বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ২০ অগ্রহায়ন ১৪২০
বেগম জিয়ার সঙ্গে কথা- সংবাদ সম্মেলন, এর পর এরশাদ হাওয়া!
নির্বাচন বর্জন ঘোষণা দেয়ার নেপথ্যে নানা গুঞ্জন
রাজন ভট্টাচার্য ॥ পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া ও সব দল অংশ না নেয়ার ধুয়া তুলে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও নেপথ্যে রয়েছে অনেক কারণ! কি এমন ঘটল- হঠাৎ করেই তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর পরই এ প্রশ্ন এখন সবার। পাশাপাশি বারবার মত পাল্টানো নেতা এরশাদের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও রয়েছে নানামুখী আলোচনা। তেমনি সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘটনার মূল কারণ জানতে আগ্রহের কমতি নেই। বাস্তবতা হলো এর আগেও এরশাদ নানা ইস্যুতে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। বারবার মত পরিবর্তন করে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। সব দল অংশ না নেয়ার ইস্যুতে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন এরশাদ। আনুষ্ঠানিকভাবে দলের মনোনয়ন বিক্রি। প্রার্থীদের সাক্ষাতকার নেয়া। মনোনয়ন নিশ্চিত করা। প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিলের নির্দেশ। সর্বোপরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা। সব মিলিয়ে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কোন আলামতই ছিল না এরশাদের কর্মকা-ে। সর্বোপরি নির্বাচনকালীন সরকারেও যোগ দিয়েছে দলটি। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পর্যন্ত দায়িত্ব পেয়েছেন দলের নেতারা। বঙ্গভবনে মন্ত্রীদের শপথ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন এরশাদ। এ ছাড়া বিএনপিসহ ১৮ দলীয় জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার বিষয়টি অনেক আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল। নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দেশজুড়ে ১৮ দলের সহিংস কর্মকা- নতুন কিছু নয়।
এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, একক সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন এরশাদ। এ বিষয়ে তিনি কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনের এ কথা সাংবাদিকদের জানানো হয় ১১টার পর। একটি বিশেষ গাড়িতে চড়ে দলের বনানী কার্যালয়ে আসেন তিনি। তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে দ্রুত বনানী কার্যালয় ত্যাগ করেন বারবার ডিগবাজি খাওয়া এই নেতা। সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ ও তাঁর প্রেস সচিব ছাড়া অন্য কেউ উপস্থিত ছিলেন না। তবে কার্যালয়ের সামনে কিছু নেতাকর্মী তাৎক্ষণিকভাবে জড়ো হন। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করতে দেখা যায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের। সংবাদ সম্মেলনের পর দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বাসায় আসেন। সেখানে চলে একের পর এক বৈঠক। রাত ৯টা পর্যন্ত দলের অনেক শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী পরিষদের একাধিক সদস্য ছিলেন রুহুল আমিন হাওলাদারের বাসায়। সংবাদ সম্মেলনের পর এরশাদ বারিধারার নিজ বাসা প্রেসিডেন্ট পার্কে যাননি। কোন নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি তিনি। খবর রটে খোঁজ মিলছে না এরশাদের।
প্রশ্ন আসতেই পারে কেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন এরশাদ? জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে-
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার আগে আধাঘণ্টার বেশি সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। আলোচনার পর পরই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন এরশাদ। এ ছাড়া এরশাদকে নিয়ে আছে মুখরোচক নানা আলোচনা।
কেউ বলছেন- আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি বিষয়ে এরশাদের মতবিরোধ চলছিল। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে ৮০টি আসন দাবি করেছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫০টির বেশি আসন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আসন আদায়ে অনড় ছিলেন এরশাদ। শেষ পর্যন্ত আসন ইস্যুতে বনিবনা না হওয়ার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি- একথা বাতাসে ভাসছে। নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন এরশাদ। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ডিগবাজি দিয়েছেন এরশাদ। তবে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, টাকা দাবি করার বিষয়টি সত্যি নয়। অপপ্রচার মাত্র। টাকা নিলে আমি নির্বাচন বর্জন করব কেন। নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেয়া ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার পর পরই জাতীয় পার্টিতে ভাঙন শুরু হয়। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এরশাদ জাতীয় বেঈমানে পরিণত হলেন। জাতীয় পার্টিও বেঈমানের দল হিসেবে মানুষের কাছে বিবেচিত হবে। এ ছাড়াও এরশাদের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন কাজী জাফর। ক্ষুব্ধ এরশাদ কাজী জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাল্টা এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন জাফর। নিজেকে চেয়ারম্যান ও গোলাম মসিহকে মহাসচিব করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন জাতীয় পার্টি ঘোষণা করেন তিনি। এর পর কাজী জাফর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। আলোচনার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৮ দলের সঙ্গে জোট করতে যাচ্ছেন কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট করার বিষয়ে দূতিয়ালির দায়িত্ব পালন করছিলেন জাফর। অর্থাৎ নিজ দলের মধ্যে বিএনপিপন্থী নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। কাজী জাফরের সঙ্গে একমত ছিলেন জাপার কয়েক প্রেসিডিয়াম সদস্য। সর্বশেষ সোমবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজী জাফরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির কয়েক এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা দেখতে যান কাজী জাফরকে। অর্থাৎ জাতীয় পার্টিতে বড় ধরনের ভাঙনের আভাস ছিল এরশাদের কাছে। এমনও হতে পারে দলের ভাঙন রোধে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন জাপা চেয়ারম্যান। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির নেতা থেকে শুরু করে তাদের বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল একের পর এক। দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে, এরশাদের ভাই জিএম কাদেরের বাসায় বোমা হামলার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। একাধিক স্থানে জ্বালিয়ে দেয়াসহ ভাংচুর করা হয়েছে জাতীয় পার্টির কার্যালয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর পরই সহিংসতার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অনেকেই এরশাদকে টেলিফোন করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে থাকতে পারেন এরশাদ।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছিলেন এরশাদ। দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে লিখিত ৬ দফা দাবি দাওয়া দিয়ে আসেন। কিন্তু মনোনয়ন দাখিলের সময়ে পেরিয়ে গেলেও তফসিল পেছানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি ইসি। কেউ কেউ বলছেন এটিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হয়ে থাকতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকেও এরশাদের ওপর নানামুখী চাপ রয়েছে। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলের সংসদ সদস্য একাধিক প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেও এরশাদ বলেছেন, আমি শৃঙ্খলমুক্ত রাজনীতি করতে পারিনি। পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় আমাকে রাজনীতি করতে হয়। আর চাপের মুখে বারবার মত পাল্টাতে হয় বলেও জানান তিনি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন করা না করার নিদ্ধান্ত দলের চেয়ারম্যানের। তাঁর সব সিদ্ধান্ত সঠিক বলে ধরে নেব। এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
প্রশ্ন আসতেই পারে কেন নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন এরশাদ? জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে-
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে যাওয়ার আগে আধাঘণ্টার বেশি সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। তবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। আলোচনার পর পরই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন এরশাদ। এ ছাড়া এরশাদকে নিয়ে আছে মুখরোচক নানা আলোচনা।
কেউ বলছেন- আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি বিষয়ে এরশাদের মতবিরোধ চলছিল। আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে ৮০টি আসন দাবি করেছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫০টির বেশি আসন দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। কিন্তু আসন আদায়ে অনড় ছিলেন এরশাদ। শেষ পর্যন্ত আসন ইস্যুতে বনিবনা না হওয়ার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি- একথা বাতাসে ভাসছে। নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেছিলেন এরশাদ। কিন্তু আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ডিগবাজি দিয়েছেন এরশাদ। তবে মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, টাকা দাবি করার বিষয়টি সত্যি নয়। অপপ্রচার মাত্র। টাকা নিলে আমি নির্বাচন বর্জন করব কেন। নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দেয়া ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার পর পরই জাতীয় পার্টিতে ভাঙন শুরু হয়। দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার মধ্য দিয়ে এরশাদ জাতীয় বেঈমানে পরিণত হলেন। জাতীয় পার্টিও বেঈমানের দল হিসেবে মানুষের কাছে বিবেচিত হবে। এ ছাড়াও এরশাদের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা করেন কাজী জাফর। ক্ষুব্ধ এরশাদ কাজী জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। পাল্টা এরশাদকে দল থেকে বহিষ্কার করেন জাফর। নিজেকে চেয়ারম্যান ও গোলাম মসিহকে মহাসচিব করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নতুন জাতীয় পার্টি ঘোষণা করেন তিনি। এর পর কাজী জাফর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করে বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচীর সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন। আলোচনার অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ১৮ দলের সঙ্গে জোট করতে যাচ্ছেন কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি।
বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট করার বিষয়ে দূতিয়ালির দায়িত্ব পালন করছিলেন জাফর। অর্থাৎ নিজ দলের মধ্যে বিএনপিপন্থী নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত ছিলেন। কাজী জাফরের সঙ্গে একমত ছিলেন জাপার কয়েক প্রেসিডিয়াম সদস্য। সর্বশেষ সোমবার ইউনাইটেড হাসপাতালে কাজী জাফরের সঙ্গে সাক্ষাত করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টির কয়েক এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতা দেখতে যান কাজী জাফরকে। অর্থাৎ জাতীয় পার্টিতে বড় ধরনের ভাঙনের আভাস ছিল এরশাদের কাছে। এমনও হতে পারে দলের ভাঙন রোধে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে পারেন জাপা চেয়ারম্যান। নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির নেতা থেকে শুরু করে তাদের বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছিল একের পর এক। দলের মহাসচিব থেকে শুরু করে, এরশাদের ভাই জিএম কাদেরের বাসায় বোমা হামলার ঘটনা পর্যন্ত ঘটেছে। একাধিক স্থানে জ্বালিয়ে দেয়াসহ ভাংচুর করা হয়েছে জাতীয় পার্টির কার্যালয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের পর পরই সহিংসতার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। এ কারণে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অনেকেই এরশাদকে টেলিফোন করে জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোন সুযোগ নেই। এমন বাস্তবতায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে থাকতে পারেন এরশাদ।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশনের কাছে তফসিল পেছানোর দাবি জানিয়েছিলেন এরশাদ। দলের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে গিয়ে লিখিত ৬ দফা দাবি দাওয়া দিয়ে আসেন। কিন্তু মনোনয়ন দাখিলের সময়ে পেরিয়ে গেলেও তফসিল পেছানোর কোন উদ্যোগ নেয়নি ইসি। কেউ কেউ বলছেন এটিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ হয়ে থাকতে পারে। বিএনপির পক্ষ থেকেও এরশাদের ওপর নানামুখী চাপ রয়েছে। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, দলের সংসদ সদস্য একাধিক প্রার্থীকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনেও এরশাদ বলেছেন, আমি শৃঙ্খলমুক্ত রাজনীতি করতে পারিনি। পায়ে শিকল বাঁধা অবস্থায় আমাকে রাজনীতি করতে হয়। আর চাপের মুখে বারবার মত পাল্টাতে হয় বলেও জানান তিনি। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, নির্বাচন করা না করার নিদ্ধান্ত দলের চেয়ারম্যানের। তাঁর সব সিদ্ধান্ত সঠিক বলে ধরে নেব। এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।
__._,_.___