প্রকাশ : ০১ জুন, ২০১৩ ১৯:০৯:৩৫আপডেট : ০২ জুন, ২০১৩ ০০:০২:১৪ |
'মুনাফার ১০% নৈরাজ্যে দিচ্ছে জামায়াত'
এই অর্থ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে ব্যবহার হচ্ছে- বলেছেন অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাত।
সমকাল প্রতিবেদক
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে নিষিদ্ধের জনদাবির মুখে থাকা রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী তার আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে মুনাফা পাচ্ছে তার ১০ শতাংশ যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিতে ব্যবহার করছে।
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাত শনিবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় একথা জানান।
তিনি জানান, জামায়াতের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বছরে ২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করছে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী জামায়াতে ইসলামীর অর্থায়নে নানা খাতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দলটির শীর্ষ কয়েকজন তিন নেতার দুজনকে ইতিমধ্যে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজনকে দেয়া হয়েছে যাবজ্জীবন সাজা।
জামায়াতের সাবেক এক নেতাকেও মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে, তবে তিনি পলাতক রয়েছে।
বারকাত বলেন, "এখন তারা ১০% মুনাফা ব্যয় করছে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় দেশের ভিতরেই ৫ লাখ মানুষকে পূর্ণকালীন নানা নৈরাজ্যপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যে।"
গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের পর দেশব্যাপী তাণ্ডব চালায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তাণ্ডবে প্রায় অর্ধশত মানুষের প্রাণহানি হয়।
এছাড়া কামারুজ্জামানের রায়কে ঘিরে সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে পুলিশ বাহিনীর ওপর হামলাও শুরু করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা।
"এখন তারা ১০% মুনাফা ব্যয় করছে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় দেশের ভিতরেই ৫ লাখ মানুষকে পূর্ণকালীন নানা নৈরাজ্যপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্যে।"
শনিবার জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি সম্পর্কে অর্থনীতিবিদ বারকাত বলেন, "সরকারের এখনই তৃতীয় পক্ষ দিয়ে অথবা বিদেশ থেকে লোক এনে জামায়াতী প্রতিষ্ঠানগুলোর অডিট করানো উচিৎ।"
তিনি বলেন, "জঙ্গী সংশ্লিষ্টতা ধরা পড়লে প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত জাতীয়করণ বা বাজেয়াপ্ত করা [উচিৎ]। তা না হলে সামনে সরকারকে আরো বেকায়দায় পড়তে হবে।"
দেশে ১২৫টি জঙ্গী সংগঠন রয়েছে উল্লেখ করে আবুল বারকাত বলেন, তাদের ৫০ হাজার প্রশিক্ষিত জঙ্গী আছে।
জাতীয় জাদুঘরে আলোচনা সভাটি আয়োজন করে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। এতে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের চেয়ারম্যান ও পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার, বীরউত্তম।
†m±i KgvÛvim †dviv‡gi Av‡jvPbv mfv : Rw½‡`i A‡_©i Drm eÜ Kivi AvnŸvb
যুদ্ধাপরাধীদের আপীল করার সুযোগ বাতিলের আহ্বান
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের আলোচনা
জামায়াত শিবিরের প্রাণান্ত চেষ্টা ॥ হেফাজতকে নামাতে
০ হেফাজত ও সমমনা ১২ দলের নামে আবার সক্রিয় হচ্ছে জামায়াতের মদদপুষ্ট উগ্রবাদী সংগঠন
০ হেফাজতের শীর্ষ নেতা মুফতি ইজহারুল ইসলামের মাধ্যমে মাঠে নামছে হরকত-উল-জিহাদ
__._,_.___