'তত্ত্বাবধায়ক সরকার লই চুদুর-বুদুর চইলত ন'
রেহানা আক্তার রানু- MP
সংসদ রিপোর্টার |
সংসদে সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা বলেছেন, গত সাড়ে চার বছরে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে শেখ হাসিনার সরকার দুর্নীতিতে নোবেল পুরস্কার পেতে পারে। সরকারের মন্ত্রীদের দুর্নীতি দেখে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, আমি পালিয়ে যেতে চাই। কানাডিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী পদ্মা সেতু দুর্নীতির ২ পার্সেন্ট ঘুষের টাকা প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের কোন সদস্য নিয়েছেন জানতে চাই। জানতে চাই, একসময়ের সরকারি কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর কীভাবে ৪০০ কোটি টাকার ব্যাংকের মালিক হয়েছেন? বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, আমরা শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করি না। দেশের ১০ ভাগ মানুষেরও তার প্রতি বিশ্বাস নেই। কাজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বা দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি জনগণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে এ দাবি মানতে হবে এবং নিরপেক্ষ সরকারের বিল সরকারকেই সংসদে আনতে হবে। জবাবে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মাগুরা মার্কা নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। এ সরকারের সময় অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনই অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। কাজেই আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনে মহাজোট আবার ক্ষমতায় আসবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে দু'দলের সদস্যরা এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
শুরুতে আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সৈয়দ আবুল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মমতাজ বেগম, অধ্যক্ষ আলী আশরাফ, বিএনপির এএম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, জেআইএম মোস্তফা আলী ও রেহানা আক্তার রানু।
রেহানা আক্তার রানু বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, সে নির্বাচনে যাতে সব দল অংশ নিতে পারে, কেউ যেন গায়ের জোরে একদলীয় নির্বাচন না করতে পারে—সেজন্য কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রানু বলেন, যখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রধান নিয়ে কথা বলছেন, তখন শোনা যাচ্ছে আপনার অধীনে নির্বাচন করার একটি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো—নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আমার এলাকা ফেনীর ভাষায় বলতে চাই—'তত্ত্বাবধায়ক সরকার লই চুদুর-বুদুর চইলত ন'।
স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে গতকাল সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে দু'দলের সদস্যরা এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
শুরুতে আলোচনায় অংশ নেন সরকারি দলের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর, সৈয়দ আবুল হোসেন, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মমতাজ বেগম, অধ্যক্ষ আলী আশরাফ, বিএনপির এএম মাহাবুব উদ্দিন খোকন, জেআইএম মোস্তফা আলী ও রেহানা আক্তার রানু।
রেহানা আক্তার রানু বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়, সে নির্বাচনে যাতে সব দল অংশ নিতে পারে, কেউ যেন গায়ের জোরে একদলীয় নির্বাচন না করতে পারে—সেজন্য কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করি। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে রানু বলেন, যখন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রধান নিয়ে কথা বলছেন, তখন শোনা যাচ্ছে আপনার অধীনে নির্বাচন করার একটি ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য হলো—নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। আমার এলাকা ফেনীর ভাষায় বলতে চাই—'তত্ত্বাবধায়ক সরকার লই চুদুর-বুদুর চইলত ন'।
__._,_.___