'যুদ্ধাপরাধ বিচার স্বচ্ছ, রায়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র'
তারা রায়ের কপি দেখেছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন- জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ।
সমকাল প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ অভিহিত করে ট্রাইব্যুনালের দেয়া চারটি রায়েই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জেরার্ড র্যাপ।
তার সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মান রক্ষা করে এসব রায় হয়েছে বলে মনে করেন জেরার্ড র্যাপ।
আধাঘণ্টার এই বৈঠকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনাও উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, "তারা রায়ের কপি দেখেছে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।" ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও রায় ও বিচার প্রক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বলে জানান মন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক আদালত এবং বাংলাদেশের ট্রাইব্যুনালের রায়ের তুলনা করে তারা বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ অভিহিত করেন বলে জানান আইনমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত জেরার্ড র্যাপ দু'দিনের সফরে মঙ্গলবার ঢাকা পৌঁছান। সেদিনই তার সঙ্গে দেখা করে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষনেতাদের আইনজীবীরা।
এসময় তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন 'পরিবর্তনে' যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চান। বৈঠকে আইনজীবীদের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক যিনি ট্রাইব্যুনালেও জামায়াত নেতাদের আইনজীবী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুরু থেকেই এর মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে জামায়াতে ইসলামী।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এ পর্যন্ত চার জামায়াত নেতাকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সাজার রায় দিয়েছে। এদের মধ্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামান, নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ও বহিষ্কৃত জামায়াত নেতা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
কাদের মোল্লার রায়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আপিল করেছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। দণ্ডপ্রাপ্ত চার জামায়াতনেতা কারাগারে রয়েছেন।
20
0
0
__._,_.___