Banner Advertiser

Sunday, June 1, 2014

[mukto-mona] Re: যে 'মাহাথির'কে আমরা হারিয়েছি



Zia was not Mahatir and Bangladesh has never been a Malaysia by any criteria. Zia came through the back door and he was discarded through the back door. No need to create another cult figure for Bangladeshis. Thank you.
-SD


2014-05-31 21:43 GMT-04:00 'zainul abedin' via Bangladesh Progressives <bangladesh-progressives@googlegroups.com>:

Salam,


"এখানে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো সারা জীবন গণতন্ত্রের পূজারী এক নেতার হাতে এদেশের গনতন্ত্রের কবর রচিত হয় ।" No, this is not right. He wanted "democracy" or "freedom" to hassle ("lathi-mara") others. He proved that how intolerant he was by killing thousands of opponents and feeling no pain for deaths of about 1.5 million people in 1974 (virtually, 1973-1975). Character/habit does not change overnight (with exceptions).

Regards,

Zainul



On Friday, May 30, 2014 1:27 PM, Shahadat Hussaini <shahadathussaini@hotmail.com> wrote:


যে 'মাহাথির'কে আমরা হারিয়েছি

30 May, 2014
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া অায়ূ পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫/৪৬ বছর। জীবনের এই ক্ষুদ্র পরিসরে একজন ব্যক্তি মানুষের অর্জন নিয়ে ভাবতে গেলে সত্যিই অবাক হতে হয়। তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বিশ্লেষণ করে আজ মনে হয় ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনটিতে আমরা এক মহা রত্নকে হারিয়েছিলাম ।
আজ অনেকেই মনে করেন যে আমরা সেদিন এক 'মাহাথির'কে হারিয়েছি। The morning shows the day. সকালের সেই ঝলকটি দেখেছি, কিন্তু মালয়েশিয়ার মত সম্ভাব্য রৌদ্র ঝলমলে দিনটি উপভোগ করতে পারি নি। মাহাথিরের সাথে প্রেসিডেন্ট জিয়ার এই তুলনাটি আসে আমাদের ভেতরের এক দীর্ঘশ্বাস অর্থাৎ একটা কিছু পেয়েও তা আচমকা হারানোর বেদনা থেকে।
মাহাথিরকে না পেলে মালয়েশিয়া এত দ্রুত এই উন্নতি করতে পারতো কি না তাতে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে । একজন যোগ্য নেতা একটি পুরো জাতির চেহারা বদলে দিতে পারে। মালয়েশিয়ার মাহাথির মুহাম্মদ এবং সিঙ্গাপুরের লি কুয়ান ইউ তার অন্যতম উদাহরন। এই সব প্র্যাগমেটিক নেতাগণ একাকী এই ম্যাজিক বা যাদু দেখান নি। তারা সঠিক লোকগুলিকে সঠিক জায়গায় বসাতে পেরেছিলেন। এখানেই তারা অনন্য। এটিই ছিল তাদের সফলতার মূল চাবি কাঠি। কারন প্রকৃত নেতা কখনই কাজ করে না, কাজ করায়।
আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার মধ্যেও এই অনন্য অসাধারন গুণটি দেখতে পেয়েছিলাম। বিভিন্ন জায়গা থেকে দক্ষ ও যোগ্য লোকগুলি তিনি বাছাই করতে পেরেছিলেন। তিনি নিজে মেধাবী ছিলেন, ফলে তাঁর চারপাশে শুধু মেধার সমাবেশ ঘটেছিল । চাটুকারদের তিনি অত্যন্ত সফলভাবে দূরে রাখতে পেরেছিলেন। চাটুককারদের তেলে সিক্ত হয়ে এই তেল চিটচিটে শরীর নিয়ে তাকে হঠাৎ চিৎকার করতে হয় নি যে চাটুকারের দল সব চেটে খেয়ে ফেলেছে।
মাহাথির মুহাম্মদ প্রধানমন্ত্রী হন ১৯৮১ সালের ১৬ই জুলাই। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হওয়ার মাত্র দেড় মাস পর। মাহাথিরের বয়স তখন ছিল ৫৬ বছর। অভিজ্ঞতার ঝুলিতে ডেপুটি প্রাইম মিনিষ্টার হিসাবে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা । ১৯৮১ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন এবং এই সময়ের মধ্যে অলস ভূমিপুত্রদের দেশ বা Backwater economy র দেশ হিসাবে পরিচিত এই দেশটিকে পৃথিবীর ১১০টি দেশের মধ্যে ২৮তম স্থানে পৌছে দেন।
১৯৮১ সালের দিকে মালয়েশিয়া এবং আমরা প্রায় কাছাকাছি অবস্থানে ছিলাম। মালয়েশিয়া থেকে আমাদের বেশি যা ছিল তাহলো মাত্র ৪৫ বছরের এক তারুণ্যদীপ্ত, প্রজ্ঞাবান ও প্র্যাগমেটিক নেতা যিনি ইতি মধ্যেই পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করে সমৃদ্ধ হয়েছেন। তিনি এই দেশটিকে কী অবস্থায় পেয়েছিলেন এবং মৃত্যুর সময় কী অবস্থায় রেখে গেছেন তা নিয়ে ভাবলে যে কোন গবেষকের মাথা শ্রদ্ধায় নত হয়ে আসবে।
সিঙ্গেল ইউনিটের চমৎকার একটি রাষ্ট্র এই নেতার হাতে আর কিছুদিন থাকলে আমরা আজ কোথায় যেতে পারতাম এই ধরনের ভাবনা কোন আকাশ কুসুম কল্পনা নয়।
মাহাথিরের যে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যটিকে তার সফলতার মূল কারন বলে মনে করা হয় তাহলো তার নিজের উপর অগাধ আস্থা বা self confidence. এ সম্পর্কে তিনি নিজে বলেছেন,
"I realize that I make enemies. I have no choice. Either I come here and sit comfortably and be nice to people and do nothing or else, I try to do something
even at the expense of being unpopular. I don't think I'll be permanent here. I
don't think I'll be forever unpopular, so it doesn't really matter. Even being thrown
out of the office doesn't really bother me."
এবার দেখুন একই আত্মবিশ্বাস, একই ভাবনা এবং একই গ্রুপকে টার্গেট করে জিয়া উচ্চারন করেছিলেন, I will make the politics difficult for the politicians.
যে চাপা সর্বস্ব ও কর্মবিমুখ পলিটিশিয়ানদের লক্ষ্য করে তিনি এই কথাটি বলেছিলেন তারা নিজেদের মত করে এখন এই কথাটি ব্যাখ্যা করে। কারন মাহাথির মুহাম্মদ চাপা-সর্বস্ব বা বাচাল পলিটিশিয়ানদের জন্যে পলিটিক্স কঠিন করতে পেরেছিলেন, জিয়া সেই সুযোগটি বেশি দিন পান নি। মালয়েশিয়ার সৌভাগ্য যে তারা তাদের মাহাথিরকে রক্ষা করতে পেরেছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা তা পারিনি।
১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত এই দেশটিকে তলাবিহীন ঝুড়ি বানিয়ে ফেলা হয়েছিল। শুধু অর্থনীতির তলা নয়, আমাদের জীবনের সকল তলা খুইয়ে ফেলেছিলাম। মানুষের পেটের আহার,চোখের ঘুম এবং জীবনের সকল শান্তি কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরিণামে দেখা দেয় স্মরণকালের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ।
একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ যদি দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির কারন হতো তবে তা হওয়ার কথা ছিল যুদ্ধের পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে। কিন্তু দুর্ভিক্ষ হয় ১৯৭৪ সালে। কাজেই এটা স্পষ্ট যে তখনকার শাসক শ্রেণীর সীমাহীন লুটপাট,অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতার সিকোয়েন্সিয়াল কনসিকোয়েন্স ছিল এই দুর্ভিক্ষ।
" চাটার দল সব খেয়ে ফেলেছে " , "সবাই পায় সোনার খনি আমি পেয়েছি চোরের খনি " , "আমার কম্বলটি গেলো কই " সরকারের সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে এই ধরনের কিছু আবেগ ভরা কথা দিয়ে কারো কারো মনকে ভেজানো গেলেও বাস্তবতার কঠিন চিড়াগুলি ভেজানো সম্ভব হয় নি।
এমন একটি তলাবিহীন ঝুড়ির সকল তলা গুলি তিনি এক যাদুর বলে জোড়া লাগিয়েছিলেন। সেই ঝুড়ি গুলি বেশি ভরার সময় না পেলেও মূল কাজটি কিন্তু তিনিই করে গেছেন। কাজেই তিনিই আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান তিনি আমাদের পিকিউলিয়ার রাজনৈতিক মানসটিতে একটি ধাক্কা দিয়ে গেছেন। আমাদের রাজনৈতিক মানসটি ছিল সর্বদা উৎপাদন বিমুখ ও পশ্চাৎমুখী। তিনি এটাকে কর্মমুখী ও সম্মুখ মুখী ( looking forward) করে গেছেন। আমাদের রাজনৈতিক শক্তির বিরাট অংশ খরচ হতো (এবং এখনও হয়) বিভিন্ন চেতনার ভূতকে আহার করানোর নিমিত্তে । চেতনার ভূতগুলিকে ফিড করার পরিবর্তে রক্ত মাংসের মানুষের খাওয়া- পরার রাজনীতি জিয়াই এদেশে চালু করে গেছেন। তিনি মনে করতেন এদেশের কাউকেই বঙ্গোপসাগরে ফেলা দেয়া যাবে না। তাই তিনি ডান-বাম সকলকে একোমোডেট করার রাজনীতি চালু করে গেছেন। তিনি এদেশের উদার ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের জনক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছেন। এই জায়গা থেকে তাকে সরানো সম্ভব হবে না।
এখানে ইন্টারেস্টিং বিষয় হলো সারা জীবন গণতন্ত্রের পূজারী এক নেতার হাতে এদেশের গনতন্ত্রের কবর রচিত হয় । অন্যদিকে সচরাচর গণতন্ত্রের হন্তারক হিসাবে বিবেচিত এক জেনারেলের হাত দিয়ে এদেশে উদার গণতন্ত্র পুণর্জন্ম লাভ করে!
জাতির অত্যন্ত দরকারের মুহুর্তগুলিতে এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষটিকে আমরা বার বার পেয়েছি। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ যখন একটি ঘোষণা দেওয়ার কেউ রইল না তখন তাঁর এই কন্ঠ গর্জে উঠেছে। ১৯৭৫ সালে দেশের গণতন্ত্রকে যখন বাকশালের খাদে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকে এই দেশ ও গণতন্ত্রকে আবার তাকেই টেনে তুলতে হয়েছে। ইতিহাসের প্রতিটি কর্ণারে হাজার ওয়াটের বাতি দিয়ে খুঁজে খুঁজে দেখুন। তাঁর শত্রুদের অভিযোগমত কোথাও তাকে ষড়যন্ত্রকারী বা হন্তারক হিসাবে পাওয়া যাবে না । প্রতিটি জায়গায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি Rescuer বা উদ্ধারকারী হিসাবে গণ্য হবেন। এই ক্ষেত্রে তাঁর জীবনের খাতাটি অত্যন্ত স্বচ্ছ ও পরিস্কার। নিজের ব্যক্তিগত লোভ ও লালসার বসে তিনি কোন কাজ করেন নি। ভুল হোক, শুদ্ধ হোক যা করেছেন তা সবই দেশ প্রেমের টানে করেছেন । এই সব ক্ষেত্রে নীরব থাকার মত কাপুরুষ তিনি ছিলেন না। তাই তার পরম শত্রুরাও তাঁর সততা ও দেশপ্রেম নিয়ে কোন প্রশ্ন উথ্থাপন করতে পারে নি।
মানুষকে যেমন করে ভালোবেসেছেন, বিনিময়ে তেমন করেই মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন। তিনি যখন গ্রামের কোন সাধারণ মানুষকে চাচা বা চাচী বলে ডাক দিয়েছেন সেখানে কৃত্রিমতার কোন ছাপ থাকতো না। সেই ডাকটি ছিল তাঁর ভেতর থেকেই। এদেশের মানুষ তাঁর এই অন্তরটি অত্যন্ত খোলামেলা ভাবে পড়তে পেরেছে।
দেশী বিদেশী চক্রান্তকারীরা যখন এই মাটির সবচেয়ে আদরের ও সবচেয়ে প্রিয় সন্তানটিকে হত্যা করে তখন সারা দেশের মানুষ ক্রোধে-ক্ষোভে ফুলে ফেপে ওঠে। এর আগে অন্য এক প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবারের প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিষয়টি শত্রুদের মাথা ঘুলিয়ে দেয়। মানুষের এই প্রতিক্রিয়া দেখে খুনীদের আগের সকল হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। মৃত জিয়া জীবিত জিয়ার চেয়েও শক্তিসালী হয়ে পড়ে।
তখন আমি ক্লাস টেনে পড়ি। আমাদের স্কুলের ( কবি নজরুলের বাল্যস্মৃতি বিজড়িত দরিরামপুর হাইস্কুল ) প্রধান শিক্ষক আবুল হুসেন স্যার কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেছিলেন, আজ আমরা যা হারিয়েছি তা কোনদিন পূরণ হবার নয়। ইসলামের খলিফা হজরত ওমর (রাঃ) এর অনুসরনে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল চষে বেড়িয়েছেন দেশের মানুষের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার জন্যে। '
আজকের এই দিনে মনে পড়ছে আমাদের শ্রদ্ধেয় আবুল স্যারের সেই আহাজারি । আজকের এই কঠিন সময়ে জাতির এই রত্নকে দারুনভাবে অনুভব করছি।

ফেসবুক


--
--
Disclaimer: All content provided on this discussion forum is for informational purposes only. The owner of this forum makes no representations as to the accuracy or completeness of any information on this site or found by following any link on this site. The owner will not be liable for any errors or omissions in this information nor for the availability of this information. The owner will not be liable for any losses, injuries, or damages from the display or use of this information.
This policy is subject to change at anytime.

---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Bangladesh Progressives" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to bangladesh-progressives+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/d/optout.



__._,_.___

Posted by: Shah DeEldar <shahdeeldar@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___