Banner Advertiser

Sunday, August 31, 2014

[mukto-mona] Please read, you will like it



Bhorer Kagoj, 1st Sept 2014:

http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/09/01/194049.php

সংখ্যালঘুর সমস্যা তখনই সমাধান সম্ভব, যখন সংখ্যাগুরুরা এগিয়ে আসবেন

 

এআইজি প্রলয় জোয়ার্দ্দার-কে নিয়ে ইনকিলাবের 'রম্যরচনা' লেখার বিষয়বস্তু নয়, কিন্তু ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয় কিভাবে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষপরোক্ষ বা মনস্তাত্ত্বিকভাবে  সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে থাকে। প্রলয়ের ওপর যা ঘটেছে সেটা মনস্তাত্ত্বিক অত্যাচার। এর তীব্রতা কেবল ভুক্তভুগিই জানেন। কবি শামসুর রাহমানের ওপর মৌলবাদী হামলার পর এক সাংবাদিক সন্মেলনে তিনি বলেছিলেন, "হামলা হয়েছে মাদ্রাসা থেকে" এবং তিনি দাবি করেন, "মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত" একইসময়ে নিউইয়র্কে ওই হামলার প্রতিবাদে এক সভায় আমি বলি, "কবি শামসুর রাহমান তার ওপর হামলার জন্যে মাদ্রাসাকে দায়ী করে বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন" পরদিন একটি বাংলা সাপ্তাহিক ফলাও করে ছাপে, "শিতাংশু গুহ বাংলাদেশে সকল মাদ্রাসা মসজিদ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।" ব্যস, এরপর তিনমাস, নিউইয়র্কের তাবৎ সাম্প্রদায়িক কাগজগুলো শিতাংশু' চৌদ্দগুষ্টি উদ্দার করে। আমেরিকায় থেকেও ঐসময় আমি যে প্রেসার অনুভব করেছিলাম, তা ভেবে প্রলয়ের জন্যে সহানুভুতি জানাই। তখন এক সভায় আমার বন্ধু বনলতা সেনের দেশ নাটোরের : মহসীন আলী বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ হলে ঘটনায় এতদিনে শিতাংশু' বাড়িঘর মৌলবাদীদের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যেতো।' : মহসীন আলী, : নূরন নবী বা ফরাসত আলী এবং সাপ্তাহিক ঠিকানা সেদিন সামনে এগিয়ে এসেছিলো এবং আমরা পেরেছিলাম মৌলবাদের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে। আমার বিশ্বাস প্রলয়ের বিরুদ্বে অন্যায়ের প্রতিবাদে পরোক্ষভাবে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এগিয়ে এসেছেন, তাই এযাত্রায় প্রলয় রক্ষা পেয়েছেন।  আমার এসব কথা বলার অর্থ হলো, সংখ্যালঘুর সমস্যা তখনই সমাধান সম্ভব, যখন সংখ্যাগুরুরা এগিয়ে আসবেন। এই আমেরিকায় কালোদের সমস্যাও সমাধান হয়েছিলো যখন সাদারা এগিয়ে এসেছিলো।

 

'সংখ্যালঘু' তত্বে অনেকেই বিশ্বাস করেন না। বক্তৃতা-বিবৃতিতে তা তারা ফলাও করে বলতেও পছন্দ করেন। প্রশ্ন হলো, প্রলয় হিন্দু না হলে কি তার ওপর নির্যাতন হতো? আমেরিকায় আমি 'সংখ্যালঘু' তত্বে বিশ্বাস করিনা, কিন্তু বাংলাদেশে করি। কথাটা এভাবে বলা ঠিক হলোনা, বলা উচিত, রাষ্ট্র আমায় স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেআমি হিন্দু, মুসলমান নই। রাষ্ট্রের যদি ধর্ম থাকে, তাহলে অন্যরা সংখ্যালঘু হবেই। যুদ্ধাপরাধী দেলোয়ার হোসেন সাইদী বহুবার বলেছেন, 'বাংলাদেশে হিন্দুরা জামাই আদরে আছেন।' জিয়া-এরশাদ-খালেদা বহুবার বলেছেন, 'বাংলাদেশে চমৎকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিরাজমান।' আসলেই কি তাই? হিন্দুরা কি তা বলে? তাই যদি হয়, তাহলে কি করে সংখ্যালঘু জনসংখ্যা ৪৪ বছরে প্রায় ২০% থেকে %- চলে এলো?  যাকগে ওসব কথা। এইতো সেদিন সচিবালয়ে হিন্দু কর্মকর্তাদের একটি তালিকা প্রকাশ পেলো, সাথে লেখা হলো কিভাবে হিন্দুরা বাংলাদেশ দখল করে ফেলছে! ওই তালিকায় সাড়ে ৪শ' ওপর হিন্দুর  নাম আছে। ৩জন সচিবের পরই আছে স্বপন সাহার নাম। সদ্য তিনি ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দুতাবাসে প্রেস মিনিস্টারের চাকুরীর মেয়াদ শেষে দেশে ফিরেছেন। পদমর্যাদায় ওটি ছিলো যুগ্ন-সচিব মর্যাদার, স্বপন সাহা চাকুরী করতেন বিএসএস-, রিটায়ারের পর চুক্তিভিত্তিতে ওয়াশিংটনে নিয়োগ পান, তিনি কিভাবে ওই তালিকার শীর্ষে স্থান পেলেন তা আমার বোধগম্য নয়, কারণ তিনি কখনই সচিবালয়ে ক্যাডারভিত্তিক চাকুরিতে ছিলেননা। তবু মৌলবাদীরা তার নামটি ব্যবহার করেছেন, কারণ তিনি হিন্দু! এটাই প্রচ্ছন্ন সাম্প্রদায়িকতা এবং স্বপন সাহা বা প্রলয় জোয়ার্দ্দার নিজেদের অজান্তে কোন অপরাধ না করেই শুধুমাত্র হিন্দু হবার কারণে 'ভিকটিম' যারা সচিবালয়ের ভুলভ্রান্তিভরা ওই লিস্টটি ছাপিয়েছেন তারা কিন্তু বলেননি হিন্দুদের ওই সংখ্যাটি কত শতাংশ এবং না বলার কারণটি হলো, ওই সংখ্যাটি -%-এর বেশি নয়! তারা প্রায়শ: পুলিশ বা মিলিটারিতে /১জন উচচপদস্থ কর্মকর্তার দৃষ্টান্ত দিয়ে 'গেল গেল' রব তুলেন, কিন্তু কখনই ঐসব বাহিনীতে বা এমনকি বিজিবি-তে কত শতাংশ হিন্দু আছেন তা বলেন না, কেননা ঐসব বাহিনীতে হিন্দুরা 'ভাসুর'; ভাসুরের নাম নিতে মানা।

 

ইনকিলাবের স্টোরী বা সেক্রেটারিয়েটের ওই তালিকাতে হিন্দুদের মোটামুটি পাইকারীভাবে ভারতের দালাল এবং ''-এর এজেন্ট হিসাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। আসলেই কি বাংলাদেশের হিন্দুরা সব ভারতের দালাল? ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্বের সময়কার কথা। আমরা তখন সবে স্কুলে পড়ি। একদিন সকালে শুনি শহরের প্রভাবশালী প্রায় সব হিন্দুকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। কারণ ওরা ভারতের দালালই শুধু নয়, সম্ভবত: 'চর' আরো শুনলাম, রাতে ওরা বাড়ীতে আলো জ্বালিয়ে রাখে যাতে ভারতীয় বিমান মনুষ্য বসতি বুঝে বোমাবর্ষণের সুযোগ পায়। তখন অবশ্য বুঝিনি যে, বাড়িতে বাতি জ্বালিয়ে রাখলে তো বোমা আগে তার মাথাতেই পড়বে। মফস্বল শহরের ঐসব হিন্দুর ভারতের দালাল হবার যোগ্যতা ছিলো কিনা জানিনা, তবে নাম যেহেতু হিন্দু, ভারতের দালাল না হয়েই পারেনা। উপাধি হিন্দুর জন্মসুত্রে পাওয়া। এমনকি দিনমজুর, যার নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেও ভারতের দালাল, কারণ তার নাম হিন্দু। মেজর জেনারেল (অব:) সি আর দত্ত, বীরউত্তম, যিনি পয়ষট্টিতে ভারতের বিরুদ্বে যুদ্ব করে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনিও অসংখ্যবার 'ভারতের দালাল' হিসাবে আখ্যায়িত হয়েছেন, শুধুমাত্র নামের জন্যে। মুসলমানদের কষ্ট করে ভারতের দালাল হতে হয়। কিন্তু হিন্দুরা কোন কষ্ট না করেই আপনাআপনি ভারতের দালাল। জন্মই তার আজন্ম পাপ, সরাসরি ভারতের দালাল। মুসলমানরা ভারতের দালাল থেকে পাকিস্তানের দালাল হতে পারেন, অনেকে হয়েছেনও; কিন্তু হিন্দুর কপালে 'তকমা' এমনভাবে সাঁটা যে থেকে মুক্তি নেই। এমনকি চীনপন্থী উগ্র বাম হিন্দুদের জন্যেও একথা সমভাবে প্রযোজ্য। 'কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করেছে সে মরে নাই'-কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুরা মরিয়াও প্রমান করতে পারবে না যে তারা ভারতের দালাল নয়। এযুগে অবশ্য ভারতের দালালের সাথে ''-এর এজেন্ট শব্দটাও যুক্ত হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রমোশন

 

এটা হয়তো সত্য সাধারনত: হিন্দুরা ভারতকে পছন্দ করে  এর কারণ কিভারতে হিন্দুর সংখ্যাধিক্য? না, সেটা কারণ নয়। আসল কারণ হলো অধিকাংশ মুসলমানরা ভারতকে অপছন্দ করে, তাই হিন্দুরা পছন্দ করে। বেশিদিনের কথা নয়, উপমহাদেশের মানুষ সবাই ভারতীয় ছিলো; মুসলমানরা পাকিস্তান নিয়ে ভারতীয় পরিচয় ভুলতে সচেষ্ট হয়। হিন্দুরা হয়ে যায়, 'না ঘরকা না ঘাটকা।' পাকিস্তান তাদের চায়না; ভারত তাদের দেশনা। এটা হতোনা যদি পাকিস্তান বা পরে বাংলাদেশ হিন্দুদের জন্যে বসবাসযোগ্য হতো। পাকিস্তান সরকারিভাবে অমুসলমানদের জন্যে ছিলোনা। বাংলাদেশ সরকারিভাবে এখনো সেকথা না বললেও কার্যত একই। সরকার হয় উদাসীন অথবা বিপক্ষে। ৯২-এর দাঙ্গা বা ২০০১-এর সংখ্যালঘু নির্যাতনে সরকার জড়িত। এমনকি বর্তমান সরকার মুখে সম্প্রীতির কথা বলা ছাড়া সংখ্যালঘু স্বার্থ সংরক্ষণে তেমন কোন পদক্ষেপই নেয়নি। পার্বত্য শান্তিচুক্তি বা শত্রু সম্পত্তি নিস্পত্তি আইনের প্রসঙ্গে বলা যায়, 'ওগুলো আইওয়াস' পার্বত্য চুক্তিতে পাহাড়ে শান্তি আসেনি; বা  শত্রু সম্পত্তি নিস্পত্তি আইনে হিন্দুরা লাভবান হবেনা।

 

বাংলাদেশে আজও হিন্দু নির্যাতন দৈনন্দিন ঘটনা এবং প্রায়শ: বলা হয়, এটা তোমাদের দেশনা, 'গো টু ইন্ডিয়া' মনে আছে ৬৯- মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করলে আমার ডাক্তারী পড়ার সম্ভবনা দেখা দেয়। বাবা তখন বলেন: 'অতদিন পাকিস্তানে থাকা যাবেনা।' বাংলাদেশে হিন্দু বাবাদের মানসিক অবস্থান কি খুব বেশি পরিবর্তন হয়েছে? এই প্রবাসেও দেখি হিন্দুরা কেউ ছেলেমেয়ে নিয়ে দেশে ফিরে যাবার কথা চিন্তা করেনা। অবশ্য মুসলমানরাও করেনা; যদিও কারন ভিন্ন। হিন্দুরা ভাবে আমরা যে সাম্প্রদায়িক সমস্যা ফেস করেছি, আমাদের ছেলেমেয়েরা তা যেন ফেস না করে। আসলে বাংলাদেশ সরকার হিন্দুদের জন্যে কিছু করার প্রয়োজন বোধ করেনা। ভারতও  কখনো এনিয়ে কথা বলেনি। ক্রিস্টানরা আক্রান্ত হলে উন্নত দেশগুলো কথা বলে; বৌদ্বরা অত্যাচারিত হলে জাপান-শ্রীলংকা চাপ দেয়; যেমন রামুর ঘটনার পর সরকার সব বৌদ্ব্মন্দির পুন:নির্মান করে দিয়েছেন। কিন্তু হিন্দুর জন্যে কেউ নাই। ভারত সরব হলেও হিন্দু নির্যাতন কমতো! প্রশ্ন উঠতে পারে, বাইরের চাপের প্রসঙ্গ আসছে কেনচাপ ছাড়া কি আমরা কিছু করি? আমাদের তো গোড়ায় গলদ আছে। আমরা নিজের দেশের নাগরিকদের রক্ষা করিনা। তাদের ঝেটিয়ে বিদায় করতে পারলে বাচি!

 

সুতরং, দোষ প্রলয় বা 'যত দোষ নন্দ ঘোষ' হিন্দুর নয়। অথবা হিন্দু মাত্রই ভারতের দালাল নয়। রাষ্ট্র হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বানালে বা অস্তিত্ব অস্বীকার করলে, তাদের পরমুখাপেক্ষী হওয়া ছাড়া (যদিও তাতে লাভ হয়নাউপায় কি? নিজের দেশে যারা পরবাসী তারা কি নিয়ে বাচবে? সংখ্যাগুরুরা তত্ব না বুঝলে সমস্যা প্রতিনিয়ত বাড়বে এবং তা বাড়তে বাড়তে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে।

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ১লা সেপ্টেম্বর ২০১৪



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___