রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৪, ২২ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার - ৮
শারমিন আহমদ
(পূর্ব প্রকাশের পর)
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- ২৭ মে গিয়ে উঠলাম। [আগরতলা হতে কলকাতায়] আব্দুস সামাদ আজাদ- [আমাকে উদ্দেশ করে] তোমরা যে বাড়িতে উঠল৻ সে বাড়িতে তাজউদ্দীন সাহেব দিনের বেলা খালি দেখা করে আসত-
শারমিন আহমদ- দিনের বেলায়ও যেত কিনা- দু'বার বোধহয় গিয়েছিল [এক মাত্র পুত্র দেড় বছরের শিশু সোহেল মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাজউদ্দীন আহমদকে সে খবর জানালে তিনি দেখতে যেতে অপারগতা জানিয়ে বলেন, তার পুত্রকে তিনি অন্য সবার পুত্র থেকে আলাদা করে দেখেন না। যুদ্ধাবস্থায় তার কাছে সব শিশুই সমান। পরে গোলোক মজুমদার এবং বিএসেফের নিরাপত্তা অফিসার শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পীড়াপীড়িতে তিনি অসুস্থ পুত্রের শিয়রে অল্প কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে দোয়া করে চলে আসেন। দ্বিতীয়বার ৬ ডিসেম্বর, ভারতের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির দিন, তার পরিবারের উল্টা দিকের ফ্ল্যাটে, সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে মিটিং সেরে যাবার পথে তিনি কয়েক মিনিটের জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অফিসে চলে যান।]
আব্দুস সামাদ আজাদ- উনি কিন্তু অফিস ছাড়লেন না। বললেন,'লিবারেশন না হলে যাব না।' সৈয়দ সাহেব- ওনারা গেলেন ওখানে। [মন্ত্রিপরিষদের পরিবারের জন্য ভারত সরকার, পার্ক সার্কাসে ড. সুন্দরী মোহন এ্যাভিনিউতে বসবাসের ব্যবস্থা করে। ওখানেই বাকি মন্ত্রীরা পরিবারসহ থাকতেন] ওখানে বসেও- ঐ বাড়িতে বসেও কন্সপিরেসি হয়েছে। তারপর শিলিগুড়ি গেলাম- এমপিদের ডাকা হলো [জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত শিলিগুড়ির এই সম্মেলনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানায়। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অনুসারী ছাত্র নেতাদের প্রচণ্ড বিরোধিতা এবং মোশতাকের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এই সম্মেলন সফল হয়। মোশ্তাক ও মনি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে]
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন-কন্সপিরেসি কারা করল?
আব্দুস সামাদ আজাদ- মোশতাকরা। সেতো পার্লামেন্টারি এ্যাফেয়ার নিজ হাতে রেখেছে। মোশতাক নো কনফিডেন্সের চক্রান্ত করেছিল। তারপর বিভিন্ন জেলার সঙ্গে আলাপ করে সৈয়দ সাহেবকে বললাম। সৈয়দ সাহেবের তো কি পজিশন। সৈয়দ সাহেব করলেন কি ওখানে[শিলিগুড়ি] যাবার পরে বক্তব্যটা খুব কড়াভাবে দিলেন যে, 'আমরা এখন সংগ্রামে যাচ্ছি...'
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- তখন এই গবর্নমেন্টের এগেইনস্টে একটা ইয়াং বাহিনীকে মোশ্তাক তার দলে রেখেছিল।
আব্দুস সামাদ আজাদ- সেটাতো পরে– তারপরে সেখানে পারল না-দেখল সব গোলমাল হয়ে গেছে। সৈয়দ সাহেবের বক্তব্য...
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- সৈয়দ সাহেব তখন খুব ংঃৎড়হম ছিলেন-
আব্দুস সামাদ আজাদ- খুব ংঃৎড়হম। তাঁর সঙ্গে বহু আলাপ হয়েছে। সৈয়দ সাহেবকে বোঝালে উনি কিন্তু খুব ংঃৎড়হম থাকতেন।
শারমিন আহমদ-সৈয়দ সাহেব কোথায় বক্তৃতা দিলেন?
আব্দুস সামাদ আজাদ- শিলিগুড়িতে। পার্লামেন্টারি পার্টির মিটিং ডাকলেন। একটা নিয়ম আছে। একটা কনস্টিটিউশনাল পজিশন দিতে হবে তো। ইলেক্টেড গবর্নমেন্টের যারা মেম্বার আছে তারা একটা কনসলিডেটেড প্রস্তাব পাস করলো যে এই সরকার প্রভিশনাল সরকার। এর আগে ১৭ এপ্রিল আমরা মুজিব নগরে গবর্নমেন্ট ঘোষণা করলাম।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- শপথ নিলাম মুজিব নগরে। [গণপ্রজাতন্ত্রী প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান]
আব্দুস সামাদ আজাদ- ইউসুফ আলী তো আগে জানতেনই না। তাঁকে আগে পাঠিয়ে দিয়েছি। পড়বার [স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র] সময় তাঁর হাতে দিয়েছি। কেউ একজন ঘোষক কেউ একজন পাঠক। এগুলো তো কয়েকজন মিলে –দুই-তিন জন মানুষ মিলে আমরা করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তো আছেই একের পর এক।
শারমিন আহমদ- আমরা যাতে একতাবদ্ধ থাকি, এখন এই সরকারে যোগদান করি এটার পক্ষে সৈয়দ সাহেব বক্তব্য রাখলেন...
আব্দুস সামাদ আজাদ- সৈয়দ সাহেব বক্তব্য রাখলেন, 'আমরা ংঃৎঁমমষব-এ আছি' আমরা [সম্মিলিত ভাবে] যা যা সিধান্ত নিয়েছি তাই হবে... [এমপিদের উদ্দেশে] আপনারা যার যার এরিয়ায় যান, জোনাল কমিটি করেন-' যা যা প্রোগ্রাম ছিল তার পক্ষে কড়া বক্তব্য দেন। তারপর মনসুর আলী সাহেবকে বলেন, 'আপনি প্রিসাইড করেন।' মনসুর আলী সাহেব প্রিসাইড করলেন। মনসুর আলী সাহেবও শক্ত ছিলেন। মোশ্তাকের কন্সপিরেসি ঐভাবে ভেঙ্গে যায়-নো কনফিডেন্স আনার তার ক্ষমতাই নাই- ঐ লাইনেই আসল না ...
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- পারল না। চেষ্টা করেছিল- পারল না।
শারমিন আহমদ- এরকম হীন তো মোশতাক ছাড়া কেউ ছিল না?
আব্দুস সামাদ আজাদ- নাহ! হি ইজ দি হীন।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- সব খেলোয়াড়ের একটা মাস্টার লিডার থাকে না! তোমার আব্বুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, মুজিব হত্যার পর সামাদ সাহেব যদি ছাড়া থাকতেন তাহলে উনি কারেক্ট ডিসিশন নিতে পারতেন। পার্টিটাকে ঠিক রাখতে পারতেন। (সমাপ্ত)
রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৪, ২২ পৌষ ১৪২০
লেখক : তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ মেয়ে ও
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গবেষক
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=16&dd=2014-01-05&ni=159751সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- ২৭ মে গিয়ে উঠলাম। [আগরতলা হতে কলকাতায়] আব্দুস সামাদ আজাদ- [আমাকে উদ্দেশ করে] তোমরা যে বাড়িতে উঠল৻ সে বাড়িতে তাজউদ্দীন সাহেব দিনের বেলা খালি দেখা করে আসত-
শারমিন আহমদ- দিনের বেলায়ও যেত কিনা- দু'বার বোধহয় গিয়েছিল [এক মাত্র পুত্র দেড় বছরের শিশু সোহেল মারাত্মক রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাজউদ্দীন আহমদকে সে খবর জানালে তিনি দেখতে যেতে অপারগতা জানিয়ে বলেন, তার পুত্রকে তিনি অন্য সবার পুত্র থেকে আলাদা করে দেখেন না। যুদ্ধাবস্থায় তার কাছে সব শিশুই সমান। পরে গোলোক মজুমদার এবং বিএসেফের নিরাপত্তা অফিসার শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায়ের পীড়াপীড়িতে তিনি অসুস্থ পুত্রের শিয়রে অল্প কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে দোয়া করে চলে আসেন। দ্বিতীয়বার ৬ ডিসেম্বর, ভারতের বাংলাদেশকে স্বীকৃতির দিন, তার পরিবারের উল্টা দিকের ফ্ল্যাটে, সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে মিটিং সেরে যাবার পথে তিনি কয়েক মিনিটের জন্য পরিবারের সঙ্গে দেখা করে অফিসে চলে যান।]
আব্দুস সামাদ আজাদ- উনি কিন্তু অফিস ছাড়লেন না। বললেন,'লিবারেশন না হলে যাব না।' সৈয়দ সাহেব- ওনারা গেলেন ওখানে। [মন্ত্রিপরিষদের পরিবারের জন্য ভারত সরকার, পার্ক সার্কাসে ড. সুন্দরী মোহন এ্যাভিনিউতে বসবাসের ব্যবস্থা করে। ওখানেই বাকি মন্ত্রীরা পরিবারসহ থাকতেন] ওখানে বসেও- ঐ বাড়িতে বসেও কন্সপিরেসি হয়েছে। তারপর শিলিগুড়ি গেলাম- এমপিদের ডাকা হলো [জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত শিলিগুড়ির এই সম্মেলনে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সমর্থন জানায়। বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অনুসারী ছাত্র নেতাদের প্রচণ্ড বিরোধিতা এবং মোশতাকের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও এই সম্মেলন সফল হয়। মোশ্তাক ও মনি বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে একে অপরের পরিপূরক হয়ে কাজ করে]
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন-কন্সপিরেসি কারা করল?
আব্দুস সামাদ আজাদ- মোশতাকরা। সেতো পার্লামেন্টারি এ্যাফেয়ার নিজ হাতে রেখেছে। মোশতাক নো কনফিডেন্সের চক্রান্ত করেছিল। তারপর বিভিন্ন জেলার সঙ্গে আলাপ করে সৈয়দ সাহেবকে বললাম। সৈয়দ সাহেবের তো কি পজিশন। সৈয়দ সাহেব করলেন কি ওখানে[শিলিগুড়ি] যাবার পরে বক্তব্যটা খুব কড়াভাবে দিলেন যে, 'আমরা এখন সংগ্রামে যাচ্ছি...'
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- তখন এই গবর্নমেন্টের এগেইনস্টে একটা ইয়াং বাহিনীকে মোশ্তাক তার দলে রেখেছিল।
আব্দুস সামাদ আজাদ- সেটাতো পরে– তারপরে সেখানে পারল না-দেখল সব গোলমাল হয়ে গেছে। সৈয়দ সাহেবের বক্তব্য...
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- সৈয়দ সাহেব তখন খুব ংঃৎড়হম ছিলেন-
আব্দুস সামাদ আজাদ- খুব ংঃৎড়হম। তাঁর সঙ্গে বহু আলাপ হয়েছে। সৈয়দ সাহেবকে বোঝালে উনি কিন্তু খুব ংঃৎড়হম থাকতেন।
শারমিন আহমদ-সৈয়দ সাহেব কোথায় বক্তৃতা দিলেন?
আব্দুস সামাদ আজাদ- শিলিগুড়িতে। পার্লামেন্টারি পার্টির মিটিং ডাকলেন। একটা নিয়ম আছে। একটা কনস্টিটিউশনাল পজিশন দিতে হবে তো। ইলেক্টেড গবর্নমেন্টের যারা মেম্বার আছে তারা একটা কনসলিডেটেড প্রস্তাব পাস করলো যে এই সরকার প্রভিশনাল সরকার। এর আগে ১৭ এপ্রিল আমরা মুজিব নগরে গবর্নমেন্ট ঘোষণা করলাম।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- শপথ নিলাম মুজিব নগরে। [গণপ্রজাতন্ত্রী প্রথম বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান]
আব্দুস সামাদ আজাদ- ইউসুফ আলী তো আগে জানতেনই না। তাঁকে আগে পাঠিয়ে দিয়েছি। পড়বার [স্বাধীনতার ঘোষণা পত্র] সময় তাঁর হাতে দিয়েছি। কেউ একজন ঘোষক কেউ একজন পাঠক। এগুলো তো কয়েকজন মিলে –দুই-তিন জন মানুষ মিলে আমরা করেছি। স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস তো আছেই একের পর এক।
শারমিন আহমদ- আমরা যাতে একতাবদ্ধ থাকি, এখন এই সরকারে যোগদান করি এটার পক্ষে সৈয়দ সাহেব বক্তব্য রাখলেন...
আব্দুস সামাদ আজাদ- সৈয়দ সাহেব বক্তব্য রাখলেন, 'আমরা ংঃৎঁমমষব-এ আছি' আমরা [সম্মিলিত ভাবে] যা যা সিধান্ত নিয়েছি তাই হবে... [এমপিদের উদ্দেশে] আপনারা যার যার এরিয়ায় যান, জোনাল কমিটি করেন-' যা যা প্রোগ্রাম ছিল তার পক্ষে কড়া বক্তব্য দেন। তারপর মনসুর আলী সাহেবকে বলেন, 'আপনি প্রিসাইড করেন।' মনসুর আলী সাহেব প্রিসাইড করলেন। মনসুর আলী সাহেবও শক্ত ছিলেন। মোশ্তাকের কন্সপিরেসি ঐভাবে ভেঙ্গে যায়-নো কনফিডেন্স আনার তার ক্ষমতাই নাই- ঐ লাইনেই আসল না ...
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- পারল না। চেষ্টা করেছিল- পারল না।
শারমিন আহমদ- এরকম হীন তো মোশতাক ছাড়া কেউ ছিল না?
আব্দুস সামাদ আজাদ- নাহ! হি ইজ দি হীন।
সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন- সব খেলোয়াড়ের একটা মাস্টার লিডার থাকে না! তোমার আব্বুর দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, মুজিব হত্যার পর সামাদ সাহেব যদি ছাড়া থাকতেন তাহলে উনি কারেক্ট ডিসিশন নিতে পারতেন। পার্টিটাকে ঠিক রাখতে পারতেন। (সমাপ্ত)
রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৪, ২২ পৌষ ১৪২০
লেখক : তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ মেয়ে ও
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী গবেষক
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার - ১
শারমিন আহমদ
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৩, ৯ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার -২
শারমিন আহমদ
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৩, ১০ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার -৩
শারমিন আহমদ
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৬ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার - ৪
শারমিন আহমদ
মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩, ১৭ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার -৫
শারমিন আহমদ
বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০১৪, ১৮ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার -৬
শারমিন আহমদ
বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০১৪, ১৯ পৌষ ১৪২০
শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৪, ২০ পৌষ ১৪২০
জেল হত্যাকাণ্ড ॥ আবদুস সামাদ আজাদের সাক্ষাতকার - ৭
শারমিন আহমদ
__._,_.___