াত-শিবিরকর্মী পুরানাপৈল বাজার, গতনশহর ও রেল লাইনের ওপর অবস্থান নিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তারা রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য লাইনের পেনডেল ক্লিপ খুলে ফেলে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের ওপর তারা চড়াও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৩ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ২৮ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে।



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___