Banner Advertiser

Wednesday, June 5, 2013

[mukto-mona] Death penalty for intentional burning of the Holy Quran (Ershad explains his position on Hefazat)



Dear Readers,
Salam / good afternoon. Would you please join me to say:
1. The culprits that intentionally burned the Holy Quran in Bangladesh should be apprehended, tried, and given the highest penalty that is prescribed by the law of Bangladesh.
2. The current law should be changed if the stipulated punishment for intentional burning of Holy Quran is anything less than death penalty.
3. A similar punishment should also be prescribed for intentional burning of Holy Books of the other religions.
4. Every religion in the world is sacred - religious books of any religions should be honored equally.
5. Each and every religious book is holy to their respective followers.
 
With best regards,
Em Pannah (a.k.a. Muktijodha Emarat Hossain Pannah)
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
Dr. Em Pannah
Doctor of Management (Cybersecurity, Privacy, and Identity Theft), MS, MSc., CISSP, CAP, CISM, NSA-IAM, NSA-IEM, Foundations of Cybersecurity
Cybersecurity Professional, Textbook Writer/Publisher, and Adjunct Assistant Professor in USA
Primary email: epannah@yahoo.com | Secondary email: em.pannah@faculty.umuc.edu
Primary phone: (443) 690-3955 | Secondary phone: (301) 358-9232
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------


From: Mohiuddin Anwar <mohiuddin@netzero.net>
To: wthikana@aol.com
Cc: epannah@yahoo.com; faithcomilla@gmail.com; ovimot@yahoogroups.com; anis.ahmed@netzero.net; aahmed@voanews.com; manik195709@yahoo.com; farahmina@gmail.com; epannah@yahoo.com; wkhan3@hotmail.com; dr.dipumoni@gmail.com; drmohsinali@yahoo.com; abdul_momen@hotmail.com; nurunnabi@gmail.com; akhtergolam@gmail.com; manik195709@yahoo.com; guhasb@gmail.com; unitycouncilusa@gmail.com; manik195709@yahoo.com; akhtergolam@gmail.com; malamgir1@aol.com; manik195709@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; guhasb@gmail.com; shahdeeldar@gmail.com; nazrulic@gmail.com; akhtergolam@gmail.com; safeschoolmodel@yahoo.com; BaaiWdc@yahoogroups.com; baainews@yahoogroups.com; baidya1952@yahoo.com; abid.bahar@gmail.com; manik195709@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; safeschoolmodel@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; chowdhury.harun@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; manik195709@yahoo.com; projonmochottar@gmail.com; hathajari@gmail.com; ripon@fashionsurfbd.com; nurunnabi@gmail.com; nurannabi@gmail.com; khabor@yahoogroups.com; nurunnabi@gmail.com; baaiwdc_comm@yahoogroups.com; akramulqader@gmail.com; ayaanghoshal21@gmail.com; bdsalahuddin@yahoo.com; Babur.Khan@cairnenergy.com; didar_fd@yahoo.com; dmzillur77@yahoo.com; drmasud@hotmail.com; iqbal.moha@yahoo.com; kamrruzaman.mohammed@gmail.com; samadman9@aol.com; khaledsa@aol.com; sharmin786@hotmail.com; shorab.mohammed@gmail.com; mdshakhawathossin@yahoo.com; monjurulmwl@gmail.com; mostafaku@yahoo.com; multitridek@seychelles.net; poriprekkhit@yahoo.com; rahim_sandwip01@yahoo.com; rahimcckl@youthbd.com; rahimsandwip@yahoo.com; saiful101@hotmail.com; shorfuddinfcc@gmail.com; shah_tas71@yahoo.com; tarif_me@yahoo.com; farida_majid@hotmail.com; belalbeg@gmail.com; adnan50007@yahoo.com; ashraf.du12@gmail.com; alaol_kabir@yahoo.com; abidbahar@yahoo.com; ayubbd06@yahoo.com; alamgirkabir1985@yahoo.com; almamun@idlc.com; alamin.systech@gmail.com; abusayeedr@yahoo.com; akhtergolam@gmail.com; ahumanb@yahoo.com; aasiaalifoundation@gmail.com; ayeshakabir@yahoo.com; apni@tritiyomatra.com; alochona@yahoogroups.com; abul.azad@yahoo.com; aqhaider@youthgroupbd.com; bashantapur@yahoo.com; baktiar1963@yahoo.com; bssnews@bssnews.net; bangla-vision@yahoogroups.com; bdresearchers@yahoogroups.com; chowdhury.nac@gmail.com; captmunir@gmail.com; cdm@dhaka.net; dwiperkantha@yahoo.com; dipankar.ghoshal@vodafone.com; delwar98@hotmail.com; dmamit@gmail.com; ffnasir@yahoo.com; farialsabrina@hotmail.com; fahim.ceo@maasranga.tv; fosiul81@gmail.com; gbbikash@grameen.com; gmhasan@lankabangla.com; hannanabegum@yahoo.com; husnin.sust@gmail.com; iqbal40th@yahoo.com; islam1234@msn.com; ishtiaq.ahmad@iucn.org; inara_islam@hotmail.com; info@ahmedph.com; info@monicoltd.com; info@shaptahik-2000.com; inqilab08@dhaka.net; info@bhorerkagoj.net; jebunmanjurr@yahoo.com; kanaibd_bss@yahoo.com; kashemctg004@gmail.com; karim@akhknit.com; kaisar2ctg@yahoo.com; khaledsay@gmail.com; kdilruba@yahoo.com; makazad@live.com; muktaderazadkhan@yahoo.com; monirul2006@yahoo.com; mishu391@yahoo.com; multitride@intelvision.net; monowar.khan@qubee.com.bd; mirza.syed@gmail.com; mafrahman@yahoo.com; muntasir.ahmed@aamra.com.bd; mallick.dhretiman@aamra.com.bd; mrharun65@yahoo.com; masman73@yahoo.com; masman73@hotmail.com; moinur@hotmail.com; masumur@hotmail.com; nak.atn2@gmail.com; nybdnews@yahoo.com; nayemul@gmail.com; ocdhanmondi@dmp.gov.bd; rokeya_gyn@yahoo.com; ruhul05_matin@yahoo.com; ramendu@expressionsltd.com; sojagsandwip@gmail.com; selina_chowdhury2002@yahoo.com; sajibnh@gmail.com; stkabir@gmail.com; sohel.shams@gmail.com; sarwor_sumon@yahoo.com; shaiful@idlc.com; sadrul.alam@accesstel.net; serabula05@gmail.com; sharful@hotmail.com; sharful@gmail.com; syed.hasan@am.jll.com; smenamulhuq@gmail.com; salahuddin.chowdhury@accesstel.net; selina.laiwala@hotmail.com; si_insaf_sandwip@yahoo.com; theguardianbd@gmail.com; thesonalisandwip@yahoo.com; Tahsina_bangladesh@yahoo.com; tanveer.hasan@hsbcib.com; trrashed@gmail.com; taher@fsiblbd.com; us.kazi@yahoo.com; usuf.ali@aamra.com.bd; vinnomot@yahoogroups.com; wahidulalammd@yahoo.com; wakar@dhaka.net; shujanbdesh@gmail.com; shahidul2002@hotmail.com; khaledcdry@yahoo.com; priobangla@yahoogroups.com; Syed.Aslam3@gmail.com; guhasb@gmail.com; KSidd37398@aol.com; lutfulb2000@yahoo.com; mukulcity@gmail.com; khanmilad@aol.com; BDPANA@yahoogroups.com; baainews@yahoogroups.com; khurshidh2@aol.com; baten@usa.com; nahmedin@gmail.com; anisafm@hotmail.com; zaman303@yahoo.com; greenchemist101@gmail.com; nbanu@aol.com; didar@e-movement.org
Sent: Wednesday, June 5, 2013 2:48 PM
Subject: [baaiwdc] Ershad explains his position on Hefazat
 
হেফাজতের আন্দোলনে আমার সম্পৃক্ততার ব্যাখ্যা
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ
 
 
 
ভারাক্রান্ত মন নিয়েই দিনাতিপাত করছি। দেশের অবস্থা, মানুষের দুর্দশা, রাজনৈতিক অস্থিরতা- সব মিলিয়ে চরম অস্বস্তির মধ্যে সময় কাটছে। আমি নিজে রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অবস্থান করছি। অথচ কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। সামনের সময়গুলো হয়তো আরও ভয়াবহ হবে। কতগুলো অহেতুক ইস্যু রাজনৈতিক পরিবেশকে তমসাচ্ছন্ন করে ফেলেছে। এসব ইস্যু সৃষ্টির জন্য সরকারকেই দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। যেমন 'গণজাগরণ মঞ্চ' সৃষ্টি এবং সেই মঞ্চকে কেন্দ্র করে 'হেফাজতে ইসলাম'-এর আবির্ভাব ইত্যাদি বিষয় নিয়ে যে সংঘাতের রাজনীতির উদ্ভব, তা আমার কাছে অহেতুক ইস্যু বলেই মনে হয়েছে। এসবের মধ্যে আমার কিছুটা সংশ্লিষ্টতা এসেছে। এখান থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি, যেহেতু আমিও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তবে যেটুকু সংশ্লিষ্টতা এর পেছনে রাজনৈতিক কারণ যতটুকু না ছিল, ধর্মীয় অনুভূতির প্রশ্নটাই আমার কাছে অনেক বড় ছিল। কারণ আমি পবিত্র ইসলাম এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অবমাননার বিষয়টি মেনে নিতে পারিনি। আর এ অবমাননার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীদের সমর্থন জানানোকে একটি ইমানি দায়িত্ব মনে করেছি। আমি রাজনীতিবিদ না হলেও এ প্রশ্নে ব্যক্তিগতভাবে একই মনোভাব পোষণ করতাম। এ প্রসঙ্গে আমার পক্ষে-বিপক্ষে কিছু অভিমত এসেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও আমাকে তির্যক বাক্যে আঘাত করেছেন। এসব নিয়ে আমার অবস্থান ব্যাখ্যা করলে দেশবাসী হয়তো সঠিক বিষয়টি অবগত হতে পারবেন।যুদ্ধাপরাধের বিচার সম্পর্কে আমি বা আমার দলের নীতির কথা ব্যক্ত করেছি বিচার কাজের সূচনালগ্নেই। আমি বলেছি, যে কোনো অপরাধেরই বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ যা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার ৪০ বছর পরে কেন, স্বাধীন দেশের যাত্রালগ্নেই হওয়া উচিত ছিল। তবে দেরিতে হলেও সে বিচার যখন শুরু হয়েছে তখন তাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করিনি। বলেছি, এ বিচার যেন সুষ্ঠু এবং আন্তর্জাতিক মানের হয়। মূলত যুদ্ধাপরাধের বিচারকে কেন্দ্র করে আলোচিত দুটি ইস্যুর সৃষ্টি হয়েছে। বিচারের প্রথম রায় ঘোষিত হওয়ার পর দেশে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। দ্বিতীয় রায় ঘোষণার পর তরুণ সমাজের ঢাকাকেন্দ্রিক একটি অংশ শাহবাগে একত্রিত হয়। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলল, 'এটা একটা আপসের রায় হয়েছে, এ রায় আমরা মানি না।' সেই তরুণরা স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিল বলে আমিও তাদের অনুভূতিকে স্বাগত জানিয়েছিলাম। পরে তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে একটি নতুন আইনও পাস হলো।এ পর্যন্ত ভালোই ছিল। তাদের আন্দোলনে একটা বিজয় এসেছে, এখানেই ক্ষান্ত দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে ঘোষণা করা হলো, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিতে না ঝুলিয়ে তারা ঘরে ফিরবে না এবং শাহবাগের অবস্থানও ছাড়বে না। এ অবস্থানের নাম দেওয়া হলো 'গণজাগরণ মঞ্চ'। এ গণজাগরণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তিন স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হলো। বিশ্বের ইতিহাসে কি এমন কোনো গণজাগরণের নজির পাওয়া যাবে, যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছে?শাহবাগের দেখাদেখি দেশের প্রায় সব জেলা-উপজেলায়ও এ ধরনের মঞ্চ তৈরি হয়ে গেল। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে প্রতীয়মান ছিল যে এটা একটি গণমুখী আন্দোলন এবং স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত ঐক্য, ততক্ষণ পর্যন্ত এ আন্দোলন সমর্থন পেয়েছে। কিন্তু যে সময়ে স্পষ্ট হয়ে গেল এর পেছনে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা রয়ে গেছে, তখন সারা দেশের মঞ্চ থেকে তরুণরা সরে যেতে লাগল। আর সেই সুযোগে প্রতিপক্ষ একের পর এক মঞ্চ ভেঙে দিতে শুরু করল। তখনো যদি এ মঞ্চ থেমে যায় তাহলেও পানি এতটা ঘোলা হয় না। এরই মধ্যে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে ইসলামবিরোধী এবং রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অবমাননাকারী ব্লগারদের দৌরাত্দ্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তার পাশাপাশি সেখানে এক প্যারালাল সরকারব্যবস্থা চালু হয়ে যায়। তারা গোটা জাতিকে নির্দেশনা দিতে থাকে। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা আসে। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হলো, এরা ঔদ্ধত্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অথচ কারও মুখে টুঁশব্দটি পর্যন্ত নেই। এ অবস্থায় আমি আর চুপ করে বসে থাকতে পারলাম না। বললাম, ইসলাম অবমাননাকারী এবং প্রিয় নবী (সা.)-কে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টাকারী ব্লগারদের ওই মঞ্চ অবিলম্বে ভেঙে দিন। তা না হলে মহাবিপর্যয় নেমে আসবে। এ ন্যক্কারজনক তৎপরতা কিন্তু জাতি মেনে নেবে না। বাস্তবে ঘটেছেও তাই। অল্প সময়ের মধ্যেই গোটা দেশের আলেম সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মানুষ তেতে ওঠে। সেই পর্যায়ে আমি আরও বলেছি, তোমরা কি বঙ্গবন্ধু হয়ে গেছ যে জাতিকে নির্দেশনা দিচ্ছ? জাতীয় পতাকা উত্তোলনের নির্দিষ্ট সময় আছে। তা ভঙ্গ করে যে কেউ পতাকা উত্তোলনের নির্দেশ দিতে পারে না। এটা মেনে নেওয়া জাতীয় চেতনার পরিপন্থী। আমি এসবের প্রতিবাদ করেছি। এটা যদি কোনো মহল দোষ বলে বিবেচনা করে থাকে তাহলে আমার বলার কিছু নেই।আমি ঘটনার সূচনায় প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছি। আর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন হেফাজতে ইসলামের নামে এ দেশের আলেম-ওলামারা। তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে ইসলামপ্রিয় মানুষ। হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা ক্ষমতা গ্রহণও করতে চায় না। তাদের দাবি ছিল যারা পবিত্র ইসলাম ও মহানবী (সা.)-কে অবমাননা করেছে তাদের বিচার করা হোক। শুরুতে তাদের এ দাবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে একটা ঘোষণা এলেই পরিস্থিতি এতদূর গড়াত না। বাহ্যত এখন মনে হতে পারে হেফাজতের আন্দোলন দমন হয়ে গেছে। কিন্তু কার্যত কি তাই? আলেম সমাজের মনের আগুন কি নিভে গেছে? যে আঘাত তাদের মনে লেগেছে তা কি সহজে ভুলে যাওয়ার মতো? তা ভোলাতে হলে সরকারকে অবশ্যই আলেম-ওলামাদের পাশে ফিরে আসতে হবে। পরিস্থিতির জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমাপ্রার্থনা অসম্মানের কিছু নয়। ক্ষমাপ্রার্থনার মধ্যে মনের উদারতা ও নমনীয়তার প্রকাশ ঘটে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারাও বহুবার ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীও ক্ষমা চেয়ে হারানো ক্ষমতা আবার ফিরিয়ে নিয়েছেন। এ দেশের মানুষ এখনো পাকিস্তানকে ভালো চোখে দেখে না, কারণ তারা বাংলাদেশে যে গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তার জন্য এখনো ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। দেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিয়ে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং জামায়াতের ওপর এ দেশের সিংহভাগ মানুষের যে ক্ষোভ-ঘৃণা রয়েছে তার অবসান ঘটে যেত অনেক আগেই, যদি তারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়ে তাদের কৃতকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা চাইত। তাহলে আজ যে তাদের বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং জামায়াতের তরুণ অনুসারীদের যে ভোগান্তি-নির্যাতন-নিপীড়ন সইতে হচ্ছে, এর কোনোটারই মুখোমুখি হতে হতো না। তাই সরকারের প্রতি আমার একটা পরামর্শ থাকবে_ যা ঘটেছে তার জন্য দেশের আলেম সমাজের কাছে ক্ষমা চেয়ে সব ভুলে গিয়ে আসুন আমরা সব পক্ষ শান্তি-স্থিতিশীলতা এবং দেশ ও জনগণের কল্যাণের পথে ফিরে আসি। আলেম-ওলামারা যখন ঢাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করতে এসেছিলেন তখন মেহমান হিসেবে আমার দলের পক্ষ থেকে তাদের পানি পান করানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। এটা কি দোষের কিছু করেছিলাম? সরকার যখন তাদের আসা এবং সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে, সেখানে তাদের সেবা দেওয়া কি অপরাধ ছিল?৫ মে ঢাকায় যা ঘটেছে তা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি এবং এখনো পারছি না। হেফাজতের কর্মীরা ঢাকার চারপাশে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ঢাকায় প্রবেশ করেছেন। গোয়েন্দা বিভাগের লোকজন ভালো বলতে পারবেন, ঢাকার বাইরে থেকে যেসব মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বা আলেম-ওলামা ঢাকায় প্রবেশ করেছেন, তাদের হাতে কি গাছ কাটা করাত-কুঠার জাতীয় কিছু দেখা গেছে? তাদের সঙ্গে এক বোতল পানি আর কিছু চিড়া-মুড়ি ছাড়া কিছু কি ছিল? তারা শাপলা চত্বর এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিয়ে বসে ছিলেন। ওই সময় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট ও পশ্চিম পাশে যা ঘটেছে সেখানে কি সত্যই কোনো হেফাজত কর্মী ছিলেন? গ্রাম থেকে যেসব মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক সেদিন ঢাকা এসেছিলেন, যারা এর আগে কখনো ঢাকা শহর দেখেনওনি, তাদের পক্ষে কি ওই ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করা আদৌ সম্ভব ছিল? যাদের ধ্যান-জ্ঞান শুধুই কোরআন-হাদিস, তাদের পক্ষে কি সেই কোরআন-হাদিসে আগুন লাগানোর কথা চিন্তা করাও সম্ভব? অথচ সব দোষ চাপানো হলো হেফাজতের নিরীহ কর্মীদের ওপর। কী নির্দয়ভাবে মধ্যরাতে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হলো। ওই রাতে কত আলেম-ওলামার প্রাণসংহার হয়েছে, কতজন শহীদ হয়েছেন, সেই সংখ্যার বিতর্কে আমি যেতে চাই না। একজন হলেও তো শহীদ হয়েছেন। সেই একজনকে হত্যার দায়ভারও কি কম? প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তারা কারা? তাদের শনাক্ত করে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হোক। কারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চেয়েছে তাদের গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হোক। আমি বলেছি, যে কোনো ধর্ম-ধর্মবিশ্বাস-ধর্মগ্রন্থ-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আঘাত করা বা অবমাননা করার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হোক। দেশের জাতীয় মসজিদের সামনে কোরআন শরিফে আগুন লাগবে কিংবা কোথাও কোনোভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে, তা কোনো মুসলমান মেনে নিতে পারে না। আমরা আশ্বস্ত হয়েছিলাম, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুনেছিলাম যে 'যারা কোরআনে আগুন দিয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ দেখে একটা একটা করে ধরা হবে।' কিন্তু কই? এক মাস গত হয়ে গেল। ভিডিও ফুটেজ দেখে তো আজ পর্যন্ত একজনকেও গ্রেফতার করতে দেখলাম না।কোরআন শরিফ পোড়ানোর এত বড় ঘটনা, যা বিশ্বে আর কখনো কোথাও ঘটেছে বলে মনে হয় না। এত কোরআন একসঙ্গে পুড়ল তার ভিডিও ফুটেজ প্রধানমন্ত্রী দেখেছেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েও প্রশ্ন, এতদিনে কেন কাউকে ধরা হলো না?মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি বক্তব্য শুনে দারুণভাবে বিস্মিত ও হতবাক হয়েছি। তিনি বলেছেন 'এরশাদ সাহেব তার ক্যাডার বাহিনী দিয়েও কোরআন পুড়িয়েছেন'। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সবিনয়ে বলতে চাই, কোরআন পোড়ানোর কথা আমার কানে যাওয়াও পাপ মনে হয়। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে যা বের হয় তা কোনো সাধারণ কথা নয়। তা আইনের সমতুল্য। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর যে কোনো বক্তব্য মর্যাদাপূর্ণ হবে সেটাই বাঞ্ছনীয়। আমি কখনো কোনো ক্যাডার গড়ার রাজনীতি করি না। আমার দলের কর্মীরা রাজপথে পিস্তল-বন্দুক নিয়ে যুদ্ধে নামে না। যদি তা কখনো দেখি তাদের জায়গা আমার দলে হবে না। ৫ মে আমার দলের কর্মীদের ওপর নির্দেশ ছিল নির্দিষ্ট স্থানে হেফাজতের তৃষ্ণার্ত কর্মীদের পানি পান করানোর। কিন্তু ওই দিনে কয়েকজন কর্মী একটা মিছিল করেছে, এমন কিছু ছবি পত্রিকায় প্রকাশের পর তাদের শোকজ করেছি। ওইদিন পিস্তল নিয়ে গুলি করার ছবিও টিভি চ্যানেলে দেখা গেছে এবং পত্রিকায় হামেশা এ ধরনের ছবি ছাপা হতে দেখি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা আমরা জানি না বা দেখি না। প্রধানমন্ত্রী বললেন, আমার ক্যাডাররা নাকি কোরআন পুড়িয়েছে। আমার অনুরোধ, তাদের চিহ্নিত করা হোক। আমি তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিয়ে আইনের হাতে সোপর্দ করব। ওইদিন যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হোক। সেখানে যদি আমার দলের কোনো কর্মী থাকে তাহলে তাকে ধরেও শাস্তি দেওয়া হোক। কোরআন পোড়ানোর অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক, আমি জোর গলায় এ দাবি জানাই। উপসংহারে বলতে চাই, হেফাজতে ইসলামের কোনো কর্মী জঙ্গি ছিলেন না। ইসলাম ও নবী (সা.)-এর অবমাননায় তারা আহত হয়ে বিচারপ্রার্থনা করেছিলেন মাত্র। একটি মহল তাদের সেই অনুভূতিকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। ফলে তারা হয়েছে পরিস্থিতির শিকার। মার খেয়েছেন হেফাজত কর্মীরা, রক্তও দিয়েছেন তারা, আবার বদনামও জুটেছে তাদের ভাগ্যে। আলেম-ওলামাদের মনে যে আঘাত লেগেছিল তার কোনো উপশম ছাড়াই তাদের আন্দোলন আপাতদৃষ্টে প্রশমিত হয়েছে। তবে এটা হয়তো বাহ্যিক। মনের দ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটেনি। রাসূলপ্রেমে পাগল এই মানুষগুলো ইসলামের মর্যাদা রক্ষায় যে প্রতিরোধের প্রাচীর গড়ে তুলেছিলেন তার রেশ থেকে যাবে অনন্তকাল ধরে। যখনই ইসলাম ও রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর মর্যাদার ওপর আঘাত আসবে তখনই এ ছাইচাপা আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে উঠবে। email: ershad.hm@gmail.com
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___