Banner Advertiser

Friday, October 4, 2013

[mukto-mona] Fw: [Bangladesh-Zindabad] সাকার রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে পাচার পেনড্রাইভে ॥ কর্মী গ্রেফতার




----- Forwarded Message -----
From: Gonojagoron Moncho <projonmochottar@gmail.com>
To:
Sent: Friday, October 4, 2013 9:11 PM
Subject: [Bangladesh-Zindabad] সাকার রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে পাচার পেনড্রাইভে ॥ কর্মী গ্রেফতার

 
সাকার রায়ের কপি ট্রাইব্যুনাল থেকে পাচার পেনড্রাইভে ॥ কর্মী গ্রেফতার
০ আসামিপক্ষের আইনজীবীর সহকারী ও অপর এক কর্মচারীকে খুঁজছে পুলিশ 
০ মামলা তিনজনের বিরুদ্ধে 
০ শিবির কানেকশন 
০ ডোমেইন নিবন্ধন বেলজিয়ামে, আপলোড লন্ডনে
আজাদ সুলায়মান ॥ বেরিয়ে আসছে থলের বিড়াল। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের কপি ফাঁস হওয়ার ঘটনা তদন্তে নাটকীয় মোড় নিচ্ছে। কারা কিভাবে এ কপি মামলার রায়ের আগেই ফাঁস করেছে, পুলিশ তার ক্লু পেয়েছে। নয়ন আলী নামের এক কর্মচারীই এটা ফাঁস করেছেন। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় যে কম্পিটারে লেখা হয়েছে, সেখান থেকেই পেনড্রাইভে করে তা নিয়ে গেছেন নয়ন মিয়া। এর পর ফাইলটি ইমেইল বা অন্য কোন উপায়ে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই একটি অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। টাকার লোভেই তিনি এ কাজ করেছেন।
এ রায়ের খসড়া ফাঁস হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে অপরাধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্যাটেজি ফোরাম বলেছে, এটি প্রকাশ হয়েছে যুক্তরাজ্য কিংবা ইউরোপের কোন শহর থেকে। সংস্থাটির এক সদস্য টেলিভিশন সাক্ষাতকারে বলেছেন, ডকুমেন্ট যখন লিক হলো, তখন আমরা দেখলাম যুক্তরাজ্যের জাস্টিস কনসার্ন নামে একটি ওয়েবসাইট এবং ট্রাইব্যুনাল লিকস নামের ওয়েবসাইট থেকে ছড়ানো হয়। তাদের কাছে থাকা তথ্যানুযায়ী মূলত ইসলামী ছাত্রশিবিরের কয়েক উদ্যোক্তা এটি ছাড়ে। একটি বেসরকারী চ্যানলের যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনাল লিকসের ভিডিও এবং ডোমেইন অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ডোমেইনটি বেলজিয়ামে নিবন্ধন করা হয়েছে। আর জাস্টিস কনসার্নের নিবন্ধন করা হয় ইউকে থেকে। 
এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্যাটেজি সদস্য বলেন, বাংলাদেশ সরকার যদি চায়, তা হলে এ ডোমেইনগুলো যথাযথভাবে তদন্ত করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে (স্থানীয় লিগ্যাল 'ল' ফার্ম) তদন্ত চালাতে পারে। একই বিষয়ে লন্ডনের বাংলাদেশের প্রেস মিনিস্টার রাশেদ চৌধুরী বলেন, হাইকমিশনের মাধ্যমে এখানকার সরকারকে (যুক্তরাজ্য সরকার) জানানো হলে এখানকার সরকার তাদের আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।
তবে শিবিরের উদ্যোগে সাকার রায়ের খসড়া ফাঁস হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন জামায়াতের ইউরোপ মুখপাত্র। তিনি টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদককে বলেন, ফাঁস হওয়া ডকুমেন্টটি প্রপারলি আমাদের কাছে হস্তগত হয়নি। এ ডকুমেন্টের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের রেসপনসিবিলটি নিতে পারি না। আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এটা লন্ডন থেকে প্রকাশিত হওয়া সম্ভব নয়। এটি বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, লন্ডনে যারা হাতে পেয়েছে, তারা এটি প্রকাশ করেছে। জানা যায়, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায় ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত হয়েই নয়নকে আটক করেছে। আজ তাঁকে রিমান্ডে আনা হবে। আটক হওয়া নয়ন আলী ট্রাইব্যুনালের ফাইলপত্র আনা-নেয়ার কাজ করতেন। এই কাজে ফারুক ও মেহেদী নামে আরও দুজন জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হতে পেরেছে। তারা পলাতক। রাতে এ রিপোর্ট লেখার সময় তাদের ধরার জন্য নগরীর পলাশী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশের একটি টিম। তাদের ধরার জন্য চলছে সাঁড়াশি অভিযান। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার দুপুরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের কাকরাইলের অফিসে অভিযান চালিয়ে দুটো সিপিইউ, প্রিন্টার ও সিডি নিয়ে আসে। এ সব এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিডিতে কী আছে, তা ডিবি কার্যালয়ে দিনভর দেখা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক নাটকীয় অগ্রগতি হচ্ছে। কারা কিভাবে রায়ের কপি ফাঁস করেছে, সে ব্যাপারে তদন্তকারী দল মোটামুটি নিশ্চিত। এখন অপরাধীদের ধরার পালা। গ্রেফতার হওয়া কর্মচারী পুলিশকে বেশ চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। আটক নয়ন পুলিশকে জানিয়েছেন, রায় লেখার সময় কম্পিউটার থেকে তা চুরি করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদীর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। পরে নয়ন আলী, ফারুক এবং মেহেদীর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর জনকণ্ঠকে বলেন, রায়ের কপি ফাঁস করে যারা ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কেউ পার পাবে না। 
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, সাকা চৌধুরীর রায় যে কম্পিটারে লেখা হয়েছে, সেখান থেকেই পেনড্রাইভে করে তা নিয়ে গেছেন ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী নয়ন মিয়া। অনেক আগে থেকেই তাঁকে এ কাজ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ করা হয়। টাকার লোভেই তিনি এ কাজ করেছেন। ট্রাইব্যুনালে মাস্টাররোলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর চাকরি নিয়েছিলেন নয়ন মিয়া। চাকরির সুবাদে ট্রাইব্যুনালের প্রায় কক্ষেই যেতে পারতেন তিনি। রায় লেখার কম্পিউটারও ধরতে পারতেন তিনি। রায় ফাঁস হওয়ার পর এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের সাধারণ ডায়েরির সূত্র ধরে কম্পিউটারটি বৃহস্পতিবার জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুলিশ দেখতে পায়, এটাতে ব্লুটুথে ফাইল আদান-প্রদানের কোন সুযোগ নেই। এর পর পুলিশের ধারণা হয়, পেনড্রাইভে করেই হয়ত ফাইল নেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ওই কক্ষের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে পুলিশ দেখতে পায় নয়ন মিয়া একটি পেনড্রাইভে করে কম্পিউটার থেকে কিছু একটা নিয়েছে। এর পরই নয়ন মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সন্ধ্যায় ডাকা এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের যুগ্মকমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, নয়নের সঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানের যোগাযোগ ছিল। মেহেদী হাসান তাঁর কাছে কিছু নথিপত্রের জন্য এলে, তা ওই পেনড্রাইভে করেই দেন নয়ন। পেনড্রাইভ খুলে মেহেদী হাসান রায়ের অংশবিশেষ দেখতে পান। এর পর তিনি তা নয়নের কাছ থেকে নিয়ে যান। ওয়ার্ড ফাইলটি নিয়ে প্রথমে পিডিএফ ফরম্যাটে কনভার্ট করা হয়। এর পর ফাইলটি ইমেইল বা অন্য কোন উপায়ে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই একটি অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। নয়ন এ কাজে মোটা অঙ্কের টাকা পেয়েছেন মেহেদী হাসানের কাছ থেকে। আরও বিস্তারিত জানতে শনিবার তাঁকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করবেন তারা। নয়নের সঙ্গে ট্রাইব্যুনালের স্থায়ী কর্মচারী ফারুকেরও যোগসাজশ ছিল। নয়ন, ফারুক এবং মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণ হলে আসামিদের সর্বোচ্চ ১৪ বছরের সশ্রম কারাদ- হতে পারে বলে জানিয়েছেন মনিরুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে অপর এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ডিবির পরিদর্শক বাদী হয়ে আইসিটি এ্যাক্টে ৫৪, ৫৭ ও ৬৩ ধারায় শাহবাগ থানার মামলায় তিনজনকে আসামি করে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত এজাহারনামীয় আসামি নয়ন দেড় বছর আগে নিয়োগ পান। অপর কর্মচারী ফারুক ও ফখরুল ইসলামের সহকারী মেহেদী হাসানসহ অজ্ঞাত নামীয়দের আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ফারুক ও মেহেদী পলাতক রয়েছেন। তদন্ত চলমান থাকায় জড়িত ও সন্দেভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাদের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে। নয়ন নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে সহকর্মী ফারুকের মাধ্যমে মেহেদীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন সময় তথ্য ফাঁস করেছেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের আগে ব্যারিস্টার ফখরুলের সহকারী মেহেদী ভুল তথ্য দিয়ে তাঁর কাছ থেকে তথ্য নিত বলে জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানিয়েছেন। তদন্ত করতে গিয়ে ট্রাইব্যুনাল ভবন পরিদর্শন, কম্পিউটার জব্দ করে আইসিটি বিশেষজ্ঞ দ্বারা বিশ্লেষণ ও সিসিটিভি পর্যালোচনা করে পুলিশ। আদালতের অনুমতি নিয়ে শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে কাকরাইল রাজমনি হোটেলের কাছে ব্যারিস্টার ফখরুলের অফিসে তল্লাশি করে দুটি সিপিইউ ও কিছু সিডির কপি জব্দ করে পুলিশ।
মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ফারুক ও মেহেদী মিলে নয়নকে শুনানির তারিখের কথা বলে কম্পিউটার থেকে একটি ফোল্ডার বের করে দিতে বলেন। পরে নয়ন ফোল্ডারটি পাচার করার পর যখন দেখেন যে এটি রায়, তখন তিনি সেটি ফেরত চাইলে তাঁকে ভয় দেখানো হয়। ১৭২ পাতার রায়ের মধ্যে ১৬৫ পাতা পাচার হয়। বাধ্য হয়ে নয়ন চুপ থাকে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু টাকার লেনদেন হলেও সেটির পরিমাণ আমরা এখনও জানতে পারিনি। আশা করছি খুব শীঘ্রই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। নয়ন ও ফারুকসহ প্রায় ১৫ কর্মচারী ট্রাইব্যুালের একটি ফাঁকা জায়গায় ব্যারাক করে সেখানে বসবাস করতেন। সে হিসেবে কৌশলে সেখানকার কর্মচারীদের টাকার লোভ দেখিয়ে এমন অন্যায় কাজ করার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।
মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, এমএস ওয়ার্ডের ফাইলটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে ফাঁস করে ইমেইলের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করে সেটি পিডিএফ ফরম্যাট করে যুক্তরাজ্য থেকে ওয়েবসাইট থেকে আপলোড করা হয়েছে বলে ধারণা করছি। তবে প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশ থেকেও বিদেশী ঠিকানায় আপলোড করা হয়ে থাকতে পারে।
সালাউদ্দিন কাদেরের পরিবার এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত চলছে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা সমীচীন নয়। তবে আমরা তদন্ত করে দেখছি বেনিফেসিয়ারি হিসেবে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসি দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিএনপি নেতার পরিবার ও আইনজীবীর অভিযোগ, যে রায়টি ফাঁস হয়েছে, সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের ছয় তলায় ভারপ্রাপ্ত সচিবের কক্ষে একটি কম্পিউটারে লেখা হয়েছে। আলম নামে একজন ওই কম্পিউটার চালাতেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আইন মন্ত্রণালয়ের আলম নামে কোন কর্মচারী নেই।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত মঙ্গলবার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ফাঁসির আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আগের রাতে বিভিন্ন অনলাইনে এ রায়ের অংশবিশেষ ফাঁস হয়ে যায়। ফাঁস হওয়া রায়ের কপি নিয়ে আদালতে সাংবাদিকদের কাছে উপস্থাপন করেন সাকার স্ত্রী ফরহাত কাদের চৌধুরী। এ নিয়ে আদালতকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে বিব্রত করা ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে ট্রাইব্যুনালও। ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন বুধবার। এর পর তদন্তে নামে পুলিশ।
এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জনকণ্ঠকে জানায়, রায় ঘোষণার পর দিন বুধবার ট্রাইব্যুনালের রায় লেখার কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। ট্রাইব্যুনালেরই কম্পিটার শাখার চারজন কর্মচারীকে সন্দেহ করে আসছিল গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মোটামুটি একটা ধারণা পায় তদন্তকারী দল। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার গোয়েন্দা পুলিশ তল্লাশি করে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামের চেম্বারে। সেখান থেকেও দুটি সিপিইউ, একটি প্রিন্টার ও বেশ কিছু সিডি জব্দ করে গোয়েন্দা পুলিশ। 
এর আগেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হকের স্কাইপ এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বেলজিয়ামে এক আইনজীবীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথন ফাঁস করে দেয়া হয়। একটি জাতীয় দৈনিকে ওই কথোপকথন ফাঁসের পর পদত্যাগ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান। কিন্তু এ ঘটনায় কারা জড়িত তার তদন্ত হয়নি। এ কাজের সঙ্গে জড়িতরা ধরা না পড়ায় রায় ফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন ট্রাইব্যুনাল সংশ্লিষ্টরা। তবে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের যে অংশবিশেষ ফাঁস হয়েছে, তাতে তাঁর বিরুদ্ধে কোন কোন অপরাধ প্রমাণ হয়েছে তার বর্ণনা থাকলেও সাজার কথা উল্লেখ নেই।
ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুরিন আফরোজ শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, বিচারক রায় লেখার সময় হাতেও লিখতে পারেন, আবার কম্পিউটারেও টাইপ করাতে পারেন। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায়ের ক্ষেত্রে কম্পিউটারে টাইপ করার সময় তা কেউ চুরি করে নিয়ে যেতে পারে।
গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ের দিন তিনি ও তাঁর পরিবার অভিযোগ তোলেন, ওই রায়ের কপি আগের দিনই একটি ওয়েবসাইটে পেয়েছেন তাঁরা। ওই রায় আইন মন্ত্রণালয়ে তৈরি হয়েছে এবং মন্ত্রণালয় থেকে তা ফাঁস হয়েছে বলে সালাউদ্দিন কাদেরের স্ত্রী দাবি করলেও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম তা উড়িয়ে দেন। এর পর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার নাসির উদ্দিন মাহমুদ বুধবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রায় ঘোষণার কয়েক দিন আগে খসড়াপর্যায়ে তা ফাঁস হয়ে থাকতে পারে। ট্রাইব্যুনালের কম্পিউটার থেকেই খসড়া 'লিকড' হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের জিডিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রচারিত সমস্ত রায় ট্রাইব্যুনালেই প্রস্তুত করা হয়। রায় ঘোষণার আগে রায়ের কোন অংশের কপি অন্য কোনভাবে প্রকাশের সুযোগ নেই। কিন্তু তার পরও কথিত খসড়া রায়ের অংশ কিভাবে ইন্টারনেটে প্রচারিত হলো বা কিভাবে ট্রাইব্যুনাল থেকে খসড়া রায়ের অংশবিশেষ ফাঁস হলো, তা উদ্বেগের বিষয়। 
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, আমি চেম্বারে ছিলাম না। তবে চেম্বারের লোকজন আমাকে জানিয়েছেন, দুপুর আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শ' খানেক লোক এসে আমাদের লোকজনকে ঘিরে ফেলে এবং তল্লাশি করে। চেম্বারে আমার কক্ষ তালাবদ্ধ ছিল। সেখান থেকে দুটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মামলার রায়ের সার্টিফাইড কপির একটি ফটোকপি নিয়ে গেছে। বিকেল ৪টার দিকে ডিবি পুলিশ চলে গেছে।




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___