২০০৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শেখ হাসিনা
আ'লীগ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার প্রবর্তক আপনাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করা
সরদার আবদুর রহমান : তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড) করতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। তিনি দাবী করে বলেছিলেন, দেশে আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ধারণার প্রবর্তক। কিন্তু 'লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' তৈরির দায়িত্ব নিতে যুক্তরাষ্ট্র অস্বীকার করে।
সাড়া জাগানো জুলিয়ান এ্যসাঞ্জের উইকিলিকস তারবার্তা সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য ফাঁস করে উইকিলিকস সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর তথ্য প্রকাশ ছিল অন্যতম। দেশের একটি প্রকাশনা সংস্থা 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ' নামে প্রকাশিত গ্রন্থে এসব তথ্য পরিবেশন করা হয়। গত ১৮ জুলাই ২০০৫ তারিখে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রেরিত এমনই এক কনফিডেনশিয়াল (সি) শ্রেণীর তারবার্তা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য ও বক্তব্য জানা যায়। সে সময় চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং বেগম খালেদা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
'সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বিরোধীদলীয় নেতার অনুরোধ' শীর্ষক এক তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, 'বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা চার্জ দে অ্যাফেয়ার্সকে (সিডিএ) বলেন, 'আপনারা যদি চান আমরা নির্বাচনে অংশ নিই, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।' হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি জোটের 'সন্ত্রাস' তার সমর্থকদের জন্য হুমকি; তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।' ১৩ জুলাই চার্জ দে অ্যাফেয়ার্স [জুডিথ] শামাস রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে (নোট গ্রহণকারী) সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেন ও সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ।
তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে চার্জ দে অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জানতে চাইলে জাফর উল্যাহ উৎসাহের সঙ্গে বলেন, 'আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই, কারণ আওয়ামী লীগ নির্বাচন করেই বেড়ে ওঠা দল, কিন্তু 'আপনাদের উচিত একটা সমতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড)।' হাসিনা বলেন, 'আপনারা যদি আমাদের নির্বাচনে দেখতে চান, তাহলে আপনাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।' হাসিনা উল্লেখ করেন, 'আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ধারণা প্রবর্তন করেছিল।' শেখ হাসিনার এই দাবির প্রেক্ষিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করে বলা হয়, 'রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টির যে দায়িত্ব আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর চাপাতে চাইছে, আমাদের তা প্রতিহত করা উচিত। তার বদলে আমাদের করা উচিত আওয়ামী লীগ যেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কাজে লাগায়, তা থেকে বেরিয়ে না যায়Ñ তার ওপর জোর দেয়া। অর্থাৎ আমরা এ ব্যাপারেও জোর দিচ্ছি যে আমাদের ডিজি প্রোগ্রাম, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমমনা দূতাবাসের সঙ্গে মিলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে হবে, যেন নির্বাচন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিপূর্ণ হয়।'
উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সমূলে উচ্ছেদ করেছে এবং দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অটল অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পরামর্শকে ঘৃণাভরে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে মহাজোট সরকার।
সাড়া জাগানো জুলিয়ান এ্যসাঞ্জের উইকিলিকস তারবার্তা সূত্রে এই তথ্য জানা যায়। বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গোপন তথ্য ফাঁস করে উইকিলিকস সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি করে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচুর তথ্য প্রকাশ ছিল অন্যতম। দেশের একটি প্রকাশনা সংস্থা 'উইকিলিকসে বাংলাদেশ' নামে প্রকাশিত গ্রন্থে এসব তথ্য পরিবেশন করা হয়। গত ১৮ জুলাই ২০০৫ তারিখে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে প্রেরিত এমনই এক কনফিডেনশিয়াল (সি) শ্রেণীর তারবার্তা থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্য ও বক্তব্য জানা যায়। সে সময় চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় ছিল এবং বেগম খালেদা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
'সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে বিরোধীদলীয় নেতার অনুরোধ' শীর্ষক এক তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, 'বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা চার্জ দে অ্যাফেয়ার্সকে (সিডিএ) বলেন, 'আপনারা যদি চান আমরা নির্বাচনে অংশ নিই, তাহলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।' হাসিনা অভিযোগ করেন, বিএনপি জোটের 'সন্ত্রাস' তার সমর্থকদের জন্য হুমকি; তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন ও সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।' ১৩ জুলাই চার্জ দে অ্যাফেয়ার্স [জুডিথ] শামাস রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে (নোট গ্রহণকারী) সঙ্গে নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আবুল হোসেন ও সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ।
তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিকল্পনা সম্পর্কে চার্জ দে অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ) জানতে চাইলে জাফর উল্যাহ উৎসাহের সঙ্গে বলেন, 'আমরা অংশগ্রহণ করতে চাই, কারণ আওয়ামী লীগ নির্বাচন করেই বেড়ে ওঠা দল, কিন্তু 'আপনাদের উচিত একটা সমতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা (লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড)।' হাসিনা বলেন, 'আপনারা যদি আমাদের নির্বাচনে দেখতে চান, তাহলে আপনাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে।' হাসিনা উল্লেখ করেন, 'আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার ধারণা প্রবর্তন করেছিল।' শেখ হাসিনার এই দাবির প্রেক্ষিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে মন্তব্য করে বলা হয়, 'রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টির যে দায়িত্ব আওয়ামী লীগ আমাদের ওপর চাপাতে চাইছে, আমাদের তা প্রতিহত করা উচিত। তার বদলে আমাদের করা উচিত আওয়ামী লীগ যেন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে কাজে লাগায়, তা থেকে বেরিয়ে না যায়Ñ তার ওপর জোর দেয়া। অর্থাৎ আমরা এ ব্যাপারেও জোর দিচ্ছি যে আমাদের ডিজি প্রোগ্রাম, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমমনা দূতাবাসের সঙ্গে মিলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে জোরদার করতে হবে, যেন নির্বাচন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিপূর্ণ হয়।'
উল্লেখ্য, বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সমূলে উচ্ছেদ করেছে এবং দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তার অটল অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে সব দলের অংশগ্রহণে একটি নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের পরামর্শকে ঘৃণাভরে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে মহাজোট সরকার।
__._,_.___