AWAMI LEAGUE MADE IT POSSIBLE !
SO, VOTE FOR "NOUKA" IN THE COMING ELECTION !!
তিন ঘণ্টার পথ তিন মিনিটেই পার
স্টাফ রিপোর্টার ॥ মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার ব্যবহারে যানবহানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ফ্লাইওভারটির কারণে এবার ঈদের আগে ঘরে ফিরতে ৩০ জেলার মানুষের ভোগান্তির শিকার হতে হয়নি। কয়দিন আগে যে পথ পাড়ি দিতে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল সেই পথ মাত্র তিন থেকে চার মিনিটে পার হতে পারছে যাত্রীরা। এতে গাড়িচালক এবং যাত্রী উভয়ের মধ্যে দেখা গেছে স্বস্তি আনন্দের চাপ। সোমবার ফ্লাইওভার এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। গত শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করেন। সরকারী ও বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বড় এ অবকাঠামো নির্মাণ করে ওরিয়ন ইনফ্রাস্ট্রাকচার। পুরো কাজ শেষ না হলেও মূল উড়াল সেতু খুলে দেয়া হয়েছে যান চলাচলের জন্য। অন্যদিকে, নতুন এ ফ্লাইওভার দক্ষিণ-পূর্ববঙ্গের প্রবেশদ্বার রাজধানীর ব্যস্ততম যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ এলাকায় যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে এ ফ্লাইওভারটি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুতুবখালী টোল প্লাজায় দায়িত্বরত যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এর মাধ্যমে যানজট অনেকাংশে কমে আসছে। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রায় ২০ শতাংশের অধিক যানবাহন ফ্লাইওভার দিয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন এ হার বাড়তে আছে।
উদ্বোধনের তৃতীয় দিনে হানিফ ফ্লাইওভারে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। নির্ধারিত টোল দিয়েই ফ্লাইওভারে যান চলাচল করছে। শনিবার টোল নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির পর থেকে টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা ছিলেন খুবই সতর্ক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্লাইওভার সুপারভিশনে দায়িত্বরত শফিকুজ্জামান বলেন, শনিবারের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। শুধু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছিল। সীমাহীন যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। তাঁদের মুখে হাসি আর নতুন ফ্লাইওভার চড়ার তীব্র আকাক্সক্ষা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাস/মিনিবাস ও ট্রাকের টোল (চার চাকা) ১৭৩ থেকে ২৬০ টাকা, দূরপাল্লার বাস ৩৬০ টাকা, পিকআপ ১৩০ টাকা, মাইক্রোবাস ৬০ টাকা, সিএনজি অটোরিকশা ১৮ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০ টাকা। প্লাজায় কর্তব্যরত আবুল কালাম বলেন, বাইসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান ছাড়া ফ্লাইওভার দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে অনেক আগের টোল মূল্য তালিকা প্রকাশ হওয়ায় বেশ হট্টগোল হয়েছে। আশা করি বর্তমান তালিকায় আর কোন সমস্যা হবে না। এটি মেনে নিয়েই ইতোমধ্যে গণপরিবহনগুলো অত্যন্ত শান্তভাবে চলাচল করছে।
কুতুবখালী থেকে গুলিস্তানে আসা যাত্রী আমির হোসেন বলেন, তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে কুতুবখালী থেকে গুলিস্তান এসেছি। তিন দিন আগেও একই পথ আসতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যেত।
মনির হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন প্রয়োজন অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা। তা করতে পারলে ওই এলাকায় যাতায়াতের আরও সহজ ও আরামদায়ক হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে সঠিকভাবে পরিচালনা কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝির হবে না বলেও মন্তব্য করেন এ যাত্রী। কুতুবখালী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া কত জানতে চাইলে ওই যাত্রী বলেন, ১০ টাকা। ভাড়া একটু বেশি হলেও ভ্রমণসময় কমে আসায় কারও কোন আপত্তি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।
২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৭০ কোটি টাকা। বিল্ট-অন-অপারেট এ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে ফ্লাইওভারটি নির্মাণের জন্য ডিসিসি ২০০৫ সালের ২১ জুন ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। কাজ শুরুর আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ আবার ওরিয়ন গ্রুপকেই দেয়া হয়। তবে শর্তজুড়ে দেয় নতুন করে নক্সা তৈরি এবং এটি আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। তাই সরকারের নির্দেশে ওরিয়ন গ্রুপ আবারও নক্সা সংশোধন করে। নতুন নক্সায় ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১১ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। নানা জটিলতায় গত দশ বছরের নির্মাণ ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও টোলের পরিমাণ বাড়ছে না বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের কর্মকর্তরা। সম্পূর্ণ বেসরকারী অর্থায়নে বিওওটি পদ্ধতিতে নির্মিত এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো।
উদ্বোধনের তৃতীয় দিনে হানিফ ফ্লাইওভারে যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। নির্ধারিত টোল দিয়েই ফ্লাইওভারে যান চলাচল করছে। শনিবার টোল নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির পর থেকে টোল আদায়ে সংশ্লিষ্টরা ছিলেন খুবই সতর্ক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফ্লাইওভার সুপারভিশনে দায়িত্বরত শফিকুজ্জামান বলেন, শনিবারের ঘটনাটি ছিল সম্পূর্ণ অনাকাক্সিক্ষত। শুধু ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়েছিল। সীমাহীন যানজটের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ায় যাত্রী সাধারণের মাঝে বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। তাঁদের মুখে হাসি আর নতুন ফ্লাইওভার চড়ার তীব্র আকাক্সক্ষা ছিল চোখে পড়ার মতো।
বাস/মিনিবাস ও ট্রাকের টোল (চার চাকা) ১৭৩ থেকে ২৬০ টাকা, দূরপাল্লার বাস ৩৬০ টাকা, পিকআপ ১৩০ টাকা, মাইক্রোবাস ৬০ টাকা, সিএনজি অটোরিকশা ১৮ টাকা ও মোটরসাইকেল ১০ টাকা। প্লাজায় কর্তব্যরত আবুল কালাম বলেন, বাইসাইকেল, রিকশা ও ভ্যান ছাড়া ফ্লাইওভার দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে অনেক আগের টোল মূল্য তালিকা প্রকাশ হওয়ায় বেশ হট্টগোল হয়েছে। আশা করি বর্তমান তালিকায় আর কোন সমস্যা হবে না। এটি মেনে নিয়েই ইতোমধ্যে গণপরিবহনগুলো অত্যন্ত শান্তভাবে চলাচল করছে।
কুতুবখালী থেকে গুলিস্তানে আসা যাত্রী আমির হোসেন বলেন, তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যে কুতুবখালী থেকে গুলিস্তান এসেছি। তিন দিন আগেও একই পথ আসতে প্রায় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা সময় লেগে যেত।
মনির হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, এখন প্রয়োজন অসমাপ্ত কাজ দ্রুত সমাপ্ত করা। তা করতে পারলে ওই এলাকায় যাতায়াতের আরও সহজ ও আরামদায়ক হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে সঠিকভাবে পরিচালনা কোন ধরনের ভুল বোঝাবুঝির হবে না বলেও মন্তব্য করেন এ যাত্রী। কুতুবখালী থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া কত জানতে চাইলে ওই যাত্রী বলেন, ১০ টাকা। ভাড়া একটু বেশি হলেও ভ্রমণসময় কমে আসায় কারও কোন আপত্তি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।
২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে ফ্লাইওভারটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬৭০ কোটি টাকা। বিল্ট-অন-অপারেট এ্যান্ড ট্রান্সফার (বিওওটি) পদ্ধতিতে ফ্লাইওভারটি নির্মাণের জন্য ডিসিসি ২০০৫ সালের ২১ জুন ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি করে। কাজ শুরুর আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ আবার ওরিয়ন গ্রুপকেই দেয়া হয়। তবে শর্তজুড়ে দেয় নতুন করে নক্সা তৈরি এবং এটি আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। তাই সরকারের নির্দেশে ওরিয়ন গ্রুপ আবারও নক্সা সংশোধন করে। নতুন নক্সায় ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১১ কিলোমিটার। দৈর্ঘ্য বেড়ে যাওয়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় এর নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১০৮ কোটি টাকা। নানা জটিলতায় গত দশ বছরের নির্মাণ ব্যয় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেলেও টোলের পরিমাণ বাড়ছে না বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের কর্মকর্তরা। সম্পূর্ণ বেসরকারী অর্থায়নে বিওওটি পদ্ধতিতে নির্মিত এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো খাতে উন্নয়নের এক নতুন দুয়ার উন্মোচিত হলো।
__._,_.___