Perfect spiritual leader, and Chairman of the Madrassah Board!
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Friday, July 12, 2013 3:13 AM
Subject: [mukto-mona] আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য (ভিডিও) [Is this Islamic ?]
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: mukto-mona@yahoogroups.com
Sent: Friday, July 12, 2013 3:13 AM
Subject: [mukto-mona] আল্লামা শাহ আহমদ শফীর নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য (ভিডিও) [Is this Islamic ?]
| |||||
নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য শফীর (ভিডিও)নিউজ ডেস্ক বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম | |||||
Video URL:
ঢাকা: হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী নারীদের স্বাধীনতা, শিক্ষা ও চাকরি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ, সভ্যতা ও উন্নয়ন বিরোধী মন্তব্য করেছেন। ইন্টারনেটে প্রকাশিত একটি ওয়াজ মাহফিলে ভিডিওচিত্রে তার এ ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। বর্তমান বিশ্ব যেখানে নারীদের স্বাধীনতা, স্বনির্ভরতার ওপর জোর দিচ্ছে, তিনি আছেন উল্টো পথে। ওয়াজে নারীদের তিনি তুলনা করেছেন তেঁতুলের সঙ্গে। তেঁতুল দেখলে মানুষের যেমন জিভে জল আসে তেমনি নারীদের দেখলে 'দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়' বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। আল্লামা শফির ওই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ নানান ব্লগে এখন সমালোচনার ঝড় বইছে। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ওই বক্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছেন। এ বিষয়ে এরই মধ্যে নারী নেত্রীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শফীর মতে, নারীদের কাজ হলো আসবাবপত্রের যত্ন নেওয়া, সন্তান লালন-পালন করা, ঘরের মধ্যে থাকা। চট্টগ্রামভিত্তিক হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ৯৩ বছর বয়সী শফী বলেন, 'শোনো নারীরা, চার দেয়ালের ভেতরই তোমাদের থাকতে হবে। স্বামীর বাড়িতে বসে তোমরা আসবাবপত্র দেখভাল করবা, শিশু লালন-পালন, পুরুষ শিশুদের যতœ করবা। এই হলো তোমাদের কাজ। তোমাদের কেন বাইরে যেতে হবে?' নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, 'তেঁতুল দেখলে মানুষের যেমন জিভে জল আসে তেমনি নারীদের দেখলে 'দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়'। ভিডিও ক্লিপটিতে আল্লামা শফি নারী শ্রমিক থেকে শুরু করে ছাত্রীদের ব্যাপারেও ভয়ংকর করুচিকর মন্তব্য করেন: 'মহিলাদের ক্লাসের সামনে বসানো হয় কলেজে ভার্সিটিতে, পুরুষরা কি লেখাপড়া কইরতেছে? মহিলা তেঁতুলের মতো-তেঁতুলের মতো-তেঁতুলের মতো। ছোট্ট একটা ছেলে তেঁতুল খাইতেসে, আপনে দেখতেছেন, আপনার মুখ দিয়া লালা বাইর হবে। সত্য না মিথ্যা বলেন তো? তেঁতুল বৃক্ষের নিচ দিকে আপনে হাইটা যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মার্কেটে যেখানে তেঁতুল বিক্রি করে ওদিকে যদি আপনে যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। মহিলা তার থেকেও বেশি খারাপ! মহিলাদেরকে দেখলে দিলের মইধ্যে লালা বাইর হয়, বিবাহ করতে ইচ্ছা হয়। লাভ ম্যারেজ/কোর্ট ম্যারেজ করতে ইচ্ছা হয়। হয় কিনা বলেন? এই মহিলারা তেঁতুলের মতো।' আল্লামা শফি বলেন, 'দিনেরাত্রে মহিলাদের সাথে পড়ালেখা করতেছেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে হাঁটাহুটা করতেছেন, হ্যান্ডশেক কইরা কইরা, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতোই বুজুর্গ হোক না কেন, এই মহিলাকে দেখলে, মহিলার সাথে হ্যান্ডশেক করলে আপনার দিলের মধ্যে কুখেয়াল আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা হইতে হইতে আসল জেনায় পরিণত হবে। এটা সত্য না মিথ্যা?' পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত নারীকর্মীদের অভিভাবকদের সাবধান করে দিয়ে তিনি বলেন, 'আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টসে চাকরি করার জন্য? চাকরি তো অনেক করতেছেন। আপনার বিবিও ইশকুলে লেখাপড়া করায় ডাক্তার হইছেন। আপনেও ডাক্তার, আপনার মেয়েরাও ইশকুলে চাকরি করে গার্মেন্টসে চাকরি করে। সবাই টাকা-পয়সা অর্জন করতেছেন, তবু কুলাইতেছে না, কুলাইতেছে না। অভাব-অভাব-অভাব-অভাব। আগের যুগে একজনে কামাই রোজগার করছে, স্বামী। ছেলে, সন্তান, বৌ, বেটি সবাইকে নিয়া ফরাগতের সাথে খাইছে। এখন বরকত নাই। এতো টাকা-পয়সা রোজগার করতেছেন, তবু কুলাইতেছে না, অভাব-অভাব-অভাব, বরকত নাই।' শফি বলেন, 'গার্মেন্টসে কেন দিছেন আপনার মেয়েকে? ফজরে ৭/৮ টা বাজে চলে যায়, রাত ৮টা, ১০টা, ১২টায়ও আসে না। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করতেসে তুমি তো জানো না। কতোজনের মধ্যে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনে তো জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করতেছে, কী বরকত হবে?' মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, 'আপনারই মেয়ে স্কুলে, কলেজে, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করছে। আরে, ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করান। বিবাহ-শাদি দিলে স্বামীর টাকা-পয়সার হিসাব কইরতে পারে মতো, অতটুকু দরকার। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে আইজকে স্কুলে কলেজে ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেছেন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেছেন। কিছুদিন পরে আপনার মেয়ে স্বামী একটা নিজে নিজে ধরি নিবে, লাভ ম্যারেজ-কোর্ট ম্যারেজ করি চলি যাবে।' ধারণা করা হচ্ছে, শফী তার ধর্মোপদেশ দিয়েছেন গত শীতে বা তারও আগে। এতে কোনো তারিখ লেখা নেই। তবে একটি লেখা পাওয়া ছিল: ইসলামিক মহাসম্মেলন, ভেন্যু কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম। তবে শফীর একজন অনুসারী জানান, অশিক্ষিত লোকজনের জন্য এটা হুজুরের উপদেশ। পরিবেশ ও গ্রামের সংস্কৃতি বিবেচনা করে তিনি এই বক্তব্য দিয়েছেন। শহরের শিক্ষিত লোকজনের জন্য তার বক্তব্য ভিন্ন। মূলত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আহমদ শফীর নেতৃত্বে ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি হেফাজতে ইসলামের যাত্রা শুরু হয়। আহমদ শফী এ মুহূর্তে বাংলাদেশ কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসার মহাপরিচালক। তার পড়াশুনা ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায়। সম্প্রতি শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের বিরোধিতা করেই ইসলামিক গোষ্ঠী হেফাজত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। এছাড়া সংগঠনটির ১৩ দফা দাবিও সুশীল মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এসব দাবির মধ্যে ছিল নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা নিষিদ্ধ করা, বিদেশি সংস্কৃতি নিষিদ্ধ করা, মোমবাতি প্রজ্বলন নিষিদ্ধ করা। ঢাকায় গত ৬ এপ্রিলের সমাবেশে এই দাবিগুলো পেশ করে হেফাজত। সমাবেশের দিন নারী সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় হেফাজতের লোকজন। হেফাজতের সামবেশে নারী সাংবাদিক কেন, মাথায় কাপড় নেই কেন--এ ধরনের অজুহাত তুলে তাদের হেনস্থা করা হয়। একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিনকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। নাদিয়া হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের খবর সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় সমাবেশ থেকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, 'পুরুষের সমাবেশে নারী সাংবাদিক কেন?' একপর্যায়ে সমাবেশের নাদিয়াকে মারতে মারতে সমাবেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট জাকিয়া আহমেদ ৬ এপ্রিল কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির কাছে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কর্ণফুলী গার্ডেন সিটির সামনে মারকাজুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশের ব্যানারে একটি মিছিল যাচ্ছিল। জাকিয়া সড়ক বিভাজনের পাশে দাঁড়িয়ে মিছিলের স্লোগান টুকে নিচ্ছিলেন। এ সময় মিছিলের মাঝখান থেকে একজন আঙ্গুল তুলে জাকিয়ার দিকে তাকিয়ে বলেন, 'ওই মাইয়্যা, মাথায় কাপড় নাই ক্যান?' ভিডিও ক্লিপে শফী বলেন, 'মেয়েরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায়। তাদের চার-পাঁচ ক্লাস পড়লেই চলবে। বিয়ের পর তারা স্বামীর টাকা-পয়সার হিসেব রাখবে, এটাই তাদের জন্য যথেষ্ট।' মোবাইল ফোন নিয়েও শফী ভীষণ বিরক্ত। বর্তমান সময়কে মোবাইল ফোনের যুগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল ফোন রয়েছে। পুরুষ শিক্ষার্থীরা মেয়েদের ফোন নাম্বার যোগাড় করে এবং মেয়েরাও স্কুল-কলেজে গিয়ে পুরুষ শিক্ষার্থীদের নাম্বার নেয়। শিক্ষার নামে এটাই চলছে।' হেফাজতের এই ধর্মান্ধ নেতা বলেন, 'বাড়ির বাইরে যেয়ো না। রাস্তায়, স্টেশনে, বাজারে, মাঠে নগ্ন হয়ে ঘোরাফেরা করো না। সাবধান! কেনাকাটা করতে যাবে না। তোমার স্বামী বা ছেলেকে বলো বাজার করার জন্য। তোমাকে কেন যেতে হবে? তুমি শুধু বসে থাকো এবং ছেলেকে হুকুম করো। তোমাকে কেন এই ঝামেলা পোহাতে হবে?' বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০১০ সালের হিসাব মতে, দেশের চাকরিজীবী নারীর সংখ্যা এক কোটি ৭০ লাখ। ২০০২-০৩ সালে এটা ছিল এক কোটি। তবু পুরুষের তুলনায় তা অর্ধেক। বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৩ আরআর/জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর
| |||||
__._,_.___