Banner Advertiser

Monday, May 27, 2013

[mukto-mona] Respects



My respects to this great man.

May peace be unto you.




স্মরণ

জ্যোতির্ময় মোজাফ্ফর

বায়েজিদ আহমেদ | তারিখ: ২২-০৫-২০১৩

মোজাফ&ফর আহমদ
মোজাফ&ফর আহমদ
একে একে পেরিয়ে গেছে ৩৬৫টি দিন। একজন মানুষ আজ আমাদের মাঝে নেই, যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কথা বলেছেন দুর্নীতি ও পরিবেশ বিপর্যয়ের বিরুদ্ধে, সুশাসন আর শিক্ষার পথে যাবতীয় অন্তরায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে। তিনি অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহমদ।
এ দেশের সাধারণ মানুষ সহজ, সরল আর সৎ হলেও সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দুর্নীতিতে
আকণ্ঠ নিমজ্জিত। দুর্নীতি যে সাধারণ মানুষকে কতভাবে বঞ্চিত করে, তা তিনি গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনমত গঠনে তিনি ছুটে গেছেন দেশের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে।
দুর্নীতি নির্মূলে উপযুক্ত আইনি কাঠামো, কার্যকর প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক প্রতিরোধ—এই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে অধ্যাপক মোজাফ্ফর মনে করতেন। তিনি বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও আমলাতন্ত্রের দুষ্টচক্র দুর্নীতির ব্যাপ্তি ও গভীরতা দিয়েছে, সেটি দূর করতে শক্তিশালী ও কার্যকর দুর্নীতি দমন কমিশন দরকার; যে কমিশন আইনের মধ্যে থেকে সরকারি প্রশাসনের ঊর্ধ্বে উঠে স্বাধীনভাবে কাজ করবে।'
মোজাফ্ফর আহমদ দীর্ঘদিন টিআইবির চেয়ারম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটির নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব অনিয়মের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে সমাদৃত হয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব হিসেবে।
'বড় হয়ে তুমি কী হতে চাও?' বরিশালে স্কুল পরিদর্শকের এ প্রশ্নের জবাবে ক্লাস ফাইভের ছাত্র মোজাফ্ফর বলেছিলেন, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির শিক্ষক হতে চাই।' অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স করে ছেলেবেলার স্বপ্ন শতভাগ পূরণে যোগ দিয়েছিলেন সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১৯৫৭ সালে।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তান থেকে সদ্য স্বাধীন ও বিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে '৭২ সালে পরিকল্পনা কমিশনে যোগ দেন তরুণ অর্থনীতিবিদ মোজাফ্ফর আহমদ, দায়িত্ব নেন শিল্প বিভাগের। আঁতুড়ঘরে থাকা শিল্প খাতকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন। '৭৪ সালে পরিকল্পনা কমিশন ছেড়ে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট আইবিএতে। সেখানে পরিচালকও ছিলেন।
কেবল শিক্ষা আর অর্থনীতি নয়, পরিবেশ রক্ষায়ও ড. মোজাফ্ফর কাজ করেছেন নিরলসভাবে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন—বাপায়। ছিলেন বাপার তিনবারের সভাপতি। যেখানে গাছ কাটা, সেখানেই প্রতিবাদ; যেখানে প্রকৃতি ও পরিবেশের ওপর অত্যাচার, সেখানেই সোচ্চার ছিলেন মোজাফ্ফর আহমদ। বনের ওপর নির্ভরশীল কিন্তু অধিকারহারা আদিবাসীদের কাছে তিনি ছিলেন পিতৃতুল্য। শুধু আদিবাসীদের কাছে নয়, চলনবিল এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাণের মানুষ ছিলেন এই পরিবেশবিদ, ছিলেন নিরন্তর প্রেরণার উৎস। পরিবেশ আন্দোলনে তরুণ সমাজকে সক্রিয় করতে 'পরিবেশ অলিম্পিয়াড' করার স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিবেশপ্রেমী এই মানুষটি, যা দেশব্যাপী সফলভাবে বাস্তবায়ন করছে বাপা।
নির্বাচনকে কালোটাকার প্রভাবমুক্ত রাখার আন্দোলনে পালন করেছেন অন্যতম সেনাপতির দায়িত্ব। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে নির্দলীয় ও সাহসী ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে সরকারকে পরামর্শ দিতেন। শুধু নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনই নয়, অসৎ, অযোগ্য, দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও বিলখেলাপিদের নির্বাচনে মনোনয়ন না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি গণজাগরণ সৃষ্টিতে প্রয়াস চালিয়েছেন।
'যার যতটুকু আছে, ততটুকু নিয়েই আনন্দে জীবন কাটাতে হবে'—এমন আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন ড. মোজাফ্ফর। তাই তো আজীবন সাদাসিধে জীবন কাটিয়েছেন সর্বজনশ্রদ্ধেয় এই শিক্ষাবিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করেছেন। তিনি বলতেন, শিক্ষকদের মনে রাখা দরকার, দাবি করে মর্যাদা লাভ করা যায় না, কর্মের মাঝেই শিক্ষকের প্রকৃত মর্যাদা।
শিক্ষা ও অর্থনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক সরকারের বিভিন্ন কমিটিতে কাজ করেছেন তিনি। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারে মন্ত্রীর পদমর্যাদায় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিলেও, বছর খানেকের মাথায় স্বেচ্ছায় দায়িত্ব ছেড়ে দেন। শিল্প ব্যাংকের বোর্ড অব ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, অর্থনীতির বিভিন্ন অঙ্গনে তাঁর বিচরণ ছিল সাফল্যময়।
যে মানুষটি সততা, নিরপেক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন; ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনেও ছিলেন খুবই সুখী। জীবন ও কর্মক্ষেত্রে সফল এই মানুষ অর্থনীতি, শিক্ষা, গণতন্ত্র, সুশাসন ও পরিবেশ রক্ষায় পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সবকিছু ছাপিয়ে গেছে শিক্ষা ও গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৮ সালে পাওয়া রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক।
২০০২ সালে মোজাফ্ফর আহমদের শরীরে দুরারোগ্য অসুখ বাসা বাঁধে। নিয়ত ওঠানামা করতে থাকে রক্তের প্লাটিলেট। কিন্তু অফুরন্ত প্রাণশক্তিতে ভরা এই সংগঠককে কোনো কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি। অসুস্থ শরীর নিয়ে দিন-রাত কাজ করেছেন দেশকে ভালোবেসে।
২০১২ সালের ২২ মে, সারা দিন কাজের মধ্যে ছিলেন কাজপাগল এই মানুষটি। রাতে ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন, আক্রান্ত হন হূদেরাগে। ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে সবাইকে কাঁদিয়ে ৭৬ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান কীর্তিমান এই ব্যক্তিত্ব।
মোজাফ্ফর স্যার আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর কাজ, চেতনা ও আদর্শ বাঙালির হূদয়ে থাকবে হাজার বছর, চির অমলিন। পরম শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা সাদা মনের এই মানুষটির প্রতি।
বায়েজিদ আহমেদ: সাংবাদিক ও এমফিল গবেষক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___