১৮-দলীয় জোটের ডাকা অবরোধের চিত্র দেখতে আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে গিয়েছিলাম রাজধানীর উত্তরার আবদুল্লাহপুর বাসস্ট্যান্ডে।বাস, প্রাইভেট কার, রিকশা, অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলছিল।তবে যানবাহন ছিল তুলনামূলক কম।বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হঠাত্ একটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ।দেখি আবদুল্লাহপুর ও হাউস বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ডের মধ্যবর্তী সড়কে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের সামনে ধোঁয়া। ক্যামেরা নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য ককটেল বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে।ককটেল বিস্ফোরণের সময় জনতা হাতেনাতে ধরেছে এক যুবককে।নীল গেঞ্জি পরা ওই যুবককে রাস্তার পূর্ব পাশে পুলিশের একটি পাজেরো গাড়িতে তোলা হয়।তাঁর বয়স আনুমানিক ১৮ বছর।গাড়ির কাছে ছুটে আসেন পুলিশের আরও কয়েকজন সদস্য, বেসরকারি একটি টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক ও কয়েকজন সাংবাদিক।তাঁকে পরানো হয়েছে হাতকড়া। শুরু হয় প্রশ্নোত্তর পর্ব।তরুণটি প্রথমেই তাঁর নাম জানালেন আল আমিন।থাকেন উত্তরখানের ফায়দাবাদে।বললেন, 'বিএনপি নেতা বিল্লাল ককটেল ফাটানোর জন্য আমারে ২০০ টাকা দিছে।কইছে গাড়িতে মারতে।আমি গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেলটি ফাটাই।' এরপর চলতে থাকে জিজ্ঞাসাবাদ।তবে আল আমিনের মুখ থেকে আর কিছু বের করা যায়নি।কিছুক্ষণ পরই সাংবাদিকদের সরিয়ে আল আমিনকে পাজেরো থেকে নামিয়ে গাড়ির পেছনে নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ লাঠিপেটা করেন পুলিশের চার-পাঁচজন সদস্য। ওই সময় পুলিশের সদস্যরা বলে ওঠেন, ওই দেখ আরেকটা ধরছে।বলেই তাঁরা আল আমিনকে গাড়িতে উঠিয়ে লাঠি নিয়ে চলে যান রাস্তার পশ্চিম পাশে ককটেল ফাটানোর স্থানে।সেখানে আবার পুলিশের পাঁচ-ছয়জন সদস্য মিলে পেটাচ্ছেন এক তরুণকে।ঘটনাস্থলে জড়ো হয় উত্সুক জনতা।এ সময় একটি গুলির শব্দ শোনা যায়।সরে যায় লোকজন। ঘটনাস্থলে উত্তরা পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুহিতুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়।তাঁর বাঁ-গালে দেখা যায় সামান্য রক্তের দাগ।তিনি জানানেল, ওই তরুণের নাম শিহাব।আল-আমিন ও শিহাব দুজনের বাড়িই ফায়দাবাদে।তাঁরা দুজনই একটি বাস লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করেছিলেন।একটি বিস্ফোরিত হয়।কাছে থাকায় তিনি আহত হন।ঘটনার পরপরই তাঁরা আল আমিনকে ধরতে পারেন।আর শিহাবকে ধাওয়া দিয়ে ধরেন উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টর থেকে।
কিছুক্ষণ পর শিহাবকে গাড়ি উঠিয়ে নিয়ে যায় উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ।আর পাজেরোতে করে আল আমিনকে নিয়ে যায় উত্তরা পূর্ব থানার পুলিশ।
Arif, 3, the son of auto rickshaw driver Sabed Ali, top, cries his heart out after seeing his father burnt and bandaged at the burn unit of Dhaka Medical College Hospital. Alleged opposition activists hurled a petrol bomb at Sabed's vehicle in front of Eastern Plaza during the opposition enforced nationwide blockade yesterday. Photo: Amran Hossain