Banner Advertiser

Saturday, June 1, 2013

Fw: [mukto-mona] তারেকময় তারেক-ভয়


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: Khobor <khabor@yahoogroups.com>; notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 1, 2013 1:11 AM
Subject: Re: [mukto-mona] তারেকময় তারেক-ভয়



--- On Fri, 5/31/13, Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com> wrote:

From: Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com>
Subject: [mukto-mona] তারেকময় তারেক-ভয়
To: "bangladeshi googlesgroups" <bangladeshiamericans@googlegroups.com>, "khabor" <khabor@yahoogroups.com>, "alochona" <alochona@yahoogroups.com>, "Sayeda Haq" <sayedahaq@yahoo.com>, "chottala yahoogroups" <chottala@yahoogroups.com>, "mokto mona" <mukto-mona@yahoogroups.com>, "Mohammad Gani" <mgani69@gmail.com>, "Bazlul Wahab" <bazlul@yahoo.com>, "saokot hossain" <saokot_nccbl@yahoo.com>
Date: Friday, May 31, 2013, 3:49 PM

ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন তারেক। জেগে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে অনেকের ঘুম হারাম। বিশেষত বাকপটু মন্ত্রীদের, যাঁদের মেঠো বক্তৃতার প্রভাবে উঠোনের আগুন গিয়ে উঠেছে ঘরের চালে। আগুন জিনিসটা আবার আমাদের বিরোধী দলের খুব পছন্দ। তাই এই সুযোগে আরেকটা হরতাল ডেকে তারা গাড়িতে আগুন-টাগুন ধরিয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ভাবছেন, কেল্লাফতে!
বিএনপির মুখপাত্র বদল হয় ঘনঘন। উপায় নেই অবশ্য। যাকে মুখপাত্র করা হয়, তাঁর বিরুদ্ধেই অদ্ভুত অদ্ভুত কিছু মামলা হয়ে যায়। বেচারা পার্টি অফিসকে ঘরবাড়ি বানিয়েও রক্ষা পান না। যাই হোক, এখন গুরুদায়িত্বটা পালন করছেন এককালের কৃতী ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু। তিনি এই উপলক্ষে যে 'জাতীয়তাবাদী' সমীকরণটা দাঁড় করিয়েছেন সেটা এরকম_তারেকের এক বক্তৃতাতেই সরকারের ভিত নড়ে গেছে। আর তাতেই বোঝা গেছে তারেকের শক্তি। যতই মেরুদণ্ডের হাড় ভেঙে গিয়ে থাকুক, যতই মামলা চলুক, দেশে
থাকা তারেকের চেয়ে দেশান্তরী তারেক অনেক বেশি শক্তিশালী। তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণার দিন সন্ধ্যায়ই ছাত্রদল বেশ কিছু ঝটিকা মিছিল করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে প্রতিবাদের একটা হাওয়াও তুলতে সক্ষম হয়েছিল। এমনিতে হরতালে বিএনপি নেতারা নিখোঁজ থাকেন, তাঁদের কর্মীরা কোথাও কোথাও আট-দশজনের 'বিশাল' মিছিল বের করে_ব্যস, এ পর্যন্তই। সে তুলনায় সেদিনের প্রতিক্রিয়াটা তুলনামূলক বেশি নম্বর পাওয়ার মতো। তারপর এলো হরতাল। একটা কৌতূহল হয়েছিল, যেহেতু আগের দিনের 'গর্জন'টা একটু বেশি হয়েছিল, কাজেই সে অনুপাতে হরতালে 'বর্ষণ'টা ভালোই হওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবচিত্র উল্টো। ট্রেইলার মোটামুটি হিট ছিল; কিন্তু ছবি পুরো ফ্লপ। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ইন্টারপোলের হুমকি-ধমকি দিয়ে সরকারদলীয় নেতারা বক্তৃতা শুরু করেছিলেন। তাঁদের অজ্ঞতায় মানুষ হেসেছিল। হরতালের পর সরকারদলীয় নেতারা বললেন, মানুষ তারেকের জন্য করা হরতালে সাড়া দেয়নি। তখন আর কেউ হাসেনি। কারণ, কথা খানিকটা সত্য। তারেক বিরোধী দল বিএনপির রাজনীতির ভবিষ্যৎ, তাঁর মুক্তির দাবিতে করা হরতালে আরেকটু শক্তির প্রকাশ, আরেকটু জনসম্পৃক্ততা আশা করা হয়েছিল। কোথায় কী! কে জানে, এই শীতল হরতাল দেখে তারেক হয়তো রাগই করে বসেছেন। হয়তো বলে দিয়েছেন, এখন থেকে হরতালের আর দরকারই নেই কোনো! ইস, তারেক যদি এই প্রয়োজনীয় অভিমানটি করতেন!
আমরা দেশে এত এত গণতন্ত্রের কথা বলি, মানুষের ভোটের অধিকারের জন্য এত আন্দোলন, সেখানে নিজের দলের কর্মীদের ভোট আর মতের কোনো মূল্য নেই। জানি, কেউ কেউ বলবেন, মূল্য নেই কোথায়? কাউন্সিল হয়, সেখানে সবাই মিলেই তো নেতা বা নেত্রীকে নির্বাচিত করে। আসলে পুরোটাই একটা চক্র। নেতা বা নেতৃত্ব যখন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তখন উঁচু পদে ওঠার উপায় একটাই। নেতার সমর্থনে যথাসম্ভব এগিয়ে থাকা। তাঁর পক্ষে বেশি গলা ফাটাতে পারাই রাজনীতি। রাজনীতির এই অচ্ছেদ্য চক্রে আমরা বন্দি কেন, কোন দাসসুলভ মানসিকতা আমাদের এখানে আটকে রেখেছে, সেটা হয়তো গভীর সমাজতাত্তি্বক আলোচনা; কিন্তু এই চক্রই আমাদের নিশ্চিত করে রাখছে যে তারেক রহমানই বিএনপির পরবর্তী নেতা। কোনো এক সময় হয়তো হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর সেখানেই দুঃখটা। যিনি নিশ্চিতভাবে জানতেন যে একদিন বাংলাদেশের নেতৃত্ব তাঁর হাতে আসবেই, তিনি কেন এমন কলঙ্কের কালি মেখে নির্বাসনে থাকবেন? জানি, কথাটা মাটিতে পড়তে না দিয়েই বিএনপি সমর্থকরা বলবেন, সব ষড়যন্ত্র। প্রমাণ কোথায়? ঠিক, প্রমাণ হয়নি। বাংলাদেশে কখনো কিছু প্রমাণ হয় না। এই না হওয়াতে রাজনীতিকদের সুবিধা হয়; কিন্তু অসুবিধাও আছে একটা। প্রমাণ বা শাস্তি হয় না বলে জনতার একটা আলাদা আদালত নিজে নিজেই তৈরি হয়ে গেছে। সেখানে 'পারসেপশন' বা 'জনমত' নিজের মতো নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। দুঃখের কথা, সেই 'পারসেপশন' বা 'জনমত' তারেক রহমানের খুব পক্ষে নয়। সেটা বদলানোর সুযোগ কিন্তু আছে। সরকারের 'ইন্টারপোল তত্ত্ব' বাদ দিয়ে নিজে নিজেই ফিরতে পারেন তারেক। ফিরে দুটো লড়াই। প্রথমটা আইনি। দ্বিতীয়টা জনমত। এই লড়াইগুলো জিতলে কিন্তু জাতীয়তাবাদী শক্তির সঙ্গে দেশেরও অবিসংবাদিত নেতা হওয়ার হাতছানি তাঁর সামনে। সন্তুষ্ট হওয়ার মতো তথ্য হলো, তারেক রহমান ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তা যখনই আসুন, তাঁর গা-ঝাড়া দেওয়া এবং সেই সূত্রে পক্ষে-বিপক্ষের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা গেল আগামী কয়েক মাস রাজনীতির মাঠের একটা নাটাই তাঁর হাতেই থাকবে। আন্দোলনে, জোটে এবং ভোটে বড় নিয়ামক থাকবেন তারেক।
বিএনপি একটা সময় ছিল তারুণ্য আর আধুনিকতার প্রতীক। বড় ভূমিকা ছিল ছাত্রদলের। তাদের কেতাদুরস্ত চলন, নেতৃত্বের অ্যাডভেঞ্চারাস প্রকাশ, সঙ্গে সশস্ত্র শক্তির মহড়া মিলিয়ে যেকোনোভাবে হোক তারুণ্যের কাছে আশির দশকে তারাই ছিল বেশি আকর্ষণীয়। তারেক রহমান নেতৃত্বে আসার পর মনে হচ্ছিল সেই তারুণ্যের পালে আরো হাওয়া লাগবে। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার, তিনি ঠিক সেই তারুণ্যের মডেল হতে পারলেন না। বরং খালেদা জিয়ার আমলে যে ডানপন্থী শক্তির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কে কিছুটা রাখঢাক ছিল, তারেকের আমলে সেটা হয়ে গেল একেবারে খোলামেলা। জামায়াত-যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে জোট। বিএনপির প্রতি তারুণ্যের, নতুনত্বের যে সমীকরণটা হেলে ছিল সেটা অনেকটাই বিপরীতমুখী গত এক দশকে। অথচ তরুণ তারেকের নেতৃত্ব সেটা আরো বড় জোয়ার হয়ে বিএনপির দিকেই আসার কথা ছিল। যে ছাত্রদল ছিল আধুনিকতার প্রতীক, সেই ছাত্রদলে অছাত্র আর বয়সী নেতৃত্ব বসিয়ে বিএনপি উল্টাদিকেই হেঁটেছে গত এক দশক। প্রগতির জায়গায় প্রতিক্রিয়ার দিকে আরো ঘেঁষে যাওয়া, ছাত্রশক্তিকে ঠিক অভিভাবকত্ব দিতে না পারা এবং হাওয়া ভবনজনিত অভিযোগ মিলিয়ে তারেকের ভাবমূর্তির পেছনে তাই প্রশ্ন থাকছেই। কিন্তু বিএনপি সেই প্রশ্ন মানে না। ভোটের রাজনীতিতে তারেকের সামনে থাকা তাদের পক্ষে যাবে না বিপক্ষে, সেই ভাবনা ভাবার মতো জায়গায় বাংলাদেশের দলীয় রাজনীতি এখনো যায়নি। অনেক নিরপেক্ষ বিশ্লেষক মনে করেন, গত নির্বাচনে তাদের ভরাডুবির পেছনে বড় কারণ হাওয়া ভবন, সেটা নিয়ে গভীর কোনো আত্মসমীক্ষা তারা করেছে এর প্রমাণও নেই। কাজেই বিএনপি চায় তারেক ফিরে আসুন।
আওয়ামী সমর্থক এক বন্ধু বললেন, আরে দূর। এসবই আমাদের রাজনীতি! তারেককে আইনগতভাবে আনা যাবে না, এটা কি আর আমরা জানি না?
তাহলে!
ইস্যু বদলে দেওয়া হলো। এখন বিএনপি বা বিরোধীরা কিছুদিন ওই ইস্যু নিয়ে পড়ে থাকবে।
এটা তাহলে ইস্যু বদলের রাজনীতি! তাতে সরকারের রক্ষা হয়ে যাবে? ইস্যু বদল নিয়ে একটা গল্প মনে পড়ছে। গল্পটা বলি।
এক লোক জঙ্গলে বেড়াতে গেছেন। অনেক দূর ঘুরে একটু গহিন জায়গায় গিয়ে তাঁর একটু ভয় ভয় লাগতে থাকল। গাইডকে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এখানে কোনো ভীতিকর জন্তু-টন্তু নেই তো। ভালুক-টালুক?
গাইডের উত্তর, এক সময় ছিল, এখন আর নেই। ভালুক ছিল, তখন তাঁকে ঠেকাতে এখানকার কর্তৃপক্ষ কয়েকটা বাঘ এনে ছেড়ে দিয়েছে। তাদের ভয়ে ভালুক উধাও।
তাঁর মানে এখন বাঘ আছে?
তা এখন আর নেই। কারণ বাঘ সমস্যা করছে বলে এনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কয়েকটি সিংহ। তারপর থেকে বাঘ উধাও।
মানে এখন সিংহ আছে?
জি। আছে। বেশ কয়েকটা।
আমাদের সরকারের ব্যাপারটা ঠিক এরকম। ভালুক থেকে বাঁচতে বাঘ তুলে দিচ্ছে বিরোধী দলের হাতে, তারপর বাঘ থেকে বাঁচতে সিংহ!
এখন কোনটার পেটে যে শেষ পর্যন্ত যেতে হয়!