Banner Advertiser

Thursday, December 12, 2013

[mukto-mona] কাদেরপত্নীর উল্টা 'ভি' বিজয়, না অবজ্ঞা?



কাদেরপত্নীর উল্টা 'ভি' বিজয়, না অবজ্ঞা?
আবুল কাশেম ও মোশতাক আহমদ


দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গীর ফাঁসি হবে রাতেই- মঙ্গলবার এ খবর জানার পর স্বামীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করেন কাদের মোল্লার স্ত্রী সানোয়ারা জাহান। সাক্ষাতের পর কারাগার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় 'ভি' চিহ্ন দেখান তিনি। কিন্তু সানোয়ারা জাহান যে কায়দায় চিহ্নটি দেখালেন তার মানে কী?
সাধারণত 'ভি' চিহ্নকে 'বিজয় চিহ্ন' বলে ধরে নেওয়া হয়। অবশ্য বিজয়ের এ চিহ্ন দেখানোর সময় হাতের তালু থাকে সামনের দিকে। শান্তি এবং বন্ধুত্বের (সৌহার্দ্যের) প্রতীক হিসেবেও এ চিহ্ন দেখানো হয়। কিন্তু কাদের মোল্লার স্ত্রী হাতের তালু ভেতরের দিকে অর্থাৎ নিজের দিকে রেখে 'ভি' চিহ্ন দেখিয়েছেন, বিভিন্ন সমাজ-সংস্কৃতিতে যা 'অবজ্ঞা'র প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। এভাবে 'ভি' চিহ্ন দেখানো 'শাস্তিযোগ্য অপরাধ' ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশে। এভাবে উল্টো 'ভি' চিহ্ন দেখানো ক্যামব্রিজ ডিকশনারি অনুযায়ী, কারো প্রতি রাগ প্রকাশ। আর গুগল অনলাইন ডিকশনারিতে এ চিহ্নকে 'আদালতের প্রতি অবজ্ঞাজনক আচরণ' হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাদের মোল্লার পরিবারের দাবি, আদালতের রায়ের প্রতি অবজ্ঞা দেখাতে সানোয়ারা উল্টো 'ভি' চিহ্ন দেখাননি। বিজয়ের প্রতীক হিসেবেই দেখিয়েছেন। জানার ভুলের কারণে তিনি উল্টোভাবে ভি চিহ্ন দেখিয়েছেন।
কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল কালের কণ্ঠকে বলেন, "ফাঁসিকে আমরা ইসলামী আন্দোলনের পথে আত্মত্যাগ হিসেবে দেখেছি। তাই বাবার ফাঁসি হবে জেনেও মা এ চিহ্ন দেখিয়েছেন। উল্টো 'ভি' অবজ্ঞা বা অসম্মানের অর্থ বহন করে সত্য। কিন্তু আমার মা বিজয়ের প্রতীক হিসেবেই এ চিহ্ন দেখিয়েছেন। মহিলা মানুষ তো, না বুঝে উল্টো করে দেখিয়েছেন।"
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ শোনার পর কাদের মোল্লাও ভি-চিহ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে তিনি তাঁর স্ত্রীর মতো উল্টোভাবে দেখাননি। তিনি যেভাবে ভি-চিহ্ন দেখান, তা বিজয়ের প্রতীক হিসেবেই ধরা হয়। তাঁর ওই ভি-চিহ্ন দেখানোকে ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ বলে মন্তব্য করেন ওই দিন থেকে শাহবাগে শুরু হওয়া গণজাগরণ মঞ্চে জমায়েত নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, হাতের তালু ভেতরের দিকে বা নিজের দিকে রেখে বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে অনামিকা ও কনিষ্ঠ আঙ্গুল চেপে ধরে তর্জনি ও মধ্যমা উঁচিয়ে ধরে ভি-চিহ্ন দেখানো হলে তা 'অপমান' বলে মনে করা হয়। যুক্তরাজ্যসহ সমমনা সংস্কৃতিতে তা 'অপমান করার মতো' শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য। আয়ারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় তালু ভেতরের দিকে রেখে ভি-চিহ্ন দেখানো নিষিদ্ধ। অনেকে দুই নম্বর (ভুয়া) বোঝাতেও ভি-চিহ্ন ব্যবহার করে। কাদের মোল্লার স্ত্রী যেভাবে ভি-চিহ্ন দেখিয়েছেন গুগল অনলাইন ডিকশনারি অনুযায়ী তা আদালতের আদেশের প্রতি অশ্রদ্ধা, অবজ্ঞা। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে স্বামীর সঙ্গে শেষ সাক্ষাৎ করে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে কারাগারের বাইরে এসেই উল্টো ভি-চিহ্ন দেখান সানোয়ারা জাহান। তাঁর ওই চিহ্ন দেখানোর মাজেজা বুঝতে গতকাল বুধবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় তাঁর সঙ্গে। কল রিসিভ করে তাঁর ছেলে হাসান জামিল জানান, তাঁর মা অসুস্থ। তবে মায়ের ভি-চিহ্ন দেখানোর একটা ব্যাখ্যা দেন তিনি।
জামিল বলেন, 'আমার মা কারাগারে বাবার সঙ্গে শেষবারের মতো সাক্ষাৎ করে বাইরে বের হয়ে ভি-চিহ্ন দেখিয়েছেন। নিজেদের বিজয় হয়েছে, এমনটি ভেবেই মা এটি করেছেন, আদালত বা রায়কে অবজ্ঞা করতে নয়। আমাদের আন্দোলনের আদর্শই হলো আত্মত্যাগ, ইসলামের পথে নিজেকে নিঃশেষ করে দেওয়া, রক্ত দেওয়া। ইসলামের জন্য আত্মত্যাগ করতে পারলে, তাঁকে আমরা বিজয় হিসেবে দেখি। বাবার ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল রাত ১২টা ১ মিনিটে। আল্লাহ তাঁর ফাঁসি কবুল করলে, ইসলামী আন্দোলন আরো ত্বরান্বিত হতো। তাঁর তো এমনিতেও মৃত্যু হতে পারত। সেক্ষেত্রে ইসলামের জন্য আত্মত্যাগ করার শান্তি পাওয়া যেত না। এটাকেই আমরা বড় বিজয় হিসেবে ভেবেছি। সে কারণেই আমার মা ভি-চিহ্ন দেখিয়েছেন।'
ইসলামের জন্য আত্মত্যাগকে যদি বিজয় মনে করেন, তাহলে ৫ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায়ে ফাঁসির আদেশ না হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের কথা শুনে কাদের মোল্লা ভি-চিহ্ন দেখিয়েছিলেন কেন? এ প্রশ্নের জবাবে হাসান জামিল বলেন, 'ফাঁসির আদেশ না হওয়ার কারণে ওই দিন তিনি ভি-চিহ্ন দেখাননি। ওনার মতো বৃদ্ধ মানুষের এখন আরাম-আয়েশে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে থাকার কথা। ইসলামী আন্দোলনের কারণেই সরকার তাঁকে কারাগারে রেখেছে। অর্থাৎ, তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য কারাগারে গিয়ে তাঁকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। তাই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ শুনে তিনি বিজয় চিহ্ন দেখিয়েছিলেন।'
উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে, ভি-চিহ্নের ব্যবহার শুরু হয় ১৪১৫ সালে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে শতবর্ষী যুদ্ধে। ওই সময় ফ্রান্সের সৈন্যরা ইংরেজ সৈন্যদের ধরে তাদের মধ্যমা ও তর্জনি কেটে দিতে শুরু করে। পরে ইংরেজরা নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে ওই দুটি আঙ্গুল উপরে তুলে ধরে ভি-চিহ্ন দেখাতে শুরু করে। তাঁরা ভি-চিহ্ন দেখানোর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে বোঝানোর চেষ্টা করত যে, এখনো তাদের আঙ্গুল রয়েছে, যা দিয়ে যুদ্ধে জয়ী হবেন তাঁরা। তবে সময়ভেদে সমাজভেদে ভি-চিহ্নের অর্থ ভিন্নরূপ নিয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী বিজয়ের প্রতীক হিসেবে এ চিহ্নটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। ষাটের দশকে প্রতি-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে (কাউন্টার কালচার মুভমেন্ট) ভি-চিহ্নকে শান্তির প্রতীক হিসেবে দেখানো হতো। আর চীন, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানে ভি-চিহ্ন দেখানো হয় খুবই জনপ্রিয় ভাব নিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে।

http://www.kalerkantho.com/online/Court/2013/12/12/29875

'বিজয়চিহ্ন' দেখালেন কাদের মোল্লার স্ত্রীও

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২৩:০৫, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩

একাত্তরের মানবতাবিরোধী জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার স্ত্রী 'বিজয়চিহ্ন' দেখান। ছবি: সাজিদ হোসেনএকাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া কাদের মোল্লার স্ত্রী সানোয়ারা জাহান আজ মঙ্গলবার 'বিজয়চিহ্ন' দেখিয়েছেন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে বসে তিনি সাংবাদিকদের এ বিজয়চিহ্ন দেখান।কাদের মোল্লা

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পেয়ে 'বিজয়চিহ্ন' দেখিয়েছিলেন জামায়াতের নেতা কাদের মোল্লা। তবে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ একাত্তরের মানবতাবিরোধী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লার সেই দাম্ভিক আচরণটি মেনে নিতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল তীব্র প্রতিক্রিয়ার। ক্ষুব্ধ মানুষ সেদিন বিকেল থেকে জড়ো হতে থাকেন রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে। প্রতিবাদী এই মানুষগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে গড়ে তোলেন গণজাগরণ মঞ্চ। দীর্ঘ সময় ধরে চলা তারুণ্যের এই প্রতিবাদী অবস্থানের কারণে সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) আইন সংশোধন করতে বাধ্য হয়েছিল। ১৭ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) সংশোধন বিল, ২০১৩ জাতীয় সংসদে পাস হয়। সংশোধনের ফলে আসামিপক্ষের মতো রাষ্ট্রপক্ষও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সমান সুযোগ পায়। রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে হওয়ার ৫৫ দিনের মাথায় ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

কারা কর্তৃপক্ষের চিঠি পেয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আবদুল কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা। প্রথমে কাদের মোল্লার স্ত্রী-মেয়েদের এবং পরে ছেলে ও অন্য আত্মীয়স্বজনকে বহন করা মাইক্রোবাস কারাগারের ভেতর থেকে বেরিয়ে যায়। পরিবারের আবেদন অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ ২৩ জনকেই কাদের মোল্লার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়।

http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/95314/'বিজয়চিহ্ন'_দেখালেন_কাদের_মোল্লার_স্ত্রীও



মহামান্য আদালত বলেন,

* কাদের মোল্লার অপরাধ সমূহ এতই পৈশাচিক যে মৃত্যুদন্ড ছাড়া পৃথিবীর ফৌজদারী আইনের পুস্তকে নির্ধারিত কোন সাজাই তার জন্য পর্যাপ্ত নয়। একমাত্র মৃত্যুদন্ডই তার প্রাপ্য। তার কৃর্তকর্মের কারণে যে দূর্বিষহ ব্যথা-বেদনা ভুক্তভুগি এবং তাঁর আত্মীয়-স্বজনরা এমনকি গোটা জাতি যা আজও বহন করছে তার কোন প্রতিকার নেই, তার অপরাধ সমূহ একমাত্র একটি অসুস্থ মস্তিষ্কই চিন্তায় আনতে পারে। তার অপরাধের ফলাফল সমস্ত জাতিকে অনন্তকাল বয়ে বেড়াতে হবে।
* জীবন নিশ্চিত ভাবে মহামূল্যবান, এক্ই কারণে মৃত্যুদন্ডকে কোন ভাবেই খাট করে দেখার অবকাশ নেই, সচারচার মৃত্যুদন্ড প্রদান করাও কোন অবস্থায় যুক্তিক নয়! কিন্তু যে ক্ষেত্রে একজন অপরাধী এতন অপরাধ সংগঠন করে যার ফলাফল অত্যন্ত সুদূর পরাহত হয় একং যার কারণে গোটা সমাজ ঘৃণার উদ্রেক হয় সেই অবস্থায় মৃত্যুদন্ড ছাড়া আর কোন সাজা দেয়া যেতে পারে?
* তার অপরাধ গণধিক্কৃত হিসেবে বিবেচিত হবে।
তথ্যসূত্র:-
কাদের মোল্লার মৃত্যু পরোয়ানা-বিডি নিউজ ২৪ 
কাদের মোল্লার রায়ের অনুলিপি ট্রাইব্যুনালে-বিডি নিউজ ২৪
Also read: কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রমাণিত  

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ২৯ অগ্রহায়ন ১৪২
ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে আলবদর কমান্ডার আবদুল কাদের মোল্লা !

 Related video:

লাকী আক্তার- Tui Rajakar Slogan leading by Lucky akter



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___