Banner Advertiser

Monday, November 4, 2013

[mukto-mona] আলোচনায় হবে ঘোড়ার ডিম -২ মুনতাসীর মামুন




আলোচনায় হবে ঘোড়ার ডিম
মুনতাসীর মামুন
(পূর্ব প্রকাশের পর)

১৪ দল প্রতিহিংসামূলক আচরণ না করলেও বিএনপি-জামায়াত নেতারা তখনই বুঝে গিয়েছিল প্রতিহিংসামূলক আচরণ না করলেও তাদের রাজনীতি বিনষ্টের চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ আরও আগে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি নষ্ট করতে পারত কিন্তু করেনি। তার কারণ দলগত দুর্বলতা। আওয়ামী লীগের মধ্যেও হেজাবিদের শক্তিশালী লবি এবং তাদের প্রতি শেখ হাসিনার কিঞ্চিৎ দুর্বলতা। এটি সামগ্রিকভাবে অওয়ামী লীগের ও তার সমর্থকদের ক্ষতি করেছে। 
হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের যে রিপোর্ট বিচারক সাহাবুদ্দীন প্রদান করেছিলেন বর্তমান সরকার তা উপেক্ষা করেছে। সে রিপোর্টও প্রকাশ করেনি। এটি শুধু দুঃখজনক নয়, নিন্দাজনকও। দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড ছুড়ে হত্যার প্রচেষ্টা, রমনা পার্কে বোমা মেরে হত্যা কোনটার বিচারই আওয়ামী লীগ সম্পন্ন করতে পারেনি নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতার জন্য। এক কথায় বেগম খালেদা জিয়া বাঙালীদের ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছিলেন, যে যন্ত্রণা দিয়েছিলেন তার কোন সুরাহা আওয়ামী লীগ করেনি। করলে আজ জামায়াত-বিএনপি গণতন্ত্রবিরোধী পাকি জারজদের রাজনীতি করতে পারত না। যুদ্ধাপরাধ বিচারেও দলগতভাবে আওয়ামী লীগ কতটা আগ্রহী ছিল তা সন্দেহের। এই বিচার শুধু শেখ হাসিনার সদিচ্ছা ও জনচাপে হয়েছে। কিন্তু যে ভাবে বিচারটি দ্রুত সম্পন্ন হতে পারত, সে ব্যাপারে বর্তমান সরকার কখনও ব্যবস্থা নেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সব কর্ণগোচর হওয়া সত্ত্বেও।
যুদ্ধাপরাধ বিচার শুরু হওয়ার পর কিন্তু রাজনীতি অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। মিডিয়া সৃষ্ট সুশীল সমাজের বিপক্ষে গড়ে উঠেছে গণজাগরণ মঞ্চ। এই মঞ্চের উত্থান ১৪ দল ও রাজাকারদের দলগুলোকে বিপাকে ফেলেছে। গত প্রজন্ম জামায়াত-জিয়া ভক্ত ছিল। এখনকার প্রজন্মের একটা বড় অংশ সে মোহ থেকে বেরিয়ে এসেছে। ভোটের ফলাফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে গণজাগরণ মঞ্চ বা তরুণরা। সুতরাং, যুদ্ধাপরাধের রায় ১৪ দল কার্যকর না করলে তরুণদের ভোট পাবে না। আর খালেদাকেও ভোট দেয়া যাবে না যুদ্ধাপরাধ সমর্থনের জন্য। আজ বিএনপি না হলেও জামায়াত আবারও বাঙালীদের, বিশেষ করে তরুুণ প্রজন্মের কাছে একটি ঘৃণার বস্তু। এ জায়গায় আওয়ামী লীগ জিতেছে। যুদ্ধাপরাধ ঠেকাতে জামায়াত-বিএনপি এক সঙ্গে রাস্তায় নেমেও সুবিধা করতে পারেনি। আদালতের কারণে রায় কার্যকর করা যাচ্ছে না। যদি বিচারকদের রায় পাওয়া যায় এবং ১৪ দল তা কার্যকর করে তা'হলে জামায়াতী তথা বিএনপির রাজনীতির কফিনে দ্বিতীয় পেরেকটি ঠোকা হবে। তাদের রাজনীতি ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।
এবং এটি ঠেকানোর জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন। লক্ষ্য করবেন যতই যুদ্ধাপরাধ বিচার এগিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে শোরগোল ততই বৃদ্ধি পেয়েছে। সুশীল সমাজও একই সঙ্গে দুই নেত্রীর আলোচনা জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন বলে ধুয়া তুলেছে। যে টিআইবির কাজ অন্য, তারাও নির্বাচন নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। মিডিয়াসৃষ্ট এই সুশীল সমাজের কাউকে কি কখনও যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে কোন বক্তব্য বা উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখেছেন? দেখেননি। তারা সব সময় বক্তব্য রেখেছেন। এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে। গোলাম আযমের বিচারের চেয়ে আবুল হোসেনকে তাদের বেশি ধ্বংসাত্মক মনে হয়েছে। বিএনপি দুর্বল হয়ে পড়লে জামায়াতের অস্তিত্ব সঙ্কটাপন্ন হয়ে উঠবে। আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে জেতে তা'হলে এই অপরাজনীতি বা পাকিস্তানী জারজদের রাজনীতি দুর্বল হতে থাকবে। এটি মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান হতে দিতে পারে না।
গত এক বছর ধরে মিডিয়ার সুশীল সমাজ দু'নেত্রীর আলোচনার ওপর জোর দিয়েছে। যেন, দু'নেত্রীর আলোচনা হলেই সব নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এরা ফন্দিবাজ অথবা জ্ঞানপাপী অথবা মূর্খ। দু'নেত্রীর আলোচনায় কিছুই হবে না। যার পুরো পরিবারকে যেদিন হত্যা করা হয়েছে, সেদিন জন্মদিনের কেক কাটা, অতিনিষ্ঠুর, বিদ্বেষপরায়ণ, হিংস্র মনোভাবাপন্ন মনের প্রতিভূ। আপনার মা-বাবা সন্তানের হত্যাকারী যদি হত্যার সেদিনটিতে ঘটা করে কেক কাটে, আপনার প্রবৃত্ত হবে তার সঙ্গে বসতে? যেখানে এই হত্যাটাই ছিল পাকিস্তান ভাঙ্গার প্রতিশোধ। তেমনি সেনানিবাসে বিশাল জমি-বাড়ি যেটিকে পৈত্রিক মনে হচ্ছিল, তা থেকে যদি উৎখাত করা হয় কাউকে তা যতই ন্যায্য হোক, উৎখাতকারীকে মেনে নেয়া সম্ভব? এ দেশের মানুষ তো আবার কথায় কথায় ইসলামের কথা তোলে। ইসলামের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- ক্ষমতার জন্য রসুল (দ) ওফাতের পর থেকে তার প্রাণের আত্মীয়-স্বজন একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছে, বাবা ছেলেকে ছেলে বাবাকে হত্যা করেছে।
গত সপ্তাহে, তারপর, কিছুটা জনচাপে, কিছুটা সদিচ্ছায়, শেখ হাসিনা খালেদাকে ফোন করে আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। হরতাল প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। তাদের ফোনালাপও ছিল কথা কাটাকাটিতে পূর্ণ। স্বাভাবসুলভভাবে খালেদা তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এই ফোনালাপ ও হরতালের অভিজ্ঞতায় দু'টি উদাহরণ দিতে চাই যার ফলে যে যুক্তি আমি এতক্ষণ দিয়েছি তা জোরদার হবে।
ঢাকা ট্রিবিউনের খবর অনুসারে শেখ হাসিনা সারাদিন লাল টেলিফোনে খালেদাকে ফোন করেছেন, কিন্তু ফোনে কোন সাড়াশব্দ ছিল না। তখন বিটিসিএলকে বলা হয়, লোক পাঠাতে এবং বিষয়টি দেখতে। তারা গিয়ে দেখে লাইন ঠিক আছে। তখন তারা ভেতরের টেলিফোন পরীক্ষা করতে চাইলে তা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ, খালেদা হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চাননি। এদিকে বাধ্য হয়ে শেখ হাসিনা খালেদার সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে ফোন করেন। তিনি ধরলে তখন খালেদাকে দেয়া হয় এবং খালেদা কথা বলতে বাধ্য হন।
কথা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, 'আপা আপনি ৩২ নম্বরে এসেছেন, রাসেলকে দেখেছেন। আপনি যখন ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন তখন বুক ভেঙ্গে যায়। আপনি যখন ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করেন তখন কি রাসেলের কথা মনে পড়ে না?'
স্বভাবসুলভ উদ্ধত স্বরে খালেদা জবাব দেন, ১৫ আগস্ট কারও জন্মদিন হলে কি তা পালন করা যাবে না?
যাবে, অবশ্যই যাবে। কিন্তু খালেদার জন্মদিন ১৫ আগস্ট ছিল না। জেনারেল পতœী জাতির জনকের স্মৃতির অবমাননার জন্য এ দিনটি কিছুদিন আগে বেছে নেন। শুধু তাই নয়, একজন রাজনীতিবিদ হয়ে ঘটা করে জাতির জনকের হত্যার দিন জাতীয় শোকদিবসে জন্মদিন পালন করতে পারেন না। এটি রুচি বিগর্হিত ও অসভ্যতা।
ফোনালাপে আরেকটি মারাত্মক উক্তি তিনি করেছেন যা সব মিডিয়া চেপে যাচ্ছে জামায়াত-বিএনপির স্বার্থে। শুধু একটি টিভি তার সংবাদে দেখিয়েছে, তোফায়েল আহমেদ সংসদে বলছেন, শেখ হাসিনা খালেদাকে অনুনয় করে বলেছিলেন, আপা, আপনি গণহত্যাকারীদের সঙ্গে কি ভাবে থাকেন? উত্তরে স্বভাবসুলভ উদ্ধত স্বরে খালেদা বলেন, আপনারাও তো সেই সময় (১৯৭১) গণহত্যা করেছেন।
১৯৭১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বাধীন যে জনযুদ্ধ হয়েছে সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা, খালেদার ভাষায়, পাকিস্তানী ও আল বদর রাজাকারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের হত্যা করেছে। এবং এটি খালেদা জিয়ার কাছে মনে হয়েছে গণহত্যা।
খালেদার এ কথার পরও কি আপনাদের কোন সন্দেহ থাকে আমার মন্তব্য সম্পর্কে? জামায়াত নেতৃত্ব এখন জেলে, যুদ্ধাপরাধ বিচারের সম্মুখীন। খালেদা এখন জামায়াতের নেতৃত্বও গ্রহণ করেছেন। দু'টি দল এখন আরও একত্রিত হওয়ার পথে। নানা সুবিধার কারণে দু'টি দলের নাম অপরিবর্তিত থাকবে, কিন্তু দল দুটি এক হয়ে যাবে। বাস্তবে এবং নেতৃত্ব দেবেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার উপর্যুক্ত মন্তব্য তা সমর্থন করে। এবং তিনি সঠিক নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নিরীহ মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালের মতো বেছে বেছে আওয়ামী লীগ নেতা-সমর্থকদের হত্যা করছে, তাদের বাসায় বোমা ছুড়ছে, বিশেষ করে যুদ্ধাপরাধ বিচারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বাসায়। বিভিন্ন জেলায় হিন্দুদের বাড়িঘর আক্রমণ করছে। হিন্দু ও আওয়ামী লীগের অনেকে বস্তুভিটা ত্যাগ করছেন। এগুলো পত্রিকা ও টিভির খবর। ১৯৭১ সালে আল বদর রাজাকার ও হানাদার পাকিরা একইভাবে হিন্দু ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাড়ি আক্রমণ করেছে, বাসায় বোমা ছুড়েছে, হত্যা করেছে। এখনও ঠিক একই কাজ করছে জামায়াত ও বিএনপি খালেদার নেতৃত্বে।
শুধু তাই নয়, যেখানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন ও পাকিস্তানীরা আত্মসমর্পণ করেছিল সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ঘোষণা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু রেসকোর্সে যেখান থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে হানাদার ও রাজাকাররা আত্মসমর্থন করেছিল সেখানে জিয়া শিশুপার্ক করেছিলেন সেই স্মৃতি ভুলিয়ে দেয়ার জন্য। সে শিশুপার্ক উঠিয়ে দেয়ার অদেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের ভয়ে, নয় আওয়ামী লীগের হেজাবিদের কারণে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রীরা সে আদেশ পালন করেননি। যা হোক, একই জায়গায় সেই জেনারেল পত্মী ঘোষণা করলেন, একাত্তরের খুনীদের তিনি মুক্তি দেবেন। এটি কোন কাকতালীয় ব্যাপার নয়, পরিকল্পিত। সুতরাং তাকে এখন জামায়াত নেত্রী বা রাজাকারদের নেত্রী বলা কোন গালি নয়, সত্য জবান মাত্র।
এ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য। দৈনিক আনন্দবাজার একটি সংবাদ ছেপেছে যা শুধু জনকণ্ঠ ও আরেকটি পত্রিকা বোধহয় উদ্ধৃতি করেছে। অন্য কোন কাগজ নয়, কারণ তা'হলে সেটি জামায়াত-বিএনপির বিরুদ্ধে যাবে। খবরটি হলো, তারেক জিয়া আইএসআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। বর্তমান সরকার উৎখাতে এটিই স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছু নয়। এই খবর সত্য হলে আমি যে দীর্ঘ পটভূমি দিয়েছি তা অযৌক্তিত মনে হবে না। সুশীল ও মধ্যবিত্তদের বর্তমান মনোভঙ্গি সম্পর্কে খানিকটা আভাস দিলেন শিল্পী হাশেম খান। অসুস্থ শরীরে ফোন করে তিনি জানালেন, অনেক সুশীল ও মধ্যবিত্ত তাঁকে বলছে, সরকার কেন দাবি মেনে নিচ্ছে না জামায়াত ও তাদের নেত্রী খালেদার? মেনে নিলে তো এই গ-গোল হয় না। রাস্তায় বেরুনো যায়। ঐ খবিসরা কিন্তু জামায়াত ও বিএনপি যে হত্যাকা- চালাচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন নয়। তারা যে গাড়িতে আগুন দিচ্ছে তারও নিন্দা করছে না। তারা উদ্বিগ্ন, তারা ফুর্তি করতে বেরুতে সাহস পাচ্ছেন না সে কারণে। আওয়ামী লীগ যেন তাই দাবি মেনে নেয়।
এর আগে, যুদ্ধাপরাধী খান এ সবুর ও কোলাবরেটর যাদু মিয়া এবং জিয়াউর রহমানের কবর দেয়া হয়েছে সংসদ প্রাঙ্গণে। জাতির পিতা বা জাতীয় চার নেতার করব সেখানে দিতে দেয়া হয়নি, তা আমাদের মেনে নিতে হবে। স্বৈরশাসকরা যে সংবিধান বদলে দিয়েছিল তা মেনে নিতে হবে। তারা সংসদে যাবে না। সংবিধান মানবে না। কিন্তু তাদের সবধরনের সাংবিধানিক সুবিধা দিতে হবে এবং তা মানতে হবে, খালেদা জিয়ার দুই পুত্রকে বিদেশীরা অপরাধী বললেও দেশে বলা যাবে না এবং সেটা মানতে হবে। ১৯৭১-এর খুনীদের বিচার করা যাবে না। তাদের মুক্তি দিতে হবে এবং তা মানতে হবে। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই কিন্তু তা মানতে হবে। আওয়ামী লীগ যেন তাদের মামাবাড়ি। যত অপকীর্তি করুক তা বলা যাবে না। মানতে হবে, মামাবাড়ির আবদারের মতো।
ইতোমধ্যে টিভিতে দেখেছি, খোকার নির্দেশে ধারালো দা, কুড়াল নিয়ে বিএনপি কর্মীরা রাস্তায় নেমে লোক কোপাচ্ছে, হত্যা করছে। বিএনপি- জামায়াতের সমর্থক এনজিও নেতা ফরহাদ মজহার প্রকাশ্যে একুশে টিভিতে বলেছেন, টিভি-৭১-এ যেন বোমা মারা হয়। তেঁতুল হুজুর হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশে গৃহযুদ্ধ হবে। এবং গৃহযুদ্ধ তো চলছেই বাকি আর কি রইল। এ যখন অবস্থা, তখন আলোচনা কি হবে? আর আলোচনায় বাধ্য হলেও বা কি হবে? সমাধান হবে? ঘোড়ার ডিম হবে।
প্রধান ইস্যু তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, ইস্যু অস্তিত্বের প্রশ্ন। জামায়াত-বিএনপি বা খালেদাকে ক্ষমতায় আসতে হবে। না, হলে দল রাখা যাবে না। জামায়াতের রাজনীতি এত হীনবল হয়ে যাবে যে, সেই রাজনীতি ক্রমেই প্রসঙ্গহীন হয়ে পড়বে। আর আওয়ামী লীগ যদি হারে তা'হলে আওয়ামী লীগ, সমর্থক, হিন্দু এবং যুদ্ধাপরাধী নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে নিকেশ করে দেয়া হবে। এই লেখা যখন লিখছি তখন খবর পেলাম শাহরিয়ার কবিরের, সাংবাদিক জুলফিকার আলী মানিকের বাসায় বোমা রেখে যাওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতেই এই অবস্থা। না থাকলে কি হতে তা অনুমেয়।
সুতরাং খুব বাধ্য না হলে কাউকেই নোয়ানো সম্ভব নয়। লক্ষ করবেন, বিএনপি কিন্তু সংসদে আলোচনায় আসেনি, কারণ ক্ষমতা না পাওয়ার পরই এ পরিকল্পনা তারা ছকে নিয়েছেন।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিলেও বিএনপি নির্বাচনে আসবে না। এরপর খালেদা প্রশ্ন তুলবেন নির্বাচন কমিশন, উপদেষ্টা ইত্যাদি নিয়ে। ২০০১ সালের মতো যতক্ষণ সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধান, আমেরিকা ও ভারত বা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ [সামরিক বেসামরিক আমলাতন্ত্র] রাজি হবে একতরফাভাবে বিএনপি-জামায়াতকে জয়ী করে দিতে ততক্ষণ খালেদা নির্বাচনে যাবেন না।
খালেদার নির্দেশে জামায়াত-বিএনপি আজ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষজনকে হত্যা করছে। হত্যা করতে উদ্যত হচ্ছে, তাদের সহায় সম্পত্তি বিনষ্ট করছে, বেছে বেছে বোমা হামলা করছে। এ ভাবে চাপে ফেলে তাদের দাবি মানতে বাধ্য করতে চাচ্ছে। আমরা বলব, সংবিধান অনুযায়ী যদি তারা নির্বাচন ইচ্ছুক হয় ভাল কথা না হলে সেই আলোচনায় সময় নষ্ট না করাই উচিত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষেরও রাস্তাঘাটে প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকা বাঞ্ছনীয়। সুশীলদের অনেকে বলেন, সমঝোতা না হলে গৃহযুদ্ধ হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব সময় সমঝোতা করতে হবে এটি ১৪ দলের হেজাবি অংশ মনে করতে পারে, আমরা এর পক্ষে নই। যদি দাঙ্গা হাঙ্গামা হয় হবে। তাতে আমাদের অনেকেই মারা যাব, তাতে কি আছে? অপঘাতে মারা না গেলে না হয় আরও পাঁচ বছর, দশ বছর পর আমরা কেউ কেউ মারা যেতাম। আমাদের অধিকাংশই সত্তরের পথে। মৃত্যু তো নির্দিষ্ট এবং একমাত্র সত্য। কিন্তু এক বারের মতো ফয়সালা হয়ে যাক। যারা ভাবছেন বিএনপি'কে ক্ষমতায় বসাবেন, তারা জেনে রাখুন, বসাতে পারেন নানা কৌশলে হত্যাকা- ঘটিয়ে কিন্তু, প্রথম দিন থেকে একই রকম কা- ঘটবে যা এখন বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তখন আওয়ামী লীগ বা ১৪ দলও নির্বাচন মানবে না। প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই কি সংবিধান বদলাতে হবে?
সবশেষে বন্ধু শফিকুর রহমানের ২৯ তারিখে জনকণ্ঠে প্রকাশিত লেখাটির উল্লেখ করতে চাই। তিনি লিখেছেন, বিএনপিকে ভোট দেয়া মহাপাপ। আমি তাঁর কথার প্রতিধ্বনি করে বলতে চাই, বিএনপি-জামায়াত, হেফাজতী বা হেজাবিদের সমর্থন করাও মহাপাপ। ভোট তো দূরের কথা এবং যারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের সমর্থন করছে তাদের পরিহার করা হবে পুণ্যের কাজ। (সমাপ্ত)

Also Read:
আলোচনায় হবে ঘোড়ার ডিম -১  
মুনতাসীর মামুন




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___