হেফাজতের নয়, এ দেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিদের: আহলে সুন্নাত
আগামী ২৫ মে ঢাকায় সুন্নি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত। সেখান থেকে সারা দেশে তারা পূর্ণাঙ্গ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সমাবেশে বক্তারা হেফাজত ইসলামের সমালোচনা করে বলেন, হেফাজতের কাছে ইসলাম নিরাপদ নয়। সংগঠনটি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কায়েমের চক্রান্তে লিপ্ত। বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোর জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এ দেশ হেফাজতের দেশ নয়, এ দেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নিদের দেশ। সমাবেশে বক্তারা জানান, জামায়াত ও হেফাজতে ইসলামকে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে মহাসমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ ও আগামী ১১ মে নারায়ণগঞ্জে জেলা সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর অবমাননাকারী নাস্তিক ব্ল্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ড দাবি করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত। মহাসমাবেশে আহলে সুন্নাত নিজেদের ১২ দফা দাবি তুলে ধরে।
সুন্নি আলেম কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী, মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, ইদ্রীছ রেজভী, আজিজুল হক আলকাদেরী, সাইফুর রহমান নিজামী শাহ, মুহাম্মদ নুরুল মুনাওয়ার, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, আবুল কাশেম নুরী প্রমুখ।
সুন্নি মহাসমাবেশে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী বলেন, 'ইসলামের নামে কোনো হামলা নেই, ইসলামের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। তবে আমাদের জানমালের ওপর যদি হামলা আসে, তা মোকাবিলার জন্য সুন্নি জনতা প্রস্তুত আছে।'
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, 'এই সরকার ক্ষমতায় বসে প্রথমেই কওমি মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসে। কিন্তু সুন্নি আলেমদের সঙ্গে বসেনি। অথচ এই কওমিরা এখন সরকারের গদি নিয়ে টানাটানি করছে।' নজিবুল বশর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'ফটিকছড়িতে জামায়াত-হেফাজতিদের আক্রমণের পরও সরকারের লোকজন হাতে চুড়ি পরে বসে আছেন। কিন্তু আমরা সেভাবে বসে থাকব না। সুন্নি আলেমদের ওপর কোনো হামলা হলে আমরা তা প্রতিহত করব।'
মহাসমাবেশের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী বলেন, 'আমরা রাসুল (স.) ও ইসলামের অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। আমরা আজকের সমাবেশে শুধু আংশিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সারা দেশের জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি পাবেন ২৫ মে।'
মহাসমাবেশে বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'সরকার হেফাজতি ও জামায়াতীদের ওপর ভর করে চলছেন, ভোটের অঙ্ক কষছেন। কিন্তু ক্ষমতায় কে বসবে, তা আগামীতে সুন্নিরাই নির্ধারণ করবে।'
বক্তারা যেকোনো মূল্যে নিজেদের ঐক্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে বলেন, 'আমরা মওদুদীবাদী, নাস্তিকতাবাদ, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মরতে হয় মরব। সুন্নিদের এই জোয়ার আর কোনোদিন কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।'
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'আমাদের ১২ দফা দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। নাহলে আন্দোলন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।' তাঁরা জঙ্গিবাদ ও নাস্তিকতাবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
মহাসমাবেশে ১২ দফা দাবি পড়েন আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন নেতার উল্লিখিত 'বিকৃত' প্রকাশনা তুলে ধরেন আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী। এগুলোতে আল্লাহ ও রাসুল (স.)-কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
আজ শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের লালদীঘি মাঠে মহাসমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন। এ ছাড়া ২৭ এপ্রিল হবিগঞ্জ ও আগামী ১১ মে নারায়ণগঞ্জে জেলা সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে ইসলাম ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর অবমাননাকারী নাস্তিক ব্ল্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ড দাবি করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত। মহাসমাবেশে আহলে সুন্নাত নিজেদের ১২ দফা দাবি তুলে ধরে।
সুন্নি আলেম কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমীর সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী। এতে আলোচক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ত্বরিকত ফেডারেশনের সভাপতি সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী, মুফতি ওবাইদুল হক নঈমী, ইদ্রীছ রেজভী, আজিজুল হক আলকাদেরী, সাইফুর রহমান নিজামী শাহ, মুহাম্মদ নুরুল মুনাওয়ার, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, আবুল কাশেম নুরী প্রমুখ।
সুন্নি মহাসমাবেশে মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী বলেন, 'ইসলামের নামে কোনো হামলা নেই, ইসলামের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। তবে আমাদের জানমালের ওপর যদি হামলা আসে, তা মোকাবিলার জন্য সুন্নি জনতা প্রস্তুত আছে।'
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, 'এই সরকার ক্ষমতায় বসে প্রথমেই কওমি মাদ্রাসার আলেমদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বসে। কিন্তু সুন্নি আলেমদের সঙ্গে বসেনি। অথচ এই কওমিরা এখন সরকারের গদি নিয়ে টানাটানি করছে।' নজিবুল বশর সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'ফটিকছড়িতে জামায়াত-হেফাজতিদের আক্রমণের পরও সরকারের লোকজন হাতে চুড়ি পরে বসে আছেন। কিন্তু আমরা সেভাবে বসে থাকব না। সুন্নি আলেমদের ওপর কোনো হামলা হলে আমরা তা প্রতিহত করব।'
মহাসমাবেশের সভাপতি কাজী মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম হাশেমী বলেন, 'আমরা রাসুল (স.) ও ইসলামের অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করছি। আমরা আজকের সমাবেশে শুধু আংশিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। সারা দেশের জন্য পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি পাবেন ২৫ মে।'
মহাসমাবেশে বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'সরকার হেফাজতি ও জামায়াতীদের ওপর ভর করে চলছেন, ভোটের অঙ্ক কষছেন। কিন্তু ক্ষমতায় কে বসবে, তা আগামীতে সুন্নিরাই নির্ধারণ করবে।'
বক্তারা যেকোনো মূল্যে নিজেদের ঐক্য বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে বলেন, 'আমরা মওদুদীবাদী, নাস্তিকতাবাদ, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রয়োজনে মরতে হয় মরব। সুন্নিদের এই জোয়ার আর কোনোদিন কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।'
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'আমাদের ১২ দফা দাবি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। নাহলে আন্দোলন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হবে।' তাঁরা জঙ্গিবাদ ও নাস্তিকতাবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
মহাসমাবেশে ১২ দফা দাবি পড়েন আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন নেতার উল্লিখিত 'বিকৃত' প্রকাশনা তুলে ধরেন আল্লামা কাজী মঈনুদ্দীন আশরাফী। এগুলোতে আল্লাহ ও রাসুল (স.)-কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
পাঠকের মন্তব্য
পাঠকদের নির্বাচিত মন্তব্য প্রতি সোমবার প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতা__._,_.___