Banner Advertiser

Thursday, February 13, 2014

[mukto-mona] আন্দোলন নয় দুই বছর ॥ কূটনীতিকদের পরামর্শ মেনে নিয়েছে বিএনপি



শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২

কূটনীতিকদের পরামর্শ মেনে নিয়েছে বিএনপি ॥ আন্দোলন নয় দুই বছর
০ দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগেই ড. ইউনূসের মাধ্যমে কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে বিএনপি 
০ কূটনীতিকরা বিএনপিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন এ মুহূর্তেই নির্বাচন নয়, বরং দুই বছর গঠনমূলক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড
শরীফুল ইসলাম ॥ বিএনপির কূটনৈতিক মিশন ব্যর্থ হয়েছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে বলে বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের আশ্বাসে নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি। এখন আবার সেই কূটনীতিকরাই বিএনপিকে অন্তত ২ বছর এ সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন না করার পরামর্শ দিয়েছেন। আর বিএনপিও তা মেনে নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। 
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর আগে থেকেই বিএনপি ঘন ঘন বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে মিটিং সিটিং করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তাদের সহযোগিতা চান। সে সঙ্গে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. ইউনূসের মাধ্যমে বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হয়। এভাবে কূটনীতিক মিশন চালিয়ে বিএনপি বেশ অগ্রসর হয়। কিন্তু নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এ কূটনীতিক মিশন ভেস্তে যায়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেললেও কূটনীতিকরা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে এগিয়ে আসেননি। বরং তারা সংবিধানের আলোকে নির্বাচন করার কথা বলে পরোক্ষভাবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবস্থান নেয়। আর বিএনপিও তখন কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে বেকায়দায় ফেলতে পারেনি। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ায় বিএনপি হাইকমান্ডও আন্দোলন করতে গিয়ে থমকে যান। 
কিছু দেশের কূটনীতিক নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘন ঘন মিটিং করে কিছু নীতিবাক্য ছাড়লেও সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের ব্যাপারে কার্যত: কোন পদক্ষেপ নেননি। এ পরিস্থিতিতে সাংবিধানিকভাবেই বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন হয়ে যায়। সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকারও গঠন করে ফেলে আওয়ামী লীগ। এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে চরম বেকায়দায় পড়ে বিএনপি। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা চরম হতাশ হন। 
নির্বাচন বর্জনের পর আবারও কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক শুরু করে বিএনপির শীর্ষ নেতারা। কিন্তু কূটনীতিকরা বিএনপিকে আশার বাণী শোনানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না। প্রতিটি দেশের কূটনীতিকরাই বিএনপিকে বলছেন সরকারী দলের সঙ্গে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। তবে তারা বিএনপিকে এ আশ্বাস দিলেও আওয়ামী লীগকে এ ব্যাপারে কিছুই বলছেন না। 
সূত্রমতে, বিদেশী কূটনীতিকরা এখন বিএনপিকে এ কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে, যেভাবেই হোক দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে। তাই শীঘ্রই আরেকটি নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তাই বিএনপিকে গঠনমূলক কর্মসূচীর মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পরবর্তী নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর আন্দোলনের স্বাভাবিক কর্মসূচী পালন করলেও অন্তত ২ বছর কঠোর কর্মসূচী পালন করা যাবে না। আর বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির হাইকমান্ডও তা মেনে নিয়েছেন বলে জানা গেছে। 
কূটনীতিকদের পরামর্শক্রমে বিএনপি এখন রাজনৈতিক কর্মকা- পালনের ক্ষেত্রে নমনীয় হয়েছে। এ কারণেই সরকার বিরোধী কঠোর আন্দোলনে না গিয়ে বর্তমানে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে। এ নির্বাচনে বিজয়ের ফসল ঘরে তুলতে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন জেলা-উপজেলায় গিয়ে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাচনের পর দল গোছাতে জাতীয় কাউন্সিল করবে দলটি। 
আপাতত আন্দোলনের দিকে না গিয়ে বিএনপি সাংগঠনিক কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবে এবং উপজেলা নির্বাচনের পর জাতীয় কাউন্সিল হবে দলীয় হাইকমান্ডের কাছ থেকে এ খবর শোনে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন নিজ নিজ এলাকায় দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নানামুখী কৌশল নিয়ে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন। নিজ এলাকায় ভাল ফল করে দলীয় হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের কৌশল নিয়েছেন তাঁরা। কোন কোন নেতারা দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন না তাও দলের ওপর মহল থেকে নজরদারি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। জেলা নেতাদের পরামর্শে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে। 
জানা যায়, অন্তত ২ বছর কঠোর আন্দোলনে না গেলেও এখন থেকেই বিএনপি আন্দোলন চাঙ্গা করতে হলে কি কি করতে হবে এ ব্যাপারে ফাইল ওয়ার্ক করছে দলীয় হাইকমান্ড। এরই অংশ হিসেবে গতদিনে বিএনপির যেসব কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনে ঝুঁকি নেননি উপরন্তু পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে বেড়িয়েছেন তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছেন। সে সঙ্গে এবারের জাতীয় কাউন্সিলের পর তাদের পদপদবীর ব্যাপারে দলীয় হাইকমান্ড সতর্ক থাকবেন বলে জানা গেছে। সে সঙ্গে যাঁরা ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন এবং যাঁরা জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন তাদের পুরস্কৃত করার বিষয়টিও দলের উচ্চপর্যায়ের বিবেচনাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যেই দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এ বিষয়টি আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। আর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অধিক সক্রিয় নেতাদের এবারের জাতীয় কাউন্সিলের পর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান দেয়া হবে। এর ফলে পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচীচতে আর দলীয় নেতারা পালিয়ে যাবে না এবং প্রতিটি কর্মসূচীই ভালভাবে পালিত হবে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা আশা করছেন। 
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পরও বিদেশী কূটনীতিকদের সঙ্গে ঘন ঘন মিটিং করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তখনও আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর প্রথম ২ বছর তেমন আন্দোলন কর্মসূচী পালন করেনি বিএনপি। বরং আন্দোলনের পরিবর্তে দলকে নতুন করে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। কিন্তু ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে তৃণমূল পর্যায় থেকে দলের কমিটি পুনর্গঠনের যে উদ্যোগ তিনি শুরু করেন তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠে। কারণ সারাদেশে জেলা ও উপজেলাসহ বিভিন্ন স্তরের তৃণমূল কমিটি গঠন নিয়ে নেতাকর্মীরা দ্বন্দ্বে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এর ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করা হয় সে উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়। পরে ২০০৯ সালের জুন মাসে কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন দলের হাইকমান্ড। কিন্তু এ আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-কোন্দল আরও চাঙ্গা হয়ে উঠলে কাউন্সিলরদের ভোটে প্রথমে উপজেলা কমিটি ও পরে অনুরূপভাবে জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। এ পদ্ধতিতে ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে সব কমিটি গঠনের শেষ সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। কিন্তু এতে ফল না পেয়ে শেষ পর্যন্ত জেলা-উপজেলায় কমিটি ছাড়াই বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল করা হয় ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর। ওই কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরাও ছিলেন। বিএনপিরপরবর্তী জাতীয় কাউন্সিলেও বিদেশী কূটনীতিকদের উপস্থিতি থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, বিশ্বে আমাদের অনেক বন্ধু রাষ্ট্র রয়েছে যাঁরা আমাদের মঙ্গল চায় এবং আমাদের দেশে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে চায়। এ রকম কিছু দেশের কূটনীতিকরা চেয়েছিলেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। এজন্যই তারা কঠোর আন্দোলনের পরিবর্তে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সমঝোতার পরিবর্তে একতরফা নির্বাচন হওয়ায় তারা হতাশ হয়েছেন। এখন আবার তাঁরা সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের কথা বলছেন। এজন্য আমাদের সঙ্গেও বৈঠক করে কঠোর আন্দোলনের পরিবর্তে সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতা করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চান। তাই আমরা আশা করছি সরকার এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবে। সরকার এ ব্যাপারে বেশি সময় নষ্ট করলে আমাদের আবার কঠোর আন্দোলনেই যেতে হবে। তবে কখন আন্দোলনে যেতে হবে এ ব্যাপারে বিদেশী কূটনীতিকরা আমাদের কিছু বলেনি।
প্রকাশ :  শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৪, ২ ফাল্গুন ১৪২





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___