বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৩, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না
মুনতাসীর মামুন
॥ ৮ম কিস্তি ॥
২. এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা তা পারেনি। অথচ, বঙ্গবন্ধু সে কারণেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এই ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্ব আসা দরকার এবং এর খোল-নলচে পাল্টে যুগোপযোগী করা দরকার। এটি একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। তৃণমূল পর্যায়ে তারা কী করতে পারে সে অনুযায়ী কার্যক্রম সাজানো দরকার। ইমাম প্রশিক্ষণ যদি সঠিক হতো তা'হলে বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা সাঈদীর মৃত্যুদ- হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে খতরনাক ব্যবহার করেছেন তা করতেন না। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ।
৩. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারটি রায়েই জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন বা ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চতুর্থ রায়ে বিষয়টি আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৯৭১ থেকে এখনও এই দলটি একই ধরনের আচরণ করে আসছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে তারা কর্মকা- চালাতে পারে কিনা বিষয়টি সবার ভেবে দেখা উচিত। চতুর্থ রায়ের পর সরকার বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মামলা করতে পারে। এ দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি।
গত ৩৫ বছরের কথা বাদ দিই, গত ছয় মাসে তাদের যে হিংস্র চেহারা আমরা দেখেছি, সে প্রেক্ষিতেও একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের কর্মকা- নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এর আগে আন্দোলনের নামে কোনও দল এত পুলিশ র্যাব আর সীমান্তরক্ষী হত্যা করেনি। এ দলটি এখন নিষিদ্ধ করা উচিত কি উচিত নয়?
৪. হেফাজতে ইসলাম জামায়াতী ধারায় একই ধরনের কাজ করছে। প্রকাশ্যে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও এর কর্মকা- রাজনৈতিক। একমাত্র রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন ও সরকার উৎখাতের দাবি ও আহ্বান জানায়। রাজনৈতিক কারণে, সংগঠনটির প্রধান আহমদ শফীকে কোন কিছুর জন্য দায়ী না করে সংগঠনটির মহাসচিব ও অন্যান্যÑ যেমন, বাবুনগরী, ফয়জ্জুল্লাহকে দোষী বলা হয়। যে, যতই বলুক, দায়দায়িত্ব আহমাদ শফীরই। সরকার বা দলের যে কোন কর্মকা-ের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা বা নন্দিত করা হয়, সৈয়দ আশরাফকে নয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের ভেতর ঢুকে গেছে, অপকর্মগুলো তাদের। আওয়ামী লীগের টার্গেট যেহেতু বিএনপি সে জন্য এ রকম বক্তব্য তারা রাখতেও পারে। হেফাজতের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের- অনুপ্রবেশ ঘটেনি তা বলব না, কিন্তু হেফাজতের সব কর্মকা-ের দায়িত্ব বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের উক্তি বিভ্রান্তিকর অপকৌশল। হেফাজত যদি মনে করে বিএনপি-জামায়াত তাদের সংগঠন দখল করেছে তা'হলে আহমাদ শফী ও অন্য নেতাদের সংগঠনটি লুপ্ত করতে হবে। হেফাজতীরা জামায়াতী কাজকর্ম করবে আর বলা হবে তারা এর জন্য দায়ী নয়, এটি হতে পারে না। আর হেফাজতীদের এ ধরনের কর্মকা- যদি অব্যাহত থাকে তা'হলে তাদেরও নিষিদ্ধ করার দাবি উত্থাপন করতে হবে।
৫. এ বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, মাদ্রাসাগুলোই জঙ্গী মৌলবাদের কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালের পর থেকে আদর্শগত ও নির্বাচনী কারণে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ এদের ব্যবহার করেছে এবং তোয়াজ করেছে। আর এই তোয়াজ করতে করতে মাদ্রাসাগুলো নিজের জমি দৃঢ় করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যারা এদের নিয়ে খেলছে ভাবছে, তারাই বিপদে পড়বে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান।
মাদ্রাসা তোয়াজের মধ্যে এক ধরনের ভণ্ডামি আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি এত ভাল হয় তাহলে এসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলেমেয়েরা কেন ইংরেজী স্কুলে বা বিদেশে পড়ে? জামায়াত-বিএনপির কোন নেতার ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়েনি। আওয়ামী লীগেরও নয়। শুধু তাই নয়, আমি দেখেছি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরাও প্রথমেই একটি মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষকতা করেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেন না। তাদের ছেলেমেয়েরাও মাদ্রাসায় পড়ে না। আল্লাহ কি বলেছেন, মাদ্রাসায় পড়লে বা টাকা দিলে সওয়াব বেশি হবে? সুতরাং, প্রতি বাজেটে মাদ্রাসা বাজেট বাড়ানো উচিত নয়। যেসব মাদ্রাসায় যুগোপযোগী শিক্ষা দেয়া হবে সরকার সেগুলোর ক্ষেত্রেই শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারে। মাদ্রাসা শিক্ষার কথা উঠলেই আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই। এবিএম মূসা যথার্থই লিখেছেন-
"মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যাকাত ও কোরবানির চামড়া বেচা অর্থ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দানের অর্থের ওপর নির্ভরশীল। মাদ্রাসা শিক্ষাকে এসব কিছুর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে পুরোপুরি সরকারের নজরদারি, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বর্তমান অসাম্প্রদায়িক সরকারকেই নিতে হবে। এর জন্য দশ বা বিশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু কোরবানির পশুর চামড়া বেচা অর্থ, যাকাত ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের বৃহত্তর কোনও উপকারে আসবে না। আর সে-কারণেই তাদের দিয়ে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- করিয়ে নেয়া সম্ভব।"
৬. কত রকমের এবং কত মাদ্রাসা আছে বাংলাদেশে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে আছে কিনা জানি না- আলিয়া, কওমি, ফোরকানিয়া, হাফিজিয়া ইত্যাদি অনেক রকমের মাদ্রাসা। সব মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে নয়। সব ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা হবে কমপক্ষে তিন লাখ। কারণ, কুড়ি বছর আগে এই সংখ্যা ছিল আড়াই লাখের কাছাকাছি। এ তথ্য দিয়েছেন সাহিত্যিক গবেষক হায়াৎ মামুদ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে তিন লাখের কাছাকাছি মাদ্রাসা এক অস্বাভাবিক ব্যাপার। এ মুহূর্তে আমি জানি না, সব ধরনের মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন কী না। না হলে, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য যে সব নিয়ম কানুন মানতে হয়, একটি মাদ্রাসা স্থাপনের জন্যও তা চালু করতে হবে। এবং সরকারী শিক্ষাক্রম চালু না করলে সে মাদ্রাসার অনুমতি দেয়া যাবে না। খাস জমিতে মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না। যত্রতত্র মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না।
মাদ্রাসার হালহকিকত নিয়ে সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে একটি নিবিড় জরিপ করা জরুরি। অধিকাংশ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে অভিযোগ, তারা জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা মাদ্রাসার জন্য অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। যেসব মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে সেসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে এবং শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৭. সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের কি উচিত নয় তৃণমূল পর্যায়ে বোঝানো যে মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক স্কুল উত্তম? কোরবানির চামড়া বা দান ধ্যানের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাধীন জীবিকা উত্তম? সরকারী উপজেলা অফিসারের কাজ কী? তারা কি মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শন করেন নাকি অফিসে বসে শুধু দরিদ্র প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর হম্বিতম্বিই করেন? শুধু তাই নয়, যে সব রাজনৈতিক দল হেফাজত/জামায়াত সমর্থক (এদের ভিত্তি মাদ্রাসা) বা জামায়াতের নেতাদের সন্তানরা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা উন্নয়ন বা সামাজিক কর্মীদের কর্মকা-ের অংশ হতে পারে ভ- রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া প্রবল ভূমিকা পালন করতে পারে।
৮. রাজনৈতিক কারণে এবং মাদ্রাসা তোষণের স্বার্থে বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসার ডিগ্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করেছে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় করছে এবং এভাবে যুগোপযোগী শিক্ষার সর্বনাশ করছে। লক্ষ্য করবেন, সুশীল সমাজের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললেও এসব বিষয়ে বাতচিত করেন না; কারণ, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়ে।
মাদ্রাসার বিভিন্ন ডিগ্রীকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করা হয়েছে। এটি হতে পারে না। মাদ্রাসায় দেয়া নম্বর আর সেক্যুলার স্কুলে দেয়া নম্বরে পার্থক্য আছে। এভাবে শিক্ষার উন্নয়ন করা যাবে না।
৯. মাদ্রাসা শিক্ষিত যে কেউ যে কোন সময় যে কারো বিরুদ্ধে মুরতাদ, মুশরিক, কাফের, নাস্তিক ইত্যাদি ফতোয়া দেয়। এ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে এবং ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এ ধরনের কর্মকা- শুধু সংবিধানবিরোধীই নয়, রাষ্ট্র বিরোধীও। এ ধরনের ফতোয়া আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি নাগরিক সমাজকেই তুলতে হবে।
১০. এখন থেকে আমরা যেন মুসলমানত্ব পরীক্ষা দিতে অগ্রসর না হই। যে ভাষায় মৌলবাদীরা কথা বলবে সে ভাষায়ই উত্তর দিতে হবে। যুক্তি বুঝলে কেউ জামায়াত-বিএনপি বা জঙ্গী মৌলবাদের সমর্থক হয় না। এরা শক্তি বোঝে।
১১. অধ্যাপক আবদুল মান্নান এক প্রবন্ধে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের বড় মাদ্রাসাগুলোতে সব সময় বড় রকমের সাহায্য করে আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ীরা। তারা যদি একইভাবে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করত তা হলে কোন মন্তব্য ছিল না। কিন্তু, শুধু মাদ্রাসায় সাহায্য করবে এবং বাইরে পরিচিত হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হিসেবে তা কাম্য নয়, এটি এক ধরনের ভ-ামি। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে; ইবনে সিনায় চিকিৎসা নেয়াও এক ধরনের ভ-ামি। আমি স্বাচিপের অনেক নেতাকে অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা সংগঠনের সমর্থকদের আহ্বান জানান এসব প্রতিষ্ঠান বয়কটের জন্য। তারা সেটি পারেননি। এভাবে, আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে তুলে ধরি বৃহত্তর স্বার্থের বিপরীতে কিন্তু সমালোচনা করি নিয়ত সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের দলগুলোকে। এও এক ধরনের ভণ্ডামি। এসব স্বার্থবুদ্ধি পরিহার না করলে মৌল-জঙ্গীবাদী ও এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
১২. রাজনৈতিক নেতা হলেই তিনি যা খুশি করতে পারবেন বা বলতে পারবেন- এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। রাজনীতিবিদদের অসত্য ভাষণ, বিভ্রান্তিকর উক্তি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, ২৫০০ মানুষের মৃত্যু। এই যে প্রচার এটি দেশবিরোধী। যখন-তখন 'গণহত্যা' শব্দ ব্যবহার 'গণহত্যা'কে খাটো করে দেখা। পৃথিবীর অনেক দেশে আইন আছে স্বাধীনতা বা মুক্তিসংক্রান্ত কোন কিছুকে অস্বীকার করা অপরাধ। আইনত দ-নীয়। ইউরোপে 'হলোকাস্ট ডিনাইল' অপরাধ। এখানেও সে ধরনের আইন করা বাঞ্ছনীয়।
একটি প্রস্তাব করা যেতে পারে। তরুণ কিছু আইনজীবী যদি একটি সংগঠন করেন 'প্রো বোনো' জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা করার জন্য তা'হলে ভালো হয়। রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিটি উক্তি যদি চ্যালেঞ্জ করা যায় তাহলে হয়ত রাজনীতিবিদদের সবার উর্ধে, আইনের উর্ধে কাজ করার মানসিকতা হ্রাস পাবে।
রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন উক্তি নিয়ত চ্যালেঞ্জ করা হয় না দেখে আজ এই বিপত্তি।
১৩. হরতাল করা এবং না করার অধিকার সবার আছে। হরতালের সহিংসতা রোধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির কথা বিবেচনা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। কয়েক মাস আগে আমি কুয়ালালামপুর ছিলাম। আমি যাওয়ার কয়েকদিন আগে এ রকম একটি হরতাল হয়েছিল। হরতালকারীরা কয়েকজন হকারের পণ্যের ও কয়েকটি (বোধ হয়) সাইনবোর্ডের ক্ষতি করেছিলেন। হরতাল যে দল ডেকেছিল সে দলকে বলা হয় ক্ষতিপূরণ দিতে। না হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। তাদের আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এখানেও যে দলের ডাকা হরতালে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি সে দলকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার জন্য উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন কিনা তা বিবেচনা করুন। (চলবে)
২. এ ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভূমিকা পালন করতে পারত। কিন্তু মনে হচ্ছে তারা তা পারেনি। অথচ, বঙ্গবন্ধু সে কারণেই ইসলামিক ফাউন্ডেশন গঠন করেছিলেন। এই ফাউন্ডেশনে নতুন নেতৃত্ব আসা দরকার এবং এর খোল-নলচে পাল্টে যুগোপযোগী করা দরকার। এটি একটি আমলাতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হয়ে গেছে। তৃণমূল পর্যায়ে তারা কী করতে পারে সে অনুযায়ী কার্যক্রম সাজানো দরকার। ইমাম প্রশিক্ষণ যদি সঠিক হতো তা'হলে বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা সাঈদীর মৃত্যুদ- হওয়ার পর থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যে খতরনাক ব্যবহার করেছেন তা করতেন না। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ।
৩. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চারটি রায়েই জামায়াতকে অপরাধী সংগঠন বা ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। চতুর্থ রায়ে বিষয়টি আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ১৯৭১ থেকে এখনও এই দলটি একই ধরনের আচরণ করে আসছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশে তারা কর্মকা- চালাতে পারে কিনা বিষয়টি সবার ভেবে দেখা উচিত। চতুর্থ রায়ের পর সরকার বাদী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মামলা করতে পারে। এ দাবি আমরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছি।
গত ৩৫ বছরের কথা বাদ দিই, গত ছয় মাসে তাদের যে হিংস্র চেহারা আমরা দেখেছি, সে প্রেক্ষিতেও একটি সন্ত্রাসী দল হিসেবে জামায়াতের কর্মকা- নিষিদ্ধ করা যেতে পারে। এর আগে আন্দোলনের নামে কোনও দল এত পুলিশ র্যাব আর সীমান্তরক্ষী হত্যা করেনি। এ দলটি এখন নিষিদ্ধ করা উচিত কি উচিত নয়?
৪. হেফাজতে ইসলাম জামায়াতী ধারায় একই ধরনের কাজ করছে। প্রকাশ্যে অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে দাবি করলেও এর কর্মকা- রাজনৈতিক। একমাত্র রাজনৈতিক দলই সরকার গঠন ও সরকার উৎখাতের দাবি ও আহ্বান জানায়। রাজনৈতিক কারণে, সংগঠনটির প্রধান আহমদ শফীকে কোন কিছুর জন্য দায়ী না করে সংগঠনটির মহাসচিব ও অন্যান্যÑ যেমন, বাবুনগরী, ফয়জ্জুল্লাহকে দোষী বলা হয়। যে, যতই বলুক, দায়দায়িত্ব আহমাদ শফীরই। সরকার বা দলের যে কোন কর্মকা-ের জন্য শেখ হাসিনাকে নিন্দা বা নন্দিত করা হয়, সৈয়দ আশরাফকে নয়।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের ভেতর ঢুকে গেছে, অপকর্মগুলো তাদের। আওয়ামী লীগের টার্গেট যেহেতু বিএনপি সে জন্য এ রকম বক্তব্য তারা রাখতেও পারে। হেফাজতের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের- অনুপ্রবেশ ঘটেনি তা বলব না, কিন্তু হেফাজতের সব কর্মকা-ের দায়িত্ব বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের উক্তি বিভ্রান্তিকর অপকৌশল। হেফাজত যদি মনে করে বিএনপি-জামায়াত তাদের সংগঠন দখল করেছে তা'হলে আহমাদ শফী ও অন্য নেতাদের সংগঠনটি লুপ্ত করতে হবে। হেফাজতীরা জামায়াতী কাজকর্ম করবে আর বলা হবে তারা এর জন্য দায়ী নয়, এটি হতে পারে না। আর হেফাজতীদের এ ধরনের কর্মকা- যদি অব্যাহত থাকে তা'হলে তাদেরও নিষিদ্ধ করার দাবি উত্থাপন করতে হবে।
৫. এ বিষয়টি এখন স্পষ্ট যে, মাদ্রাসাগুলোই জঙ্গী মৌলবাদের কেন্দ্র। ১৯৭৫ সালের পর থেকে আদর্শগত ও নির্বাচনী কারণে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ এদের ব্যবহার করেছে এবং তোয়াজ করেছে। আর এই তোয়াজ করতে করতে মাদ্রাসাগুলো নিজের জমি দৃঢ় করেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে যারা এদের নিয়ে খেলছে ভাবছে, তারাই বিপদে পড়বে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ পাকিস্তান।
মাদ্রাসা তোয়াজের মধ্যে এক ধরনের ভণ্ডামি আছে। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি এত ভাল হয় তাহলে এসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছেলেমেয়েরা কেন ইংরেজী স্কুলে বা বিদেশে পড়ে? জামায়াত-বিএনপির কোন নেতার ছেলেমেয়েরা মাদ্রাসায় পড়েনি। আওয়ামী লীগেরও নয়। শুধু তাই নয়, আমি দেখেছি পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিরাও প্রথমেই একটি মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষকতা করেন, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করেন না। তাদের ছেলেমেয়েরাও মাদ্রাসায় পড়ে না। আল্লাহ কি বলেছেন, মাদ্রাসায় পড়লে বা টাকা দিলে সওয়াব বেশি হবে? সুতরাং, প্রতি বাজেটে মাদ্রাসা বাজেট বাড়ানো উচিত নয়। যেসব মাদ্রাসায় যুগোপযোগী শিক্ষা দেয়া হবে সরকার সেগুলোর ক্ষেত্রেই শুধু পৃষ্ঠপোষকতা দিতে পারে। মাদ্রাসা শিক্ষার কথা উঠলেই আঁতকে ওঠার কোন কারণ নেই। এবিএম মূসা যথার্থই লিখেছেন-
"মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা যাকাত ও কোরবানির চামড়া বেচা অর্থ, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দানের অর্থের ওপর নির্ভরশীল। মাদ্রাসা শিক্ষাকে এসব কিছুর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করে পুরোপুরি সরকারের নজরদারি, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা উচিত। তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিকভাবে পুনর্বাসিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা বর্তমান অসাম্প্রদায়িক সরকারকেই নিতে হবে। এর জন্য দশ বা বিশ বছর মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু কোরবানির পশুর চামড়া বেচা অর্থ, যাকাত ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরশীল হলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা সমাজের বৃহত্তর কোনও উপকারে আসবে না। আর সে-কারণেই তাদের দিয়ে যে কোন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা- করিয়ে নেয়া সম্ভব।"
৬. কত রকমের এবং কত মাদ্রাসা আছে বাংলাদেশে তার সঠিক হিসাব সরকারের কাছে আছে কিনা জানি না- আলিয়া, কওমি, ফোরকানিয়া, হাফিজিয়া ইত্যাদি অনেক রকমের মাদ্রাসা। সব মাদ্রাসা মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে নয়। সব ধরনের মাদ্রাসার সংখ্যা হবে কমপক্ষে তিন লাখ। কারণ, কুড়ি বছর আগে এই সংখ্যা ছিল আড়াই লাখের কাছাকাছি। এ তথ্য দিয়েছেন সাহিত্যিক গবেষক হায়াৎ মামুদ টেলিভিশনের এক অনুষ্ঠানে। ৫৬ হাজার বর্গমাইলে তিন লাখের কাছাকাছি মাদ্রাসা এক অস্বাভাবিক ব্যাপার। এ মুহূর্তে আমি জানি না, সব ধরনের মাদ্রাসার রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন কী না। না হলে, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় করার জন্য যে সব নিয়ম কানুন মানতে হয়, একটি মাদ্রাসা স্থাপনের জন্যও তা চালু করতে হবে। এবং সরকারী শিক্ষাক্রম চালু না করলে সে মাদ্রাসার অনুমতি দেয়া যাবে না। খাস জমিতে মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না। যত্রতত্র মাদ্রাসা স্থাপন করা যাবে না।
মাদ্রাসার হালহকিকত নিয়ে সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে একটি নিবিড় জরিপ করা জরুরি। অধিকাংশ মাদ্রাসার ক্ষেত্রে অভিযোগ, তারা জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা মাদ্রাসার জন্য অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। যেসব মাদ্রাসায় জঙ্গী প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে সেসব মাদ্রাসা বন্ধ করে দিতে হবে এবং শিক্ষকদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৭. সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মীদের কি উচিত নয় তৃণমূল পর্যায়ে বোঝানো যে মাদ্রাসা থেকে প্রাথমিক স্কুল উত্তম? কোরবানির চামড়া বা দান ধ্যানের ওপর নির্ভরশীল না থেকে স্বাধীন জীবিকা উত্তম? সরকারী উপজেলা অফিসারের কাজ কী? তারা কি মাদ্রাসাগুলো পরিদর্শন করেন নাকি অফিসে বসে শুধু দরিদ্র প্রাথমিক শিক্ষকদের ওপর হম্বিতম্বিই করেন? শুধু তাই নয়, যে সব রাজনৈতিক দল হেফাজত/জামায়াত সমর্থক (এদের ভিত্তি মাদ্রাসা) বা জামায়াতের নেতাদের সন্তানরা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত কিনা সে বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা উন্নয়ন বা সামাজিক কর্মীদের কর্মকা-ের অংশ হতে পারে ভ- রাজনৈতিক নেতাদের মুখোশ উন্মোচনের জন্য। এ ক্ষেত্রে মিডিয়া প্রবল ভূমিকা পালন করতে পারে।
৮. রাজনৈতিক কারণে এবং মাদ্রাসা তোষণের স্বার্থে বিভিন্ন সরকার মাদ্রাসার ডিগ্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করেছে। আরবী বিশ্ববিদ্যালয় করছে এবং এভাবে যুগোপযোগী শিক্ষার সর্বনাশ করছে। লক্ষ্য করবেন, সুশীল সমাজের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললেও এসব বিষয়ে বাতচিত করেন না; কারণ, তাদের সন্তানরা বিদেশে পড়ে।
মাদ্রাসার বিভিন্ন ডিগ্রীকে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রীর সমতুল্য করা হয়েছে। এটি হতে পারে না। মাদ্রাসায় দেয়া নম্বর আর সেক্যুলার স্কুলে দেয়া নম্বরে পার্থক্য আছে। এভাবে শিক্ষার উন্নয়ন করা যাবে না।
৯. মাদ্রাসা শিক্ষিত যে কেউ যে কোন সময় যে কারো বিরুদ্ধে মুরতাদ, মুশরিক, কাফের, নাস্তিক ইত্যাদি ফতোয়া দেয়। এ প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে এবং ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এ ধরনের কর্মকা- শুধু সংবিধানবিরোধীই নয়, রাষ্ট্র বিরোধীও। এ ধরনের ফতোয়া আইন করে নিষিদ্ধ করার দাবি নাগরিক সমাজকেই তুলতে হবে।
১০. এখন থেকে আমরা যেন মুসলমানত্ব পরীক্ষা দিতে অগ্রসর না হই। যে ভাষায় মৌলবাদীরা কথা বলবে সে ভাষায়ই উত্তর দিতে হবে। যুক্তি বুঝলে কেউ জামায়াত-বিএনপি বা জঙ্গী মৌলবাদের সমর্থক হয় না। এরা শক্তি বোঝে।
১১. অধ্যাপক আবদুল মান্নান এক প্রবন্ধে জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের বড় মাদ্রাসাগুলোতে সব সময় বড় রকমের সাহায্য করে আওয়ামী সমর্থক ব্যবসায়ীরা। তারা যদি একইভাবে অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা সামাজিক উন্নয়নে সাহায্য করত তা হলে কোন মন্তব্য ছিল না। কিন্তু, শুধু মাদ্রাসায় সাহায্য করবে এবং বাইরে পরিচিত হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক হিসেবে তা কাম্য নয়, এটি এক ধরনের ভ-ামি। একইভাবে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক কিন্তু ইসলামী ব্যাংকে টাকা রেখে; ইবনে সিনায় চিকিৎসা নেয়াও এক ধরনের ভ-ামি। আমি স্বাচিপের অনেক নেতাকে অনুরোধ করেছিলাম, আপনারা সংগঠনের সমর্থকদের আহ্বান জানান এসব প্রতিষ্ঠান বয়কটের জন্য। তারা সেটি পারেননি। এভাবে, আমরা নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে তুলে ধরি বৃহত্তর স্বার্থের বিপরীতে কিন্তু সমালোচনা করি নিয়ত সরকার ও মুক্তিযুদ্ধের দলগুলোকে। এও এক ধরনের ভণ্ডামি। এসব স্বার্থবুদ্ধি পরিহার না করলে মৌল-জঙ্গীবাদী ও এর সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে না।
১২. রাজনৈতিক নেতা হলেই তিনি যা খুশি করতে পারবেন বা বলতে পারবেন- এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে। রাজনীতিবিদদের অসত্য ভাষণ, বিভ্রান্তিকর উক্তি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। যেমন, ২৫০০ মানুষের মৃত্যু। এই যে প্রচার এটি দেশবিরোধী। যখন-তখন 'গণহত্যা' শব্দ ব্যবহার 'গণহত্যা'কে খাটো করে দেখা। পৃথিবীর অনেক দেশে আইন আছে স্বাধীনতা বা মুক্তিসংক্রান্ত কোন কিছুকে অস্বীকার করা অপরাধ। আইনত দ-নীয়। ইউরোপে 'হলোকাস্ট ডিনাইল' অপরাধ। এখানেও সে ধরনের আইন করা বাঞ্ছনীয়।
একটি প্রস্তাব করা যেতে পারে। তরুণ কিছু আইনজীবী যদি একটি সংগঠন করেন 'প্রো বোনো' জনস্বার্থ বিষয়ক মামলা করার জন্য তা'হলে ভালো হয়। রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর প্রতিটি উক্তি যদি চ্যালেঞ্জ করা যায় তাহলে হয়ত রাজনীতিবিদদের সবার উর্ধে, আইনের উর্ধে কাজ করার মানসিকতা হ্রাস পাবে।
রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন উক্তি নিয়ত চ্যালেঞ্জ করা হয় না দেখে আজ এই বিপত্তি।
১৩. হরতাল করা এবং না করার অধিকার সবার আছে। হরতালের সহিংসতা রোধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির কথা বিবেচনা করা যায় কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। কয়েক মাস আগে আমি কুয়ালালামপুর ছিলাম। আমি যাওয়ার কয়েকদিন আগে এ রকম একটি হরতাল হয়েছিল। হরতালকারীরা কয়েকজন হকারের পণ্যের ও কয়েকটি (বোধ হয়) সাইনবোর্ডের ক্ষতি করেছিলেন। হরতাল যে দল ডেকেছিল সে দলকে বলা হয় ক্ষতিপূরণ দিতে। না হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নিবন্ধন বাতিল হবে। তাদের আদালত কর্তৃক নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। এখানেও যে দলের ডাকা হরতালে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি সে দলকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করার জন্য উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন কিনা তা বিবেচনা করুন। (চলবে)
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৩, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০
Also Read:
বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০১৩, ২৬ বৈশাখ ১৪২০রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ প্রথম কিস্তি ॥মুনতাসীর মামুনশুক্রবার, ১০ মে ২০১৩, ২৭ বৈশাখ ১৪২০রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না - ॥ দ্বিতীয় কিস্তি ॥মুনতাসীর মামুনশনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ তৃতীয় কিস্তি ॥মুনতাসীর মামুনশনিবার, ১১ মে ২০১৩, ২৮ বৈশাখ ১৪২০
রবিবার, ১২ মে ২০১৩, ২৯ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ চতুর্থ কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
সোমবার, ১৩ মে ২০১৩, ৩০ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ পঞ্চম কিস্তি ॥
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2013-05-13&ni=135164মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৩, ৩১ বৈশাখ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ ষষ্ঠ কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
বুধবার, ১৫ মে ২০১৩, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২০
রাজাকার, রাজাকারপন্থী, রাজাকারের বাচ্চাদের কর্তৃত্ব এ দেশে আর হবে না ॥ সপ্তম কিস্তি ॥
মুনতাসীর মামুন
ويقترح رجل الله يتصرف [ Man proposes, Allah the Almighty disposes]
†f‡¯Í †Mj †eMg wRqvi Ôeøy wcÖ›UÕ
http://www.amadershomoy2.com/content/2013/05/07/news0036.htm
হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমhttp://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=0be0cde05c6adb6ffd4a6cdd81f64bfc&nttl=05052013194180বন্ধুর পথে বিএনপি
__._,_.___