Banner Advertiser

Sunday, August 18, 2013

[mukto-mona] (unknown)



বিলবোর্ডগুলো অপপ্রচারের জবাব

 | August 18, 2013 | Comments (0)
প্রফেসর ড. গঞ্জালেস ডি কস্তা : গত ১২ আগস্ট রাজধানী থেকে কিছু বিলবোর্ড অপসারণ করা হয়েছে, সেগুলো নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, গ্রামে-গঞ্জে। 'উন্নয়নের অঙ্গীকার, ধারাবাহিকতা দরকার' স্লোগান সম্বলিত বিলবোর্ডগুলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নান্দনিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। এসব বিলবোর্ডে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়নের প্রচারণা স্থান করে নিয়েছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। উল্লেখ্য, বছরের অধিকাংশ সময় বিলবোর্ডগুলো খালি পড়ে থাকে। রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১৫ হাজার বিলবোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৪ হাজারই অবৈধ। বৈধ বিলবোর্ডের সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ২০০। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক হাজার, বাকি ২০০ অন্যান্য সংস্থার অনুমোদন দেয়া। অন্যসব বিলবোর্ডই অবৈধ। এজন্য সরকার কর্তৃক অন্যের বিলবোর্ড দখল করে নেয়ার অভিযোগ একেবারে সঠিক নয়। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা বলছেন, 'সরকারি নয়- এটা দলীয় উদ্যোগেই হচ্ছে। রাজধানীসহ পর্যায়ক্রমে সারা দেশে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রচার-প্রচারণা চালানো হবে। ভোটারদের সরকারের উন্নয়ন স্মরণ করিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে।' অনেকেই বলছেন আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রচারণা দুর্বল, সেই ঘাটতি পূরণ করতেই এ ধরনের প্রচার-প্রচারণা। আমাদের মতে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন একটি ধারা সংযোজন করা হয়েছে। বিলবোর্ডগুলো অবশ্যই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন উদ্ভাবন। ইউরোপ-আমেরিকার রাজনীতিতে 'রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন' বহুল ব্যবহৃত এবং সমাদৃত একটি মাধ্যম। কেবল বিলবোর্ডই নয়, ভিডিও বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করেও রাজনৈতিক দলগুলো সারাবছর প্রচারণা চালায়। সেখানে বিরোধী দল সরকারের কোনো কর্মসূচিকে আক্রমণ বা সমালোচনা করে বিজ্ঞাপনচিত্র প্রচার করলে সরকারি দল পাল্টা বিজ্ঞাপনচিত্র তৈরি করে সেটির জবাব দেয়। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের 'বিলবোর্ড কালচার' জামায়াত-বিএনপির অপপ্রচারের জবাব।
বিলবোর্ডগুলোর বিষয়বস্তুর দিকে দৃষ্টি দিলে আমরা দেখতে পাব শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার এই প্রচারণায় দেশের অগ্রযাত্রার বিবরণ তুলে ধরেছে। খাদ্য নিরাপত্তা, ক্রীড়াক্ষেত্রে অগ্রযাত্রা, যানজট নিরসনে উদ্যোগ, ডিজিটাল বাংলাদেশ, কূটনৈতিক অর্জন, সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, যুগান্তকারী পরিবর্তন, বিশুদ্ধ খাবার পানি, জনশক্তি রফতানি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, শিক্ষিত সমাজ-উন্নত জাতি, হাতিরঝিলের উন্নয়ন, সবার জন্য শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার অগ্রগতি, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক সম্মাননা, অবাধ তথ্যপ্রবাহ, সমুদ্রবিজয়- এ ধরনের নানা শিরোনাম দিয়ে এসব বিলবোর্ডে গত সাড়ে চার বছরে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরা হয়েছে। আবার কোনো কোনো বিলবোর্ডে কোনো উন্নয়নচিত্র তুলে ধরা হয়নি। 'উন্নয়নের অঙ্গীকার, ধারাবাহিকতা দরকার' স্লোগানের সঙ্গে এ বিলবোর্ডগুলোতে দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাস্যোজ্জ্বল ছবি।
দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বিলবোর্ডগুলো পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পরবর্তী প্রচারণা, যা হতাশা কাটিয়ে ওঠার প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা হিসেবে নন্দিত। এসবের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সত্যিই ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। নতুন প্রজন্মের নেতা সজীব ওয়াজেদ জয় রোজার মাসে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের মধ্যে চাঙ্গাভাব ফিরিয়ে এনেছেন। সেই ধারা অব্যাহত রাখার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। আর সেই ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার দৃষ্টান্ত দেশব্যাপী প্রদর্শিত বিলবোর্ডগুলো। সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিভিন্ন বক্তব্য ছিল নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জন্য উদ্দীপনার অণুঘটক। নিজ দলের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বিরোধী দলের বিচিত্র অপপ্রচারের বিরুদ্ধে চপেটাঘাত দিয়েছেন। ১ আগস্টে ৭১ টিভিকে বলেছেন, 'মানুষ তো ভোট দেবে দুই দলকে তুলনা করে। আমরা চাই বিএনপি আর আওয়ামী লীগ, এই তুলনাটা হোক। বিএনপি তো ক্ষমতায় ছিল, তারা পাঁচ বছরে কী করেছে আর আমরা কী করেছি জনগণ তা বিবেচনা করুক।' এই তুলনার প্রয়োজনে বিলবোর্ডগুলো শোভিত হচ্ছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা এবং বিরোধী দলের অতীত কুকীর্তি তুলে ধরার মধ্যে অবশ্যই নির্বাচনি আচরণই প্রকাশ পেয়েছে।
পূর্বেই বলা হয়েছে বিলবোর্ডগুলোতে প্রদর্শিত হয়েছে মহাজোট সরকারের উন্নয়নের বিবরণ। সরকারের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা প্রত্যেক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বীকৃত। সরকার নিজেদের সাফল্য প্রচার করতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। এজন্য সরকারের প্রচার নিয়ে বিতর্কের সূচনা করা কিংবা কটাক্ষ করা কোনোমতে মেনে নেওয়া যায় না। বিএনপি-জামায়াত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যে ধারায় অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে তা স্মরণ করলে সকলে এই বিলবোর্ডের প্রয়োজনীয়তার কথা স্বীকার করবেন। বিলবোর্ড লাগিয়ে কোনো লাভ নেই বলে চিৎকার করছেন বিরোধী দল। কিন্তু মনে রাখা দরকার লাভ আছে বলেই তারা চিৎকার করছেন। বিলবোর্ড দিয়ে সরকারের পতন ঠেকানো যাবে না বলে যারা কটাক্ষ করল তারা বরং পতনের নিয়ামক হিসেবে সরকারকে আরো বেশি বিলবোর্ড লাগাতে বলতে পারেন। সে পরামর্শ কিন্তু তারা দিচ্ছেন না। বিলবোর্ড সম্পর্কে বিএনপি অনুমাননির্ভর নানা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে শুরু করেছে। এর পিছনে ৬০ কোটি টাকা ব্যয় তারা কীভাবে আবিষ্কার করেছে এটাই আমাদের কাছে বিস্ময়কর।
বিলবোর্ডের তথ্যগুলো যে সত্য তা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের (২০০১-২০০৬) সঙ্গে বর্তমান মহাজোট সরকারের তুলনা করলেই নিশ্চিত হওয়া যায়। ইসলাম ধর্ম নিয়ে হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপি-জামায়াত মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে যে প্রচারণা চালিয়েছে তা যে অসার ও মিথ্যা তার বিবরণ আছে বিলবোর্ডগুলোতে। এ সরকারের আমলেই মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করা হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকা- দেশব্যাপী বিস্তৃত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এসব সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে নিন্দুকরা আজ নয় অনেক আগে থেকেই অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে। মূলত বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে বলগাহীন হরিণের মতো। পাগলা কুকুরের মতো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে দেশি-বিদেশি এজেন্ট। 'আসাম টাইমস'-এর সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর রাষ্ট্র-বিরোধী তৎপরতা আমরা সকলে জানি। ২০০৯ সালের ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর কর্তৃক অসংখ্য মেধাবী সেনা কর্মকর্তা নিধনের পরে আমেরিকা প্রবাসী কলামিস্ট সুনীতা পাল প্রচার করেছিল বিদ্রোহী নেতাদের সজীব ওয়াজেদ জয় দুবাই এয়ারপোর্টে নিজ হাতে টাকার প্যাকেট দিয়েছে। তার লেখায় পুরো বিদ্রোহের নীল নকশা তুলে ধরা হয়েছে। পরে প্রমাণিত হয়েছে সুনীতা পাল ও তার আমেরিকান মিডিয়া ভুয়া। সালাউদ্দিন শোয়েবের ছায়া সে। সে সময় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সেনাকুঞ্জের সভার প্রশ্নোত্তর ও কথোপকথনের কিছু অংশ ওয়েবসাইটে প্রচার করা হয়। এটিরও উদ্দেশ্য ছিল সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও প্রধানমন্ত্রীকে হেয় প্রতিপন্ন করা। উইলিয়াম নিকোলাস গোমেজ সেই ধারায় এসেছে। বর্তমানে সে মৌলবাদী জামায়াত-শিবিরের চোখের মণি। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধাচারণ করছে এ ধরনের মানুষগুলো; এটা কি মেনে নেবে বর্তমান প্রজন্ম? অবশ্যই না। অন্যদিকে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিত্য চলছে মিথ্যাচার। বিলবোর্ডগুলো নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকা সত্ত্বেও টিভির টকশো'তে দিনের পর দিন একাধিক সাংবাদিক-সম্পাদকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের সমালোচনা করছেন। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে আমেরিকার সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নষ্ট করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে কিছু পত্রিকা; যা জামায়াত-বিএনপির পরিকল্পনার অংশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রী পরিষদ নিয়ে কটূক্তি এবং অপপ্রচার ভয়ঙ্কর মাত্রায় ছড়ানো হয়েছে। যেমন ২০১১ সালের ডিসেম্বর জুড়ে অনলাইনে আহমেদ আরিফ নামে একজন ব্লগার প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে যেসব অশ্লীল কথা প্রকাশ করেছে তা কি বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দৃষ্টিতে পড়েছে? শেখ হাসিনাকে ভারতের দালাল ও তাঁর পিতার নাম 'শেখ বাকশাল' বলা থেকে শুরু করে যে ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে তা সত্যিই আমাদের চিন্তার বাইরে। এর আগে পিলখানা হত্যাকা-ের দায় আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে শেখ হাসিনাকে দোষী করে বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটে এমন ধারণা পোক্ত করা হয় যে সেনাবাহিনীর মিড-লেবেলের অফিসাররা বিশ্বাস করতে শুরু করে বর্তমান সরকারই এই ঘটনার জন্য দায়ি। অথচ সারা বিশ্ব সেসময় থেকে জেনেছে, সেই পরিস্থিতি কেবলমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যার দৃঢ় ও সাহসী মনোভাব এবং ত্বড়িত সিদ্ধান্তের কারণে সামাল দেয়া সম্ভব হয়েছিল। শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পূর্বে কখনো দশ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলেননি। অথচ প্রচার করা হয়েছে তিনি তা বলেছেন। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, বিরোধী দল তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওয়েবসাইটে তাঁর কোনো একটি বক্তৃতার অংশবিশেষে মিথ্যা তারিখ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারা। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা তিনি বলেছিলেন ১৯৯৬ সালে। সেই বক্তব্যকে ২০০৮ সাল লিখে প্রচার করা হচ্ছে একটি বিশেষ ওয়েবসাইটে। এমনকি বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ হিন্দু ছিলেন এই অপপ্রচার করা হয়েছে বর্তমান সরকারের ভারতের প্রতি আস্থার কারণে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখাও বিরোধীদের দৃষ্টিতে অন্যায়; আর তাদের সেই বিশ্বাসের সঙ্গে একাত্ম কতিপয় বুদ্ধিজীবী ও কলাম লেখক। যারা লন্ডনের 'দ্য ইকোনমিস্টে'র মতো পত্রিকাকে প্রভাবিত করে চলেছেন। ২০১১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দলীয় সভায় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা থেকেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বিরোধী দলের বিরোধিতা ও অপপ্রচারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছিলাম আমরা। ২০১২ সালের ২৫ এপ্রিল বাংলাদেশের একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়- 'র (জঅড)-এর খাঁচায় আওয়ামী লীগের ১০০ কমান্ডো : গুম-খুন-অপহরণে প্রশিক্ষণ লাভ' শিরোনামে। এই সংবাদটি স্রেফ জামায়াত-বিএনপিকে অপপ্রচারের উপাদান সরবরাহের জন্য প্রকাশিত হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে ভারত বিরোধী সুড়সুড়ি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে এখানে; অপপ্রচারের অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে জামায়াত-বিএনপির হাতে। বর্তমান পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে তাদেরকে বন্ধু হিসেবে মনে করছে জামায়াত-বিএনপি।
মিডিয়াসহ ওয়েবসাইটে বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিরুদ্ধে যে ভয়ঙ্কর অপপ্রচার করা হচ্ছে তার সঙ্গে কারা জড়িত তা এখন জনগণ বুঝতে পেরেছে। মূলত তথ্য-প্রযুক্তির অবারিত প্রবাহের সুযোগে ভাল কাজের পাশাপাশি 'সাইবার ক্রাইম' ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার বিরুদ্ধে যখন সাইবারে অপপ্রচার চলে, তখন আমরা আঁতকে উঠি বৈকি। চিন্তা করতে থাকি এ কোন্ দেশের অধিবাসী আমরা(?) যেখানে মানুষের কল্যাণ কামনায় রাত-দিন সরকারকে ব্যস্ত থাকতে হয়, সেখানেই এ ধরনের অপতৎপরতা শুরু হয় কেন? প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের যৌক্তিক সমালোচনা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার; কিন্তু নোংরামি কোনো মতেই মেনে নেওয়া যায় না। সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে 'সাইবার ক্রাইম' সংঘটিত হচ্ছে। তবে 'সাইবার টেরোরিজম' এ ধরনের অপরাধের মধ্যে আলাদা। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে সরকার ও নাগরিকরা। সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট অথবা সেনাবাহিনীর ওয়েবপেজ ধ্বংস করে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে সন্ত্রাসীরা। জঙ্গি সংগঠনগুলো যোগাযোগ ও অর্থ সংগ্রহ করে থাকে নেট ব্যবহারের মাধ্যমে। লস্কর-ই-তৈয়বা এভাবে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে। প্রতিদিন জনপ্রিয় বাণিজ্যিক সাইটও আক্রান্ত হচ্ছে। সম্প্রতি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পৃক্ত অপরাধ তদন্তের নানা উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে। বুদ্ধিবৃত্তিক সমাজে বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি রক্ষার জন্য আইন থাকা জরুরি। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার অর্থনৈতিক ও ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তদারকিতে এনেছে।
প্রধানমন্ত্রী অনেক দিন আগে থেকেই তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে মিডিয়াসহ ইন্টারনেটে অপপ্রচারের কথা বলে আমাদের সতর্ক করে দিয়েছেন। সাধারণ জনগণ জেনেছে মিডিয়া ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে এ ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা। বস্তুত অপপ্রচার দেশের ভাবমূর্তি ও সফলতার দিকচিহ্নগুলো বিনষ্ট করছে। এর মাধ্যমে বিদেশে থাকা বাঙালিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সরকারি ও ব্যবসায়িক তথ্য প্রবাহ-প্রক্রিয়া বিঘিœত হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অনেকে। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য এবং জনগণকে উজ্জীবিত রাখতে নতুন নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। আর সেই কর্মসূচি সম্পর্কে দেশবাসীকে অবহিত রাখতে সরকার নেমেছে বিজ্ঞাপনী প্রচারণায়। সরকার তার উন্নয়নকাজের ফিরিস্তি জনগণের সামনে তুলে ধরতেই পারে। আমাদের দেখা দরকার সরকার তার কাজের ফিরিস্তি দিতে গিয়ে জনগণকে অসত্য তথ্য সরবরাহ করছে কিনা। যদি তা না করে তাহলে বিলবোর্ড নিয়ে নোংরা রাজনীতি করার কিছু নেই। যারা এ নিয়ে সমালোচনামুখর হয়েছেন তারা নিন্দুক জনগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র মনের অধিকারী; প্রকৃত দেশপ্রেমিক তারা নন। নিতান্ত রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার লক্ষ্যেই কেবল সমালোচনা করছেন তারা।
বস্তুত প্রচারণায় পিছিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার প্রচারণায় নতুনত্ব এনেছে। এমতাবস্থায় দেশের রাজনীতিতে পরস্পরবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তে নতুন ধারার এ কর্মকা-কে সাধুবাদ জানানো উচিত। সরকারিমহল থেকে এ-ও বলা হয়েছে বিরোধী দলও বিলবোর্ডের মাধ্যমে এ ধরণের প্রচারণার জবাব দিতে পারে। এটি হতে পারে ইতিবাচক রাজনীতির নতুন সংস্কৃতির শুভ সূচনা। বিদেশে 'রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন' প্রচারণার জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশে যেহেতু রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের প্রচলনই ঘটেনি, ফলে এ সংক্রান্ত নীতিমালা বা বিধিমালার প্রশ্ন তোলা এই মুহূর্তে অবান্তর। সরকার মতান্তরে আওয়ামী লীগের বিলবোর্ডের সূত্র ধরে এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যারা এগুলোকে নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি বলছেন, তারা নিজেরাই স্বীকার করেছেন, সরকারি কর্মকা-ের সাফল্য প্রচারের এই অভিনব তৎপরতা রাজনৈতিক অঙ্গনে ঝড় তুলেছে। মনে রাখতে হবে বিলবোর্ডগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জবাব। উপরন্তু গত সাড়ে চার বছরের সাফল্যের প্রচারণা যা জনসাধারণের জানার অধিকার রয়েছে। কেবল সামনে নির্বাচন বলেই এগুলো করা হয়নি তা আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকদের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট হয়েছে। দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রচারের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, 'সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- বিএনপির চোখে পড়ে না। তাই তাদের দেখানোর জন্য বিলবোর্ডের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরা হয়েছে।' তবে আমার মতে এই বিলবোর্ডগুলো মহাজোট সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের সমুচিত জবাব। ঢাকা থেকে অপসারণ করা হলেও সারা দেশে বিলবোর্ডের প্রচার আরো বিস্তৃত পরিসরে করা হোক এই প্রত্যাশা আমাদের।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___